চিন্তা খেলা করে ১

মনখারাপের সুর

ম্যাকাও পাখির মতো মন খারাপ করে বসে ছিলাম সারা বিকেল, সারা সন্ধ্যা। ছুটির এইসব একান্ত অবসরে ইদানিং একাকিত্বই ভালো লাগে। একাকিত্বের কাছে সময় চাইলে কখনোই ফিরিয়ে দ্যায় না ও। এছাড়া শহরভর্তী অগুণতি ব্যস্ত মানুষ। কার কাছে সময় চেয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি, তাই একাই এ শহর হেঁটে বেড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। শহরভর্তী মায়া মায়া মানুষ। যেন ঈদ উদযাপন। প্রেমিকাদের পারফিউমের গন্ধে সমাচ্ছন্ন প্রেমিকেরা ঘুরে বেড়ায় চারপাশে।

বিস্তারিত»

আলাপন ১

আশিস‘দা,

কেমন আছো?

মনে আছে, সেবার মেলায় যাবো বলে কী বায়নাটাই না ধরেছিলাম! মেলা বসে সকালে, বিকেলের মধ্যেই গুটিয়ে যায়। সেই সময়টায় আব্বা থাকেন অফিস নিয়ে। উপায়? … আমার স্পষ্ট মনে আছে, সেদন ছিল মেলার শেষ দিন। অগত্যা তোমার সাথে পাঠালেন আমাকে আম্মা। ভয়ে তোমার চেহারা হয়েছিলো দেখবার মত, যদি আমার কিছু হয়?… বিশ টাকা দিয়েছিলেন আম্মা; হাঁড়িপাতিল আর পুতুল কিনেই যখন টাকা শেষ,

বিস্তারিত»

অদ্ভুত এক মানসিক অবস্থা, নাম তার “বাই পোলার ডিজঅর্ডার” – (প্রথম পর্ব)

আমাদের আশেপাশে এমন অনেককেই দেখি, যারা সময় সময় কি যে উৎসাহের সাথে নানান উদ্যোগে ঝাঁপিয়ে পড়েন, উচ্ছাসে উল্লাসে ভরপুর হয়ে ওঠেন, আবার হঠাৎ করেই তেমন কোন কারন ছাড়াই নিজেদের গুটিয়ে নেন সব কিছু থেকে। আর তা এতটাই যে আমরা গভীর ভাবনায় পড়ি, “হলোটা কি ওর? এই না সেদিন দেখলাম, কি দারুন প্রানোচ্ছাসে ভরপুর? আর আজ………?”

অনেক সময়েই এঁদের এইসব অচরনকে আমরা “খামখেয়ালিপনা” ভেবে তাদেরকে “খেয়ালি মানুষ”

বিস্তারিত»

~ ধন্যবাদ বুকার। ধন্যবাদ জ্যামাইকা। ~

সেন্ট পল, মিনেসোটা, আমেরিকা। লিবারেল আর্টস-এর এক শিক্ষাঙ্গন ‘ম্যাকাল্যাস্টা কলেজ’’। ‘সাহিত্য আর সৃজনশীল লেখনী’ (লিটারেচার এন্ড ক্রিয়েটিভ রাইটিং) বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক। পড়াচ্ছেন ২০০৭ সাল থেকে। তাঁর নিজের পড়াশোনাও ছিল এসব নিয়েই। ‘ভাষা ও সাহিত্য’ (ল্যাঙ্গুয়েজ এন্ড লিটারেচার) নিয়ে গ্রাজুয়েশন করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে, ১৯৯১ এ। মাস্টার্স করেছেন ‘ক্রিয়েটিভ রাইটিং’ বিষয়ে উইল্কস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, ২০০৬ এ।

মিনেসোটা, নিউইয়র্ক আর জ্যামাইকা – এই তিন জায়গায় তাঁর নিয়মিত বিচরণ।

বিস্তারিত»

অনুগল্প : আরেকটি “ব্লক-কাহিনী” নিয়ে অডিও-ভিডিও ব্লগ

তিন মাস আগে……

ছেলেটি:
“ওগো তুমি যে আমার কতো প্রিয়
কেমন করে বোঝাই বলো
তুমি তো বোঝো না
জেনেও না, জানো না………”

মেয়েটি:
“যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে
মনেহয় এ দেহে প্রান আছে
বাকিটা সময় যেন মরন আমার
হৃদয় জুড়ে নামে অথৈ আঁধার………”

