ছোটবেলা থেকেই ফুটবল খেলাটা আমার খুবই প্রিয় ছিলো। সেই ক্লাস ৫ এ ফুটবল খেলতে গিয়ে পায়ের গোড়ালি মচকিয়েছিলাম; তারপর মা পিটাবে, ঐ ভয়ে সারাদিন বাসায় যাইনি। তাতে অবশ্য লাভ হয়নি, সন্ধ্যাবেলা যখন ঠিকই পা ফুলে ঢোল হয়ে গিয়েছিলো আর শরীর কাঁপিয়ে জ্বর এসেছিলো, তখন মা’র বসকিছু বুঝতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার পর খেলাধুলার জন্য অনেক সুযোগ পেলাম, কিন্তু সেই ক্লাস ১০এ পা ভাঙ্গার পর ফুটবলটা আর আগের মত খেলা হয়ে উঠেনি।
বিস্তারিত»জাম্প (Jump)


“Which one for you dear?”
একটু অবাক হয়েই উপরে তাকিয়ে দেখি একজন বয়স্কা মহিলা হাতে একটি ক্লিপবোর্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে। বুঝতে পারিনি আমাকেই জিজ্ঞেস করা হচ্ছে কিনা।
আসলে অনেক্ষন ধরেই বসে আছি এই অজানা জায়গাতে। একটি বড় রুম। রুমের এক সাইডে একটি বড় টিভি। আর সাথে টিভি দেখার জন্যেই বোধহয় অনেক গুলো চেয়ার রুম জুড়ে গোল করে সাজানো। আমি একা নই,
টিটোর গপ্পোঃ পিঠার গাছ
এক ছিল রাখাল। সে তার মামার গরু চরাত।একদিন মামী অনেক পিঠা তৈরী করল । রাখাল তো খুব খুশী। মজা করে পিঠা খাবে। কিন্তু মামী তাকে একটাও পিঠা দিল না। রাখালের খুব মন খারাপ হল। সে তখন একটা বুদ্ধি করল। মামার গরুটাকে মাঠে নিয়ে গেল। আচ্ছা রকম করে পাকা ধান খাওয়াল । এত্ত খাওয়ালো ,এত্ত খাওয়ালো যে গরুটা ধান লাদা শুরু করল। রাখাল তখন গরুর পাছায় পোয়ালের সিপি দিল।
বিস্তারিত»শিশু স্বাস্থ্য
নিজেদের সন্তান বা ছোট ভাই বোন সহ আশেপাশের অনেকেই শিশু। নানারকম রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বয়ষ্কদের চাইতে তুলমামূলক অনেক কম। আবার অনেক সময় শিশুরা তাদের শারিরীক সমস্যার কথা ঠিকমতো খুলে বা ব্যাখ্যা করে বলতেও পারে না।
তাই আসুন জেনে নিই কয়েকটি রোগের লক্ষণ।
০১ Allergic contact dermatitis
বিস্তারিত»
ওরা আমাকে এত মারে কেন
আশি, নব্বই আর হালের দশকে এ দেশের কিশোর -তরুণ সমাজের কাছে কিছু ডায়ালগ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। জনমত জরিপ হয়েছে কিনা জানিনা, তবে তিনটা ডায়ালগ আমি বলব টপ চার্টে থাকবে। এক হচ্ছে, “তুই রাজাকার”, আরেকটা হচ্ছে, “ছিল্লা কাইটটা লবণ লাগাইয়া দিমু” আর “ওরা আমাকে এত মারে কেন”? হুমায়ূন আহমেদ এর জনপ্রিয় নাটক “বহুব্রীহি” তে প্রথম “তুই রাজাকার” ডায়ালগ টি ব্যবহার করা হয়। বিটিভি এর জনপ্রিয় অনুষ্ঠান “ইত্যাদি” এর কোন এক পর্বে “ছিল্লা কাইটটা লবণ লাগাইয়া দিমু” ডায়ালগটিকে,
বিস্তারিত»উইম্বলডন ২০১৪: পর্ব ১
কেমন হচ্ছে উইম্বলডন ২০১৪ ? বিশ্বকাপের ডামাডোলে পত্রিকার পাতা থেকে অনেকটা অসহায় নির্বাসনে । চলুন না পুরুষ এককের প্রতিযোগিতা কেমন জমেছে দেখে আসি ।
রাউন্ড ওয়ানঃ নেই তেমন কোন অঘটন । বাছাইদের মধ্যে বাদ পড়েছেন কেবলই ফার্নান্দো ভার্ডেস্কো। ৫ সেটের ম্যাচে ফগনিনি হারান আলেক্স কুজনেতসোভ কে । বাছাই খেলোয়াড়েরা অনায়াসেই পার হয়েছেন প্রথম রাউন্ড।
