দর্শক ক্যাটাগরি নিয়ে একটি অনুব্লগ

বিশ্বকাপ নিয়ে লিখার ইতি টেনে দিয়েছিলাম। এরপরে একটা স্ট্যাটাস দিতে বসলাম ফেবু বন্ধুগনের জন্য, শেষ করে দেখি তা শুধু স্ট্যাটাস নাই, অনুব্লগে দাঁড়িয়ে গেছে।

ফাও একটা অনুব্লগ যখন পাওয়াই গেল, ভাবলাম, পোস্ট করে দেই সিসিবি-র পাঠকগনের জন্যও। আফটার অল, অনুব্লগ পোস্টিং-এ যখন কোন রেসট্রিকশন নাই…

বিশ্বকাপ এলেই দেশটা, দেশের মানুষগুলো যেভাবে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনায় ভাগ হয়ে যায়, ব্যাপারটা খুবই মজার।
ওরা আমাদের চিনুক বা না চিনুক,

বিস্তারিত»

খোয়াই পাড়ের গল্প।

হাতেম আলী নামে আব্বার একজন বন্ধু ছিলেন- তাঁর দেশের বাড়ি কোথায় এ মুহূর্তে আমার স্মরণে নাই। এটা মনে আছে যে, প্রায়ই তিনি রাজশাহীতে আমাদের শালবাগানের বাসায় আসতেন। তিনি এসব গল্প করতেন যে, বাড়িতে তাঁর আমার বয়সী দুই ছেলে আছে- যারা চূড়ান্ত ত্যাঁদড়। তাঁরা দিনভর গ্রামের রাস্তায় হাতেপায়ে ধুলো মেখে মার্বেল খেলে বেড়ায়। ছেলেদুটির বিদ্যার রেখা খুব বেশীদূর এগুবেনা- সেটা নিয়ে হাতেম আলীর চিন্তার শেষ ছিল না।

বিস্তারিত»

ব্রাজিল আমার প্রথম ফুটবল প্রেম

সাল ২০০২,চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ি।খেলাধুলা বলতে ক্রিকেট কেই বুঝতাম,ফুটবল অত দেখা হইতো না।ক্রিকেট কে এতই ভালবাসতাম যে বাসায় ডিশ ছিল না দেখে সারাদিন কানের কাছে রেডিও নিয়ে ঘুরতাম স্কোর জানার জন্য।কিছুদিনের মধ্যে দেখলাম বাসার আশেপাশে ব্রাজিল,আর্জেন্টিনার পতাকা ঝুলানো হচ্ছে বুঝতে বাকি রইলো না বিশ্বকাপ শুরু হতে যাচ্ছে।বাসায় আব্বু,চাচাতো ভাই সবাই আর্জেন্টিনার সাপোর্টার আমি তখন ও কোন টিম সাপোর্ট করা শুরু করিনি।
আমি প্রাইভেট পড়তাম বাসার থেকে একটু দূরে স্যার এর ছেলে ছিল না ছিল একটা মেয়ে তখন মনে হয় ক্লাস ১২ এ পড়তো তাই স্যারের বাজার করা,দোকানে যাওয়া এগুলা আমাদের দিয়েই করাইতো।

বিস্তারিত»

আরো কিছু স্মৃতি চারন: ১৯৮৬-৯৪

ছিয়াশির বিশ্বকাপ ছিল পুরোই ম্যারাডোনাময়।

ছিয়াশিতে ম্যারাডোনাকে পারফর্ম করতে দেখে প্রথমেই সিজার মিনোত্তির ওপর প্রচন্ড রাগ হয়েছিল। বুঝেছিলাম, এই রকম একজন ক্লাস প্লেয়ারকে তিনি ঠিকমত ব্যবহার করতে পারেন নাই। ম্যারাডোনাকে দিয়ে কেবলি মাঠ ব্যাস্ত রাখার যে স্ট্র্যাটেজিটা তিনি নিয়েছিলেন সেটা ভুল ছিল। ম্যারাডোনাকে ব্যবহারে কার্লোস বিলার্দো সেদিক থেকে অনেক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছিলেন। দুইটা রোলই সে প্লে করতো। যখন দেখতো তাঁকে কড়া মার্কিং-এ রাখা হয়েছে,

বিস্তারিত»

সাদা মসজিদ

আব্বা যখন তাঁর চার মাসের গৃহত্যাগের মহাপরিকল্পনা বিষয়ক প্রকল্পের খসড়া অনুমোদনের জন্য হল্যান্ডে ফোন করলেন, আমি তখন ট্রেনে। ট্রেন তার দুরন্ত গতি নিয়ে শব্দের ঝড় তোলে। সে ঝড়ে সাত হাজার মাইল দূর থেকে ভেসে আসা পিতার গলার আওয়াজ খুব একটা জোরালো নয়। আমি শুধু বুঝতে পারলাম যে, পিতা ঘর ছাড়বেন। বাংলাদেশের কোন প্রান্তে তিনি দাওয়াতী কাজে যাবেন, সেটা যদিও’বা এখনও নিশ্চিত নয়, তবে আগামী চারমাস যে তিনি ঘরে নেই- এটা নিশ্চিত।

বিস্তারিত»

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ- আর কতদিন চুপ থাকবেন?

