১ …
সেদিন ক্যাফের সামনে বসে বসে আড্ডা পিটাচ্ছি। কথায় কথায় একজন বললো, আমি ইদানিং খুব বই টই পড়তেছি, তারপর কেমন যেন বদলে টদলেও যাচ্ছি, মুখ দিয়ে খ্রাপ কথা বের হয় না তেমন একটা। আমি মিটিমিটি হাসি। সবগুলো সত্য না হলেও প্রথমটা মোটামুটি সত্যি।
কলেজে অনেক বই পড়েছি, কারণ বিনোদনের একমাত্র উৎস ছিল বই। প্রেপে গল্পের বই, একাডেমি টাইমে গল্পের বই, শুক্রুবারের অলস দুপুরে গল্পের বই। তারপর আইইউটিতে এসে পিসি সর্বস্ব জীবন গ্রহণ করার পর বই পড়ার অভ্যাস জলাঞ্জলি গেল তুরাগের জলে। ল্যানে মাল্টিপ্লেয়ার গেমস, ফাঁকে ফাঁকে ভালো কিংবা সামাজিক চলচ্চিত্র, প্রচুর পরিমানে ঘুম এই সব কিছুর মধ্যে আমার বই পড়ার অভ্যেসটা স্রোতের অনুকূলে ভেসে যেতে থাকলো অনেক অনেক দূরে।
দ্বিতীয় বর্ষের শেষদিকে যখন ব্লগ নামক এক জগতের সন্ধান পেলাম তখন বাংলা পড়ার অভ্যাস একেবারেই শেষ। তাই প্রথমদিকে আমার ব্লগ পড়া মানেই মন্তব্য করবো এই উদ্দেশ্যে লেখার উপর দিয়ে হালকা উড়ে যাওয়া। উড়ে যেতে যেতেই অভ্যাসটা ফিরে এলো আবার, বাংলা পড়ার অভ্যাস। কিন্তু তা শুধু ব্লগেই। আমি পুরোদস্তুর ব্লগ পাঠক হয়ে গেলাম, প্রিন্টেড বই হাতের কাছে তেমন একটা পাইনা, পেলেও পড়ার ধৈর্য্য থাকে না, শ’ শ’য়ে পাতা দেখে শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলি, একটা সময় ছিল যখন এক কি দুই দিনে তিন চারশ পাতা পড়ে ফেলতে পারতাম।
আমার খুব প্রিয় একজন ব্লগার আছেন। অসম্ভব সুন্দর গল্প লিখেন। মাঝখানে তিনি লাপাত্তা অনেকদিন। আগে প্রতিদিন একটা করে অসম্ভব ভালো গল্প লিখে ভাসিয়ে দিতেন সব কিছু এখন আর তিনি লিখেন না। ছয় মাস পর তার সাথে দেখা হলো, বললাম, এতোদিন কোথায় ছিলেন? জবাবে তিনি জানালেন, সব বাদ দিয়ে বই পড়েছেন। পৃথিবীতে এতো এতো ভালো বই আছে, এতো এতো ভালো লেখা আছে অথচ জীবনটা বড় ছোট্ট। তিনি এই জীবনটা বই পড়েই কাটিয়ে দিতে চান, যতটা সম্ভব।
গুরু টাইপ মানুষ। আমারও মনে হলো তাই তো। এই লোক কত বই পড়ে এই কথা বললেন, আর আমি তো ছানাপোনা, বলার মতো কিছুই পড়ি নাই। ঠিক করলাম আমিও আবার শুরু করবো। স্বপ্নবাজ মানুষ আমি, স্বপ্ন দেখেই ক্ষ্যামা দেই, স্বপ্নপূরণ কর্মে ঝাঁপাই না পারতপক্ষে। কিন্তু এইবার সিরিয়াস। বই মেলা থেকে কিছু বই কিনলাম। আড়াই হাজার টাকা দিয়ে মাস চালাতে হয়, সুতরাং বাক্সভর্তি বই কেনার সামর্থ্য নেই, তার অল্প কিছুতেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো।
