একটি পারিবারিক ফুটবলীয় গল্প

বিশ্বকাপ/ফুটবল প্রসঙ্গে আমার লেখাটি কতোটুকু প্রাসঙ্গিক তা জানিনা।বিশ্বকাপ এর শুরুতে প্রচণ্ড ফুটবল প্রেমিক একজন মানুষের কথা শুনতে হয়তো সবার ভালোই লাগবে

ক্যাডেট কলেজের ফুটবলের কথা আশাকরি সবারই মনে আছে। আহ!কি রোমাঞ্চকর দিনগুলি। নভিসেস ড্রিল এর আগে হাড় ভাঙা পরিশ্রমের মধ্যে মাঝে মাঝে যখন বিকেলে ড্রিলের জায়গায় গেমস করার সুযোগ পাওয়া যেত,মনে হতো “এত সুখ কি আমার কপালে সইবে?” নাহ! সুখ বেশীদিন সয়নি।

বিস্তারিত»

প্রথম প্রেমের গল্প

শুনেছি মানুষ নাকি তার প্রথম প্রেমকে ভুলতে পারেনা। আর সেখানে যদি থাকে বেদনার গল্প, তাহলে তো আরো ভুলার কথা না। আজকে প্রথম প্রেম এর গল্প বলতেই বসলাম।

না, কোন মানবীর গল্প বলছিনা। বলছিলাম “রোনাল্ডো-দ্যা ফেনোমেনন আর ব্রাজিল” এর কথা।

গল্পের শুরুটা ১৯৯৮ এর কোন এক পড়ন্ত দুপুরে। পড়ি তখন চতুর্থ শ্রেনীতে। বাড়িওয়ালাদের ছেলে রিমন এর সাথে আমাদের ভাই-বোনের খুব ভালো সম্পর্ক।

বিস্তারিত»

আন্তর্জাতিক ফুটবল অনুসরণ: শুরুর স্মৃতি

জীবনে প্রথম যে আন্তর্জাতিক ফুটবলটা ফলো করেছিলাম, সেটা বিশ্বকাপ না, মিউনিখ অলিম্পিকের ফুটবল।

৭২ সালে ক্লাশ টুতে পড়ি। একটি ক্লাশ টু-এর ছেলে অলিম্পিক ও তার ফুটবল ফলো করেছে, এখনো তা মনে করে রেখেছে, এটা অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইবে না। কিন্তু কি করার, আমরা যে স্মৃতিধারী তরুনতম মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম। আমাদেরকে পুরনো অনেক কথা কষ্ট করে মনে রাখতে হয়েছে / হচ্ছে ভবিষ্যতে জীবন্ত ফসিল রোল প্লে করার জন্য।

বিস্তারিত»

বিশ্বকাপ দেখোয়াড়

হোসে মরিনহোর মত নিজেকে স্পেশাল ওয়ানই মনে করি।বিশ্বকাপের নিচে কোন খেলা দেখিনা।সেই হিসেবে আমাকে বিশ্বকাপের খেলোয়াড় থুড়ি দেখোয়াড় বলতে পারেন।আমার মিতা, প্রয়াত টিটো ভিলানোভা বেশ ভাল খেলতেন।আমি যে খুব খারাপ খেলতাম তা কিন্তু নয়।প্রাইমারীতে গোল্লাছুট আর বদন দুই খেলাতেই ছিলাম বাগুন লচপচি! সেইরাম খেলতাম।না হলে কি আর দুই দলেই খেলা যায় ? কালেভদ্রে ফুটবল খেলতাম বটে।সাদা রংয়ের বলটাকে লাথি মারে।বড্ড মায়া হত আমার।হঠাৎ বলে পা লাগলে মনে মনে ছালাম করতাম আর গুনে রাখতাম কয়বার পাপটা করা হলো।

বিস্তারিত»

একটি সুখস্বপ্ন

[বিঃ দ্রঃ সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা 😛 ]

এক্স ক্যাডেট হওয়ার প্রায় তিন বছর পেরিয়ে গেছে। কলেজকে আগের মত এখন আর মিস করা হয়না, মাঝে মাঝে আশপাশের কিছু কিছু ঘটনায় কলেজের কথা খুব বেশী মনে পড়ে যায়। মাঝে মাঝে বৃহস্পতিবার রাতে ডিভিডি শো গুলোর কথা মনে পড়ে, কিংবা বাস্কেটবল গ্রাউন্ড দেখলে কলেজের বাস্কেটবল গ্রাউন্ডটাকে খুব মিস করি। মনে পড়ে ক্লাসে কিংবা প্রেপে দোস্তদের সাথে আড্ডা কিংবা ফাজলামির কথা,

