~ পারছো কি ! ~

পারলে ঠেকাও স্বপ্নগুলি ।
রাত জাগা সব ইচ্ছে ভেলা
চাঁদের সাথে খুনসুটিতে
তারার সাক্ষ্যে মালায় গাঁথা
খামখেয়ালী কথাগুলি ।

সবুজ খোলা মাঠের গায়ে
দুরন্ত সেই কিশোর বেলার
ছুটোছুটি – চঞ্চলতার
ছবি আঁকা সকালগুলি ।

স্মৃতির শহর ঘুরে ঘুরে
শরীর জুড়ে আগলে রাখা
জলের ফোঁটা আলিঙ্গণের
বৃষ্টিসখ্য লগ্নগুলি ।

বুকের ভিতর বামকুঠুরী
ভরাট করে জমানো সব
কথার ঝুড়ি,

বিস্তারিত»

অদ্ভুত এক মানসিক অবস্থা, নাম তার “বাই পোলার ডিজঅর্ডার” – (দ্বিতীয় পর্ব)

অদ্ভুত এক মানসিক অবস্থা, নাম তার “বাই পোলার ডিজঅর্ডার” – (প্রথম পর্ব)

“মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কোন কিছু লিখার বড় রিস্ক হলো, যেই তা পড়ে তারই মনেহয়, সমস্যাটা বোধহয় তারও আছে।
মন ভাল হওয়া মন খারাপ হওয়া, সবার জীবনের অতি স্বাভাবিক ও দৈনন্দিন একটি ব্যাপার।
আবার বাইপোলার ডিজঅর্ডার-এ আক্রান্তগণ যে হাই (ম্যানিক স্টেজ) ও লো (ডিপ্রেসিভ স্টেজ) এর মধ্য দিয়ে যান,

বিস্তারিত»

জেগে আছে চাঁদ

তুমি বললে, আজ রাতে ঘুমোবে না
আমাকে নিয়ে চাঁদ দেখবে
স্নান করবে জ্যোৎস্নার আলোয়
আমি বলেছিলাম, পাগল তুমি
কাল আমার অফিস আছে না

অথচ দেখো, আলোয় ভেসে যাচ্ছে
ইট বিছানো সরল পথ
বাড়ির পাশের কলাবাগান
দূরে আরো দূরের স্থবির ডোবা
অথবা সব কিছু স্বপ্নের সমান

সেই তুমি তলিয়ে আছো ঘুমের গভীরে
তোমায় পাহারা দিচ্ছে পূর্ণিমার চাঁদ

উত্তরায়ণ,

বিস্তারিত»

ফেইসবুক এবং আপনার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা

কিছুদিন আগে হঠাৎ করে ফেসবুকে একটা পোস্ট বেশ শেয়ার হতে দেখলাম। পোস্টাটা মূলত ব্যক্তিগত ছবি/ভিডিও এর গোপনীয়তা সংরক্ষণ নিয়ে। পোস্টটা অনেকটা এরকম
I do not give Facebook or any entities associated with Facebook permission to use my pictures, information, or posts, both past and future. By this statement, I give notice to Facebook it is strictly forbidden to disclose, copy, distribute, or take any other action against me based on this profile and/or its contents……..

বিস্তারিত»

~ মিউজিয়াম কন্যা ~

[ অনুবাদ ঃ ছোটগল্প ]

ট্যুর গাইডের চাকরীটা তার হয়েই যাবে এমন আশার স্বপ্ন দেখতে দেখতে চলছিলো পথে। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজস-এর উপর একটা ডিগ্রী সে নিয়েছে কেবলি। বিদেশী নানান ভাষার উপর তার সদ্য অর্জিত জ্ঞান নিয়ে তার অপার আনন্দ ও গর্ব। সেই সাথে বর্ণিল জীবন শুরুর স্বপ্ন। কতো কি সম্ভাবনার স¦প্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো নিত্য নিত্য। পড়াশোনার পাট চুকিয়ে বাস্তব জীবনে পা রাখতে না রাখতেই সব যেনো সহসাই বুদবুদের মতোন হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছিল।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ১৯

