শুরু করার আগে শেষ কথাঃ আজকে বাসায় এসেছি সন্ধ্যা সাতটায়। সাতটা পনেরোতে কারেণ্ট চলে গেলো। আসলো ১১ টা পয়তাল্লিশে। আমি জানি আপনাদেরও একই অবস্থা। সুতরাং কারেন্ট থাকাকালীন সময়ে এই ভাবের লেখা পড়ে সময় নষ্ট না করে কাজের কাজ করার অনুরোধ থাকলো। আর যারা পড়তে যাচ্ছেন তাদের বলি, লেখাটার বিষয়বস্তুটাই এমন কিছু লাইন জ্ঞানদান মনে হতে পারে।
তথ্যের সাগরে ভাসছি আমরা। টেলিভিশন, পত্রিকা, বই, ব্লগ, ইয়ুটিউব, ইন্টারনেট হাজারো মাধ্যম প্রতি মুহূর্তে আমাদের তথ্য দিয়ে চলছে। কিন্তু এর মধ্যে কোন তথ্যটি সঠিক? কোন তথ্যটি আমরা গ্রহণ করবো? গত কয়েকদিন যুদ্ধাপরাধী ইস্যুতে কয়েকজনের বক্তব্যের পর বাকরুদ্ধতা কাটিয়ে তথ্যের সঠিকতা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া নিয়ে একটা ব্লগ লেখার চিন্তা মাথায় আসলো। এটি যুদ্ধাপরাধী বিষয়ক তথ্যের সঠিকতা কীভাবে নিরুপন হবে তার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে, মূলত মানুষের বিভিন্ন আজগুবি জিনিসে বিশ্বাস এবং আর অসারতা নিয়ে আলোচনা করা হবে। মনের প্যাঁচটা ধরতে পারলে তথ্যের প্যাঁচ আমাদের মনে গিট্টু লাগাতে পারবেনা, পারবেনা আমাদের অজান্তে মগজ ধোলাই করে দিতে।
বুঝলাম, কিন্তু তোমার কথা বিশ্বাস করবো কোন দুঃখে?
অবশ্যই আমার কথা আপনাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে হবেনা। আমি আপনাকে কিছু কথা বলবো, আপনি সেটা নিজে যাচাই করবেন। আর সবচেয়ে বড় কথা আমি আপনাকে এইটা জিনিসটা ভালো, এইটা জিনিসটা মন্দ এভাবে কোনো জিনিস সম্পর্কে বলবো না। আমি বলবো একটা কাজ বা জিনিস ভালো না মন্দ, একটি তথ্য সঠিক না ভুয়া, সেটা কীভাবে আপনি যাচাই করতে পারবেন সেই প্রক্রিয়ার কথা।
আপনি একটি দাবী করলেন, সেই দাবী আপনি একটি তথ্য দেখে করেছেন। দাবীটি জনসমক্ষে প্রকাশ করার আগে পরীক্ষা করুন আপনার তথ্যসূত্র কতটা নির্ভরযোগ্য
সিসিবিতে আদনান তার পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যু নিয়ে লেখা ব্লগে একটি মন্তব্য করেছিল যার প্রধান সূত্র ছিল নয়াদিগন্ত পত্রিকা। এছাড়াও ভারত বন্দনা নামে একটা পোস্ট এসেছিল প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের পর, সেখানকার সকল তথ্যের মূল সূত্র ছিল জামাতি মিডিয়া। ভুল ধরিয়ে দেবার পর লেখক তার অজ্ঞানতা স্বীকার করেছিলন। তিনি বলেছিলেন তিনি ঠিকমতো যাচাই করে দেখেন নি। সুতরাং কিছু বলার আগে আপনার তথ্যসূত্রের নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করুন।
প্রতিটি খবরের পরিবেশিত তথ্যে ভুল ভ্রান্তি থাকা স্বাভাবিক। যেহেতু মানুষ মাত্রই ভুল এবং ভুল করার সময় সে বুঝতে পারে না সে ভুল করেছে তাই ভুলগুলো হবে ড়্যান্ডম। কিন্তু যদি কোন খবরে পরিবেশিত তথ্যে ভুলগুলো একই দিকের হয় এবং এই ভুলগুলো যদি একটি নির্দিষ্ট উপসংহারকে জাস্টিফাই করে তাহলে বুঝতে হবে ঘাপলা আছে। নীচের ছবিটি দেখুন।
এই ধরণের ঘাপলা সমৃদ্ধ তথ্যসূত্র এড়িয়ে চলুন।
কীভাবে বুঝবো এই তথ্যসূত্র ঘাপলা
ইতিহাস দেখুন। অন্যান্য বিষয়গুলোতে তারা একটি নির্দিষ্ট মানসিকতার প্রতিনিধিত্ব করছে কীনা সেটা যাচাই করুন।
প্রথমেই উপসংহারে যাবেন না
আদনানের বক্তব্য এবং বক্তব্য প্রতিষ্ঠা করতে নয়াদিগন্তের লিংক ব্যবহারের কারণ নিয়ে আলোচনা করা যাক। পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুতে আদনান এর একটি বক্তব্য আছে এবং এই বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ও নেটে বিভিন্ন লেখা খুঁজে দেখেছে। এর মধ্যে নয়াদিগন্ত তার মতো করে কথা বলেছে, তাই সে নয়াদিগন্তের রেফারেন্স ব্যবহার করেছে।
