ক্যাডেটীয় বিশ্বকাপ: বিশ্বকাপ সময়ের কিছু মজার ঘটনা

এক
আমাদের একজন জনৈক সিনিয়র ভাই ছিলেন যিনি পৃথিবীর কোন কিছু সম্পর্কেই খোঁজ খবর রাখতেন না। আমরা তাকে বলতাম, সংযোগ বিছিন্ন মানুষ। যেমন ডাইনিং হলে খাবার খাওয়ার সময় প্রায়ই তার পোষাকে তরকারির ঝোল লেগে থাকতো। তার সহপাঠীরা অনেকেই মজা করে বলতো, কি রে তুই খেয়েছিস না তোর শার্ট খেয়েছে?
বেচারা অসহায় ভঙ্গিতে উত্তর দিত, দুটোই। হাতে ঘড়ি পড়লেও তিনি অন্যদের কাছে সময় জিজ্ঞেস করতেন।

বিস্তারিত»

মণ্ডল থেকে সরকারঃ ৩য় পর্ব

ব্রিটিশ আমলে ফিরিঙ্গি ঠেঙ্গান রিয়াছত উল্লাহ সরকার। ছেফাত উল্লাহ সরকার, গ্রামঃ মাড়িয়া, থানাঃ বাগাতিপাড়া, মহকুমাঃ নাটোর, জেলাঃ রাজসাহীর ২য় পুত্র তিনি।দেখতে রাজপুত্রের মতই ছিলেন তিনি।সোনার মত গায়ের রং। বাঘের মত চেহারা।মতির মত চোখ। অসুরের মত শক্তি। দারুণ মেজাজী।দোর্দন্ড প্রতাপ। দুহাতে রোজগার করেছেন, দেদার খরচ করেছেন।অত্যন্ত অতিথি বৎসল।রাজকীয় চালচলন। তাই সংসারে শ্রীবৃদ্ধি ঘটেনি। সব সময় ইয়ার বন্ধু পরিবেষ্টিত থেকেছেন। সুতরাং এজাতীয় কিছু দোষে দুষ্টও ছিলেন।একটু খোলাসা করেই বলি।তখনকার সম্ভ্রান্ত লোকদের মত পান করার অভ্যাস ছিল।

বিস্তারিত»

সেই সময়

তখন প্রেমগুলো ডিজিটাল হয়ে উঠেনি। ক্লাশ সিক্সের ঐ এনালগ সময়ে বন্ধুর সাইকেলের পিছে চড়ে তার সাথে তার প্রেয়সীকে উপহার বা কার্ড দিতে ছুটে গিয়েছিলাম। “পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং গুঁড়ো করে দেব” গানের মতো এলাকার বড় ভাই এর হাতে ঝাড়ি খেয়ে আমাদের ফিরে আসা। 

এক বান্ধবীকেই ভালোবেসে ফেলেছিলো দুই কাছের ক্যাডেট বন্ধু। দুইজন এসে দুঃখের কথা বলেছিলো আমাকেই। ক্যাডেট কলেজ এর ছুটিতে গিয়ে এক বন্ধুর হয়ে ওকালতি করলাম,

বিস্তারিত»

চুনকাম চলিতেছে, সবার সাহায্য কাম্য

বর্তমানে সিসিবির থীম ইন্টারফেসসহ আরও নতুন নতুন ফীচার আপগ্রেড ও সংযোজনের কাজ চলছে। প্রথম ধাপে সিসিবির থীমটি আপগ্রেড করে রেসপন্সিভ বা মোবাইল ডিভাইস বান্ধব করা হয়েছে। এর মানে হচ্ছে ডেস্কটপ, ট্যাব, স্মার্টফোন সকল ডিভাইসের রেজুলেশন অনুসারে সিসিবির থীমটি আপনাআপনি মানিয়ে নেবে। যেহেতু প্রথমদিকের কাজ চলছে, কাজেই নানা ধরণের বাগ প্রত্যাশিত। সিসিবির নিয়মিত পাঠক/লেখকদের তাই যে কোন ধরণের সমস্যা বা বাগ রিপোর্ট নিচে মন্তব্যের ঘরে করার জন্য অনুরোধ রইলো।

বিস্তারিত»

স্মৃতির পাতায় বিশ্বকাপ অথবা বিশ্বকাপের স্মৃতি : ইটলিয়া ৯০

টানটা কিছুটা রক্তের আর কিছুটা পরিবেশগত ভাবে পাওয়া। তবে সেই টানের রেশ রক্তের স্রোতে সব সময় টের পাই সময়ে কিংবা অসময়ে। সেই টান খেলাধূলার প্রতি টান এবং আমাদের জেনারেশনের জন্য বললে আরো স্পেসিফিক হয়ে যায় ফুটবলের প্রতি টান। যেই সময়ে এই টানের শুরু সেটা প্রায় দুই যুগ আগের গল্প। যখন ঢাকা শহর কিংবা তার পাশ ঘেষে শহরতলীর যে জায়গাতে আমার বাড়ি, এখনকার মত পুরো মাত্রায় ধূলো ধোঁয়ায় ধূসরিত হয়ে উঠে নি।

