প্রেম আমার প্রেম আমাদের

কলা ভবন প্রাঙ্গণ আর রেজিষ্ট্রারের দাফতরিক ভবন, এই দুয়ের মাঝে সরু রাস্তার চেক চেক খোপ আঁকা একখান প্রান্তর, অসমান দূরত্বে বর্ষীয়ান বৃক্ষের বন্ধনে ছড়ানো ঘাসের ময়দান। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে অবসরে পাঁপড়ির মতোন পেখম মেলে আড্ডায় মেতে ওঠে তরুণ-তরুণীরা সেই চত্ত্বরের এখানে ওখানে। আকাশ থেকে দেখতে পেলে দেখা যেতো যেনো, আড্ডায় মানুষ নয়, মেলে আছে থোকা থোকা গোলাপ পাঁপড়িরা।

তরুণীরা সংখ্যায় কম, উচ্ছ্বলতায় অধিক খলবল।

বিস্তারিত»

প্রথম দর্শনের প্রেম

দিন পার করছি চরম ব্যস্ততায়। নিজের জন্য সময় বলতে তেমন কিছুই পাচ্ছি না, যাও পাচ্ছি তার প্রায় পুরোটাই ব্যয় করছি ছেলের পিছনে।ফলাফল হিসেবে অন্তর্জালিক জগত থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন, বিচ্ছিন্ন সিসিবির সাথেও। দু তিন দিন পরপর একটু চোখ বুলিয়ে যাই। আজ বেশ কয়েক সপ্তাহ পরে একটা চাপমুক্ত সপ্তাহান্ত পাওয়ায় একটু সময় নিয়েই ফেসবুক ঘাটাঘাটি করছিলাম। এ মুহুর্তে ফেসবুকের আমার সবচেয়ে প্রিয় এপ On This Day’তে গিয়ে বিগত বছরের এই দিনের কর্মকান্ডে চোখ বুলাতে বুলাতে একদম শেষে এসে চোখ আটকে গেল,

বিস্তারিত»

একটি স্ট্যাটাস ও তৎপরবর্তি প্রতিক্রিয়া থেকে নারীর অবস্থান নিয়ে ভাবনা

গতবছর এই রকম সময়েই নিচের স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলাম আমার ফেসবুক টাইমলাইনে

Status_Inbox

========
দি স্ট্যাটাস
========
\\আমাদের তৃতীয় কন্যার জন্মের পর পিছনে অনেকেই হতাশা প্রকাশ করলো, আহারে, এবারও মেয়ে? কি হবে এঁদের? বৃদ্ধ বয়সে তো দেখার কেউ থাকবে না, ইত্যাদি।
আমার প্রথম উত্তর ছিল, ছেলেদের প্রধান কাজ কি বৃদ্ধ বাবা মা কে দেখা?

বিস্তারিত»

অডিও ব্লগঃ কে সে মোর

চার দেয়ালের ঘুলঘুলিতে বসে অনন্তের সন্ধান করে মানুষ। এন্ড্রোমেডার পথ ছাড়িয়ে আরো দূরের মহাজাগতিক হাতছানি রবিকবির মনের কুঠুরিতে কত যে সুর তুলেছে! গানের টানে, কবিতার মায়াজালে অথবা কল্কা পাড়ের লাল আঁচলে অনন্তের সাথে চির অচেনাকেও চিনতে চেয়েছেন রবি ঠাকুর। আলো আঁধারের কুয়াশায় মোড়া গহনস্বপনসঞ্চারিণীর রূপসুধার সন্ধান তো কবিকেই মানায়।

ন’টা পাঁচটার গোলকধাঁধায় জারবিলের মত ঘুরছে মানুষ। দিগন্তের ওপারে জোনাকের লেজে জ্বলা সন্ধ্যারাগের উৎসব ক’জনই বা দেখতে পায়!

বিস্তারিত»

২টি পদ্য

তিন সেপ্টেম্বরের কবিতা

১.
সে আমাকে মাতাল করে রাখে
সে ঢালে চোখের নদীয় ঘৃণা
আলোতে বিনম্র মুখ ঢাকে
সে জানায় অকূল আঁচল কীনা।

অকূলের হৃদয় ঘেঁষে হ্রদ
অকূলের মাঝ তরঙ্গে ঢেউ
সে জলে হারায় প্রতি পদ
অন্ধের জগৎ থেকে কেউ।

অতঃপর শান্ত হলে নদী
সাজাই প্রতিশোধের ছক
সে আবার হারিয়ে যায় যদি
কিংবা অন্য কোন লোক-

তাকে নষ্ট করে যদি
যদি তার হেসে বসে পাশে
এ পারে অন্ত নিরবধি
পুড়ে যাবো বিপুল আক্রোশে।

বিস্তারিত»

~ জলে জাগা ফসিলে প্রেমের তাগা ~

জলে, জুবুথুবু বৃষ্টিতে,
মরনধ্যান অর্ঘ্যে,
মেঘমগ্ন তারাতে,
তোমাকে খুঁজতে গিয়ে
চন্দ্রগুপ্ত রাতে,
হৃদয়পুর শুনশান।

মৃম্ময়ী বৃষ্টির ঘ্রাণ
সোঁদা গন্ধ লোবান।
স্থবির জীবন জুড়ে
অকস্মাৎ শ্মশান !
শ্রাবণস্পর্শে জানি
পাথরেও নাকি জাগে প্রাণ।

প্রেমে না হোক ঘৃণায়
যখন মনে তোমার
স্মরণ হই কৃপায়,
ফসিল ভালোবাসায়।
আংগুল ছুঁয়ে উত্তাপ
মাপার সাধেরা,

বিস্তারিত»

প্রজাপতি

প্রজাপতি, তোমার রঙিন হাতে
ভাত খাবে বলে
মুখিয়ে আছে সারা বাগান —

বেগানা আঙুলে
আচার তুলে দেবে সবার মুখে মুখে
এমন মুখরোচক গুজব
রটে গেছে সর্বত্র

তারপর এলো জোনাকি
সবুজ চায়ের কাপ নিয়ে,
ইনিয়ে বিনিয়ে চাইলো কি
চোখের তারার মত
মদির কিছু ভেষজ –
সুঘ্রাণ মুখশুদ্ধি

আর এক বিটকেল কবি!