খুবই ভুল প্রক্রিয়া। ধরা যাক, একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে নিজেদের কমন সেন্সের উপর আস্থা রেখে আমরা একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলাম। এখন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর সেটা অন্য সবার সামনে প্রতিষ্ঠা করার জন্য স্বাভাবিকভাবেই প্রাপ্ত ডাটাকে আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে পৌছানোর উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় টেম্পারিং করবো, ফলে সিদ্ধান্ত একপেশে হবে। নিজের কমন সেন্সের উপর আমাদের অনেক আস্থা, আমাদের মনে যা হয় সেটাকেই আমরা সাধারণত সত্য বলে ধরে নেই, যা ঠিক নয়। হিটলার নিজের মনকে সত্য বলে ভেবেছিলেন, সে হিসেবে সিদ্ধান্ত নিয়ে মানুষ হত্যা করেছিলেন। সুতরাং কমনসেন্সের উপর থেকে আস্থা কমান। একজন বুদ্ধিমান মানুষ হিসেবে আমরা প্রথমে ডাটা সংগ্রহ করবো, সংগৃহিত ডাটা এনালাইস করবো এবং যে কোন উপসংহারের জন্য প্রস্তুত থাকবো। সেই উপসংহার আমার মনের ধারণার বিরুদ্ধে যেতে পারে কিন্তু যেহেতু পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিরুদ্ধমতটাই এসেছে সুতরাং সেটাই সঠিক হবার সম্ভাবনা বেশি।
উদাহরণ হিসেবে আরও বলা যায় কোপারনিকাসের কথা। তিনি যখন বলেছিলেন পৃথিবী গোল এবং তা সূর্যের চারিদিকে ঘোরে তখন সেটা তৎকালীন কেউ মেনে নেয়নি। কেন নেয়নি? কারণ সূর্যের প্রতিদিন একপাশ থেকে আরেকপাশে ভ্রমন দেখে মানুষের কমন সেন্স বলেছিল, সূর্যই ঘোরে, পৃথিবী নয়। সুতরাং কোপারনিকাস পাগল। পৃথিবীর ঘূর্নন আবিষ্কার করে কোপারনিকাসও মানসিক ভাবে আঘাত পেয়েছিলেন কিন্তু তিনি তার পরীক্ষালব্ধ উপসংহার থেকে সরে আসেন নি।
অপ্রাকৃতিক ব্যাখ্যায় যাবার আগে প্রাকৃতিক ব্যাখ্যা খুঁজুন
বিবর্তনের কারণে আমরা মানুষেরা সবকিছুতে প্যাটার্ন খুঁজে বেড়াই। প্যাটার্ন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ন। আমাদের বাসায় ক্যালেণ্ডারে সৌদিআরবের কোন এক জংগলে কয়েকটি গাছের সারি সম্বলিত ছবি আছে, যেগুলোর ডালপালা সুসজ্জিত ভাবে বিস্তৃত হয়ে লা ইলাহা ইল্লাহ লেখা তৈরী করেছে। আমাদের অনেকের কম্পিউটারেই ইসলামী মিরাকল ফোল্ডার আছে। যেখানে আল্লাহ লেখা মাছের ছবি আছে, আল্লাহ লেখা মাংশের ছবি আছে। পরিচিত এক ভাই একবার হতাশা নিয়ে বলেছিলেন, বাঙালি হইলো মাছের গায়ে আল্লাহ নিজের নাম খোদাই করে দিয়েছেন তার অস্তিত্ব প্রমানের জন্য এটা বিশ্বাস করা জাতি। কথাটা ভুল, সারা দুনিয়ার অসংখ্য মানুষ এগুলো বিশ্বাস করে। তবে তাদের সাথে আমাদের পার্থক্য হলো, তারা দেখে যীশূ খ্রিস্ট ও কুমারী মেরিকে। চিজ কেক থেকে শুরু করে, পাথর, বিল্ডিং নানা জায়গায় তারা যীশুর, মেরির প্রতিকৃতির সন্ধান পেয়েছে। ধর্মকারী সাইটে মেরি, যীশুর ছবিটি দেখুন।
সুতরাং অপ্রাকৃতিকভাবে আল্লাহ, যীশু, মেরী এগুলো খোদাই করেছেন না প্রাকৃতিক ভাবে ফটোশপে তৈরী করা হয়েছে সেটা ভাবুন।
ছবি না। আপনি নিজের চোখে দেখেছেন? তাহলে আমাকেও একদিন দয়া করে দেখাবেন। আপনি কেন দেখেছেন তার প্রাকৃতিক কারণ আপনাকে ব্যাখ্যা করে দেবো।
এক্সট্রাঅর্ডিনারী ক্লেইম রিকয়ারস এক্সট্রাঅর্ডিনারী এভিডেন্স
বিশ্বখ্যাত জ্যোতির্বিদ কার্ল সাগান উপরের বাক্যের জনক। ধরা যাক, দুবাই থেকে বাংলাদেশ আসা এক বিমানের পাইলট রিপোর্ট করলেন, দুবাই থেকে একশ কিলোমিটার দূরে ভয়ংকর ঘূর্নিঝড় হয়েছে। তার এই দাবী আমরা মেনে নিতেই পারি। কিন্তু তিনি যদি বলেন, দুবাই থেকে ঢাকা আসার পথে তিনি একটি ফ্লাইং সসার দেখেছেন তাহলে আমরা বলবো, দারুন। কিন্তু প্রমান কই?