চলনে বলনে, পোষাক পরিচ্ছদে, কথা বার্তায়, সব কিছুতেই উইং কমান্ডার কীয়ানির একটা সফিস্টিকেশন ছিলো। অত্যন্ত সুদর্শন এই এয়ারফোর্স অফিসার চিত্রজগতে প্রবেশ করলেও যে তিনি বক্স অফিস তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াতেন, সে কথা প্রায় নিঃসন্দেহে বলা যায়। ঐ সময়ে দেশের সিনেমাহল গুলোতে একটা জনপ্রিয় ইংরেজী ছায়াছবি The Night Of The Generals চলছিলো। সেই ছবির অন্যতম নায়ক Peter O’ Toole এর সাথে তাঁর চেহারা, চালচলন এবং স্বভাবের অনেক মিল ছিলো।

বিস্তারিত»

ঘুম দিয়েছে আড়ি

এলোমেলো ভাবনাগুলো মাথায় খাবি খায়,
যখন যেথায় ইচ্ছেমত কাঁপন দিয়ে যায়।
গান গেতে চাই, সুর আসেনা,
ঘুম গেলো কই, ঘুম আসেনা,
এমনি করে চুপিচাপি ঘুম গেলো কার বাড়ী?
ঘুমকাতুরে আমার সাথে ঘুম দিয়েছে আড়ি!

বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর খালে এলো বান,
বৃষ্টি পড়া শুরু হলেই মন করে আনচান।
বন্ধুরা সব অফিস করে সকাল সন্ধ্যা ধরে,
আমার আয়েশ দেখে তারা ঈর্ষা জ্বরে পোড়ে।

বিস্তারিত»

শ্রদ্ধাঞ্জলি

নির্দিষ্ট দিনকে কেন্দ্র করে কিছু করা। ঢালঢোল পিটিয়ে দিবস পালন করে এক বছর ভুলে থাকা। বিষয়টা আমার কাছে কেমন জানি লাগে। কিন্তু ২০১৫ সালে এসে দিন ধরে কিছু করতে ইচ্ছে হল। এবারই খেয়াল করলাম প্রিয় বন্ধুর অন্তর্ধান এবং প্রিয় কবির প্রয়ান ঘটেছে ১৯ সেপ্টেম্বর। বন্ধু ফিরোজ কবীর নিখোজ হয় ২০০৬ সালে আর মাসাওকা শিকি মৃত্যুবরণ করেন ১৯০২ সালে। এঁদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিতে ঠিক করলাম অলপোয়েট্রিতে ইংরেজীতে কবিতা লিখব।

বিস্তারিত»

কবিতা : ব্লক, অতঃপর……

ও মেয়ে, তুমি কি জানো?
আমাকে নিয়ে ভাবা অথবা
আমার প্রতি প্রক্ষেপিত –
তোমার প্রতিটি বাক্যই
হয়ে উঠতে পারে
কোন না কোন কবিতার পংক্তি?

ভাবনার কথাগুলো শুনি নাই কখনো
শোনা সম্ভবও না,
তাই কেবলই অনুমানে ভর করে
ওগুলো আনতে চাই না কবিতায়।
কিন্তু আজ যা প্রক্ষেপন করলে আমায়,
কবিতায় তা না এনে, কি করে থাকি,

বিস্তারিত»

৭৩ এর যুদ্ধবন্দী

ব্যাপারটা যে কাকতালীয় তাতে সন্দেহ নেই – “সবুজ সিল্ক শাড়ী” পরা মহিলাটির সাথে আমার দেখা হয়ে গেল। আমি তাকে দেখামাত্রই চিনতে পেরেছি। ইন ফ্যাক্ট আমরা চোখাচোখি হওয়া মাত্র একে অন্যকে চিনতে পেরেছি। সে আমার দিকে হাত নাড়ল। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর একসাথে বসব বলে সাব্যস্ত হল।

১৯৭৩ সালের ডিসেম্বরের কোন এক সকালে তার সাথে আমার প্রথম ও শেষ দেখা। ১৯৭১ এর পাক-ভারত যুদ্ধের সহস্র যুদ্ধবন্দীদের মধ্যে সেও একজন।