তিন মাস পরে……

ছেলেটি:
“তুমি নিজের মুখে বললে যেদিন
সবই তোমার অভিনয়
সত্যি কোন কিছু নয়
আমি দুঃখ পেলেও খুশি হলাম জেনে………”

বিস্তারিত»

অমর প্রেম

অমর প্রেম
মুহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ

তোকে মাঝে মাঝে মনে পড়ে
দিনের বারান্দায় ব্যস্ত কোলাহল ভিড়ে
কখনো চায়ের টেবিলে সন্ধায়,
কবিতা পড়তে পড়তে বসে আনমনে
ভাবি, কেন ভালবাসিনি তোমায়?

কৃষ্ণচূড়ার সবুজ কুন্তলে লাল ফুল গুঁজে
বসন্ত বিকেলে গোধূলি বেলায়
মাঠের সষর্ের ফুল কতনা ডেকেছে আয়
ঘুডি নিয়ে দৌড়ায় হলুদ মাঠে সুতোর টানে।

বসতিস পাশে কত ছল করে
বিসতীনর্ ঘাঁসের চাদরে জোছনা রাতে
গানের আসরে গভীর নিশিতে,

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ১৮

এমসিসি’র তৃতীয় (আমাদের দেখা দ্বিতীয়) প্রিন্সিপাল উইং কমান্ডার সুলেমান হায়দার কাইয়ানিঃ
১৯৬৯ সালের শেষের দিকে কর্ণেল আনসারী আমাদের কলেজে চাকুরী শেষ করে পাকিস্তানে ফিরে যান। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ (আরসিসি) এর তৎকালীন অধ্যক্ষ উইং কমান্ডার সুলেমান হায়দার কাইয়ানি। উল্লেখ্য, ‘কাইয়ানি’কে ‘কীয়ানি’ উচ্চারণ করা হয়ে থাকে। আমাদের পাড়ার একজন সিনিয়র ভাই তখন আরসিসিতে পড়তেন। কলেজ ছুটির সময়ে আমরা কখনো কখনো একত্র হয়ে গল্পগুজব করতাম।

বিস্তারিত»

বিউগলের ধ্বনি শুনি

আমি প্রত্যহ বিউগলের ধ্বনি শুনি,
প্রত্যুষে শুনি, আসন্ন সন্ধ্যায় শুনি,
বিউগল বাজায় কে, সেটা দেখিনি,
প্রত্যহ তবু আমি সেই ধ্বনি শুনি।

চলে যাওয়া অতীত বিউগল শোনায়,
অন্তর্হিত সুহৃদগণ বিউগল শোনায়,
জানিনা তারা আজ কে বা কোথায়
অতীত নিয়ত তবু বিউগল শোনায়

আমরা যারা আছি, খুবই হাসিখুশী,
জগত সংসার নিয়ে সারা দিবানিশি,
তাদের কথা দিনে ক’বারই বা ভাবি,

বিস্তারিত»

পাঠ প্রচেষ্টা ঃ আবার সৈয়দ হক

দিনপঞ্জী থেকে/
গাজী ইস্টিমারে বরিশালের পথে সন্ধ্যায়
সৈয়দ শামসুল হক

কাল সকালে যখন তুমি জেগে উঠবে,
যখন অমাবস্যার অন্ধকার চুল সরিয়ে প্রকাশিত হবে
ধবল পর্বতের মতো তোমার মুখ,
তখনই তো দেখতে পাবে এই বদ্বীপের প্রকৃত মানচিত্রটি;
এবং দেখতে পাবে সকলেই আমার সব কিছু —
দিনের ভেতর দিয়ে গলে যাওয়া আয়নার মতো বয়ে চলেছে নদী,
তার স্রোতে ভাসমান সব নৌকো
এবং সেই নৌকোর পাল আমাদেরই জীবনের গল্পের মতো
টুকরো টুকরো সংঘাতময় রঙের কাপড়ে সেলাই করে গড়া।

বিস্তারিত»