সকল ভিন্নমতকে শ্রদ্ধা করতে হবে এমন নয়
ধরা যাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান সময়ে জ্যোতিপদার্থবিজ্ঞানের গবেষণায় কী কী অগ্রগতি হয়েছে তা নিয়ে সেমিনারে বক্তারা বক্তব্য রাখছেন। এখন এই সভার মধ্যে ঢুকে আমি যদি বলি, ট্রটেস্কি নামে এক এলিয়ান বিয়ার জ্বাল দিতে দিতে ঘুমিয়ে পড়েছিল। ফলে কড়াই উত্তপ্ত হয়ে এক মহাবিস্ফোরণ ঘটার মাধ্যমেই মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে। তাহলে কেমন হবে? মঞ্চে উপবিষ্ট পদার্থবিদদের কি উচিত হবে মহাবিশ্ব সৃষ্টি সম্পর্কিত আমার মতামতকে শ্রদ্ধা দেখানো। তাদের তত্ত্বের পাশাপাশি আমারটাও পদার্থবিজ্ঞানে বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা?
আপনি কথা বলতে পারেন। তারমানে এই না, যা ইচ্ছা তাই বলবেন। আপনাকে যুক্তি দিয়ে কথা বলতে হবে।
দুনিয়াবী নিয়ম বিবেচনা করুন
আমি নাইজেরিয়ার ব্যাংক বোকাদিচুর সিইও বরকতুল্লাহ মদন বলছি। আমাদের ব্যাংকের এক ক্লায়েন্ট সম্প্রতি তার একাউণ্টে এক বিলিয়ন ডলার রেখে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার কোন ওয়ারিশ না থাকায় টাকাটি এখন একাউন্টে পড়ে আছে। আমি তাই আপনার সাথে যোগাযোগ করছি, কারণ আমি জানি আপনি বুদ্ধিমান এবং বিশ্বস্ত। আপনি আমাকে একটি এপ্লিকেশন এবং সবকিছু প্রসেসিং করার জন্য ছয় হাজার ডলারের চেক প্রেরণ করলেই আপনার ঠিকানায় এক বিলিয়ন ডলারের ৫০ ভাগ চলে যাবে।
হাসছেন? এমন গাধামি কেউ করে নাকি? আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি- জ্বী করে।
নাইজেরিয়ার ব্যাংকে বিলিয়ন ডলার পাবার লোভে আমার পরিচিত কেউ টাকা পাঠায়নি সত্য, তবে প্রায় একই ধরণের কাজ একজন করেছে। বুয়েট মেকানিক্যাল ০৫ এ আমার পরিচিত এক বন্ধুকে একদিন মোবাইলে ফোন করে জানানো হয় সে মোবাইলের নম্বরের একটা লটারিতে লক্ষ টাকা জিতেছে। তবে টাকাটা পাওয়ার জন্য তাকে একটি নির্দিষ্ট মোবাইলে নম্বরে ফ্যাক্সিলোড করে কিছু টাকা পাঠাতে হবে। টাকার অংক বেশি না, মাত্র ছত্রিশ হাজার। আমার সেই মেধাবী বন্ধুটি টাকা পাঠিয়েছিলো।
দুনিয়া কি এভাবে চলে? মাগনা মাগনা আপনাকে কেউ এভাবে টাকা দিবে? কাম অন।
বৃত্তাধীন যুক্তি মোটেও যুক্তি নয়
উদাহরণঃ
আল্লাহ আছেন।
– কীভাবে জানো?
কারণ কুরআন শরীফে বলা আছে তিনি আছেন।
– কিন্তু কোরাআন যে সত্যি বলছে এইটা কীভাবে বুঝলা?
কারণ আল্লাহ বলছেন, কুরআন তাঁর বাণী, এর প্রতিটি বাক্য সত্য।
নিজামী একাত্তরে কিছু করেন নি। তিনি ছাত্র ছিলেন, পড়ালেখায় ব্যস্ত ছিলেন।
– তাই নাকি? কে বললো?
গোলাম আযম বলছে।
– কিন্তু আমি তো জানি গোলাম আযম ও খারাপ লোক।
না, নিজামী বলছেন, সে খুবই পরহেজগার আদমী।
যুক্তি এবং কুযুক্তির পার্থক্য বুঝুন।
ফাইনেস্ট ডাজনট মিন ইনোসেণ্ট
ক্ষমাপ্রার্থনা পূর্বক আরেকটি ইংরেজি টাইটেল। এটা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত আমার কয়েকবন্ধুর মতামত (অনেকের না, কয়েকজনের)। তাদের মতে, গোলাম আযমের ছেলে সেনাবাহিনীর অন্যতম ফাইনেস্ট অফিসার। তাকে বরখাস্ত করে সরকার অপরাধ করেছে। বাপের বোঝা ছেলের কেন টানতে হবে?
