যেভাবে লিখি

kobita
“There is nothing to writing. All you do is sit down at a typewriter and bleed.”
“You can get hurt bt u enjoy it.”
প্রতি সন্ধ্যায় বসি কালো স্ক্রিনে…ব্যাক্তিগত ডায়েরী লিখি কবিতার কোডে। খানিক দুর্বোধ্য, আপাত নিরর্থক শব্দবন্ধে……কোনো কোনো দিন ctrl s না চেপেই ওঠে যাই, কতকিছু লেখা হয় না কোনদিন…কতদিন লিখবো ভেবে লিখতে বসে ভুলে যাই। যে দুঃখ পৃথুর,সে দুঃখ আমারও।

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ ছয়

: মনটা কেমন বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে, মনে হলো তোমার সাথে কথা হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
কিন্তু আসলে তা হয় না। আরো মনটা কেমন কেমন জানি হয়ে যায়!
: এ আমার লজ্জা! আমার সীমাবদ্ধতার কোন সীমা নেই জানি।
: কাল সারারাত শুধু কাঁদলাম। মনে মনে বললাম, আমার বাকি জীবনটাও কেঁদেই কেটে যাবে। কেউ বুঝবে না তবু, কেউ জানতে চাইবে না?
: পৃথিবীটা অপদার্থ দিয়ে ভরে গেছে!

বিস্তারিত»

পেস লাইক ফায়ার!

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ পোস্টটি কিন্তু বি শা ল বড়। একাধিক পর্বে দিলে ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়ে যাবে বলে একবারেই দিলাম। বিরক্তির উদ্রেক করে থাকলে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি!
————-

১ ডিসেম্বর, ১৯৭৯।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়া সফরে যায়। দুটো কারণে এই সফরটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল- কেরি প্যাকার ওয়ার্ল্ড সিরিজের পর এই দুই ক্রিকেট পরাশক্তি পূর্ণ শক্তিতে ফিরেছে এবং প্রথমবারের মতন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের আক্রমণভাগে বিখ্যাত চারজন ত্রাস পেসারের সমন্বয় ঘটেছে,

বিস্তারিত»

টিকটিকি

টিকটিকি

ছোটবেলা থেকেই কিছুটা অন্তর্মুখী স্বভাবের হওয়ার কারনে আমার বন্ধু-বান্ধব তেমন কেউ ছিলোনা। আমার ভাইবোনেরাও আমাকে খুব একটা পাত্তা দিতোনা। অবশ্য এই একাকীত্ব বা ভাইবোনের পাত্তা না দেবার বিষয়টি কখনই আমার মনোকষ্টের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়নি। বরং আমি খুশিই হতাম একারনে যে কেউ আমাকে ডিস্টার্ব করছেনা!

আমার সখ্যতা ছিল ঘরের দেয়ালের কয়েকটা টিকটিকির সাথে। মানুষের সাথে অনাদিকাল থেকে বসবাস করে আসছে এই প্রাণীটি,

বিস্তারিত»

নিজেকে নিয়ে লিখা একখানা ছবিতা

কেমন লাগে দেখতে আমায়,
ভাবি যখন তোমার কথা?
একলা বসে
আপন মনে
আগুন হাতে
উদাস চোখে –

কখনো তুমি এমনি ভাবে
ঠাই দিয়েছো তোমার মনে?
আনমনেতে
আমায় নিয়ে
গেথেছো কি
কথার মালা?

লাগেবে কেমন দেখতে তোমায়,
ভাবো যদি আমার কথা?
সেসব ভেবে
উদাস কাটে
সারাবেলা
হেলাফেলা………

বিস্তারিত»

আমার চায়ের দোকান

প্রায়ই ভাবি, আমার একটা অফিস থাকবে, অফিসে দেরাজ থাকবে… দেরাজ ভর্তি যুক্তি থাকবে … কিছু যুক্তি টেবিলের ড্রয়ারেও রাখবো। কে জানে কখন দরকার হবে, ঘ্যাচ করে বের করে এনে আশেপাশের সব ঘ্যাচাং করে দিবো…
লক্ষ টেরাবাইটের একটা হার্ড ড্রাইভ থাকবে, কন্ট্রোল সি আর কন্ট্রোল ভি চেপে কুপোকাত করে দিবো সবাইকে… এগুলি শুধুই ভাবনা মাত্র…

কিন্তু স্বপ্নটা একটু ভিন্ন,
একটা চায়ের দোকান দিবো।

বিস্তারিত»

~ গ্যাছি গত কাল ~

শিয়রে প্রহরীর মতো বসে আছো
বুঝিবা অনন্তকাল।

পাখিদের যাওয়া আসা নিয়ে
খুঁজছো কারণ বেসামাল।
মেঝের সীমান্তময় ছড়িয়ে
যতিহীন শ্যেন দৃষ্টিজাল
সারাক্ষণ খুঁজে গেছো সব
সম্ভাব্য পথের কংকাল।

তখনো বুকের ছাতি
মৃদু ওঠানামা করছিলো তার।
পিঁপড়ের নীরব যাতায়াত
বাধাহীন বাড়ছিলো নির্বিকার।

