০১ অক্টোবর ২০১৫। যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগন রাজ্যের ওম্পকুয়া কমিউনিটি কলেজে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় বন্দুকধারীর গুলিতে ১৩ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২০ জন আহত। ওখানকার সংবাদ মাধ্যমগুলোর দেয়া তথ্য অনুযায়ী বন্দুকধারীকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে কিংবা হয়তো সে মৃতের তালিকায় আছে। ঘটনার সময় প্রথমে ৭ জনের মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত ছিলো। পরে দুপুর না পেরোতেই ১৩ জন বলে নিশ্চিত করা হয়। স্বল্প জনবসতিপূর্ণ ওরিগনের এই রোজবার্গ এলাকাটিতে এটাই একমাত্র কলেজ।
বিস্তারিত»আমারও লিখতে ইচ্ছে হল…
১।
সিসিবিতে লেখার ইচ্ছে ছিল বহুদিন। সোফির বাপ-মায়ে কম ঠ্যালা দেয় নাই। কিন্তু আমি হলাম গিয়ে- “কত রবি জ্বলে রে/কেবা আঁখি মেলে রে” মতাদর্শের লোক। লেখালেখি করব, আমি? কাভি নেহি। চুপচাপ এসে পড়ে যাই এই তো বেশ। বহুদিন লেখা গুছিয়েছি মনে মনে, শেষমেশ ওই মন পর্যন্তই। নূপুরদার অনুসন্ধানী পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে এবারে মাঠে নামতেই হয়। কে জানত এই কবি মানুষটা আদতে ডাক্তার নয়,
বিস্তারিত»পিছুটান
পিছুটান
মুহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ
মনটা বড় উদাস পড়ে রয়
তোমার ঘরের বারান্দায়, সাত সকালে
একটি শালিক দাঁড়িয়ে জানালায়
থমকে হঠাৎ আমার ভাবনায়।
পশলা ঝরা শীতল পরশ
টিনের চালে রিমি ঝিমি, ভর দুপুরে
একটি কাক ভিজছে জানালায়
অবাক হঠাৎ সিক্ত বরষায়।
মনটা বড় উদাস পড়ে রয়
তোমার ঘরের বারান্দায় , ভরা সাঁঝে
একটি পেঁচা বসে জানালায়
হুতুম মুখে কাতর বেদনায়।
আমার লেখা একটি ড্যাশিং কবিতা
স্বর্ণলতা সেন
কবি তারক নারায়ণ ঠাকুর।
স্বর্ণলতা, হাজার বছর ধ’রে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে
তুমি প্লিজ, বোলো নাকো কথা অই যুবকের সাথে
এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান,
না জানি কেন রে এত দিন পরে জাগিয়া উঠিল প্রাণ।
কড়কড়ে রৌদ্র আর গোলগাল পূর্ণিমার চাঁদ
স্বর্ণলতা, আমি আর কত বড় হবো? আমার মাথা এ ঘরের ছাদ,
ধ্রুপদী ভাবনা
নিজ হাতে যবনিকা টেনে দিলে তুমি,
ওগো সুদূরিয়া!
ঝরাপাতার দিন শুরু হয়ে গেছে বলে,
তুমি তাকেও ঝরিয়ে দিলে!
শুকনো পাতার মর্মরধ্বনি
সকাল দুপুর সাঁঝে,
যে বুকে সতত বাজে,
সেতো ঝরেই যাবে!
ঝরা পাতার মুখ তুমি মেঘের মাঝে
খুঁজতে যেয়োনা, সুদূরিয়া!