প্রথম কথা, আমরা সবাই জানি, বেশিরভাগক্ষেত্রেই সেনাবাহিনীতে উচ্চপদে উঠতে হলে কী পরিমান রাজনৈতিক ধান্ধাবাজ হওয়া প্রয়োজন হয়। অনেক পারফরমার অফিসার মেজর হবার পর জমাখানায় চলে যান, কারণ তারা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক চিন্তা পোষণ করেন না বা কোনও ধরণের রাজনৈতিক চিন্তাই পোষণ করেন না। সুতরাং ফাইনেস্ট অফিসার হবার জন্য, অনেক অনেক ড়্যাংক পাবার জন্য গোলাম আযমের ছেলে কী করতে হয়েছে তা ভাবুন। একজন ফাইনেস্ট অফিসার হতে পারে কিন্তু সেটা কোনোভাবেই প্রমান করেনা তিনি ইনোসেণ্ট। সেনাবাহিনী প্রধান হয়ে তিনি যে দেশের ইয়ে মেরে দিবেন না, তা বুকে হাত দিয়ে কেউ বলতে পারবে না। থুক্কু পারবে, বরাহপোনা ও তাদের আব্বা বরাহ শাবকেরা।
আর বাপের দোষ ছেলে কেন বহন করবে? তিনি দোষী না কে বললো? তার সাথে জামায়াত ইসলামীর রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে। বরখাস্তের পর জামাতি ওয়েবসাইটে তার চিঠি প্রকাশিত হয়েছিল।
অন্ধবিশ্বাস থেকে দূরে থাকুন
অন্ধবিশ্বাস করার গুনটাও আমরা বিবর্তনের কারণে পেয়েছি। বাবা মাকে অন্ধবিশ্বাস না করলে ছোট বেলায় আমাদের টিকে থাকাটা সমস্যাসংকুল হতো। বিনা দ্বিধায় আমরা মেনে নিয়েছি আগুনে ঝাঁপ দিতে হয়না, পুকুর দেখলেই তাতে লাফ দিতে হয়না।
কিন্তু মনে রাখবেন, বাবা মা যাই বলে তাই সঠিক না। আপনার বড় ভাই এমন এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন যেখানকার ছাত্র ছিলেন হকিং। তারমানে এই না দুনিয়াবী সকল বিষয়ে তিনি যাই বলবেন তাই সঠিক। তার ক্রেডেনশিয়াল অতি উচ্চ পর্যায়ে তাই তাকে অন্ধবিশ্বাস করতে হবে এমন কথা নেই। তিনি যেই বাক্যটি বলবেন, সেটাকে যুক্তিযুক্ত হতে হবে। বাবা- মা সহ যাবতীয় সবার ক্ষেত্রেই তাই। অন্ধবিশ্বাস করবেন না। আপনার কোম্পানি কমাণ্ডার অনেক দারুন একজন মানুষ কিন্তু তার সকল ধ্যান ধারণা সঠিক নাও হতে পারে। আপনি যদি যাচাই না করে তার সব কথাকে বেদ বাক্য বলে হজম করে ফেলেন তাহলে লোকে আপনাকে চামচা বলবে, আর বলবে সিও আপনার মগজ ধোলাই দিয়েছে। সুতরাং সাবধান।
শেষকথাঃ
উপরের উদাহরনের অনেকের কাছেই জানা এবং অনেকেই সেটা প্র্যাকটিস করেন। তবে জেনে রাখুন, আপনার পাশেই মগজ ধোলাই হওয়া একজন আছে যে বিশ্বাস করে একাত্তরে জামাতের আচরণ ছিল একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, তারা খুন হত্যার সাথে জড়িত ছিলোনা, তারা কেবল ইসলাম রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় বিশ্বাসঘাতক হিন্দুকে হত্যা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের বাঙালি মারা গিয়েছিল দশ হাজার আর বিহারী মারা গিয়েছিল এক লাখ।
উদ্ভট জিনিসে আমরা বিশ্বাস করি। হয়তো সবাই একটাতে না, ভিন্নরূপে, ভিন্ন আঙিকে। তাই চিন্তাভাবনায় যৌক্তিক হওয়া প্রয়োজন। আমাদের সবার জীবন দীপান্বিত হোক।
আজ আমারে ঠেকায় কে !!!
রিসার্চ মেথোডোলোজিতে এইটাই শেখানো হয় ... উপসংহার অনুযায়ী ডাটা না খুজে ডাটা দিয়ে উপসংহারে যেতে।
অনেকটা- ঢাকাবাসী 'ক' আজ কোটিপতি, তারমানে সব ঢাকাবাসীই কোটিপতি না। কারন 'খ' ও ঢাকাবাসী কিন্তু সে কোটিপতি না। অর্থনীতি ও পাবলিক পলিসিতে এটা অনেক দেখা যায়। অমুক নীতি অমুক দেশে কাজ করেছে মানেই সেটা আমার দেশেও করবে এমন কথা নেই।
হুম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সেই একজন কি এই? 😛 😛
ওর কয়েকটা কমেন্ট পড়ে ধৈর্য্য হারায়ে ফেলছি।
আর ওর মতো কথা অনেকেই বলে।
অবাক হয়ে গেলাম ওর কমেন্ট দেখে। আড়াইশ কমেন্ট পড়ার ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছি। সবচেয়ে ভয়াবহ যেটা হল, বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় সেও একজন ক্যাডেট আবার আর্মিতেও আছে। এ রকম অসুস্থ মানসিকতার একজন কিভাবে আর্মিতে এখনো টিকে আছে ভেবে পাই না। কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
রায়হান,
তোমার এই সুন্দর যুক্তি পূর্ণ লেখ আমার খুব ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আরেকটা চিন্তা কালকে থেকে মাথায় এলো।
পাকিস্তান ১৯৪৭ সালে মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নিয়েছিলো, তাই না? ১৫ অগাস্ট, '৪৭ থেকে ২৬ মার্চ, '৭১ পর্যন্ত বাংলাদেশ পাকিস্তানের একটা প্রদেশ ছিলো তাই না? কোথাকার কোন হাফ-কোট পরা শেখ মুজিব এসে হাঁক দিলো, দেশ স্বাধীন হয়ে গেলো! এখন যে মুসলিম রাষ্ট্র ভাঙার মতন কবীরা গুনাহ করতে যাচ্ছি, সেটার দায়ভার কি মুজিব নিবে?