২ …
স্যামের সাথে ঘুটাঘুটি চলছিল অনেক অনেকদিন ধরে। এই বাধা, এই সমস্যা, ব্লা ব্লা অনেক কিছু ফানুসের মতো উড়ে গেলো পঁচিশে ফেব্রুয়ারীর কারণে। দুঃখজনক, অনাকাংখিত তবুও এটাই বাস্তব।
তারপর আমাদের সতেই মার্চ দেখা হলো। মেয়েদের পকেট ভর্তি সবসময়ই টাকা থাকে বোধ হয়। ও আমাকে দুইটা বই কিনে দিলো। শাহাদুজ্জামানের ক্রাচের কর্ণেল, আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের খোয়াবনামা। যদিও দুইটা বইই ও কিনেছিল কিন্তু আমি ওকে “খোয়াবনামা” উপহার দেওয়ার অভিনয় করলাম, আর ও আমাকে সত্যি সত্যি দিলো “ক্রাচের কর্নেল”।
আমার বাংলা হাতের লেখা খারাপ ছিল। কিন্তু কলেজে যাবার পর যাদের হাতের লেখা সুন্দর, আমি তাদের বিভিন্ন অক্ষর অনুকরণ করতাম, তারা কীভাবে মাত্রা দেয় দেখতাম। এমন করতে করতে একদিন আমার হাতের লেখা সুন্দর হয়ে গেলো। আমি মানুষের ভালো জিনিস বিনা দ্বিধায় গ্রহণ করতে পারি। স্যামের সাথে থাকার অন্যতম কারণ হলো এইটাই। দুই বছরের বেশি সময় ওর সাথে থেকে আমি দেখেছি আসলে ওর কাছ থেকে শেখার মতো অনেক অনেক কিছুই আছে। আমি খাদযুক্ত মানুষ, ওর সাথে থেকে থেকে ওর ভালো অভ্যাসগুলো রপ্ত করে বিশুদ্ধ হতে চাই।
আমাদের আড্ডার খুব প্রিয় একটা জায়গা বাউনিয়া। মাথার উপর দিয়ে প্লেন চলে যায় আর আমরা নানা বিষয় নিয়ে কথা বলি। ও কোনদিন সামান্যতম ময়লা যেখানে সেখানে ফেলেনি সেকথা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি দেশপ্রেমের কথা বলে মুখে ফেনা তুলেন- অথচ তার বাসায় স্যামরা যাবার পর আপ্যায়ন করা হলো পাকিস্তানি সেজান জুস দিয়ে। আর উপহার পাওয়া একটা জামার কাপড় যেটা পাকিস্তানী অফিসাররা দিয়েছিল বাংলাদেশ ভ্রমণে এসে সেটা ও কখনো পরে না, অনেক মজা তবুও লেয়স চিপস খায়না। এসব কথা কিংবা পারতোপক্ষে অকথার ভীড়ে আমাদের মাথার চুল উড়িয়ে প্লেন যেতে থাকে। এমন সময় ও বলে উঠে- ওর খুব ইচ্ছে লারা হবার।
৩ …
লারা আমার স্মৃতিতে ছিল হাজারটা খবরের ভীড়ে একটা ছোট্ট খবর হয়ে- একজন বাংলাদেশি মহিলা পাইলট, বিমান দূর্ঘটনায় যে মৃত্যুবরণ করেছিল। খবরটা যখন শুনি তখন সবকিছু ছাপিয়ে আমার মনে প্রশ্ন হয়েছিল, আচ্ছা মেয়েটার নাম লারা কেন?