বিস্তারিত»

বাবা

বাবার সাথে আমার প্রায় সবসময় ই একটা (প্রায়) কোল্ড ওয়ার লেগে থাকে। চিন্তা ভাবনায় ও মাঝে মাঝেই অমিল ধরা পরে। খুব একটা গভীরের কথা মন খুলে বলা হয় না বাবা কে যত টা মা কে বলা হয়। অনেক কথা বাবার কাছে পৌছতে মাঝখানে একটা মাধ্যম লাগে, মাধ্যম টা মা। জীবনে খুব একটা সন্তুষ্ট করতে পারি নি বাবা কে। আমার সময়ে SSC তে A+ পাওয়ার পর বাবা শুধু বলেছিল “ভাল করেছ”

বিস্তারিত»

রাজশাহীর পুঠিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাসেবায় নতুনমাত্রা

এমন হতভাগা কেউ আছেন যার পা ভেঙ্গেছে ? প্লাষ্টার করার পর ডাক্তার যখন বলেন ঐ পায়ে ভর দেবেন না । সাথে যত বন্ধু বান্ধবই থাক কেমন লাগে ? তারা আপনাকে যথাসম্ভব উঁচু করে রাখলেও কিন্তু খুবই অসহায় লাগে । এ অবস্থায় একটি হুইল চেয়ার আপনার কষ্ট অনেকখানি কমিয়ে দিতে পারে। একজন চলৎশক্তিহীন প্রতিবন্ধী রিক্সা , ভ্যান বা অন্য কোন যানবাহনে হাসপাতাল পর্যন্ত পৌছালো । জরুরী বিভাগ বা অন্যকোন শাখায় সেবা নিতে সে যখন গড়িয়ে গড়িয়ে,

বিস্তারিত»

কমিটেড বনাম ক্যাজুয়াল সম্পর্ক

আজকে রেডিওতে একটা মজার ডিসকাশান শুনছিলাম দুই তরুন-তরুনী আরজের মধ্যে। পুরাই “নদীর একুল কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস” – অবস্থা…
তারা উষ্মা প্রকাশ করছিল যে এখনকার ছেলে মেয়েদের প্রেমে আগের সেই কমিটমেন্ট নাই যা তাঁদের বাবা-মায়েদের সময় ছিল।
এরা নাকি অনেক সময়েই শুধু এই জন্য রিলেশনে জড়ায় যে একটা রিলেশন না থাকলে কেমন দেখায়। তাছাড়া রিলেশন তো রিলেশনই। বিয়ে কাকে করবো কখন করবো তার সাথে তো এর আর কোন সম্পর্ক নাই।

বিস্তারিত»

এবার তারিক (২০/১১৫২/ঝ.ক.ক.)

আমাদের সদা হাস্যোজ্জল বন্ধু তারিক (তারিকুল ইসলাম তালুকদার) আজ সকালে আমাদের ছেড়ে চলে গেল। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। অনেক রাত পর্যন্ত ভাবীর সাথে গল্প-গুজব আর হাসি ঠাট্টা করে সকালে সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেল তারিক।যতদূর জানলাম, সকালে বাথরুমে যেয়ে আর ফেরেনি তারিক, বড় মেয়ের সন্দেহে ভাবী স্কুল থেকে এসে দরজা ভেঙ্গে তারিককে ফ্লোরে শোয়া দেখতে পান, নাক দিয়ে ব্লিডিং হচ্ছিল দেখে সন্দেহ করা হচ্ছে ওর হয়তো ম্যাসিভ স্ট্রোক হয়েছিল।

বিস্তারিত»

ধর্মীয় দাওয়াত

ধর্মের প্রতি ভালবাসা আমার মনে হয় মুসলমানদের চাইতে বেশি অন্যকোনো ধর্মে নাই। থাকলেও তা চরম পর্যায়ে পোঁছায় না। দেশে-বিদেশে, হাটে-ঘাটে, স্কুল-কলেজে সব জায়গায় মোটামুটি ধর্ম প্রচারের কাজে নেমে পড়েন কিছু ধর্মপ্রাণ মুসলমান। যা অনেকের মাঝে বিরক্ত ঘটায়, কারণ হয় কথা কাটাকাটি এবং মাঝে মাঝে মারামারিতে গিয়েও পোঁছায়।
ইংল্যান্ড এর অবস্থা আরও বেগতিক, এ দিকে বিশ্ব শান্তির জন্য আফগান, ইরাক, ইরান এ তাদের আর্মি পাঠিয়ে সাধারণ মুসলিমদের সাহায্য করার নামে করছে সন্ত্রাস।

বিস্তারিত»

বিশ্বকাপ ৯৮ আর কিছু ভোল পাল্টানোর গল্প

১। ‘৯৮ এর বিশ্বকাপ। বয়স দশও হয়নি, তারপরও বিশ্বকাপের আমেজটা পেয়ে বসেছিলো ভালো মতোই। প্লেয়ার বলতে যদিও এক রোনালদোকেই চিনতাম, তারপরও আমার মাথায় খালি বিশ্বকাপই। বিশ্বকাপ বলতে খাতায় সারাদিন একটা বেল মাথা ৯ নম্বরের রোনালদো আর নীল রং এর উডিউড পেকার টাইপের বিশ্বকাপের মাসকট ফুটিক্স আঁকা !