খেয়াল করলাম, যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেই, জামাত এই দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চায়, এবং সেটা সাধু উদ্দেশ্যে, তবুও তো আমরা চল্লিশ বছর আগেই সেই ব্যবস্থাকে ছুঁড়ে ফেলেছি। এর পেছনের কারণ হিসেবে ২৪ বছরের শোষণ, অন্যায়, হত্যা এগুলো সবই ছিলো। তারপরেও এখন কেন আমি সেই মুসলিম রাষ্ট্রের মোয়া খেতে চাইবো? কেন আমি "সবকিছু ভুলে" জামাতের বর্তমান "হিতকর" চেষ্টাকে মেনে নিবো?
আমাদের বাপ-দাদাদের প্রজন্মের যাঁরা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তারা কেউই মুসলিম রাষ্ট্র চান নাই। চাইলে ঐ গোআ আর মইত্যা রাজাকারদের দলে নাম লেখাইতেন। তাই না?
====
লেখা ভাল্লাগছে। আমার কমেন্টটা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল কি না বুঝতেছি না। 😕
খুবিই প্রাসংগিক। আমরা কী বলি, কী করি, আর কী চাই এর মধ্যে পার্থক্য বুঝিনা। সারাদিন পর্ন দেখে সময় কাটানো একজন দেশে ইসলামী শাসন চায়। কেন তা তো বুঝেনই। এক জীবনে হবেনা, আরও জীবন দরকার। এখন ইসলামী শাসন চেয়ে যদি শর্টকার্টে বেহেস্তে যাওয়া যায় আর কী।
মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশে বসবাসকারি যে বাঙালীরা যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন তাদের সংখ্যার তুলনায় রাজাকার পার্টির সংখ্যা আতিশয় নগন্য। দেশে বসবাসকারি সিংহভাগ মানুষই বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মাতৃভূমি রক্ষার সংগ্রামে অংশ নেয়।
রাজাকাররা ধর্মের দোহাই দিয়ে যে অপকর্ম সাধন করেছিল তার পরিবর্তে সেই একই ধর্মানুসারী অন্য লোকদেরকেও ওদের অপকর্মের সাথে নীতিগতভাবে জড়িত করবার প্রয়াস মুসলিম ধর্মানুসারি মুক্তিযোদ্ধারা কিভাবে নেন, সেটা ভাববার বিষয়।
৯/১১ এর পরে সাধারণ মুসলমানদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে নানাভাবে হেনস্থা করার সাথে এই ধরণের বিষয়ের অবতারণা সামঞ্জ্যস্যপূর্ণ মনে হতে পারে।
না, রাহাত। মুসলিম ধর্মানুসারিদের জন্যে একটা ইসলামিক আইনে চলা রাষ্ট্রব্যবস্থা কামনা করার বাইরে কোন অপশন নাই। আমরা যারা নিজেদের মুসলিম বলে দাবি করি তাদেরকে গণতন্ত্র নামক কোন রাষ্ট্রব্যবস্থার কথা কোরান-হাদীসে বলে নাই। এই কারণেই সেখানে বর্ণিত রাষ্ট্রব্যবস্থা একজন "প্রকৃত" মুসলিম চাইতেই পারে, তাই না?
এভাবে দেখলে কেমন হয়, একটা জারি থাকা তথাকথিত মুসলিম রাষ্ট্রকে ভাঙতে একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র হাতে নিয়েছিলেন, সেটা কতোটা ব্যর্থ রাষ্ট্র ছিল তা ২৪ বছরেই বুঝা গেছে বলে।
বাংলাদেশের বয়স ৪০ বছর। এর মাঝে আমরা অনেক নিয়মেই রাষ্ট্রকে চলতে দেখেছি, কিন্তু কখনই পুরনো মুসলিম রাষ্ট্রের ধারণায় যেতে চাই নাই। কেন?
জামাতের সকল অপকর্মকে বাইরে রেখে ভাবলেও এই তর্কে বাস্তবতার বিচারে তারা হেরে যায়। এই জনপদে ধর্মভিত্তিক শাসনের ইতিহাস বড়োই করুণ!
৯/১১ এর পরে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের হেনস্থা হচ্ছে বলে পৃথিবীর উল্টাপিঠে বাংলাদেশে মুসলিম শাসন জরুরি- কোনভাবেই মিলাতে পারলাম না। 🙁
সহমত।
পোস্টটা প্রিয়তে নিলাম এবং ফেসবুকে শেয়ার করলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সহজে ব্যাপারটা বোঝানোর জন্য। প্রিডিটারমাইন্ড আইডিয়া বড্ড ভয়ঙ্কর জিনিস!
হুম।
বিষয়বস্তু খুবই সময়োপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ন।
অন্য প্রসঙ্গ: ফেইসবুকে দুইদিন যা দেখলাম, কিছু বলার ভাষা নাই। তবে এই জাতীয় অমানুষ আরো আছে। সবচেয়ে অবাক হয়েছি নিলজ্জ সাহসটা দেখে। অমানুষগুলোকে সিসিবিতে প্রতিহত করা হোক।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
সিসিবিতে এইসব ছাগলামী করে আজ পর্যন্ত কাউরে পার পাইতে দেখিনাই। আশা করি কোনোদিন পাবেও না।
রায়হান, কোন লেখাই আজকাল পড়ে আমার মন ভরে না।সেক্ষেত্রে তোরটা ব্যতিক্রম। :clap:
রায়হান জোশ পাইলো।
তুলনা করার ধাপ নিরূপন করার ক্ষেত্রে আরো সতর্ক থাকলে তা পরমতসহিষ্ঞুতা হবে। ধন্যবাদ কারণ সকল ভিন্নমতকে শ্রদ্ধা করতে হবে এমন নয়
দুইটা উদাহরনের তুলনা করলাম কে বললো?