এই প্রশ্নের উত্তর পাই পরের দিন। স্যাম আমাকে লারার মা, সেলিনা হোসেনের লেখা “লারা” বইটা দেবার পর। জানতে পারি ব্রায়ান লারা নয়, লারার নাম রাখা হয়েছে “ডক্টর জিভাগো” উপন্যাসের নায়িকা লারার নামে। উপন্যাসের লারা যেমন পড়াশোনায় রাতদিন খাটতে পারে, তেমন শারীরিক কাজেও ওর জুড়ি নেই। পরিশ্রম ওর কাছে সহজ ব্যাপার। লারার সব কিছুর মধ্যেই সুষমা আছে, নান্দনিক বৈশিষ্ট আছে। এটা লারা’র মতো মেয়ের পক্ষেই সম্ভব।
সেলিনা হোসেনের লারা কিংবা আমাদের সবার লারাও তাই। স্বল্প সময় নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিল সে। পড়াশোনা করেছে, সাংবাদিকতা করেছে, এইডস নিয়ে প্রান্তিক এলাকায় কাজ করেছে, দোভাষি হয়ে টাকা উপার্জন করে সে টাকায় পাইলট প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে।
নানা দেশ ঘুরে, নানা কাজ করে সে জীবনটাকে ভীষণভাবে উপভোগ করেছে। পৃথিবীর অসংখ্য মানুষ যা করার স্বপ্ন দেখেই দিন কাটিয়ে দেয়, সে সেই স্বপ্নগুলো ধুমধাম বাস্তবায়িত করেছে। তাই এয়ার পারাবতের কর্মকর্তাদের অবহেলায় এই মেয়েটা মরে যাবার পরও আমার তেমন একটা দুঃখ লাগে না, কারণ আমি জানি সে “ডক্টর জিভাগো”র লারার চেয়ে কোন অংশে কম তো নয়ই বরঞ্চ আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্য একটা হিংসা, একজন দেবী। আমরা তার তিনগুন সময় পেলেও কোনদিন তারমতো হতে পারবো না।
তাও ভালো উপন্যাসটা পড়া হলো, তা না হলে লারা’র মতো একজন আমার কাছে “কেন তার নাম একজন ক্রিকেট খেলোয়াড়ের নামে?” হয়েই বেঁচে থাকতো আজীবন। এখন আমি লারা কে চিনি, তার স্বপ্নগুলোকে অনুভব করতে পারি … লারা বেঁচে থাকুক, আমাদের কতো অসংখ্য পাঠকের হৃদয়ে। এতোটুকু জায়গা তো আমরা তাকে দিতেই পারি, তাই না …
পাঁচ তারা দাগাইলাম। লেখাটা ভাল্লাগছে। সেই সাথে বইটা পড়ারও তাগিদ বোধ করছি। এই খানেই ব্লগটির সার্থকতা। তবে সেলিনা হোসেনের লারার মত একজন সংগ্রামীকে আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি - তিনি আমার মা। আমি বড়ই ভাগ্যবান।
ধন্যবাদ আমিন ভাই। আপনার মাকে নিয়েও লিখুন একদিন।
লারা বইটা আমি কলেজ লাইব্রেরিতে পড়েছি।সন্তানের মৃত্যুরে গুম্রে ওঠা কান্না নিয়ে লেখা সেলিনা হোসেনের বই "লারা"।অবাক ব্যাপার,বইটা পড়লে কেন জানি কষ্ট ছাপিয়ে উৎসাহ পাই বারবার।
সামি,লেখাটা ভাল হইছে। 🙂
🙂
মাস্ফু ভাই রায়হানের নাম সামি হইল কেমনে 😮 আপ্নেকি 😛
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
😀 সামিয়ার নাম রায়হানা হৈল যেমনে ঠিক সেইম এস্টাইলে রায়হান থিকা সামি হয়া গেল,বুঝলি? 😀
জন্যঃগুম্রে
পড়ুনঃগুমরে
অন টপিকঃ প্রোফাইল পিকচার অতি সত্বর না বদলাইলে তোর খবর আছে x-( x-( x-(
:thumbdown: :thumbdown:
রায়হান, ফেসবুকে একটা গ্রুপ খোল - ব্যান মাস্পু
😮 😮 বলি মেহেদীদা আপনার কোন বাড়া ভাতে আমি ছাই দিলুম মশাই যে আমার সঙ্গে অমন কিচাইন করচেন? :(( :((
দাদা ... তোমারে ভালু পাই ... তাই 😀
আপনার মত ভাল পেলে তো মশাই বৃন্দাবনে যেতে হবে-একেই বলে কংস মামা!
লারা বইটা হাউস লাইব্রেরীতে ছিল। ক্লাস নাইনেই হাতে পাইসিলাম। কিন্তু পড়িনাই তখন 🙁
এখন মনে হচ্ছে পড়তে হবে।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
আইচ্ছা। 🙂
"লারা" বইটা সম্ভবত আমার পড়া সেলিনা হোসেনের প্রথম বই। এর পরে একে একে হাঙর নদী গ্রেনেড, দ্বীপান্বিতা, মগ্ন চৈতন্যে শিস, কাঠ কয়লার ছবি ... (আমার মায়ের প্রিয় লেখক হওয়ায় সব বই-ই বাসায় আছে)। তবে "লারা"র মাঝে যে আবেগ এবং আবেগহীন বর্ণনা, নিজের সন্তানের জন্ম, বেড়ে ওঠা নিয়ে একই সাথে মমত্ব আর বিষাদ মিশিয়ে লেখা এমন বই আমি আর পড়িনি।
আমার পড়তে বারবার চোখ ভিজে উঠেছে, তাঁর লিখতে গিয়ে কী পরিমাণ কষ্ট আর গর্ব হয়েছে কে জানে!!