তুলো নাকো কোন দুখ জাগানিয়া গান
বিষন্ন পাঁজরের মত পিয়ানোর রীডে।
তোমার একটি মায়ামাখা কথা
বদলে দিতে পারে পৃথিবীর যত বিষন্ন সুর,
জীবনের জার্নাল – ১৪
একাকীত্বঃ
যারা দুষ্টুমি করে জ্বর এনেছিলো, তারা মহা আনন্দে বাড়ী চলে গেলো। আমার সত্যি সত্যি জ্বর এলো, তাই আমি রয়ে গেলাম শুনশান, ক্যাডেটবিহীন এমসিসি’র নিস্তব্ধ প্রান্তরে। বড্ডো একাকী বোধ করতে লাগলাম। দিন কাটেনা। আমি ছাড়া আর বাকী যে তিন চারজন ছিলেন, তারা সবাই সিনিয়র, কিন্তু খুবই ভদ্র। তারা আমার প্রতি অত্যন্ত সদয় ব্যবহার করতেন। আমার কাজ ছিলো তারা যদি কখনো কোন আলাপ শুরু করেন,
ঢাকার শুনানি, ঢাকায় শুনানি (চ)
শ্যাম্পু কিনতে ভুলে গিয়েছিলাম। বাথরুমে অনেক দিন আগে থেকেই দেখছি মেরিল বেবী শ্যাম্পুর একটি শিশি পড়ে আছে। সম্ভবত আমার ভাতিজি ওয়ারিশার মাস তিনেকের অবস্থানের সময় কেনা হয়েছিল। রাত বাজে প্রায় দেড়টা। ঈদের পরে প্রথম অফিসের আগের রাতে ঘুমাতে দেরী হয়ে যাচ্ছে চিন্তা করতে করতে শিশিটা হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখে নিলামঃ ‘E-09/16’ যাক তাহলে এখনো তারিখ আছে। হাতে নিয়ে মাথায় ডলে দিতেই পরিচিত সেই গন্ধ। শিশুদের গায়ের সেই চিরচেনা গন্ধ।
বিস্তারিত»গল্পটা একটু অন্যরকম হতে পারত
গল্পটা একটু অন্যরকম হতে পারত।
হ্যা। একটু অন্যরকম।
রাতুল বেশ কিছুক্ষণ ধরে বসে আছে করিডোরের বেঞ্চে।এমনিতে অনেক অশান্ত প্রকৃতির। কিন্তু আজ ওর অপেক্ষা করতে একটুও খারাপ লাগছে না। বরং বুকে একরাশ আশা। অনেক স্বপ্ন। মিরপুর স্টেডিয়ামে প্রাকটিস গ্রাউন্ডের পাশে বসে আছে। দূর থেকে দেখছে তার সেই স্বপ্নের মানুষ গুলোকে প্রাকটিস করতে। ও এসেছে বোলিং ট্রায়াল দিতে। ছোটবেলা থেকেই খুব ভাল ক্রিকেট খেলে।
বিস্তারিত»নিউরনে আলাপনঃ দুই
: আমার ঈর্ষা হয় ভীষণ! কারো কারো ব্যাপারে!
: আমার ব্যাপারেও?
: কিন্তু শুধু ঈর্ষা দিয়েই আর কী হয় বলো?
: হয়তো কিছুই হয়না … পড়েছিলাম মেয়েদের ঈর্ষাটাই ভালবাসা! যত বেশি ঈর্ষা, তত বেশি ভালবাসা!
: তোমার ব্যাপারে কি না তা বলা যাবে না, যেমন তুমি অনেক কিছুই বল না।
: হুম, আমি চিরকেলে মুখ চোরা … মনে মনে মন চুরি,
গোয়িং বাটন
সকালে খবরের কাগজে চোখে পড়েছিল, আজ চৈত্রের ২৩ তারিখ।
রাস্তায় বেরিয়ে ‘চৈত্র’ শব্দটা আবার মাথায় উঁকি দিল। কাঠফাটা গরম পড়েছে। এমন আগুনগরম দুপুরে হলুদ পাঞ্জাবী পরা হিমুরা ঘোরের জগতে চলে যায়। আমি হিমু নই, এই নারকীয় মধ্যাহ্নের ভেতর মহাকাব্য খোঁজার চেষ্টা আমার কাছে অনাবশ্যক বিলাসিতা। অসহ্য লাগছে… একটা রিকশা পেলে মেয়েদের মত হুড তুলে চলে যেতাম।
অবন্তী মেয়েটা আসলে পাগল আছে!