মার্টিন নিমোলার সেই বিখ্যাত As they came… সাথে আমরা মোটামুটি সবাই পরিচিত। প্রথমে জার্মান ভাষায় লেখা হলেও পরবর্তিতে তা বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। এটির বাংলা অনুবাদ/ভাবানুবাদ অনেকটা এরকম-

যখন নাৎসীরা কমিউনিষ্টদের
হত্যার জন্য এসেছিলো
আমি তখন নিরব ছিলাম
কারন আমি নিজে
কমিউনিষ্ট ছিলাম না।
যখন তারা গণতন্ত্রীদের
কারাগারে নিক্ষেপ করলো
আমি তখনও নিরব ছিলাম
কারণ আমি গণতন্ত্রী ছিলাম না।

বিস্তারিত»

“বেদনার রং নীল আর আর্জেন্টিনার জার্সির রং ও নীল”– তাই মাঝে মাঝে কাঁদায়

যে কোন দল সমর্থন করার পিছনে উপযুক্ত কারন থাকে,আমি তাই মাঝে মাঝেই মনে করার চেস্টা করতাম আসলে কি কারনে আমি আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করি।সবুজ হাউজের ক্যাডেট হয়ে নীল রঙের প্রতি আমার এই তীব্র দুর্বলতা সম্ভবত নিজে্রও মেনে নিতে কষ্ট হয়,তাই হয়ত। 😛 (কলেজে থাকা অবস্থায় ক্রিকেটে ইন্ডিয়া ও সাপোর্ট করছি – খামু গালি এখনই, যাই হোক এখন করি না)।
যাই হোক মুল বক্তব্যতে ফিরে আসি।

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত রেসিপি – বিশ্বকাপ ‘১৪

তেঁতুলগোলা পানিটার দিকে আমার ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থাকা দেখে খিলখিল করে হেসে দিলো পৃ। ‘ভাই, আরেক প্লেট দেন।’
‘ভাইজানরে দিমু না?’ আমার বিরক্তিকে আরেক দফা উসকে দিয়ে জানতে চায় ফুচকাঅলা।
আমারো যদিও জিভে ভালো মতোই পানি চলে এসেছে, তবু প্রাণে ধরে সেটা স্বীকার করতে পারিনা আর। একবার না করে ফেলেছি, প্রেস্টিজ কে খসাবে।
পড়ন্ত বিকেলে একটা মস্ত লালমতন সূর্যকে আড়াল করে মুগ্ধ চোখে পৃ-র মুগ্ধতা দেখি,

বিস্তারিত»

এইবার কিছু স্মৃতিচারণ: ১৯৭৪ – ১৯৮২

চুয়াত্তরের বিশ্বকাপ ফলো করার সময়ে দুচারটা নতুন দলের নামের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম তাদের অনেক গোল হজম করার কারনে। যেমন: জায়ার, হাইতি। পড়ে ঐ জায়ারে মোহম্মদ আলী ফোরম্যানকে হারালে সবাই কে বলতে পেরেছিলাম, “জায়ার চিনো না? ওয়ার্ড কাপে নয় গোল খাওয়া দলটা।

ফাইনালের আগ পর্যন্ত অল্প কিছু প্লেয়ারকে নামে চিনতাম বিচিত্রার কারনে। তখন বাসায় বিচিত্রা রাখা হতো তাই। এঁরা হলেন ফ্রাঞ্জ বেকেন বাওয়ার, রবার্টো রিভোলিন আর য়ুয়ান ক্রাউফ।

বিস্তারিত»

নিকের মেলা

তোলা মাটিতে কলার বাগান
ইট গাঁথা লিন্টন সমান
পাল্লা চৌকাঠ জানালা
দরজা নাই বাঁচলো তালা
মেঝের উপর আকাশ খোলা
বসবে হেথায় নিকের মেলা
তাইরে নাইরে নাইরে না
বৃষ্টি হলে ঘামবে না
রোদ হলে ভিজবে না
নিক বাবা কি কানা ?