২। বিশ্বকাপ শুরু হলো। বাসার ছাদে ব্রাজিলের পতাকা লাগলো, কারণ ফ্যামিলিগত ভাবেই সবাই ব্রাজিলের কড়া সমর্থক।

বিস্তারিত»

মণ্ডল থেকে সরকার-২য় পর্ব

প্রপিতামহ

বাপুরে, তুমরাও তো মুণ্ডল আচেলে ।বাড়িউ আচিলি মুণ্ডল পাড়াত। বড়লোক হয়া সরকার হয়া গিচো। ঝুমর মুণ্ডলের ব্যাটা  হারু মুণ্ডল । তার ব্যাটা পাঁচু মণ্ডল । তার ব্যাটা ছেরফাত সরকার, তুমার বাপের দাদা।ট্যাকা কড়ি বেশি হয়া  সরকার হয়া গেলো।

ছেফাত উল্লাহ সরকার, পিতাঃ পাঁচু মণ্ডল/সরকার, গ্রামঃ মাড়িয়া, থানাঃ বাগাতিপাড়া, মহকুমাঃ নাটোর, জেলাঃ রাজশাহী। তিনি বিয়ে করেছিলেন গালিমপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে।হিন্দু জমিদারদের শাসনামলে তাদের পুকুর ,

বিস্তারিত»

ঘরট্ট (সম্ভবত পাঁচ-ছয় পর্বের একাংশ)

সাবজেক্ট হিসেবে দর্শন যে এতো আগ্রহোদ্দীপক সেটা আগে বুঝিনি। দর্শনপাঠ আমাকে সত্যিই অবাক করেছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে দর্শনের শুরুটাও মানুষের অবাক হবার ক্ষমতা থেকে। অবাক বিস্ময়ে মানুষ নিজেকে প্রশ্ন করেছে, আচ্ছা আমরা কোত্থেকে এলাম? এই পৃথিবীটা আসলে কিসের তৈরি? আকাশে নিয়ম করে র্সূয উঠে, চাঁদ ডুবে, রাতের আকাশে ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার নক্ষত্রকণা – এতোসব আয়োজন – এর পেছনের রহস্য কি? প্রচলিত পূরাণকাহিনী অনুযায়ী এসব এক একজন দেব-দেবী কিম্বা তাদের কোন যাদুকলা। 

বিস্তারিত»

ঘরট্ট (প্রথম পর্বের কিছু অংশ)

আমরা এখন গুলিস্তান বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছি। কিছুক্ষণ আগে এইখানে বানরের খেলা দেখানো হলো। আমাদের এতো কাছে যে না চাইতেও আমরা গোল হয়ে ঘিরে থাকা দর্শকের ভীড়ে মিশে গেলাম। তাও আবার প্রথম সারিতে। বানরের নাম মন্টু মিয়া। খেলার সর্বশেষ আইটেম হিসেবে মন্টু মিয়া এখন বউ খুঁজতে বেরুবে। কী আর্শ্চয! মন্টু মিয়া আমার সামনে এসে লাফালাফি শুরু করে দিল। চারপাশ থেকে তুমুল হাততালি। এতো দুঃখের মাঝেও আমার খুব হাসি পেল।

বিস্তারিত»

ফেসবুকের মানুষগুলো (পর্ব-১)

অফিসে ঢুকেই মহিউদ্দিন আহমেদের মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। ৮ টা ৫০ বাজে। পুরা অফিস খাঁ খাঁ করছে। এমনি রাতে ভাল ঘুম হয়নি। এই খালি অফিস দেখে তার মেজাজ আরো চড়ে গেলো। অফিসে ঢুকার টাইম ৯ টায় । ১০ মিনিট এর রিলাক্স টাইম দেয়া আছে। সবাই হিসাব করে ৯ টা ১০ এই ঢুকবে! মাসে ৩ দিন লেট এলাউড আছে। ঐ সুযোগও নিবে! “রাবিশ! আমি হেড অফ সিকিউরিটিজ হয়ে সময়মতো চলে আসি,

বিস্তারিত»