বিস্তারিত»

তিনটি কবিতা

প্রতিভাকে পেপার ওয়েটে চাপা দিয়ে,
মুখস্ত করি লেকচার শিট।
বিদ্যার দেবী উপহাস করে বলে,
তোকে জ্ঞান দিয়ে দিয়েছি
চর্চার জন্য, আর তুই অপচয় করলি!


আমাদের ঈশ্বর আলাদা,
তবুও আমরা আলাদা নই।
দুজন একই অজ্ঞাত উপাস্যের
উপাসনা শেষে মুখোমুখি দাড়াই,
সম্মিলিত সংগম শেষে ঘুমিয়ে পড়ি
একই বিছানায়।
আমরা দুজন আলাদা বালিশে ঘুমাই,

বিস্তারিত»

সাংসারিক…

অনামিকা ততক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছিলো…
মধ্যরাতে আবীর বিছানায় এসে দেখে,
অনামিকা ডান পাশ ফিরে কাৎ হয়ে শোয়া,
নাকের ডগায় তার চশমাটা শিথিলভাবে বসা।

অনামিকা সবসময় ডানপাশে কাৎ হয়ে শোয়,
আবীরের বাড়ানো বাহুটাতে মাথা রেখে শোয়।
তারপর দু’জনে মিলে পিলো টক করতে করতে
ওরা একত্রে ঘুমিয়ে পড়ে। হয়তো কখনো আবার
মাঝরাতে এপাশ ওপাশ করে মুখ ফিরে শোয়।
রাত জেগে খেলা দেখছিলো বলে আবীর আজ
বিছানায় দেরীতে এলো।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ১৩

আমাদের ক্লাসের প্রথম এক্সট্রা ড্রিলঃ
এমসিসিতে আমাদের প্রথম বছরের প্রথম টার্মের কথা। নজরুল হাউসের পেছনে ছিলো প্রিন্সিপাল কর্ণেল আনসারী স্যারের বাসা। রাতের বেলায় নজরুল হাউসের রুমে লাইট জ্বালানো থাকলে কে কি করছে তা তিনি নিজ গৃহ থেকে বেশ দেখতে পেতেন। একদিন লাইটস আউটের আগে নজরুল হাউসের আমার তিন সতীর্থের খুব হাউস চাপলো বক্সিং বক্সিং খেলার। যথারীতি খেলা শুরু হলো। রুম ক্যাপ্টেন মনে হয় ঐ সময় বাথরুমে ছিলেন।

বিস্তারিত»

ভণিতা

আসলে পরে সহজেতে
পালায় কিছু যাতনা
জবরদস্তি করলে ভায়া
বাড়ে শুধু আবর্জনা

পুরাদস্তুর বাঙ্গাল  বলে
শুনো হে মানুষ ভাই
যা ভাবছো তা নয়
ভনিতা কি বুঝ নাই?

[ সম্ভাব্য রেসপন্সসহ  উত্তর শীঘ্রই যোগ করা হবে ]

 

বিস্তারিত»

ছোটনের বাগধারা শেখা!

-‘সব জিনিসেরই ভাল-মন্দ দুটিই আছে!’
দার্শনিক পর্যায়ের এই কথা যে কোন বড় মানুষের মুখে মানায়, তবে ক্লাস থ্রি’তে পড়া ছেলের মুখে শুনলে তা একটু কানে লাগে। অবশ্য শ্রোতা যদি কোন অশিক্ষিত রাখাল হয় সেক্ষেত্রে সে অবাক বা বিরক্ত কোনটাই হবে না। কোন কিছু না বুঝেই গম্ভীরভাবে মাথা নাড়বে।
ছোটনের কথা শুনে মন্টুও কিছু না বুঝে মাথা নাড়ল।

ওর মাথা নাড়া দেখে ছোটন যেন আরেকটু উৎসাহ পেল।

বিস্তারিত»

প্রেম – ২

লাল টি শার্টে
হাওয়ায় উড়িয়ে চুল
উদ্দাম গানে তেতে
শ্বেত মেঘ আর
নীল রোদ্দুর
উদযাপন
করবে বলে
পাহাড়ী পথ
ঘুরে ঘুরে
প্রেমের ভেতরে
নেমে
যেতে
যেতে
টের কি পাচ্ছো
স্টিয়ারিং হাতে
কনভার্টিবল নয়
ঢালের দিকে
গড়িয়ে
চলা
এক
পাথরই চালাচ্ছো?

বিস্তারিত»

কেন গো বাজাও

কেন গো বাজাও
ওবায়েদুল্লাহ ওয়াহেদী

বাঁশের বাশীতে সুর কেন গো বাজাও হে
আমি যে মরমে মরি
চাঁদের হাসিতে জোছনা কেন যে ঝরাও হে
ঘরে যে থাকিতে না রি।

হিয়া কাঁদে যাতনায় চাতকী পরান নিরবে চেয়ে
তারা ফোটে সীমানায় আকাশে বিধুর গীত গেয়ে
যায় গো পরান বুঝি আজ আর সহিতে না রি

অহন মরনে অন্তর জরজর ওহে দোষন আমারি।

বিস্তারিত»