বিস্তারিত»

টিটোর গপ্পোঃ অর্থহীন ছড়া

[ ছোটবেলায় এবং ছোটদের কাছে শোনা অর্থহীন কিছু ছড়া ]

এক

গল্প স্বল্প তিলে পুড়কির ছা
গল্প যদি শুনতে চাস তো
মোড়ল বাড়ি যা
মোড়ল গেছে গাড়িতে
গু লাগিছে দাড়িতে
ধুতে গেছে গাঙে
মুতে দিছে ব্যাঙে
ধুস শালার ব্যাঙ
খাড়া দুইটা ঠ্যাং।

দুই

তাইরে নাইরে বন্ধুরে
কলা খাইছে এন্দুরে
কলার ভিতর দানা নাই
পয়সা আনতে মুনে নাই।

বিস্তারিত»

বিশ্বকাপ নিয়ে আরেক কিস্তি

অনেকেরই ধারনা, ৮২-তে ২৪ দল অন্তর্ভুক্তির পর থেকে বিশ্বকাপটা বদলে গেছে। কথাটা পুরোপুরি ঠিক না। বিশ্বকাপের প্রতিযোগিতার থিমে সবচেয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে ৮৬ থেকে। ৮২-তে দল বেড়ে কলেবর ও নক আউটের পরিধি (সেমিফাইনাল অন্তর্ভুক্ত হওয়ায়) খানিকটা বাড়লেও প্রতিযোগিতা মূলতঃ রয়ে গিয়েছিল রাউন্ড রবিন লীগ কেন্দ্রিক। প্রথম ও দ্বিতীয় দুইটা রাইন্ডই হতো রাউন্ড রবিন লিগে। ৭৮ পর্যন্ততো সেমিফাইনালও ছিল না। ৮২-তেই প্রথম সেমি ফাইনাল হয়।

বিস্তারিত»

অতসীর সতীন

http://www.cadetcollegeblog.com/raihan1303/34732 (এ সিরিজের প্রথম গল্প)

http://www.cadetcollegeblog.com/raihan1303/36719 (এ সিরিজের দ্বিতীয় গল্প)

 

অতসী এখন অনেক বড় হয়েছে। সে এখন একটা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী……সারাদিন বিজি থাকে। যখন তাকে ফোন দেই, “আমি তো পড়ছি, পরে কথা বলি?” বা “ক্লাসে এখন……পরে ফোন দেই?” টাইপ কথা শুনতে হয় আমার। আমি এইদিকে আমার স্টুডেন্ট নিয়ে বিজি, সন্ধ্যাবেলা আমার নিজেরই ক্লাস ৯ এর বাচ্চাগুলোকে সময় দেয়া লাগে।

বিস্তারিত»

কোথায় পাবো এমন মানুষ!

দিনটা এমনভাবে শুরু হবে ভাবিনি। মোবাইল নিঃশব্দ করে ঘুমাই। আজ জেগে উঠেই দুঃসংবাদ নিয়ে আসা সুকান্ত গুপ্ত অলকের ক্ষুদে বার্তাটি পড়ে স্তব্ধ হয়ে গেলাম। বেনজির ভাই নেই! মুহূর্তের জন্যও কিছুতেই বাস্তবটা মাথা থেকে সরাতে পারছি না, বেনজির আহমেদ আসলেই আর নেই।

প্রথম পরিচয় কবে? মনে নেই। রাজনীতি করতেন না, কিন্তু আওয়ামী লীগ ও কমিউনিস্ট পার্টি’র (সিপিবি) সবার সঙ্গে ঘণিষ্ট ছিলেন। আশির দশকে সচিত্র সন্ধানী অথবা একতা’র সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে পরিচয় হয়েছিল।

বিস্তারিত»

জ্বরে পুড়ে ফুটবল জ্বরঃ প্রথম প্রেমে পড়িনি।

শেষ বিকেলের রোদ এসে পড়ছে চোখে। বাবার কোল থেকে নেমে দাঁড়ালাম। গাজীপুর সেনানিবাসের ডুপ্লেক্স বাড়ির সামনে বেশখানিকটা গাড়িবারান্দার শেষ প্রান্তে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ভাইয়া। লনে হাঁটছে শফিক মামা। ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকিয়ে দেখি দোতালার বারান্দায় বসে মা হাসছে। লজ্জায় পা নড়াতে পারছি না। আমার পায়ের সামনে বলটা ছেড়ে দিল বাবা। আজকে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার খেলা হবে। আজকে আমি ব্রাজিল, কারণ গতকাল ভাইয়া ছিল ব্রাজিল। বল নিয়ে গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে ভাইয়ার সামনে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেললাম।

বিস্তারিত»