অনেকদিন পর বইটার কথা মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ রায়হান! :clap:
ধন্যবাদ। 🙂
কবি, আসল বইটাই ত মিস করেছো, 'পোকামাকড়ের ঘর বসতি'। সেইসব কথা মনে আসলেই কত কিছু মনে পড়ে। আহা!
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মাহমুদ ভাই, এই বইটা কাকতালীয়ভাবে গতকাল খুঁজে বের করলাম। বইয়ের তাকের অল্পকিছউ অপঠিত বইয়ের একটা। যে সময়ে বাকিগুলো পড়েছি, তখন এটি পড়া হয়নি। এখন বের করে টেবিলে রেখে দিলাম, শিগগিরই পড়ে ফেলবো।
আপনি কেমন বুলজ আই পেয়ে গেলেন! :hug: :hug:
লেখা ভালো হইছে
টাকা দেন 😀
লেখাটা দারুন লাগল... লারা যে ফারিয়া হোসেনের মেয়ে আর তাকে নিয়ে যে বই লেখা হয়েছে এটা জেনেছিলাম এবিসি রেডিওতে ফারিয়া হোসেনের এক আড্ডায়... ওখানে লারার গল্প শোনার পর থেকেই বইটার প্রতি আগ্রহ জন্মেছে, জোগাড় করতে হবে।
আমিও জ্ঞাত ভাবে কোন পাকিস্তানি জিনিষ ব্যবহার করিনা, এটা অবশ্য পুরোটাই আমার বাবার কৃতিত্ত্ব... বাসায় কখনো কোন পাকি জিনিষ ঢুকতে দিত না, ছোট বেলা থেকেই আমার মাঝেও জিনিষটা চলে এসেছে।
অ.ট. বাউনিয়ার বর্ননা আগেও তোমার কোন ব্লগে যেন পড়েছিলাম... কখনো যাওয়া হয় নাই, এইবার ঢাকায় এসেই ......
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আকাশদা,ইয়ে মানে লারা সেলিনা হোসেনের মেয়ে,আর লারার ভাল নাম ফারিয়া হোসেন লারা-এই যেমন মাসরুফ হোসেন মাসফি।
কফি হাইসে চিকেন পাকোড়া খেয়ে এলেন বুজি?ওখানের বাবুর্চি ব্যাটা এমন খচ্চর-ওর তৈরি পাকোড়া খেলে অমন একটু আধটু হবেই মশাই--- 😛
অফ টপিক- :frontroll: :frontroll: :frontroll:
বস, তাড়াহুড়ায় বোধ হয়। লারার আসল নাম ফারিয়া হোসেন। এবিসিতে আড্ডা দিসে ওর মা সেলিনা হোসেন।
হুম বাউনিয়ের কথা লিখছিলাম আমার ইচ্ছেঘুড়ির কোন একটা পর্বে। চ্রম জায়গা। ঘুরে আইসেন। 🙂
হায় হায় এইটা কি লিখলাম ~x( ~x( :bash: :bash:
@ মাসরুপ... মাত্র খেয়ে আসছি এটা ঠিক... তবে মেন্যু ভহিল কলেজের ইমপ্রুভ ডিনারের... আর তোর নামের হোসেন নিয়া আবার কি হইল?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
😛 ইয়ে মানে লারা আপুর নামের সাথে মিল কিনা সেই কথা কইছিলাম 😛
অফ টপিক-লারা আপুকে স্যালুট।
বলি আকাশদা আমার নাম মাসরুপ হল কবে থেকে,মশাই? x-(
এহসানের ঝাড়িতে দেখি কাম হইতেছে। পাব্লিক অসাধারন লেখা পোষ্টানো শুরু করছে।
রায়হান, তোমার লেখার হাত তো দেখি সেইরকম, আউফাউ ("আজাইরা" আইজ ব্যান খাইছে 😀 ) জিনিস লেখ কেন?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমি করেছি পন, সারাজীবন লিখে যাবো আউফাউ দিনপঞ্জি। ধন্যবাদ 😀
:thumbup: :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:thumbup: :thumbup:
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
😀
কারে?