২য় রাউন্ডঃ প্রতিদ্বন্দ্বিতার আমেজ চলে আসে ষোল আনা।
বিস্তারিত»বইপোকার আত্মকথা
মনিষী বলেছিলেন -‘জীবনে শুধু তিনটি জিনিষের প্রয়োজন। আর তা হল বই,বই এবং বই’।
কথাগুলার মর্মার্থ বুঝতে আমারও বেশী দিন লাগে নি ।আগে টুকটাক বই পড়লেও ,বইয়ের নেশা মূলত চেপে ধরে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হবার পর । কলেজ এর সুবিশাল পাঠাগার দেখে নিজেকেই হারিয়ে ফেলতাম । বই,বই আর বই । সব ধরনের বই সুন্দর করে সাজানো । সপ্তম শ্রেণীর এই পুচকে তখনি একটা নিয়ত করে ফেলে,
বিস্তারিত»সিরিয়াল ২৩ ও ২৪, হাজতে বাসর
সিরিয়াল ২৩
২২ ডিসেম্বর, ২০০২, হাজতে বাসর
মাথা নিছু করে কাঁদছিলাম আম্মুর হাত ধরে। কিন্তু ওসির কথায় সম্বিত ফিরল।আমি থাকতে আরিফ হাজতে ঢুকবে! আহারে, আমার জন্য বেচারা আর কত কষ্ট করবে!
আমিঃ আব্বু, আমার ১৮ বছর হয়েছে। আমার জন্ম ১৯৮৪ সালের ৫মে।
ওসিঃ উনি কি ঠিক বলেছেন?
আব্বুঃ হ্যা।
ওসিঃ তাহলে আপনি বাবা হিসেবে কেস তুলে নিতে পারেন
আমিঃ আমাকে কেউ জোর করে আনেনি এখানে।
ইলিশ মাছের তিরিশ কাঁটা
সময়ের ব্যাপ্তি টা ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সাল। আমার ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণীর সময়ের কথা। ঢাকা শহরের এ.জি.বি. কলোনীতে তখন থাকি। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার কথা এই বিশ্বকাপের সময় মনে পড়ে যাচ্ছে। সময়টা তখন অনেক ধীর গতিতে যেত বলে মনে হত। ঠেলা দিয়েও মনে হয় সময়কে পার করা যেত না। একটা দিন কিভাবে শেষ হবে এই চিন্তা। বাবা সরকারী চাকরী করত। অবশ্য কলোনীতে আমরা যারা থাকতাম সবার বাবাই সরকারী চাকরী করত।
বিস্তারিত»সাময়িক পোস্টঃ প্রেডিকশন গেমে নক আউট পর্বের স্কোরিং
নক আউট সেকশনের পয়েন্ট ক্যালকুলেশনঃ
মূল স্কোরিং গ্রুপ পর্বের মতই হবে। খেলা পেনাল্টিতে গড়ালে নিচের নিয়মগুলো কার্যকর হবেঃ
* পেনাল্টি সহ মোট গোল সংখ্যার জন্য আগের নিয়মেই বোনাস।
* ১২০ মিনিটে ড্র সঠিক ভাবে প্রেডিক্ট করলে কিন্তু পেনাল্টি রেজাল্ট ভুল করলে ড্র পেডিক্ট এর পয়েন্ট পাওয়া যাবে।
* ১২০ মিনিটে সঠিক গোল সংখ্যাসহ ড্র প্রেডিক্ট কিন্তু পেনাল্টি রেজাল্ট ভুল করলে ড্র প্রেডিক্ট এর পয়েন্ট সহ সঠিক গোল সংখ্যার বোনাস পাওয়া যাবে।
বাচ্চা+আমি (১)
তখন বয়স আর কত হবে, মনে হয় ক্লাস ১ এর মাঝামাঝি টাইমের কথা এটা। আমি যেখানে থাকতাম, সেখান থেকে আমাদের থানা সদরের (মনোহরদীর) একমাত্র বাজারটির দূরত্ব ১ কিলোমিটারের কিছু কম। বাচ্চাকালে বাসার পাশে স্কুলে হেঁটে গেলেই অবস্থা খারাপ হয়ে যেত (লুতুপুতু বাচ্চা আছিলাম আর কি!!), আর ১ কিলোমিটারের মত হাঁটা তো অনেক কিছু। তখন আবার ঘুড়ি উড়ানোর সিজন চলছিলো। বাসার সামনের মাঠে, পাশের ধানক্ষেতের উপরের আকাশ বিকালবেলা ভরে যেত নানা রঙ-বেরঙয়ের,
বিস্তারিত»সিরিয়াল ২১ ও ২২, ২২ ডিসেম্বর, ২০০২, বাসর নাকি বেদনার আসর!