বিস্তারিত»আই ওয়াজ টাচড বাই এন এঞ্জেল
বান্ধবি পর্ব
========
কথা ছিল, এইরকম এক সন্ধ্যায়
তুমি আসবে।
তোমার ঝোলায় থাকবে
স্মিরনভ অথবা ভদকা এবসলিউট।
কথা ছিলো, আকন্ঠ পান করবো
আমরা দুজন, সারাসন্ধ্যা ধরে……
বিয়ারের পরেই তোমার প্রিয় পানীয়
ব্লাডি মেরি সাজাতে তাই
টমাটো জুস, লেমন জুস,
টাবাস্কু আর সল্ট-পিপার নিয়ে
বসেছিলাম আমি।
আর নিজের জন্য ছিল প্রিয় পানীয়
ভদকা-লাইমের সকল উপকরন,
Too much Water in Wrong Place (চীনা বিড়ম্বনা, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা – ১)
আমেরিকা আসার পর সবচেয়ে বেশি যা দেখেছি আর মাঝে চাইনিজ মানুষজন অন্যতম। তাদেরকে নিয়ে মনেহয় সবারই কম-বেশি অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি আমার কিছু শেয়ার করলাম।
ক্লাস শুরুর আগে একটা ইন্টারন্যাশনাল ষ্টুডেন্ট অরিয়েন্টশন হয়। তা অরিয়েন্টশনের দিন, আমার পাশে বসেছিল এক চাইনিজ ছেলে, জনি (ইংরেজি নাম)। তা কথায় কথায় জানতে পারলাম সে পরিবেশ বিজ্ঞানে ০২ সেমিষ্টারের জন্য এসেছে, ট্রান্সফার ষ্টুডেন্ট বলে যাকে। তা নিজের ফীল্ডের কাছাকাছি বলে ভাবলাম কথা চালিয়ে যাই।
বিস্তারিত»নিউরনে আলাপনঃ এক
: জানো, এখানে খুব বৃষ্টি হচ্ছে?
: জানি আজ সারারাত বৃষ্টি হবে।
: আমি তোমার সাথে দু’টো কথা বলার জন্য ভেতরে ভেতরে ছটফট করি ভীষণ!
: রাতে যদি কখনো বৃষ্টি নামে বুঝে নিও সব কাজ শেষে ঘরে ফেরার মত
আমি মেঘ হয়ে এসেছিলাম, তোমার ছাদের ওপর ভাসে আমার বুকে জমে থাকা জল!
: ইস, তাই বুঝি?
: হুম, হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি ছুঁলেই আমায় ছোঁবে …
আমি কেন ডঃ রমিত আজাদের কৃতকর্মের বিরুদ্ধে এত সোচ্চার — এডমিন সমীপে
গেল দুদিন খুব ঝক্কি গেল। ব্যাস্ততার কারণে অনেক প্রিয় লেখা পড়া হয় না, মন্তব্য করা হয় না।
মাঝেমধ্যে ঢুঁ মেরে চলে যাই। হঠাৎ ডঃ রমিত আজাদের সাম্প্রতিক একটি লেখায় অস্বাভাবিক ট্রাফিক লক্ষ্য করে কৌতূহলী হয়ে উঠি।
প্রসঙ্গৎ বলে রাখা ভালো, ইতোপূর্বে নানান কারণে তিনি সিসিবিতে হতাশার কারণ হয়েছিলেন দফায় দফায় – তা সেসবার বিস্তারে যাচ্ছিনা, অনেকে অবগত আছেন – প্রয়োজনে পুরনো লেখা উত্তোলন করে দেখয়ে নিতে পারেন (অবশ্য কোন ভায়াবহ দুর্যোগ যে নেমে আসবেনা তার নিশ্চয়তা দিতে পারবোনা)।
ডক ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় (ভূমিকা পর্ব)
ভানুঃ (গুনগুন করে নিজের মনে কীর্তন গাইছে)
ভজো দুহাত তুলিয়া ভজো কাঞ্চন গোঁসাই …
তাঁর জোরে সবাই তোমায় বাপ ডাকবে ভাই …
ওরে থাকলে তিনি ট্যাঁকের মাঝে বুকে বাড়ে বল …
স্ত্রী পুত্র ভাই বন্ধু তোমার পদতল …
ওরে টাকাই ধর্ম টাকাই কর্ম কলিযুগের সার …
সত্য নিষ্ঠা আইন কানুনের মাথায় ঝাঁটা মার …
ভজো দুহাত তুলিয়া…
আগন্তুকঃ আরে আরে দেখি,
বিস্তারিত»