সেলিনা হোসেনের লেখা আমার পড়া একমাত্র উপন্যাস । নিজের জীবনের ঘটনা উনি এত অদ্ভুত সুন্দরভাবে তুলে এনেছেন । লারা সম্ভবত ক্লাশ ইলেভেনে পড়েছিলাম । অনেকদিন মনে দাগ ছিল । আমি ভাবলাম রায়হান(সামি) বুঝি লারা বইয়ের রিভিউ লিখেছে, কিন্তু যা লিখল তাতে যারা পড়েননি নিঃসন্দেহে পড়ার উতসাহ পাবেন । সাবাস রায়হান(সামি) :))
মুভির রিভিউ লেখার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু দেখি নিজের কথাই বেশি আছে। এই লেখাটাও শুরু করেছিলাম সেই হিসেবেই। কিন্তু দেখলাম আমি খালি নিজের কথাই বলি।
এটাতে লেখাটা অন্যরকম একটা মাত্রা পেল :thumbup:
সাবাস রায়হান(সামি)
নামডা কেমুন যানি আদনান সামি আদনান সামি লাগতেছে।ঐ সামি, এত্তু মোডা হ খায়া 😀
আমি আসলে আগের কমেন্টটা করসিলাম শুধু ব্লগটার নাম পড়েই। 😛
এখন পড়লাম। পড়ে মনে হইতেসে লেখক হিসেবে তোর অনেক প্রমোশন হইসে। 🙂
তবে বেশ কয়েকটা বানান ভুল চোখে পড়লো। :no:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
হা হা হা। আমি তো নিজেরে অনেক আগেই প্রমোশন দিয়া দিছি। 😀
বানানের ব্যাপারে সতর্ক থাকি। কিন্তু এই পোস্ট বহুত তাড়াহুড়ায় লিখছি। ভুলগুলা ক। খুঁজে দেখতে মক্রামি লাগে।
শ’ শ’য়ে =এখানে মনে হয় শ'য়ে শ'য়ে লিখতে চাইসিলি
অনাকাংখিত = অনাকাংঙ্ক্ষিত (এইটা একটু কঠিন বানান। কিন্তু কিছু করার নাই। ভুল মানে ভুলই 😀 )
সতেই মার্চ = বোধহয় সতেরই মার্চ হবে
খাদযুক্ত = খাঁদযুক্ত
পারতোপক্ষে = পারতপক্ষে
এই কয়টাই আপাতত চোখে লাগতেসে। পরে দেখলে পরে বলবোনে।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
জিহাদ আমাদের শেরে-ই-বানান 😀
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
:thumbup:
জিহাদ ওরায়হান, তোমাদের বানান নিয়ে কাজটা আমার খুব চমৎকার লাগছে। কিছু মনে না করলে একটু যোগ দেই। (আমার নিজেরও কিছু কনফিউশন কাটানোর জন্যও দিচ্ছি)
--------
শুক্রুবারের অলস দুপুরে = শুক্রবারের
প্রচুর পরিমানে ঘুম = পরিমাণে
কর্ণেল = কর্নেল (এটা বিদেশি শব্দ নিয়মে 'ন' হওয়ার কথা, তবে ব্যতিক্রম কি না শিওর করে জানাও। দুই রকমই লিখলে?)
পাকিস্তানী অফিসার = পাকিস্তানি (তুমি নিজেই ঠিক লিখে পরে ভুল লিখেছ।)
দোভাষি = দোভাষী
এখন আমি লারা কে চিনি, = এখানে 'কে' প্রত্যয়টি বিশেষ্যের সাথে জুড়ে দাও। "লারাকে"।
------
ধন্যবাদ আন্দালিব ভাই। আমি বানানের ব্যাপারে সচেতন থাকি। কিন্তু আজকে ধুম ধাম লিখে পোস্ট দিসি। এখন ঠিক করবো। 🙂
এই বই পড়িনি। পড়া লাগবে। ভাল আছ নাকি রায়হানাবীর?