দুইটা উদাহরণ দিলাম সার্কুলার রিজনিং এর। একটা তোমার ভাল্লাগছে আরেকটা লাগেনাই। স্বাভাবিক। কিন্তু যেটা তোমার ভাল্লাগছে সেটাও সার্কুলার রিজনিং। হিপোক্রেসি থামাও।
গতকাল তারেক (৯৪-০০) এর কাছ থেকে ত্রিভুজ নামের একজনের ব্লগ অ্যাড্রেস পেয়ে কয়েকটা ব্লগ পড়ে রীতিমতন আতঙ্কিত হয়েছি। আগামি কয়েকদিনের মধ্যে যদি --- "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আসলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই না" --- এই টাইপের দাবী শোনা যায়, তাহলে মনে হয় অবাক হব না। আল্লাহ জানেন, ইতিমধ্যেই এই দাবী উঠে গেসে কিনা।
জিহাদের ফেসবুকের ছবিতে কমেন্টগুলো পড়ে গতকাল খুব মন খারাপ ছিলো। আজ এই পোস্টটা খুব ভালো লাগলো আবীর।
এই চিঠিটার লিঙ্ক পাওয়া যাবে কি ???
d.yimg.com/kq/groups/4271304/327777413/.../Letter+by+Amaan+Azmi.pdf
দেখেন তো এই লিঙ্ক কাজ করে কিনা?
নাহ এইটা পিডিএফ,কাজ করতেছেনা- এইখানে দেখেন।
চিঠিটা পড়ে একটা ফাঁক আবিষ্কার করলাম।
এই স্ট্রং কনভিকশনের সাথে চিঠিটা মিলে না। পুরো চিঠি জুড়ে তার সাথে কৃত অন্যায়ের ফিরিস্তি, এই সাথে সামনে তিনি একটি জীবনী লিখতে যাচ্ছেন, সেটাতেও ৩০ বছরে তার সাথে ঘটে যাওয়া নানান অন্যায়ের লিস্টি থাকবে বলে আভাস পেলাম।
সুতরাং ধরে নিতে পারি আল্লাহ-প্রদত্ত এই নিয়তি তার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় নাই। গ্রহণযোগ্য হইলে অভিযোগ থাকতো না। (এই নালিশের বহর তো আল্লাহকে জানানোর দরকার নাই, তিনি সর্বজ্ঞ) তাহলে এই নালিশগুলো নিশ্চয়ই আমাদের জানানোর জন্যে।
মনে আশা, একজন চিহ্নিত দেশদ্রোহীর পুত্র হিসেবে তিনি উক্ত দেশের কাছ থেকে কী কী পেলেন না, সেটা শুনে অনেকের মন দয়ার্দ্র হয়ে উঠবে! সেলফ-রাইচাসনেস! হায়, তুমি কী নির্মম কুহেলিকা!
আরে ভাই, এর চাইতেও বড় প্রব্লেম হইলো উনি একজন দেশপ্রেমিক অফিসার এবং
উনার বাবা সম্পর্কে আমি যতদুর জানি তাতে বলতে বাধ্য হচ্ছি --- কেম্নে কি ???
আন্দাভাই চরম এনালাইসিস।
স্বপ্নচারী ভাই, ধন্যবাদ।
এইটা নিয়া ইন ডিটেইলস একটা এনালাইসিস দেওয়া যায় বস?বাই দা ওয়ে,গোয়া যদিও রংপুর কারামাইকেল কলেজের লেকচারার ছিলো-সারাজীবন সে নিজেকে প্রফেসর পরিচয় দেয়।আজমছানা কি এইটা নিয়াও গর্ব করে?
ভাইয়া আমার মনে হয়, ব্লাড এর কথাটা উনি উনার সাথে সারাজীবন ঘটে যাওয়া কাহিনীর জন্য শ্লেষ ভরে বলেছেন। এছাড়া এই চিঠিতে উনার দেশদ্রোহিতার এখনো কিছু দেখি না। জামাতের ওয়েবসাইটে যদি এই চিঠি প্রকাশ হয়, সেটার দায়িত্ব তার ঘাড়ে পরলেও তিনি তার বাবার মত রাজাকার বা দেশদ্রোহি তা প্রমান হয় না।
জামাত মানে কি তোমার কাছে খুব দেশপ্রেমিক দল নাকি? 😀
মইনুল ভাই,ত্রিভুজ হইতেছে বাংলা ব্লগ জগতের নামকরা রাজাকার ছাগু।ওইটারে বিশেষ পাত্তা দেওয়ার কুনো কারণ নাই।
অনেকেই পাত্তা দেয়। সেইটাই দুঃখ 🙁 ফেসবুকে তারে নিয়া ফ্যান পেইজও আছে।
ওইটা সে নিজে খুলছে।আমারে দিস,বাচ্চু রাজাকারের পেজের মত এইটারও আমি ফ্যান হমু 😀
হয়রানাবীর,লেখাটার শুরুটা সুন্দর হইসে।(যতটুকু পড়সি)
আমি এইসব কথা নিয়ে একটা বই পড়েছিলাম নামটা মনে পড়ছেনা।তবে তোমার শুরুটা বইয়েরটা থেকে সুন্দর। :clap:
বাকিটা পড়ে পরে কমেন্ট করবো।
ওকে।
এই পোষ্টটা বোধহয় যথেষ্ট জরুরী হয়ে পড়েছিল নানান পরিস্থিতির কারণে। কাকতালীয় হলেও কালকের ঐ ঘটনার পর আজকে ভার্সিটিতে যখন আরেকজনের মুখে শুনতে হলো, "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অযৌক্তিক, কারণ তারা বৃদ্ধ এবং চল্লিশ বছরের পুরানো ইতিহাস ঘেঁটে লাভ নেই। সেই সাথে, নিজামী, গো.আ.দের স্বাধীনতার বহুকাল পরেও বলা, পাকিস্থান থাকলেই ভালো হতো--এর প্রতি পূর্ণ সমর্থন দেয়া উচিৎ।" বহুদিন পর আজকে আবার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। তবে দ্বিতীয়বার যাতে কখনো না বলতে পারে সে ব্যবস্থা করে এসেছি।
যুদ্ধটা বোধহয় শেষ হয়নি, কেবল স্তিমিত ছিল।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
মাথা গরম হওয়াই স্বাভাবিক। সবচেয়ে খারাপ লাগে, শিক্ষিত পোলাপানের এইসব যুক্তি দেয় দেখলে।
জেসিসির কলেজ মোটোটা মনে পড়ছে - সুশিক্ষিত জনই সুবিবেচক। সমস্যা হলো, শিক্ষিত হয় অনেকেই, সুশিক্ষিত হয় আর কয়জন?