বিস্তারিত»

একখানি ত্রিভুজ প্রেম উপাখ্যান

প্রেম জিনিষটা কি সেটা বোঝার বয়স হবার আগেই প্রথমবারের মত প্রেমে পড়ে যাই। প্রথম দর্শনের প্রেম ছিল কি না সেটা বলতে পারবো না কারণ প্রথম দর্শন ঠিক কবে সেটাই মনে নেই। তবে প্রেমে পড়তে খুব বেশিদিন লাগেনি এটা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি। আর সবার মত আমার প্রেমও আমাকে নিয়মিত হাসিয়েছে, কাঁদিয়েছে, আনন্দ দিয়েছে মাঝে মাঝে রাগে চুল ছেড়ার চেষ্টাও করিয়েছে। তবে ছেড়ে যায়নি কখনো, এখনো আমার প্রথম প্রেম আমার সাথে আছে,

বিস্তারিত»

ধূসর নস্টালজিয়া

২০০৬ এর কোন একটা সময়। কাঁধের ওপর ততদিনে উঠে গেছে তিন স্ট্রাইপ। গেমস টাইমে খেলা,ব্লক ক্রিকেট, আম-কাঁঠাল চুরি, স্যারদের টিজ করা আর ক্লাস বাঙ্ক মারা। জীবন যাপন মোটামুটি এ কয়টা জিনিসের মাঝেই আটকে আছে। পিঠের কাছে সদ্য গজানো পাঙ্খা নিয়ে ইকারাসের দূর সম্পর্কের চাচাত ভাই ভাবা শুরু করেছি নিজেদের।

সামনে একমাত্র বড় ইভেন্ট বলতে ফুটবল বিশ্বকাপ। হিসেব কষে দেখলাম ক্যাডেট লাইফে আর কোন বিশ্বকাপ পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। 

বিস্তারিত»

ফেরা

স্টেশনে আমি পৌছালাম শেষরাতের দিকে,
বহু পুরনো ঠিকানা আমার,
জানতাম না আবার ফিরে আসতে পারবো কিনা;
হোক না অন্যভাবে, তবু এসেছি আমি আবার।

রফিক চাচা, হোসেন আর কামাল এসেছে-
আমাকে নিয়ে যেতে,
অনেক চেনা জায়গা এটা; তবু এসেছে ওরা।
কারণ, আসতে হয়।

আমাকে নিয়ে এগুতে থাকে ওরা-
সামনেই নতুনবাজারের মোড়।
হাহ, নতুনবাজার!
৬০-৭০ বছরের পুরনো বাজার।

বিস্তারিত»

বিশ্বকাপ দেখাদেখির অভিজ্ঞতা

ভাবছি বিশ্বকাপ দেখাদেখির অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা অনুব্লগ লিখে ফেললে কেমন হয়?

২০০৬ সালেও ফ্ল্যাট টিভি মোটামুটি আধুনিকই একটা জিনিষ। সবার নাই। গড় পড়তা মানুষের মত আমার বাসাতেও ২৫ ইঞ্চি সাধারন এক টিভি আর বেডরুমের জন্য ১৪ ইঞ্চি একটা মিনি টিভি। বিশ্বকাপ শুরুর আগের দিন সন্ধায় হাটতে বেরিয়েছি। মালিবাগ চৌরাস্তায় সনি র‍্যাংগস শো রুমে দেখি ২৯ ইঞ্চি ফ্ল্যাট টিভিতে বিশ্বকাপের প্রমো চলছে। হঠাৎ মনে হলো,

বিস্তারিত»

স্মৃতির পাতায় বিশ্বকাপ

বিশ্বকাপ এক উন্মাদনার নাম ;বিশ্বব্যাপী আরাধ্য ভালবাসার নাম । টুকরো টুকরো জ্বলজ্বলে সব স্মৃতি নিয়ে আর মাত্র কয়েকদিনেই হাজির হচ্ছে বিশ্বকাপ ২০১৪। সপ্তম বারের মত হাজির হবে মানসপটে, মনের আনাচে কানাচে লুকানো স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসবার এখনই সময় । সত্যি বলতে কোন বিশ্বকাপের সবগুলো ম্যাচ তো দেখা হয় ই নি – এমনকি সিংহভাগও না । কারণ বিভিন্ন, কিন্তু মূল সুর অভিন্ন। না দেখার কষ্ট, আর যেটুকু দেখা তার তীব্র আনন্দ কিংবা হতাশা ।

বিস্তারিত»

বিবাহের শুরু- সিরিয়াল ১৭ ও ১৮

সিরিয়াল ১৭

ডিসেম্বর ২০,২০০২।..চারুকলা…বিবাহের শুরু

চারুকলার জনগণ মুখ চাওয়াচাওয়ি করে যে যার কাজে চলে গেল

আরিফঃ তুমি সবার সামনে আমাকে পায়ে ছুয়ে সালাম করলে?