কেডা? তপু ভাই নি? আমি তো অলটাইম ভালু। আপনি ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন 🙂
কিরে কি খবর 🙂
স্যামের সাথে কেন ঘুরস এইটা নিয়া এত প্যাচানোর কি আছে 😛 সবাইতো সব জানে 😀
জীবনে কতকত ভাল বই পড়া হইল না 🙁
তোকে লেখা নিয়ে একদিন ইয়াহুতে একটা কথা বলছিলাম, মনে আছে :hatsoff:
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
কেন ঘুরি এইটা তুই আগে থেকেই জানতি? :thumbdown: যাই হোক সচলের শেষ লেখাটায় মন্তব্য করস নাই বলে তোর উপ্রে মাইন্ড খাইছিলাম। আজকে ক্ষমা করা হইলো 🙂
আমি জানতাম নাতো তাই আবীর ভাইয়া দিয়ে দিল, সরাসরি আমাকে মনে হয় বলতে উনার লইজ্জা লাগছে। 😀
পুলাপাইন না বুইজা মাইন্ড খায় খালি 🙁 তোর ঐ ব্লগের সময় আমি চট্টগ্রাম ছিলাম, এর,ওর,তার পিসি থেকে সচল আর সিসিবিতে ঢুকছি 🙁 আর অভ্র ছাড়া লিখতে পারিনা তাই 🙁
তুই আবার ইমো পছন্দ করস না তাও না প্রশ্ন করে রাগ করার জন্য দিলাম কয়েকটা :chup: :chup: :chup:
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
'লারা' পড়া নাই। তাই বই নিয়ে কিছু বলতে পারছি না।
তোর লেখায় মুগ্ধ, সেটাও নতুন কিছু নয়।
খুশি হবো বইটা দু'দিনের জন্যে দিয়ে গেলে, বই কেনার জন্যে নিউমার্কেট বা বাংলাবাজার যাবার আলসেমি কাটছে না। আর ইদানীং সামসুল হক টুকু সাহেবের সু-নজর পড়েছে পান্থপথের উপর তাই লোডশেডিং কমেছে একটু তাই সিনেমাতে মজে আছি।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
@রাশেদঃ :shy: শিং হৈলে হরিণ যেমন খালি গুঁতায় বেড়ায়,"পেএএএম" হৈলেও তা কেমনে জানি প্রকাশ পায়া যায়-লুকাঞ্জায়না :shy: তাই সামি কেন রায়হানারে নিয়া পেঁচাইতেছে সেইটা বলা অবান্তর,বুঝলি?
রাশেদ বুঝছে কীনা জানি না, তয় আমি কিছু বুঝি নাই। :thumbdown:
ব্যাপার কি মাস্ফু ভাই 😮 ফ্রী নাইট দেইখা কি টাল হইছেন নাকি 😀 একজনের উত্তর আরেকজনের কাছে দিতাছেন :no:
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
রাশেদ (৯৯-০৫) বলেছেনঃ
জুলাই ২, ২০০৯ @ ৪:৫২ অপরাহ্ন
কিরে কি খবর 🙂
স্যামের সাথে কেন ঘুরস এইটা নিয়া এত প্যাচানোর কি আছে
বুঝলি??? x-( x-( x-(
কামরুল ভাই, রায়হান আবীর আপনারে ভুলে গেছে। এখন আর আপনার বাসায় যায় না 🙁
এই উইকে ট্রাই নিবো একটা। উক্কে?
Boi porar ovvash ta shobar e chole gesi pc boddho jibon peye.
But hospital theke basa, ekhon sharadin boi e portesi. 😀
lara pora lagbe. Lekha boraborer motoi :guli2:
হাঁস মামা তাড়াতাড়ি আসো
মামা দারুন হইসে লেখাটা। আমি মুগ্ধ তোমার লেখায়। :clap:
নিয়মিত মন্তব্য করছিস দেখা যায়। ভালু ভালু। :thumbup:
লেখা খুব ভাল লাগছে। আমার বই পড়ার অভ্যাস কলেজে থাকতেই চলে গেসিলো। জীবনে বই পড়ছি মূলত তিন বছর - নাইন, টেন, ইলেভেন। এর আগে কোন বই পড়া হয় নাই। আর টুয়েলভে উঠার পর তেমন কোন বইই পড়া হয় নাই। কত কত বস বাংলা উপন্যাস আছে, কিন্তু পিসির কারণে সব মিস করতেছি। "লারা" পড়তে হবে।
ছোট করা হলো। :thumbup:
এইডার মানে কি?