পাখি ও পাতাদের লঘু স্বর
কথকতা মিছিলে
উৎসুক বাতাসের আনাগোনা
চালু ছিলো কৌশলে।

বিস্তারিত»

সাম্প্রতিক কবিতা

সিসিক্যামেরায় ধারণ হচ্ছে আমাদের যা কিছু গোপন,
এমনকি পবিত্র প্রণয়ের সিনারিও,
আর ইনবক্স হিস্ট্রির শত শত স্ক্রিনশট
প্রযুক্তির এক্সিবিশনে ঝুলে আছে ইন্টারনেট দেয়ালে।

অথচ আমাদের প্রাইভেট ফিলিংস মুঠোফোন কোম্পানির
জানার কথা ছিলো না।

ভেবে দেখেছ
প্রযুক্তির কাছে পাচার করছি আমাদের গোপনীয়তা।
০৮.১০.১৫


বাফারিং বিলুপ্ত হবার সাথে
অপেক্ষাও বিলুপ্ত হয়ে গ্যাছে,

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ১৬

ভাইস প্রিন্সিপাল জনাব এম এ ওয়াহাবঃ
আমাদের সময় এমসিসি’র ভাইস প্রিন্সিপাল ছিলেন জনাব এম এ ওয়াহাব। তিনি ইংরেজী সাহিত্যে অনার্স মাস্টার্স করেছিলেন। তবে অন্যান্য কারিশমাটিক স্যারদের তুলনায় তাকে বেশ ম্লান মনে হতো। তাকে যতদিন কলেজে পেয়েছিলাম, ততদিন তার কোন উজ্জ্বল বা উল্লেখযোগ্য কর্মকান্ড আমরা প্রত্যক্ষ করিনি। তিনি ভালো ইংরেজী জানতেন, তবে তা ছিল নিতান্তই বুকিশ। মাঝে মাঝে তিনি আমাদের দুই একটা ইংরেজী ক্লাস নিতেন,

বিস্তারিত»

ভালোবাসা

সবুজ পাতারা হেসে হেসে সূর্যের কাছে
কিছু আলো চেয়েছিলো,
কিছু তাপ চেয়েছিলো,
আর কিছু ভালোবাসা চেয়েছিলো।
সূর্য মেঘের আড়ালে লুকিয়ে গেলে
পাতাগুলো হলুদ হয়ে ঝরে পড়েছিলো।

সাতরঙা রঙধনুটা ঝিলিমিলি হেসে হেসে
রৌদ্রের কাছে কিছু রঙ চেয়েছিলো।
মেঘের কাছে জলকণা চেয়েছিলো।
রৌদ্র নিমেষে হারিয়ে গেলে,
মেঘ নিমেষে জলশুন্য হলে,
রঙিন আকাশটা ধূসর হয়ে গিয়েছিলো।

বিস্তারিত»

স্কুবা ডাইভিং ইন দ্য ক্লাসরুম

লেকচার হলে বসে আছি …
কিংবা ভাসছি বায়বীয় মাইলাম সাগরে।
প্রফেসর!
কুয়াশায় অস্পষ্ট হে মহাত্মন!
শীতাতপ কক্ষের হিমের সঙ্গে যখন
বিক্রিয়া ঘটে আপনার গমগম লেকচারের,
নিজের অজান্তেই মাকড়শার মত আপনি বুনে যান ঘুমের জাল।
হে সেপিয়া টোন প্রফেসর !
আপনি এক জলজ্যান্ত ডরমিকাম !

রিসার্চ মেথডোলজি, ইনডাকশন-ডিডাকশন,
অবজারভেশন-প্যাটার্ন-হাইপোথিসিস-থিওরী,
প্রফেসর, চেয়ার, টেবিল, রোস্ট্রাম, এসি……

বিস্তারিত»

অকবির অপ্রেমের অকবিতা

এক
ভালবাসি বলিনি কেউ
চোখের তারায় বিরহ শতদল

দুই
পশ্চিমে নির্ঘুম রাত, পূর্বে কাজলচোখে জল

তিন
তোমার অহংকারের রূপটি দেখিওনা, সুদূরিয়া
জানোতো, আমারও আছে অজগর একখানা!

চার
ওষ্ঠে তোমার দ্বিধা কেন?
দ্বিধা নয়তো!
চুম্বনে আর আশ মেটেনা, একলা জেগে রই!

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ পাঁচ

: কাল সারারাত ঘুম হতে চাইছিল না, শুধু ছটফট করেছি। আজ তোমার সাথে কখন কথা হবে এই ভেবে ভেবে ছিলাম অস্থির!
এরকম কেন হলো, আমার?
: প্রতীক্ষা ব্যাপারটি তাহলে বেশ থ্রিলিং মানতেই হবে।
: ইস, আমার যে কী হয়, তা যদি উনি বুঝতেন। উনার কবিতা করাই সার!
: তাহলে এখন সুখী?
: সুখই তো, আবার দুঃখও হয়; কিছুক্ষণ পরেই কথা ফুরোবে,

বিস্তারিত»