আমিঃ কি করব! আপনি যে কাদলেন!

আরিফঃ সবাই ভাবল, তুমি আমার বউ

আমিঃ আর আপনি একটা পাগল!

আরিফঃ এখন তো আর টাকা নিয়ে রিকশায় ঊঠতে আপত্তি নেই

আমিঃ কেন নেই?

বিস্তারিত»

তৃণমূল রাজনীতির হালচাল

বিডি নিউজ ২৪-এ প্রকাশিত আরেকটা রাজনীতি বিষয়ক অপএড

এই লিখাটার একটা ইতিহাস আছে।
মাস খানেক আগে “রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীন ব্যবস্থাপনা: কিছু প্রস্তাব” শিরোনামে একটা অপ-এড লিখেছিলাম। ওটা পড়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসি কবি-শিক্ষক-গবেষক বন্ধু মিল্টন হাসনাৎ বললো পরের বার দুইদলের গঠনতন্ত্র ভিত্তিক কিছু একটা লিখতে। সেইখান থেকেই এই লিখাটার ধারনা পাওয়া।

এইটা মোর অব অপিনিয়ন বাট বেসড অন সাম এনালাইসিস।

বিস্তারিত»

নব্বইয়ের কাসুন্দি

ইতালিয়া নাইন্টি টিভি রুম ভর্তি
সাদা বুক পেট উরু
বিশ্বকাপের শুরু।

বুঝেনা ফুটবল
নাম জানে ম্যারাডোনা
আর্জেনটিনা।

বুঝে ফুটবল
আর ব্রাজিল
বাকি সব আঁতেল।

ফাউলও একটা কলা
বুঝে ম্যারাডোনা
ধরা ক্যামেরুনে।

গোলমুখে ছিল ব্যান
মার্কো ভ্যান
হল্যান্ড আর বাস্তেন।

সাম্বা ছন্দ হয় বন্ধ বলে আর কৌশলে
উড়ায় নীল সাদা
পলি ব্যাগ আমোদে।

বিস্তারিত»

স্মৃতিকথন (টুকরো বিনোদন দ্বিতীয় পত্র)

১/ তখন ক্লাস এইটে। ২২৬ নাম্বার রুমে থাকি আমি,নাহিদ আর রিয়াজ। তো নাহিদ হইলো সেই লেভেলের নিশাচর প্রানী, কাজেই ওর একটা অভ্যাস আছিল বিশেষ করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘুমানো নইলে অন্যান্য দিন হলে প্রেপের পরেই এসে ঘুমানো আর লাইটস অফের পরে উঠে সারা রাত জেগে পড়া (সাথে বাকি সব কিছু ফ্রি, ওইটা না বলি)। আমার কাজ ছিল লাইটস অফের সময় ঘুমানোর আগে ওকে ডেকে দেয়া। এদিকে আমার আর রিয়াজের অভ্যাস ছিল যে আমরা মশারীর নিচে ঘুমাইতে পারতাম না কাজেই লাইটস অফের সময় শুধু কোনার বেডের জানালার পাশের মশারী ঝুলত আর আমি মশারি খুলেই ঘুমাতাম।

বিস্তারিত»

দর্শক ক্যাটাগরি নিয়ে একটি অনুব্লগ

বিশ্বকাপ নিয়ে লিখার ইতি টেনে দিয়েছিলাম। এরপরে একটা স্ট্যাটাস দিতে বসলাম ফেবু বন্ধুগনের জন্য, শেষ করে দেখি তা শুধু স্ট্যাটাস নাই, অনুব্লগে দাঁড়িয়ে গেছে।

ফাও একটা অনুব্লগ যখন পাওয়াই গেল, ভাবলাম, পোস্ট করে দেই সিসিবি-র পাঠকগনের জন্যও। আফটার অল, অনুব্লগ পোস্টিং-এ যখন কোন রেসট্রিকশন নাই…

বিশ্বকাপ এলেই দেশটা, দেশের মানুষগুলো যেভাবে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনায় ভাগ হয়ে যায়, ব্যাপারটা খুবই মজার।
ওরা আমাদের চিনুক বা না চিনুক,

বিস্তারিত»