মোস্তাফিজের হাইকু পাঠের পর অনুভূতি

ভালবাসায় অরুচি যখন
===================
সে চাইতো, প্রেমের উত্তাপ
ছুঁয়ে যাক তাকে।
অথচ প্রেম নাকি
সারাক্ষনই থাকে তার
ধরা ছোয়ার বাইরে
কারন –

বারবার নাকি
ভুল মানুষের সাথে
ভুল সময়ে
ভুল সব প্রেম হয়ে যায় তার।

প্রেমে তাঁর তাই
ভীষণ অরুচি আজকাল…

কিন্তু যেদিন –
ঠিক মানুষের সাথে
ঠিক সময়ে
ঠিক ঠাক এক প্রেম হলো তার…

বিস্তারিত»

আমাদের কোরবানী হয়তো কবুল হতো

আমাদের কোরবানি বোধ হয় কবুল হতো। শৈশবের কোরবানি। আমাদের বাড়িতে ছিলো বারোটি ঘর। বারো ঘরের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিলো বারো রকম। কেউ চারটা গরু কোরবানি দিতো, আবার কেউ কোরবানি দিতে পারতো না অর্থাভাবে। গ্রামের সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত মুসলিম বাড়ি। ঐতিহ্য ধরে রাখার খাতিরে অনেকেই ধার দেনা করে একটা গরু কোরবানী দিতো। কেউ কেউ ভাগে। দুই পরিবার মিলে একটা বা কখনো তিন চার ঘর।

বাড়ির অদূরেই ছিলো গরুর হাট।

বিস্তারিত»

কিছুদিন একা থাকো


কিছুদিন একা থাকো,এই ভালো;
নিজস্ব বৃত্তের কেন্দ্রে-প্রেমহীন মূর্খতায়
শীতল অনিমেষ দুঃখের মধ্যে নির্বাপিত হোক সকল প্রেমাগ্নি
তাতে ডুবে যেতে থাকুক তেজস্ক্রীয় সন্দেহ, তোমার অবিশ্বাস
তুমি একা থাকো, নীরব থাকো অথবা মুখরাও হতে পারো
নিতান্ত নিন্দা-স্তবে, আমাকে ঘৃণা বাক্য-ভর্ৎসনায়
পুরোনো মলাটে, তোমার স্ব-স্বীকৃত মিথ্যে স্বর্গে
যেখানে তোমাকে বিউটি পার্লারে ছুটতে হয় পেডিকিউরের জন্য,
সৌন্দর্যবর্ধক ভিটামিন আর ঢেউহীন ঝরঝরে চুলে খুঁজতে হয়
লোকের চোখের ঝলক,

বিস্তারিত»

দুঃসংবাদের জন্য দৈনিক পত্রিকা, সুসংবাদের জন্য ফেসবুক


উপরের শিরোনামটি লেখার পর একবার ফেসবুকে ঢুঁ মারলাম। প্রথম খবরটিই ছিল একটি দুঃসংবাদ। জিহাদের বাবা আর এই পৃথিবীতে নেই। আমাদের জিহাদ। এই ব্লগের একজন মুখ্য কারিগর। কত বয়স জিহাদের? ত্রিশের আশপাশ কিছু হবে। সত্তর বছর বয়সে যার মা মারা যান তিনিও দুঃখ পান। অবশ্য বৃদ্ধাশ্রমের অধিবাসীদের সন্তানদের কী অবস্থা তা হয়তো জানি না। সে খবর আপাতত না জানলেও চলবে। জিহাদ এখন কী ভাবছে?

বিস্তারিত»

ভবঘুরে আর ইতালিয়ান বৃদ্ধের গপ্পো

বঙ্গসন্তানের ইউরোপ আগমনকে অকাল বৈধব্যের সহিত তুলনা করা যাইতে পারে। কেননা – স্বদেশের নিমিত্তে দীর্ঘশ্বাস ক্ষেপনের কোন ইয়ত্তা থাকে না। যাহাই সামনে আসুক না কেন, স্বদেশের প্রেক্ষাপটে উহা কী রূপে করা যাইত – তাহা ভাবিয়া কালক্ষেপণ করা নিত্যকর্ম হইয়া যায়। নরেন্দ্রর অবস্থা হইয়াছে ঠিক তদ্রুপ। শ্বেত-শুভ্র তুষারের উপর দিয়া হাটিতে যতটা না পুলক অনুভূত হয়, তাহার চাইতে টিনের চালে বৃষ্টির সহিত ব্যাঙের ডাক শুনিবার তৃষ্ণা প্রকট হইয়া মাথায় ঘুরপাক খাইতে থাকে।

বিস্তারিত»

স্যার, দেশের উন্নতি করব।

ক্লাশ অব ক্লান গেমে ক্লানে নতুন কেউ এসে যখন কো লিডার হতে চায়, জিজ্ঞাসা করা হলে যে “কো লিডার হয়ে কি করবা? ” উত্তর দেয় ক্লানের উন্নতি করব। ব্যাপারটা ঠিক বুঝে উঠি না যে কো লিডার হয়ে ক্লানের ঠিক কি উন্নতি করা যায়।
এটা আসলে কোন দোষ না। এই উত্তর টা আমাদের রক্তে মিশে আছে। আমরা খালি উন্নতি করতে চাই। দেশের, সমাজের।মোটামুটি মুখস্থ উত্তর।

বিস্তারিত»

আমি তোমার চোখ দেখেছি (একটি প্রথম দর্শনে প্রেমের স্বীকারোক্তি)

আমি তোমার চোখ দেখেছি।
এমন দুচোখ আর দেখিনি,
খুব যে কাজল-টানা নিখুঁত – তা নয়
বনলতার পাখির বাসা কিংবা মায়া-হরিণীর সাদৃশ্য? এক বিন্দুও নেই-
নেই সপ্তাকাশের বিশালতা,অতলান্তিক গভীরতা
চোখ পড়লেই থমকে যাবেনা কোনও আনমনা পথিকের হৃৎস্পন্দন,
কোন শিল্পীর তুলিতে বা কবির কলমের নিব-এ জাগাবেনা প্রবল আন্দোলন।
মণিতে নেই বিদেশিনীর চোখের নীল সূর্য,
সাদাতেও অনেক বেশি সাদামাটা।
সত্যি বলতে ,কারো স্বপ্নে প্রবল দাপটে চিড় ধরাবেনা কখনই!

বিস্তারিত»

প্রিয় বই- ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ -মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

এক অদ্ভুত রঙ্গমঞ্চ আমাদের এ জীবন।প্রতিটি মানুষের স্বতন্ত্র জীবন বৈচিত্র্য, নর-নারীর এক অমোঘ আকর্ষণ,যুগ যুগ ধরে টিকে থাকা ভুয়োদর্শনের উপর অন্ধবিশ্বাস,সার্থক জীবনের নামে এক মরীচিকার পিছে ছুটে চলা এইসব মিলিয়ে ফুলে-ফেঁপে ওঠা জীবনকে সঙ্গী করে আমাদের বেঁচে থাকা।
বইটিতে মানিক বন্দোপাধ্যায় বলেছেন,এক গ্রাম্য যাপিত-জীবনের গল্প।আপাত দৃষ্টিতে যাকে বৈচিত্র্যহীন,সঙ্কীর্ণ স্বকেন্দ্রিক বলে ভুল হয়।কিন্তু মানিক দেখিয়েছেন এর মাঝেও আছে কত বৈচিত্র্য, কত রহস্য,ক্ষুদ্র-বৃহৎ ঘটনা প্রবাহের কত বিশাল প্রভাব সেখানকার মানুষগুলোর জীবনে।তারা বাস করে এক ঘোর লাগা জীবনে।সেখানে নিজেদের জীবন কেউ পরিবর্তন করতে পারেনা।নিজেদের সৃষ্ট সুতোর জালে নিজেরাই আটকে পড়ে অনেকটা পুতুলের মত নেচে যায় তারা অদৃশ্য কোন শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে।

বিস্তারিত»

সারফেস অ্যানাটমি

মৌসুমীর লগে দেখা হইলো চার বছর পর। লোকাল বাসে ক্রুশবিদ্ধ যীশুর মতো ঝুইলা ঝুইলা যাইতে ছিলাম। শাহাবাগ টু কাকরাইল। আট নাম্বার বাস। এই বাস গুলাতে সিট পাওয়া যায় না। অনেক সময় ধইরা ঝুইলা আছি দেইখা মৌসুমী ডাক দিলো।

ওই তুমি মাহফুজ না?? প্রথমে আমি মাহফুজ পরিচয় দিতে রাজি হই নাই। এই রকম ঝুইলা ঝুইলা যাওয়া একটা প্রেস্টিজের ইস্যু। এছাড়া মৌসুমীর লগে একবার আমি আকাম করছিলাম।

বিস্তারিত»

একটা ‘ধন্যবাদ দিবস’ চালু করলে কেমন হয়?

কয়েক বছর আগেকার কথা। মতিঝিলে একটি অনেক উঁচু ভবনে লিফটে করে উঠে নামার সময় লিফট-ম্যানকে ‘ধন্যবাদ’ দিতেই তিনি আমার হাত খপ করে চেপে ধরে বলেছিলেন, ‘আপনাকেও ধন্যবাদ; আমার কুড়ি বছরের কর্ম-জীবনে আপনিই প্রথম আমার কাজের জন্য ধন্যবাদ দিলেন’। আমার এক ধন্যবাদে এই মানুষটির খুশি দেখে আমি ঠিক করেছিলাম মানুষকে আরও বেশি-বেশি করে ধন্যবাদ দিতে হবে। এই মানুষটির সঙ্গে আমার যেমন মনের যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছিল, তিনি যেমন আমার মনের ইতিবাচক দিকটি দেখতে পেয়েছিলেন,

বিস্তারিত»

ইসলামের স্বর্ণযুগ – পর্ব ৬

ইসলামের স্বর্ণযুগ – পর্ব ৬
ড. রমিত আজাদ

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

একেশ্বরবাদের উপর গবেষণা করতে গিয়ে আমি ‘স্ট্রীম অব টাইম’ (কালপঞ্জী) বিষয়টি নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করছিলাম। আমার গবেষণা অনুযায়ী অধর্ম (ধর্মীয় নয়) ইতিহাসের বিচারে হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-ই প্রথম একেশ্বরবাদী। হজরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর ইন্তেকালের পরে উনার বংশধরদের মধ্যে আরো অনেকেই একেশ্বারবাদী নবী ছিলেন যেমন,
হযরত লূত্ব (আঃ)(উনার ভাতিজা) , হযরত ইসমাঈল (আঃ) (উনার পুত্র),

বিস্তারিত»

অনেকদিন পর রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে

অনেকদিন পর রাজশাহী গিয়েছিলাম অফিসের কাজে। ভ্রমণ সঙ্গী সহকর্মী Monirul Karim । দু’জনেরই ইচ্ছে কাজের ফাঁকে রাজশাহী ঘুরে দেখা যতদূর সম্ভব, যতটুক সম্ভব। এয়ারপোর্টে গাড়ি নিয়ে এসেছিলো বিপুল। রাজশাহীর ছেলে। আমাদের মতলব শুনে বলল, ‘শার, আগে চলেন পুঠিয়া রাজবাড়ি যাই, ফেরার পথে পদ্মার পাড়, আর কালকেরটা কাল দেখা যাবে’। আমাদের সময় মোটে পরের দিনের বিকেলের ফ্লাইট পর্যন্ত। তার মধ্যে তিনটে অফিসিয়াল মিটিং সেরে, বিকাশের এজেন্টদের দু’একজায়াগায় ঢুঁ মেরে,

বিস্তারিত»

নরকের কীট

কেমন লাগে বল

হয় গো যদি পরাণ বন্ধু

নরক এর কীট

[ আধুনিক হাইকু, ১১ শব্দ, ৩+৫+৩ ]

বিকল্প পাঠ ( নিচ থেকে উপরে)

নরকের কীট

হয় গো যদি পরাণ বন্ধু

কেমন লাগে বল

 

ইংরেজী সংস্করণ ( published in allpoetry.com) ( a modern haiku- 3/5/3 total 11 syllables)

bosom friend

almost a lover

big hater

 

বিস্তারিত»

কয়েকটি কবিতা

সময়ের প্রহেলিকা
—- ড. রমিত আজাদ

হে সময়!
তুমি কি পরম-ধ্রুব নও?
নও কি তুমি অবিচল-স্থির ঐ হিমশৃঙ্গের মত?

নাকি তুমিও প্রসারিত-সংকুচিত হও,
নব যৌবনা তরুণীর বক্ষস্থলে অবরুদ্ধ অস্থির হৃদয়ের মত?

তবে তোমাকে বেঁধে নেই কোন্‌ কঠিন শাসনে বলো?
মহাজগতের কালের নিয়মে বাঁধা,
আমিও ক্ষণস্থায়ী প্রাণ,
একদিন কাটিব বাঁধন নির্বন্ধ একালের,
অথবা রাখিব পদ
নতুন কোন বিধানতন্ত্র-লোকে।

বিস্তারিত»

জীবনানন্দ দাসের “কুড়ি বছর পর” পড়ার পর

পচিশ তিরিশ অথবা
আরও বেশী কিছু বছর পর,
হঠাৎ যদি দেখা হয়
তোমার আমার –
চিনতে কি পারবো আমরা পরষ্পরকে?
একটু কি থামবো, কুশল জানতে?
আনত নয়নে অথবা
চোখে চোখ রেখে বলবো,
“কেমন আছো?”
নাকি, অপরিচিতের মতো
হেটে চলে যাবো
পরিবার সামলানোর ভান করে,
নিজ নিজ গন্তব্যে?

ধরো, যদি দেখা হয়
সেই মানিক মিয়ায়
অথবা সেই সাউথপ্লাজায়
হাই-প্রেশার সোডিয়াম
বাতির সেই বন্যায়?

বিস্তারিত»