x-( ওই ডেনিশ মাইয়ার সাথে টাঙ্কি মারার আগে একটা আফ্রিকান বিশাল সাইজের দোস্ত বানা।এইগুলা যে কইবো দোস্তরে দিয়া তারে আগে গদাম দেওয়াবি তারপরে কথা।আর আমি কানাডায় আইলে আমারে নিয়া যাইছ-বিনা পয়সায় গদাম দিমু x-( x-(
ভাল্লাগছে...........
চিঠির লিঙ্কটা দিতে পারবি ?
দিসে।
লেখাটা ভাল লেগেছে। 😀
আপনার নিয়মিত মন্তব্যের জন্য বিশাল বিশাল ধন্যবাদ।
রায়হান, তোর বয়স কত ??
ছুপাইস না ... প্লিজ, অরিজিনাল্টা বল
(সময়োপযোগী সুপার্ব লেখা ... দশ তারা)
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
অত্যন্ত ম্যাচিউরড একটা লেখা, আমিও কই..... রায়হান তোর বয়স কত ?
তাইফুর ভাই, দিলেন তো প্যাঁজগি লাগাইয়া। আসলেই তো আমার বয়স কতো? আমি আসলে কে? কী আমার পরিচয়? নাহ! মাথা গরম হইয়া গেছে, যাই পানি খাইয়া আসি।
খালি খাইস না, মাথাতেও একটু ঢালিস :grr:
পরে অনেক কিছু শিখতে পারলাম :clap:
ধন্যবাদ আরিফ।
সিসিবিতে অধিকাংশ লেখাই স্মৃতিচারণমূলক, সেখানে আপনার এই পোষ্টটা পড়ে খানিক স্বস্তি পেলাম। আপনার বক্তব্য খুবই যৌক্তিক। তারপরও একটা ব্যাপার বুঝি না, ৭১- নিয়ে যাদের এইরকম চিন্তাভাবনা(জামাতপন্থী) তারা কি খায়ে এইসব ধারণা নেয়!! এরকম হতে গেলে সম্ভাব্য সকল উৎস হতে এদের ভুল ধারণা পেতে হবে, এমনটা সম্ভব নয় ধারণা করি।
আসলে এরা এই প্রজন্মের অকৃতজ্ঞ গোষ্ঠী, ইচ্ছে করলেই সত্যটা দেখতে পারে, মেনে নিতে পারে; কিন্তু না। ষাঁড়ের মতন ঘাড় শক্ত করে এরা তর্ক করে, irrelevant সকল বিষয়স্তু টেনে আনে, এইসব মত তারা নির্দ্বিধায় প্রচার করে প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসে লজ্জাবিহীন।
স্বাধীনতার পর চার দশক পেরিয়ে গেছে, তাই এদের ধারণা আমরা যুক্তি দিয়ে আর বিচার করব না। বাহ! ওদের মতই মৌলবাদ, ধর্মান্ধতা, সংস্কার আমাদের অন্ধ করে দিয়েছে। না,
আমরা সত্য ভুলি নাই, দেশের অধিকাংশ মানুষও ভুলে নাই।
খুবই দারুন মন্তব্য।
দারুণ লিখেছো আবীর। আমি সত্যি মুগ্ধ। তাইফুরের মতো আমারো প্রশ্ন, আসলে তোমার বয়স কতো?
:hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
আমার বয়স ষাট। এখন আমাকেও কাইয়ূম ভাইয়ের মতো ভাই ডাকেন 😀
সকল ভিন্নমতকে শ্রদ্ধা করতে হবে এমন নয়
বৃত্তাধীন যুক্তি মোটেও যুক্তি নয়
— এই দুইটা টপিক পড়ে খুব মজা পেলাম। :thumbup:
এটা তো সৌদী আরবে না, জার্মানীতে শুনেছিলাম না? যদিও এতোদিন থাকার পরেও এমন কোনো জিনিষের হদিস পাই নাই এখানে।
বেশ গোছানো লাগলো লেখাটা।
কড়া খুজা দেন। খুইজা পাইলে বাদশা ফাহাদ আপনারে সন্মানজনক ডক্টরেট উপাধী দিবে। আমিও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করমু।
খুঁজে পেলে আমিও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করমু।
কস কি রে!!! আছোস কেমন? 😀
যুগোপযোগী লেখা, চরম লাগল পড়ে।
নেটেই কই জানি দেখছিলাম, প্রতি ঘণ্টায় গুগলে মানুষ কত কিছুর সন্ধান করে। প্রশ্ন করা হইছিল, ইন্টারনেট আসার আগে এই প্রশ্নগুলা মানুষ কাকে করতো? নেটের সুবাদে তথ্য জানা যে পরিমাণ সোজা হইছে তথ্য বিকৃতি এবং উল্টাপাল্টা জিনিসে বিশ্বাস করার সম্ভাবনাও তত বাড়ছে। আসলে নেটে সবচেয়ে বেশি তথ্য পাওয়া যায় সবচেয়ে জনপ্রিয় বিষয়গুলো সম্পর্কে। এজন্য দেখা যায় চাঁদে অ্যাপোলো মিশনের অভিযান নিয়ে নেটে যত তথ্য আছে তার চেয়ে চাঁদে যে মানুষ যায় নাই সেটার কন্সপাইরেসি থিওরি নিয়ে বেশি তথ্য আছে। মনুষ্যবাহী নভোযান ও মানুষের মহাকাশ অভিযান নিয়ে যত তথ্য আছে তার চেয়ে বেশি তথ্য আছে UFO নিয়ে।
কয়েকদিন আগে একজনের জ্বিন আবিষ্কারের কাহিনী শুনে তাশকি খাইছিলাম। আরও তাশকি খাইছিলাম দাজ্জালের আবির্ভাব এবং পশ্চিমা সভ্যতার উৎপীড়নে মুসলমান নামীয়দের ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে নানাবিধ কন্সপাইরেসির কথা শুনে। সব শোনার পর আমি খালি একটা প্রশ্ন করছি: ভাই এতো কিছু যে বললা, তুমি কি জান যে অপ্রমাণিত রেফারেন্স এর দোষে তোমার এত জ্ঞানাহরণ পুরাটাই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হইতে পারে। কষ্টই লাগে যখন দেখি মানুষ নতুন জ্ঞান আহরণের জন্য কত কষ্টই না করতেছে, করার আগে ভেবেও দেখতেছে না তার উৎসটা কি।
ইন্টারনেটে এমন কোন বুলশিট ডিটেক্টর থাকলে খুব ভাল হইত।
পোস্টটা দারুণ। তোর বয়স নিয়ে আর মাথা ঘামাইলাম না, তবে প্রশ্ন আছে।
মতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি,
ডাটা কই? উপসংহার আগে কেন?
🙁 আপু,ডাটা তো হাতের কাছে নাই তবে এইটুকু বলতে পারি শুধু সেনাবাহিনী না-সরকারের এমন কোন চাকরি বাংলাদেশে নাই যেইটাতে উচ্চপদে যেতে রাজনৈতিক ধান্ধাবাজ হওয়া লাগেনা।অবশ্য এতকিছুর পরেও গোবরে পদ্মফুলের মত কিছু কিছু ফাটাফাটি রকমের যোগ্য মানুষ নিজ যোগ্যতায় ঠিকই উচ্চপদে পৌঁছে যান কোন রকমের ধান্ধাবাজি ছাড়াই।তাঁদের প্রতি সালাম-এঁনাদের কারণেই পুরো সিস্টেমটা মারাত্মক জখম হলেও টিমটিম করে প্রাণপাখিটা বেঁচে আছে।
বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে মোটামুটি জেনারেল নলেজের পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়া এই ব্যাপারগুলোতে মনে হয় ডাটা না হইলেও চলে।
পার্সোনালি নিওনা আপু,প্লিজ।
দুঃখিত মাস্ফ্যু ভাই, একমত হইতে পারলাম না। 🙂 এক নম্বর কথা, পার্সোনালি না নাওয়ার কোন কারণ নাই। আর দুই নম্বর কথা, এই জেনারেল নলেজ আমি তো চোখের সামনে দেখি না। আমার ডাটা তো অন্য কথা বলে। ইফতি ভাইয়ের কথাটাই ধরেন না,
চোখের সামনে বহু ধান্দাবাজ আছে, কিন্তু আসলে কতজন ধান্দাবাজ আছে?
সুখের ঘরে দুখের আগুন ... 😛
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
আর দুই নম্বর কথা, এই জেনারেল নলেজ আমি তো চোখের সামনে দেখি না
আচ্ছা আর্মির কথা না বলে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের কথাই বলি।কষ্ট করে ভুক্তভোগীদের কাছে একটু খোঁজ নিও।তুমি যদি বল আপু যে বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ আমলারা অধিকাংশই ভাল মানুষ-মাত্র গুটিকয়েক ধান্ধাবাজের জন্য বাকিদের বদনাম হচ্ছে,তাহলে তোমার আশেপাশের অধিকাংশ মানুষই দেখবা তোমার দিকে খুব অবাক হয়ে তাকাবে।ভাল মানুষ যে নাই তা-না তবে তাদের সংখ্যা দৈত্যকূলে প্রহলাদের মতই।
পার্সনালি নিয়ে ফেলেছো আপু-এর দায় পুরোপুরি এড়ানোর উপায় আমার নাই-আমারই অক্ষমতা ঠিকভাবে মনের ভাব প্রকাশ করতে না পারার জন্য।খালি এইটুকু বলি-তোমার মত অসম্ভব পছন্দের এক ছোটআপুকে পার্সোনালি আঘাত করার আগে যেন দুনিয়া থেকে স্রষ্টা আমাকে উঠিয়ে নেন।আবারো মাপ চাইছি আপু।
খুব ভাল লাগল পড়ে। সার্কুলার রিজনিং টার্মটা আগে শুনি নাই, ইন্টারেস্টিং নাম 🙂
একটা কী-ওয়ার্ড সার্চ করতে যেয়ে আপনার লেখাটা পড়ে ফেললাম! সার্থক যতটুকু সময় জ্ঞান আহরণ করতে পেরেছি!