অনেকদিন পর রাজশাহী গিয়েছিলাম অফিসের কাজে। ভ্রমণ সঙ্গী সহকর্মী Monirul Karim । দু’জনেরই ইচ্ছে কাজের ফাঁকে রাজশাহী ঘুরে দেখা যতদূর সম্ভব, যতটুক সম্ভব। এয়ারপোর্টে গাড়ি নিয়ে এসেছিলো বিপুল। রাজশাহীর ছেলে। আমাদের মতলব শুনে বলল, ‘শার, আগে চলেন পুঠিয়া রাজবাড়ি যাই, ফেরার পথে পদ্মার পাড়, আর কালকেরটা কাল দেখা যাবে’। আমাদের সময় মোটে পরের দিনের বিকেলের ফ্লাইট পর্যন্ত। তার মধ্যে তিনটে অফিসিয়াল মিটিং সেরে, বিকাশের এজেন্টদের দু’একজায়াগায় ঢুঁ মেরে,
বিস্তারিত»নরকের কীট
কেমন লাগে বল
হয় গো যদি পরাণ বন্ধু
নরক এর কীট
[ আধুনিক হাইকু, ১১ শব্দ, ৩+৫+৩ ]
বিকল্প পাঠ ( নিচ থেকে উপরে)
নরকের কীট
হয় গো যদি পরাণ বন্ধু
কেমন লাগে বল
ইংরেজী সংস্করণ ( published in allpoetry.com) ( a modern haiku- 3/5/3 total 11 syllables)
bosom friend
almost a lover
big hater
বিস্তারিত»
কয়েকটি কবিতা

সময়ের প্রহেলিকা
—- ড. রমিত আজাদ
হে সময়!
তুমি কি পরম-ধ্রুব নও?
নও কি তুমি অবিচল-স্থির ঐ হিমশৃঙ্গের মত?
নাকি তুমিও প্রসারিত-সংকুচিত হও,
নব যৌবনা তরুণীর বক্ষস্থলে অবরুদ্ধ অস্থির হৃদয়ের মত?
তবে তোমাকে বেঁধে নেই কোন্ কঠিন শাসনে বলো?
মহাজগতের কালের নিয়মে বাঁধা,
আমিও ক্ষণস্থায়ী প্রাণ,
একদিন কাটিব বাঁধন নির্বন্ধ একালের,
অথবা রাখিব পদ
নতুন কোন বিধানতন্ত্র-লোকে।
জীবনানন্দ দাসের “কুড়ি বছর পর” পড়ার পর
পচিশ তিরিশ অথবা
আরও বেশী কিছু বছর পর,
হঠাৎ যদি দেখা হয়
তোমার আমার –
চিনতে কি পারবো আমরা পরষ্পরকে?
একটু কি থামবো, কুশল জানতে?
আনত নয়নে অথবা
চোখে চোখ রেখে বলবো,
“কেমন আছো?”
নাকি, অপরিচিতের মতো
হেটে চলে যাবো
পরিবার সামলানোর ভান করে,
নিজ নিজ গন্তব্যে?
ধরো, যদি দেখা হয়
সেই মানিক মিয়ায়
অথবা সেই সাউথপ্লাজায়
হাই-প্রেশার সোডিয়াম
বাতির সেই বন্যায়?
প্রেম আমার প্রেম আমাদের
কলা ভবন প্রাঙ্গণ আর রেজিষ্ট্রারের দাফতরিক ভবন, এই দুয়ের মাঝে সরু রাস্তার চেক চেক খোপ আঁকা একখান প্রান্তর, অসমান দূরত্বে বর্ষীয়ান বৃক্ষের বন্ধনে ছড়ানো ঘাসের ময়দান। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে অবসরে পাঁপড়ির মতোন পেখম মেলে আড্ডায় মেতে ওঠে তরুণ-তরুণীরা সেই চত্ত্বরের এখানে ওখানে। আকাশ থেকে দেখতে পেলে দেখা যেতো যেনো, আড্ডায় মানুষ নয়, মেলে আছে থোকা থোকা গোলাপ পাঁপড়িরা।
তরুণীরা সংখ্যায় কম, উচ্ছ্বলতায় অধিক খলবল।
বিস্তারিত»প্রথম দর্শনের প্রেম
দিন পার করছি চরম ব্যস্ততায়। নিজের জন্য সময় বলতে তেমন কিছুই পাচ্ছি না, যাও পাচ্ছি তার প্রায় পুরোটাই ব্যয় করছি ছেলের পিছনে।ফলাফল হিসেবে অন্তর্জালিক জগত থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন, বিচ্ছিন্ন সিসিবির সাথেও। দু তিন দিন পরপর একটু চোখ বুলিয়ে যাই। আজ বেশ কয়েক সপ্তাহ পরে একটা চাপমুক্ত সপ্তাহান্ত পাওয়ায় একটু সময় নিয়েই ফেসবুক ঘাটাঘাটি করছিলাম। এ মুহুর্তে ফেসবুকের আমার সবচেয়ে প্রিয় এপ On This Day’তে গিয়ে বিগত বছরের এই দিনের কর্মকান্ডে চোখ বুলাতে বুলাতে একদম শেষে এসে চোখ আটকে গেল,
বিস্তারিত»একটি স্ট্যাটাস ও তৎপরবর্তি প্রতিক্রিয়া থেকে নারীর অবস্থান নিয়ে ভাবনা
গতবছর এই রকম সময়েই নিচের স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলাম আমার ফেসবুক টাইমলাইনে…
========
দি স্ট্যাটাস
========
\\আমাদের তৃতীয় কন্যার জন্মের পর পিছনে অনেকেই হতাশা প্রকাশ করলো, আহারে, এবারও মেয়ে? কি হবে এঁদের? বৃদ্ধ বয়সে তো দেখার কেউ থাকবে না, ইত্যাদি।
আমার প্রথম উত্তর ছিল, ছেলেদের প্রধান কাজ কি বৃদ্ধ বাবা মা কে দেখা?
অডিও ব্লগঃ কে সে মোর
চার দেয়ালের ঘুলঘুলিতে বসে অনন্তের সন্ধান করে মানুষ। এন্ড্রোমেডার পথ ছাড়িয়ে আরো দূরের মহাজাগতিক হাতছানি রবিকবির মনের কুঠুরিতে কত যে সুর তুলেছে! গানের টানে, কবিতার মায়াজালে অথবা কল্কা পাড়ের লাল আঁচলে অনন্তের সাথে চির অচেনাকেও চিনতে চেয়েছেন রবি ঠাকুর। আলো আঁধারের কুয়াশায় মোড়া গহনস্বপনসঞ্চারিণীর রূপসুধার সন্ধান তো কবিকেই মানায়।
ন’টা পাঁচটার গোলকধাঁধায় জারবিলের মত ঘুরছে মানুষ। দিগন্তের ওপারে জোনাকের লেজে জ্বলা সন্ধ্যারাগের উৎসব ক’জনই বা দেখতে পায়!
বিস্তারিত»২টি পদ্য

তিন সেপ্টেম্বরের কবিতা
১.
সে আমাকে মাতাল করে রাখে
সে ঢালে চোখের নদীয় ঘৃণা
আলোতে বিনম্র মুখ ঢাকে
সে জানায় অকূল আঁচল কীনা।
অকূলের হৃদয় ঘেঁষে হ্রদ
অকূলের মাঝ তরঙ্গে ঢেউ
সে জলে হারায় প্রতি পদ
অন্ধের জগৎ থেকে কেউ।
অতঃপর শান্ত হলে নদী
সাজাই প্রতিশোধের ছক
সে আবার হারিয়ে যায় যদি
কিংবা অন্য কোন লোক-
তাকে নষ্ট করে যদি
যদি তার হেসে বসে পাশে
এ পারে অন্ত নিরবধি
পুড়ে যাবো বিপুল আক্রোশে।
~ জলে জাগা ফসিলে প্রেমের তাগা ~
জলে, জুবুথুবু বৃষ্টিতে,
মরনধ্যান অর্ঘ্যে,
মেঘমগ্ন তারাতে,
তোমাকে খুঁজতে গিয়ে
চন্দ্রগুপ্ত রাতে,
হৃদয়পুর শুনশান।
মৃম্ময়ী বৃষ্টির ঘ্রাণ
সোঁদা গন্ধ লোবান।
স্থবির জীবন জুড়ে
অকস্মাৎ শ্মশান !
শ্রাবণস্পর্শে জানি
পাথরেও নাকি জাগে প্রাণ।
প্রেমে না হোক ঘৃণায়
যখন মনে তোমার
স্মরণ হই কৃপায়,
ফসিল ভালোবাসায়।
আংগুল ছুঁয়ে উত্তাপ
মাপার সাধেরা,
প্রজাপতি
প্রজাপতি, তোমার রঙিন হাতে
ভাত খাবে বলে
মুখিয়ে আছে সারা বাগান —
বেগানা আঙুলে
আচার তুলে দেবে সবার মুখে মুখে
এমন মুখরোচক গুজব
রটে গেছে সর্বত্র
তারপর এলো জোনাকি
সবুজ চায়ের কাপ নিয়ে,
ইনিয়ে বিনিয়ে চাইলো কি
চোখের তারার মত
মদির কিছু ভেষজ –
সুঘ্রাণ মুখশুদ্ধি
আর এক বিটকেল কবি!
বিস্তারিত»তিনটি কবিতা
প্রতিভাকে পেপার ওয়েটে চাপা দিয়ে,
মুখস্ত করি লেকচার শিট।
বিদ্যার দেবী উপহাস করে বলে,
তোকে জ্ঞান দিয়ে দিয়েছি
চর্চার জন্য, আর তুই অপচয় করলি!
২
আমাদের ঈশ্বর আলাদা,
তবুও আমরা আলাদা নই।
দুজন একই অজ্ঞাত উপাস্যের
উপাসনা শেষে মুখোমুখি দাড়াই,
সম্মিলিত সংগম শেষে ঘুমিয়ে পড়ি
একই বিছানায়।
আমরা দুজন আলাদা বালিশে ঘুমাই,
সাংসারিক…
অনামিকা ততক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছিলো…
মধ্যরাতে আবীর বিছানায় এসে দেখে,
অনামিকা ডান পাশ ফিরে কাৎ হয়ে শোয়া,
নাকের ডগায় তার চশমাটা শিথিলভাবে বসা।
অনামিকা সবসময় ডানপাশে কাৎ হয়ে শোয়,
আবীরের বাড়ানো বাহুটাতে মাথা রেখে শোয়।
তারপর দু’জনে মিলে পিলো টক করতে করতে
ওরা একত্রে ঘুমিয়ে পড়ে। হয়তো কখনো আবার
মাঝরাতে এপাশ ওপাশ করে মুখ ফিরে শোয়।
রাত জেগে খেলা দেখছিলো বলে আবীর আজ
বিছানায় দেরীতে এলো।
জীবনের জার্নাল – ১৩
আমাদের ক্লাসের প্রথম এক্সট্রা ড্রিলঃ
এমসিসিতে আমাদের প্রথম বছরের প্রথম টার্মের কথা। নজরুল হাউসের পেছনে ছিলো প্রিন্সিপাল কর্ণেল আনসারী স্যারের বাসা। রাতের বেলায় নজরুল হাউসের রুমে লাইট জ্বালানো থাকলে কে কি করছে তা তিনি নিজ গৃহ থেকে বেশ দেখতে পেতেন। একদিন লাইটস আউটের আগে নজরুল হাউসের আমার তিন সতীর্থের খুব হাউস চাপলো বক্সিং বক্সিং খেলার। যথারীতি খেলা শুরু হলো। রুম ক্যাপ্টেন মনে হয় ঐ সময় বাথরুমে ছিলেন।
ভণিতা
আসলে পরে সহজেতে
পালায় কিছু যাতনা
জবরদস্তি করলে ভায়া
বাড়ে শুধু আবর্জনা
★
★
★
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল বলে
শুনো হে মানুষ ভাই
যা ভাবছো তা নয়
ভনিতা কি বুঝ নাই?
[ সম্ভাব্য রেসপন্সসহ উত্তর শীঘ্রই যোগ করা হবে ]
বিস্তারিত»
