শিয়রে প্রহরীর মতো বসে আছো
বুঝিবা অনন্তকাল।
পাখিদের যাওয়া আসা নিয়ে
খুঁজছো কারণ বেসামাল।
মেঝের সীমান্তময় ছড়িয়ে
যতিহীন শ্যেন দৃষ্টিজাল
সারাক্ষণ খুঁজে গেছো সব
সম্ভাব্য পথের কংকাল।
তখনো বুকের ছাতি
মৃদু ওঠানামা করছিলো তার।
পিঁপড়ের নীরব যাতায়াত
বাধাহীন বাড়ছিলো নির্বিকার।
পাখি ও পাতাদের লঘু স্বর
কথকতা মিছিলে
উৎসুক বাতাসের আনাগোনা
চালু ছিলো কৌশলে।
সবুজ ঘাসফড়িং, প্রজাপতি;
ওরাও বলেছিলো,
ন্যূজ ও ম্রিয়মান ঘাসেদের
কানে খুব ঝাঁঝালো –
প্রস্থানের নোটেশনে
কীর্তনের সুর এলোমেলো।
শুধু মৌমাছি নয়
সন্ধ্যা জুড়ে জোনাক আলো
দিনের স্মৃতি মেখে
তোমার দেখাদেখি
প্রগাঢ় অপেক্ষায়
যতিহীন জ্বলে রয়।
শিয়রে প্রহরীর মতো বসে আছো
বোঝনি অস্ত গ্যাছি কাল।
০৬ অক্টোবর ২০১৫
বাহ!! সিসিবিতে "কবিতাপক্ষ" কিংবা "কবিতাকাল" চলছে রীতিমত! :clap:
এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...
তা আর বলতে। এর মাঝে দিলাম আমার বেসুরো দুই আনা ...
পড়বার ও মন্তব্যের জন্য ধান্যবাদ ভাই ইশহাদ।
সিসিবিতে যারা সত্যিকারের কবি, তুমি তাদের অন্যতম।
শুধু মৌমাছি নয়
সন্ধ্যা জুড়ে জোনাক আলো
দিনের স্মৃতি মেখে
তোমার দেখাদেখি
প্রগাঢ় অপেক্ষায়
যতিহীন জ্বলে রয়।
বাহ, বাহ
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
সাইদুল ভাই। ভাষাহারা।
আপনার এমন মন্তব্য স্বর্গের চাবি হাতে পাওয়ার মতোন অভাবিত আর বিশাল।
আমার সামর্থ্য সীমাবদ্ধতার অপার।
আপনাকে কুর্ণিশ।
:boss: :boss:
কবি আর অকবির এই এক পার্থক্য।
অকবি ইদুরকে ধানের শীষের দিকে তাকালে ভাবে, সে খাবার দেখছে।
আর কবি দেখে তাঁর নক্ষত্রের দিকে তাকানোর আকুতি।
"ধানের নরম শীষে মেঠো ইদুরের চোখ নক্ষত্রের পানে / আজও চায়..." - এর পরিপ্রেক্ষিতে মিঃ বাকীর ব্যাখ্যা ছিল এটা।
এই কবিতাটায়ও সেরকম বেশ কিছু উল্লেখ চোখে পড়লো।
"...... বুঝিবা অনন্তকাল"
"...... নষ্ট করোনি ত্রিকাল"
"...... সম্ভাব্য পথের কংকাল" ইত্যাদি
একবার পড়ে সবটা নেয়া কঠিন। কয়েকবার পড়তে হলো তাই......
:clap: :clap: :clap: :clap: :clap:
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
দারুন বললে হে বন্ধু ! দারুন !
ধন্যবাদ অপার অমন মন্তব্যের জন্য।
আপনার মাস্টারপিস লুৎফুল ভাই।
কতবার পড়লাম!
তোমার মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলাম।
আরো দীর্ঘ খুঁটিনাটি নিয়ে বলিবে ভেবেছিলাম।
আপাতত কথাগুলো তোমার সঞ্চয়ের সিন্ধুকের পুরলাম।
লুৎফুল ভাই,
অনেক ভাবনা খেলে গেলো মাথায়। অনেক কথাই এলো।
ব্যস্ততা আর ক্লান্তিতে ঝিম মেরে ছিলাম সেদিন। আপনার এ-লেখা নিয়ে একটা ছোট্ট/এলেবেলে ব্লগ লেখার ইচ্ছে আছে --- অনুমতি পেলে লিখবো।
বলো কি ! কেনো নয় !
আর তুমি লিখলে তো পোয়াবারো হয়।
:clap: :clap:
গো আহেড প্লিজ। অবলাইজড।
"শিয়রে প্রহরীর মতো বসে আছো
বুঝিবা অনন্তকাল।" - আর
"শিয়রে প্রহরীর মতো বসে আছো
বোঝনি অস্ত গ্যাছি কাল।" - এ পংক্তিগুলো অসাধারণ হয়েছে। এই আচমকা ঘোষণাগুলোর মাঝখানে যা কিছু বলা হলো, সবই কাব্যময়।
সবুজ ঘাসফড়িং, প্রজাপতি; ন্যূজ ও ম্রিয়মান ঘাস, সন্ধ্যা জুড়ে জোনাকের যতিহীন জ্বলা, ইত্যাদি বর্ণনা খুবই হৃদয়গ্রাহী হয়েছে।
কিছু কথা অন্ধকারের জগত গুঁড়িয়ে আলোর তীক্ষ্ণ তীরের ফলায় বিদ্ধ করে ভাবনার শাব্দিক নির্মাণ।
আর সেইমতো উচ্চারণ সাহসের তূণে স্থিতধী লক্ষ্যভেদী করে তোলে শব্দময় আবেগ অনির্বাণ।
আপনাকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
:boss: