অলৌকিক ভালবাসা!

অলৌকিক ভালবাসা!

‘‘ঈশ্বরকে ডাক দিলে মাহফুজা সামনে এসে দাঁড়ায়
আমি প্রার্থনার জন্য যতবার হাত তুলি সন্ধ্যা বা সকালে
সেই নারী এসে আমার হৃদয়ে তোলপাড় করে যায়’’- কবি মজিদ মাহমুদ

ঝাড় কাটা হাইস্কুল নামক একটা কো-এডুকেশন স্কুলে আমি দুই বছর পড়াশুনা করেছি। ক্লাস সিক্স এবং সেভেন। তারপর ক্যাডেট কলেজ। আমাদের ক্লাসরুমটার ছাদ আর দেয়াল ছিল এসবেসট এর সিমেন্টএর তৈরি। পায়ের নিচে শক্ত এঁটেল মাটীর মেঝে।

বিস্তারিত»

আলোকচিত্র

ক্রমে ক্রমে নির্গুণ হয়ে যাচ্ছি। শখের ফটোগ্রাফার ছিলাম। মোবাইল ফোনে ক্যামেরা যুক্ত হওয়ায় এখন সবাই তাই। কম্পিউটার শিখেছিলাম নিরানব্বইতে সালে। সেটা এখন কে পারে না ? টুকটাক কবিতা লেখি। ফেসবুকের কল্যাণে এখন প্রচুর কবি। তাই প্রথমে যা ছিলাম এখনও তাই। বিশেষ কিছু নই, একদমই সাধারণ। আমার পছন্দের কয়েকটি সাধারণ আলোকচিত্র আপলোড করলাম। আশা করি ভালো লাগবে।

বিস্তারিত»

উপায় নেই

কবিতা না লিখে কোন উপায় নেই,
কেন? আমার যে কোন শ্রোতা নেই!
আমার মুখেও তো কোন ভাষা নেই।
অথচ ভেতরে অনেক কথা আছে,
যেগুলো বলা খুব সহজ কথা নয়
যেগুলো শোনার কারো সময় নেই।

আমার অনেক বিমূর্ত ভাবনা আছে।
ভাবনাগুলো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে,
করোটির গভীরে জমাটবদ্ধ মস্তিষ্কে।
আমার অনেক বদ্ধ দীর্ঘশ্বাস আছে,
যেগুলো বাঁধা আছে বুকের হাপরে।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ১৭

তৃতীয় এ্যাডজুট্যান্ট ক্যাপ্টেন এ কাইয়ুম মালিক, আর্টিলারীঃ
ক্যাপ্টেন আনোয়ার আমাদের কলেজের এ্যাডজুট্যান্ট থাকা অবস্থাতেই মেজর পদবীতে উন্নীত হয়েছিলেন। পদোন্নতির পর তাঁর বদলির আদেশ আসে। আর্টিলারী কোর এর ক্যাপ্টেন এ, কাইয়ুম মালিক তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। নতুন এ্যাডজুট্যান্ট দেখতে খুব ইয়ং লুকিং ও সুদর্শন ছিলেন, নম্রতা ভব্যতার দিকেও একটু এগিয়েই ছিলেন বলতে হয়। তার তুলনায় আমার মনে হয় ক্যাপ্টেন আনোয়ার একটু বেশী রাফ এ্যান্ড টাফ ছিলেন হয়তো এ কারণে যে তিনি আমাদের সিনিয়র ভাইদেরকে কাকুলস্থ পাকিস্তান মিলিটারী একাডেমীর কঠোর প্রশিক্ষণ পরিবেশের সাথে এখান থেকেই কিছুটা ধাতস্থ করে তুলতে চেয়েছিলেন।

বিস্তারিত»

কলেজ জীবনের সাতকাহন (গ্যাং অব চোর)

কলেজে থাকতে আমরা ছ’জন ছিলাম আম-কাঁঠাল চুরির ওস্তাদ। আমি, নাসিম, শহিদ, মেহেদি, শফি আর আনিসুল। আমি ছিলাম আশঙ্কাজনক রকমের হ্যাংলা পাৎলা, জোর বাতাসে উড়ে যাবার মত পলকা। তাই আমাদের অপারেশনগুলোতে শরীরের চেয়ে মাথা আর চোখ-কান ব্যবহারের কাজেই আমাকে বেশি ব্যবহার করা হত। অসাধারণ মেধাবী অথচ কেয়ারলেস এবং রিতিমত পালোয়ানী ফিগারের নাসিমের কাজ ছিল ধরা খাবার সম্ভাব্য পরিস্থিতিতে তাঁর সুবোধ বালক সুলভ ইমেজটা ব্যবহার করে নিজের এবং বাকিদের পিঠ বাঁচানো।

বিস্তারিত»

~ প্যারিস থেকে স্ট্রসবার্গের সেই ফ্লাইট ~

[ দ্য টরান্টো ডেইলী স্টার-এ ৮ সেপ্টেম্বর ১৯২২-এ প্রকাশিত আর্ণেস্ট হেমিংওয়ের কলামের অনুবাদ ]

আমরা বসে ছিলাম সস্তারও সস্তা সেই রেস্টুরেন্টে। যেটা কিনা তীব্র কোলাহলময় সামান্য সেই গলিটাকে আরো সস্তা করে তুলেছিলো। প্যারিসের ‘রু দ্য পেটি চ্যাম্পস’ নামের সেই গলিটার কথাই বলছি।

আমরা মানে মিসেস হেমিংওয়ে, উইলিয়াম ই. ন্যাশ, ন্যাশের ছোট্ট এক ভাই আর আমি। লবস্টার আর ফ্রায়েড সোল মুখে চালান করার ব্যস্ততার ভেতর দিয়ে থেমে থেমে কথা বলে যাচ্ছিলেন মি.

বিস্তারিত»

অনুগল্প: ব্লক, অতঃপর……

পাশে বসে হুইস্কির গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে ফেসবুক ওল্টাচ্ছিলো বন্ধুটি।
হঠাৎ লক্ষ করলাম, একখানা জরুরী জনগুরুত্বপূর্ন পাবলিক স্টাটাস এসেছে তোমার। ওর নিউজ ফীডে।
আর তা শেয়ার করার আকুতিতে ভরপুর।
অথচ কিসসুটি না করে উলটে গেল বন্ধু আমার।
আমি অবাক চোখে দেখলাম, স্ট্যাটাস দেবার ১৫ ঘন্টা পরেও একসময়ে শত শত লাইক আর ডজন ডজন কমেন্ট পাওয়া তোমার মত প্রায় ফেবু-সেলিব্রিটির এই পাবলিক পোস্টটি তে মাত্র দুইটা লাইক।

বিস্তারিত»

লেখাচুরি (plagiarism) নিয়ে কিছু দরকারি কথা

এবছরের মে মাসে আমেরিকার একাডেমিয়াতে বেশ একটা ঝড় বয়ে গেছে University of California Los Angeles (ইউসিএলএ) থেকে সদ্য পলিটিক্যাল সায়েন্স এ পিএইচডি সমাপ্ত করে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদানের অপেক্ষায় থাকা মাইকেল লা’ক (Michael LaCour) এর লেখাচুরি বা প্লাজিয়ারিজম এর কাহিনী উম্মোচিত হলে। গত ডিসেম্বরে সুপ্রসিদ্ধ একাডেমিক জার্নাল ‘Science’ মাইকেলের একটা আর্টিকেল প্রকাশ হয়েছিল কিভাবে সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান কন্টাক্ট মাইনরিটিদের প্রতি কুসংস্কার (prejudice) হ্রাস করে এই বিষয়ে।

বিস্তারিত»

হেই জ্যুড!, তোমার এপিটাফে দ্যাখো Ode to Joy!

সো ফ্রেন্ডস, কালকে যেমনটি বলেছিলাম, আমার মাথার উপর পাহাড়সম কাজ উঠে বসে আছে। সেই ব্যাটা আজকেও বসে আছে আগের মত পা ঝুলিয়ে। আর আজকেও তাকে ঘাড় ধরে কিছুক্ষণের জন্য নামিয়ে রাখলাম। তবে আজকে আর ব্লগ লিখার বেদনা না, রেকর্ডানোর বেদনা উঠেছে। ভুলেভালে তিনটি গান হারমোনিকা বাজিয়ে রেকর্ড করে ফেললাম। ১০০তম পোস্ট হোক ভুলেভালে ভরা গান ডেডিকেট করে। To err is Human. মানুষ মাত্রই মরণশীল।

বিস্তারিত»

অন্তর্ধান

অন্তর্ধান
মুহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ

আজো পাখিরা এসেছিল আগের মত
তোর বাড়ীর বাগানের
বৃক্ষ শাখে বসে কত কথা বলল
আমি কি বুঝি সব,
বুঝি না তোর মত ওদের ভাষা
শুধাল তুই নেই কেন? কেন নেই,
নেই কেন এই সুন্দর সকালে
রাত ভোর করে দাঁড়িয়ে জানালায়।

ভোরের আলোরা বলে , কোথায় তুই?
সোনা রোদ চিক চিক পড়লো না কপোলে,

বিস্তারিত»

হযবরল

আমি মানুষ। অন্যান্য মানুষদের মতই আমারও দুইখান হাত, দুইখান পা ইত্যাদি ইত্যদি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের পাশাপাশি স্বাভাবিক নিয়মে একখান মাথাও আছে। আর সেই মাথার উপর বর্তমানে একখানা বড়সড় আকৃতির পাহাড় উঠে বসে আছে। পাহাড়খানা কাজ দ্বারা নির্মিত । বড়ই নাছোড়বান্দা সেই পাহাড়। তবে আমিও কি কম যাই। পাহাড়টারে ঘাড় ধরে মাথা থেকে নামায়ে ব্লগ লিখতে বসলাম। কারণ হঠাৎ মনে হইলো আমার একখান ব্লগ লিখতে হবে। কেন লিখতে হবে সেই ব্যাপারে আমার একমাত্র মাথাকে জিজ্ঞেস করেও তেমন কোন সদুত্তর পাওয়া গেলোনা।

বিস্তারিত»

যেভাবে লিখি

kobita
“There is nothing to writing. All you do is sit down at a typewriter and bleed.”
“You can get hurt bt u enjoy it.”
প্রতি সন্ধ্যায় বসি কালো স্ক্রিনে…ব্যাক্তিগত ডায়েরী লিখি কবিতার কোডে। খানিক দুর্বোধ্য, আপাত নিরর্থক শব্দবন্ধে……কোনো কোনো দিন ctrl s না চেপেই ওঠে যাই, কতকিছু লেখা হয় না কোনদিন…কতদিন লিখবো ভেবে লিখতে বসে ভুলে যাই। যে দুঃখ পৃথুর,সে দুঃখ আমারও।

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ ছয়

: মনটা কেমন বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে, মনে হলো তোমার সাথে কথা হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
কিন্তু আসলে তা হয় না। আরো মনটা কেমন কেমন জানি হয়ে যায়!
: এ আমার লজ্জা! আমার সীমাবদ্ধতার কোন সীমা নেই জানি।
: কাল সারারাত শুধু কাঁদলাম। মনে মনে বললাম, আমার বাকি জীবনটাও কেঁদেই কেটে যাবে। কেউ বুঝবে না তবু, কেউ জানতে চাইবে না?
: পৃথিবীটা অপদার্থ দিয়ে ভরে গেছে!

বিস্তারিত»

পেস লাইক ফায়ার!

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ পোস্টটি কিন্তু বি শা ল বড়। একাধিক পর্বে দিলে ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়ে যাবে বলে একবারেই দিলাম। বিরক্তির উদ্রেক করে থাকলে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি!
————-

১ ডিসেম্বর, ১৯৭৯।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়া সফরে যায়। দুটো কারণে এই সফরটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল- কেরি প্যাকার ওয়ার্ল্ড সিরিজের পর এই দুই ক্রিকেট পরাশক্তি পূর্ণ শক্তিতে ফিরেছে এবং প্রথমবারের মতন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের আক্রমণভাগে বিখ্যাত চারজন ত্রাস পেসারের সমন্বয় ঘটেছে,

বিস্তারিত»

টিকটিকি

টিকটিকি

ছোটবেলা থেকেই কিছুটা অন্তর্মুখী স্বভাবের হওয়ার কারনে আমার বন্ধু-বান্ধব তেমন কেউ ছিলোনা। আমার ভাইবোনেরাও আমাকে খুব একটা পাত্তা দিতোনা। অবশ্য এই একাকীত্ব বা ভাইবোনের পাত্তা না দেবার বিষয়টি কখনই আমার মনোকষ্টের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়নি। বরং আমি খুশিই হতাম একারনে যে কেউ আমাকে ডিস্টার্ব করছেনা!

আমার সখ্যতা ছিল ঘরের দেয়ালের কয়েকটা টিকটিকির সাথে। মানুষের সাথে অনাদিকাল থেকে বসবাস করে আসছে এই প্রাণীটি,

বিস্তারিত»