আজ আমার ২৮তম (দ্বিতীয়) জন্মবার্ষিকী। ১৯৮৮ সালের এই দিনে আমার আগের আমি-কে ভেঙেচুড়ে… … পূনর্বিন্যস্ত করে……… নতুন আমি-কে সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিলো।
আজকের যে আমি…… ভালো-মন্দ মিলিয়ে সকলই… সে সব আমার কলেজের (পরিবেশ/সিস্টেম, শিক্ষক/শিক্ষিকা, ষ্টাফ) অবদান।
আর, আমার বুকের ভিতরে যে বিরাট সাহস, যে কোন বাধা/ সমস্যাকে আল্লাহর রহমতে ডিঙিয়ে যেতে পারার যে আত্মবিশ্বাস… সে সব আমার বন্ধুদের জন্য…
আমার কলেজের (জেসিসি) আমার ব্যাচের সব বন্ধুরা তো বটেই… আমি সাহায্য পেয়েছি আমার ব্যাচের (৮৮-৯৪) যাদের কাছাকাছি এসেছি… তাদের সবার কাছ থেকে-ই।
আমার কাছে যে বিষয়গুলিকে ক্যাডেট কলেজে পড়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা বলে মনে হয়ঃ
১। আত্মবিশ্বাস…
২। বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার মানসিকতা…(সেটা কাজের চাপ হতে পারে… কষ্ট হতে পারে…মানসিক সমস্যা হতে পারে… হতে পারে যে কোন গোপন বিষয়ও)
৩। যে কারও সাথে, যে কোন প্রতিকূল পরিবেশের সাথে সহজে মিশে গিয়ে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারার ক্ষমতা…
৪। ফিজিক্যাল এবং মেন্টাল ফিটনেস… (আমার মতন দুই একজন ছাড়া…)
৫। কো-কারিকুলার অ্যাকভিটিজ সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা থাকা… (অবশ্যই কিছু কিছু ক্যাডেট এই সেক্টরেও অসাধারণ হয়ে থাকে)
৬।অ্যাকসেপ্টিবিলিটি……
৭। অ্যাপ্রোচিং অ্যাবিলিটি…
ইত্যাদি… ইত্যাদি… ইত্যাদি…
আমার কাছে যে বিষয়গুলিকে ক্যাডেট কলেজে পড়ার সবচেয়ে বড় অসুবিধা বলে মনে হয়ঃ
১। যে কাউকে সহজে বিশ্বাস করার প্রবণতা…
২। সবাই আমার মতন-ই হবে (সকল বিষয়েই) … এই ধারণা পোষণ করা…
৩। সবকিছুতেই একটু বেশী ক্যাডেটঘেঁষা হওয়া…
৪। অধিকাংশ সময়েই নিজের আবেগকে লুকিয়ে রাখার প্রচেষ্টা করা…
হয়তো অন্যরা আরও অনেক কিছু পাবে… আমার কাছে আপাততঃ এইটুকু-ই।
আজকের এইদিনে… ২৪ মে… ১৯৮৮-১৯৯৪ ব্যাচের সকল কলেজের, সকল ক্যাডেট বন্ধুদের জানাই
“শুভ জন্মবার্ষিকী”
হ্যাপি বাড্ডে দোস্তো!
তুই এখন কোথায়?
তোর না মাষ্টারি শুরু করার কথা ছিল!
.... আহমদ, সিসিআর
.... ২৪শে মে ২০১৬ (সম্পাদিত)
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
আমার কাছে ক্যাডেট কলেজে পড়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা মনে হয়েছে সদা সর্বদা বন্ধুদের সহযোগিতা ও সাহচর্য পাওয়া।