পনেরো অক্টোবরের কবিতাঃ খেলা-১

চোখের মধ্যে শোক, নখের ভেতর পাপ
স্মৃতির তোরঙ উজাড় করা
অস্বচ্ছ সংলাপ

কিশোর কালের ভুল,উজান নদীর স্বাদ
চোখের প্রেমে চোখ পড়েছে
এই তো অপরাধ

স্কার্ফে তোলা ফুল, ফুলের বুকে কীট
সে কী করে জানবে কেমন
দেয়াল তোলার ইট

ইটে গড়া দেয়াল তুলে মধ্যে ব্যাবধান
দুপাশে দুই বন্দী মানুষ
এই তো তিনি চান

তিনি চান এই ভুল,তিনিই চান এই জল
তিনি যা চান তাতেই জানি
সব রকম মঙ্গল

খানিকটা প্রেম ভালো,খানিকটা ভঙ্গুর
এবার ভাবি পালিয়ে যাবো
সবার থেকে দূর

লালচে হওয়া চোখ,

বিস্তারিত»

~ কারোই কিচ্ছুটি নেই দোষ ~

জেগে আছি ভেবে
পাখিরাও বসেছিলো কাঁধে,
প্রজাপতি
আঙ্গুলের আনাচে কানাচে।

অগোছালো পাতাদের
নিরন্তর আহলাদে
শালিখেরা খেয়েছে
করতল খুঁটে খুঁটে।
বাবুই আর চড়ুইয়ের দল
কথার কোমল বিষাদে
এঁকেছিলো শব্দের আলপনা
কন্ঠার জেগে ওঠা তল্লাটে।

পায়ের পাতার কাছে
অপেক্ষামগ্নতার
লতানো টেরাসে
অচেনা ফোটা ফুল
পাঁপড়ির বিভাজিকা
মেলে ধরা উৎসবে
চেয়েছিলো উঠবে বেড়ে
স্থবির চোখের কাছে
ঠিক চিবুকের সমান।

বিস্তারিত»

সমকালীন বিশ্বের ভিন্নপাঠ: আলান কুর্দির মৃত্যু, মানবতাবাদী পশ্চিমা দুনিয়া এবং সংঘাতে লিপ্ত আরব জনগোষ্ঠী

Most people can get along better without a vote than without a roof over their heads. Or without their heads. – Diana Johnstone
Destabilisation is Washington’s tool and game in a time when America’s long-lost economic-capitalist hegemony is fading at an ever accelerating pace. – Paul Street

১৪৫৩ সাল। ২১ বছর বয়সী তুর্কি সুলতান মেহমেত (দ্বিতীয়) বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল অবরোধ করেন।

বিস্তারিত»

ছবিতে পালো ডুরো ক্যানিয়ন

এই উইকএন্ডে ঘুরে এলাম পালো ডুরো ক্যানিয়ন, অ্যামারিলো টেক্সাস এ। ছবিতে ছবিতে  ঘুরে আসি আমরাও…..

স্টেক আর রেড নেক টেক্সানদের গল্পটা সামনে লিখব ইনশাল্লাহ ………..

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ সাত

: একজনের ঘুম কেড়ে নিয়ে নিজে ভোঁস ভোঁস ক’রে ঘুমায়।
এটা কি অবিচার নয়?
তাই সকাল সকাল জাগিয়ে দিলাম, রাগ করলে?
: না, এইতো আরেকটু পরেই উঠতাম।
: আচ্ছা, আমার খুব দেখতে মন চায়, ঘুমিয়ে থাকলে তোমায় কেমন দেখায়?
: বোকাদের যেমন দেখায়, শিশুর মত ঘুমে কাদা হয়ে পড়ে আছে, হা করা মুখ গ’লে লালা বের হয়ে গাল বেয়ে নেমে বালিশ ভিজিয়ে দিচ্ছে!

বিস্তারিত»

বন্দী নিশাচর

রাত বারোটা-
সবে তো রাত শুরু
জেগে উঠছে কিছু আজব প্রাণীর দল।
ক্লাশ টুয়েলভের সবচেয়ে সুবোধ বালকটা
মাত্র রুমের দরজা খুলে বের হল।
ডিউটি মাস্টার চলে গেছে-
হাউস বেয়ারাও ব্যস্ত সুখের নিদ্রায়,
মোবাইলের চার্জও শেষ।
এইত সময়-
ছক কষার।
হাতে অনেক কাজ বাকি-
টিভি রুমটা খুলতে হবে,
চ্যাম্পিয়নস লীগের ম্যাচ আছে-
অমুকের মনটা আজ ভাল নেই,তাই-
সে ব্যস্ত টেংকিতে ওঠার রাস্তা বানাতে,

বিস্তারিত»