মানে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করা হলো ~x( ~x(
লারা এর পিডিএফ ভার্সন এর লিঙ্ক দেন 😀 😀 😀 পরতে হবে 😀 😀
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
পিডিএফ তো নাই রে। আজিজ থেকে কিনা ল।
ভাইয়া পড়ে ভাল লেগেছে, কিন্তু বইটা আমার পড়া হইনাই।
অনলাইনে কি বইটা আছে? মানে পড়া যাবে? আমাদের এইখানে বাংলা বই পাওয়া যায়না,
এখন একমাত্র ভরসা অনলাইন অথবা কেম ভাইয়া। 🙂
নাইরে ভাবী। আপনার সুদর্শন (কী জানি হয় সম্পর্কে) তারে বলেন 😀
😕 :-/
কামরুল ভাই। আপনার সুদর্শন কী? ভায়রা ভাই, না শালা। কনফিউজড 😕
ভাবতে থাকো। দরকার হলে রায়হানারে জিগাইতে ভুইলোনা কিন্তুক? :grr:
দারূণ লেখা ...
খুশী হয়ে গেলুম তো। 😀
লেখা ভাল্লাগলো দোস্ত।
দেখি সময় পাইলে একদিন লারারে পইড়া দেখুম।
আর 'পাসওয়ার্ড' বদল তোকে আরো বদল করুক- এই কামনায়, 🙂
হুম
ভালো লাগছে। অনাকাংঙ্খিত বানানে ক্ষ নাই। সেলিনা ম্যাডাম শিখাইছিলেন, আজ পর্যন্ত ভুলি নাই।
তৌফিক ভাই, আমি মোটামুটি শিওর। স্মৃতি যদি প্রতারিত না করে তাইলে ক্লাস টেনে বাংলা ব্যাকরণে আমরা অনাকাংঙ্ক্ষিত বানান এভাবেই পড়সি।
তবে মনে হইতেসে বাংলা ব্যাকরণ বই একটা কিনা ফেলতে হবে। ফয়েজ ভাইও একবার একটা বানানে ডাউট দিসিল সেইটা প্রমাণ করতে গিয়া অনেক কষ্ট করতে হইসিল হাতের কাসে বই না থাকায়। ~x(
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
আমার মনেও এখন একটু সন্দেহ হইতেছে। সেলিনা ম্যাডামের অপমান 🙁
দেশে গিয়া একটা অভিধান না কিনলেই না, বাংলা বই পড়ার অভ্যাস বাদ দিয়া সব বানানই ভুলে যাইতেছি। পারলে ক্লিয়ার কইরো।
:))
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
সম্ভবত অনাকাংঙ্ক্ষিতভাবে জিহাদ ভাইয়েরটা ঠিক আছে :-B ।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ধন্যবাদ, তৌফিক ভাই।
ভাল লাগল লেখাটা পড়ে।
দোয়া করি, বিশুদ্ধ মানুষ হও। 🙂
ধন্যবাদ তানভীর ভাই।
অনেক আগেই পড়েছিলাম, কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি। আজ আবার পড়লাম। লেখাটা আসলেই দুর্দান্ত। চমৎকার লাগল পড়তে, আবারও।
'লারা' বইটার নাম অনেক আগেই শুনেছি, বইটা সম্পর্কে জেনেছি, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে কখনোই পড়া হয়ে ওঠেনি। তবে এইরকম একটা পোস্ট পড়ার পর ইচ্ছাটা এতই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, কে জানে হয়ত কোনো একদিন আবারও এই পোস্ট পড়ার পর বেরিয়ে পড়ব বইটা কেনার উদ্দেশ্যে, এরপর কিনে পড়ে ফেলব (এখন বেরুব না আলসেমির কারণে!)।
সেলিনা হোসেন আমার প্রিয় লেখকদের একজন। তাঁর কিছু লেখা পড়েছি। পত্রিকায় কলাম পড়েছি। এমনকি লারার মৃত্যুর পর পত্রিকায় তাঁর লেখা পড়েছিলাম, এখনও মনে আছে। একজন মায়ের কাছে তাঁর সন্তানের মৃত্যু যে কতটা বেদনাদায়ক, তা কল্পনাতীত। তাই বইটা লিখতে পারার শক্তি ও মানসিক জোরের কারণে সেলিনা হোসেনকে আমি ভীষণ শ্রদ্ধা করি।
এমন দারুণ লেখা আরো আসুক। পাঠক হিসেবে এইটুকু দাবি জানিয়ে গেলাম।
:hatsoff: :hatsoff:
Life is Mad.