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ আট

: জানো, থেকে থেকে ঘুম ভেঙ্গে যায়। তোমার কথা মনে হয়।
: একজন শিখিয়েছিলে সেই কতদিন আগে – আমি তোমাকে মনে করলে, তোমারও আমায় মনে পড়ে।
: সত্যি?
: তা তো বুঝিনা, তোমার জীবনে আমায় ঘুম-হরা হয়েই কাটাতে হবে এটা বুঝলাম।
অথচ কেউ ঘুম-ভাঙ্গানিয়া হবার শখ পুষেছিল ভেতরে ভেতরে!
: ইস! এমনিতেও আমার অনেকদিন হল ভাল ঘুম হয় না। সিডেটিভ নিচ্ছিলাম।

বিস্তারিত»

দেউলিয়া পূর্ণিমায়

বিষণ্ণ সময়ে জীবনবাবুর ভূতে ধরেনি এমন কবিতাখোর পাওয়া দুষ্কর হবে। এমনকি, কলেজের কাঠখোট্টা পরিবেশেও শীতের রাতে যখন কুয়াশায় ভেসে আসত তরল জোছনা, তখন ক্যাডেট-মগজের কোনও এক গহীন কোনে জীবনবাবু নাকি সুরে আওড়াতেন- “বাঁশপাতা-মরা ঘাস-আকাশের তারা! / বরফের মত চাঁদ ঢালিছে ফোয়ারা / … … … / ঝিমায়েছে এ পৃথিবী / তবু পাই টের / কার যেন দুটো চোখে নাই এ ঘুমের / কোনও সাধ!” গতকাল রাতে চাঁদহীন আধো-আধো কুয়াশায় বৃহত্তর ময়মনসিংহের রেলপথে রাত্রিকালীন ভ্রমণে আবার কামড়েছে জীবনের ভ্যাম্পায়ার,

বিস্তারিত»

কলেজ জীবনের সাতকাহন (গ্যাং অব চোর) – শেষ পর্ব

আগের পর্ব

“এই! আপনাঁরা এখানে কীঁ করশেন ষ্যার?”

– সাইদ বিশ্বাস স্যারের ট্রেডমার্ক আওয়াজ। উপরে তাকিয়ে দেখি, হ্যাঁ তিনিই। বায়োলজি ডিপার্টমেন্টের ঠিক উপরে দোতলার বারান্দা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। ঈশ! টাইমিংটা একটু এদিক সেদিক হলেই ওনার শ্যেনদৃষ্টিটা এড়ানো যেত। জানি, এসময়ে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হয়। মাথার ভিতরে ঢ্যাঢ্যাং ঢ্যাঢ্যাং করে ছয় বছর আগে শোনা সিএইচএম শহিদ ওস্তাদের অমোঘ বানী বাজতে লাগলো,

বিস্তারিত»

সীমা

সীমা

‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ, মাতৃজরায়ু থেকে নেমেই জেনেছি আমি
সন্ত্রাসের ঝাঝালো দিনে বিবর্ণ পত্রের মতো হঠাৎ ফুৎকারে উড়ে যাই
পালাই পালাই সুদূরে’ – দাউদ হায়দার

মেয়েটার নাম সীমা। বয়স ১৯/২০ বছর। নামটা তার মায়ের দেয়া। কি কারনে মা তার নাম সীমা রেখেছিলেন কে জানে? ঐ নামেই সে সুইডেনের একটা বিদেশী পরিবারে বড় হচ্ছে সে। পরনে একটা নীল জিন্সের প্যান্ট,

বিস্তারিত»

মিথ্যা তুমি দশ পিঁপড়া

মিথ্যা তুমি দশ পিঁপড়া

ক্যাডেট কলেজে ক্লাস ইলেভেনে উঠেছি। সেনাবাহিনীর ধাঁচে ‘ইন্টার হাউজ ডেমন্সট্রেশন প্রতিযোগিতা’ অথবা এই ধরনের নামের একটা কো-কারিকুলাম প্রতিযোগিতা সুচিত হয়েছে সে বছরেই। এই প্রতিযোগিতার ব্যাকষ্টেজের জন্যে প্রেসিডেন্ট রোনালড রিগ্যান এবং আরও কয়েকজন বিখ্যাত ব্যাক্তিদের এনলারজড পোট্রেট আঁকতে হবে। আমাদের ধর্ম শিক্ষক সাদিক স্যার আমাদের হাউজ মাস্টার। তিনি আমাকে তাঁর অফিসে ডেকে নিয়ে ছবিগুলো আঁকতে বললেন। আমরা ছবি নকল করতে ওস্তাদ।

বিস্তারিত»