সিরিয়াল ২১
২২ ডিসেম্বর, ২০০২, বাসর নাকি বেদনার আসর!
পুলিশঃ আপনি আমার সাথে আসেন(আমার দিকে তাকিয়ে)।কি নাম?
আমিঃ শর্মিলী
পুলিশঃ আনোয়ার হোসেন
পুলিশঃ বয়স কত?
আমিঃ ১৮
পুলিশঃ দেখেতো মনে হচ্ছে না। কাগজ দেখান
আমিঃ আমার কাছে কাগজ নেই স্যার
পুলিশঃ তাহলে বুঝব কিভাবে এটা বাল্যবিয়ে না?
আমিঃ স্যার মে মাসেই আমার ১৮ হয়ে গেছে।
সাংবাদিকতার নীতির কতটা বাইরে যেতে পারি
(০৩/০৫/২০১৩) এক টেলিভিশন সাংবাদিকের ছবি ফেসবুকে ঘুরছে। তিনি একটি চ্যানেলের প্রতিবেদক। তাকে দেখা যাচ্ছে জুরাইন কবরস্থানে একটি খোঁড়া কবরের মধ্যে মাইক্রোফোন হাতে দাঁড়িয়ে পিটিসি (পিস টু ক্যামেরা) দিচ্ছেন। দৃশ্যটি হয়তো টেলিভিশনে প্রচারিতও হয়েছে। একজন ফটোগ্রাফার ওপর থেকে তুলছেন দৃশ্যটা। তবে প্রতিবেদক দাবি করেছেন, এটা সম্প্রচারিত হয়নি। কিন্তু ছবিটি সাংবাদিকতার যা ক্ষতি করার করে দিয়েছে। ছবিটা টেলিভিশনের চেয়েও বড় মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে।
ছবিটি দেখার পর এই প্রতিবেদক সম্পর্কে কী ধারণা হয়েছে দর্শকের,
বিস্তারিত»সাংবাদিকতায় ফলো-আপের অভাব
সাংবাদিকতা পেশায় অনেকগুলো বছর পার করার পরও কেমন যেন লাগে। মনে হয় ঠিক মতো আমার সব কাজগুলো করতে পারিনি। কারণ অনেক। মাঝে-মাঝে নিজেরই ইচ্ছে হয়নি। কিছু সময়ে আলস্য গেঁড়ে বসেছিল, আবার অনেক সময় আমার নিজের দুর্বলতা ছিল। কিন্তু বেশিরভাগ সময়-সুযোগ হয়নি। তার মানে কিছুই যে করতে পারিনি তা নয়; তবে অনেক কাজই অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।
এ কথা শুধু আমার একার নয়। বাংলাদেশে সাংবাদিকরা সুযোগের অভাবে অনেক কাজ করতে পারেন না।
বিস্তারিত»আমাদের মিজান এবং একটি মানবিক আবেদন
রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের এ্যাডজুটেন্ট হিসেবে জয়েন করেছি কয়েক মাস হলো। এর আগে ছিলাম মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে। আমার এ পর্যন্ত চাকুরি জীবনে খুব অন্যরকম অভিজ্ঞতা। কাজের ধরন, পারিপার্শ্বিকতা আর অনেকখানি নস্টালজিয়া তো রয়েছেই।
সেদিন সকালে অফিসের সামনে দাড়িয়ে মোবাইলে কথা বলছিলাম হঠাৎ চোখ পড়ল একজনের উপর, হলুদ শার্ট পরনে, আমাদের বয়সী হবে। হাবভাবে মনে হল কলেজে ঢুকতে চায়। অফিসে বসে গার্ডকে দিয়ে ডেকে আনালাম।
বিস্তারিত»