[বাংলাদেশের ক্রীড়া জগতে না হোক ক্রীড়প্রেমীদের মনে যার নাম গেঁথে থাকবে অনেকদিন তার নাম চৌধুরী জাফরুল্লাহ শরাফত। তার সুনিপুণ ভাঁড়ামোতে আমাদের মাতিয়ে রেখেছেন এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। কী ফুটবল, কী ক্রিকেট সবখানেই তার অবাধ বিচরণ । সেই শরাফত ভাইয়ের বিভিন্ন কমেন্ট্রি থেকে তার চরিত্রের কিছু বিশেষ দিকগুলোকে পাঠকের কাছে পৌঁছাতেই আমার এই প্রয়াস। কমেন্ট্রিগুলো টিভিতে অথবা রেডিওতে শোনা , তার সাথে নিজের কিছু কমেন্ট জুড়ে দিলাম।উল্লেখ্য সময় আর স্থানাভাবে অল্প কিছুই শেয়ার করতে পারলাম।]
ভুলোমনা শরাফত ভাই
শরাফত ভাইয়ের ভুলোমনা মনের পরিচয় আমরা পাই যখন তিনি কমেন্ট্রি দিতে দিতে হারিয়ে যান সেই সাথে গোলমাল খেয়ে যায় বাক্যে তার শব্দ বিন্যাস। উদাহরণ- ” খেলার মাঠের খবর জানাতে গেলে বলতে হবে এখনও মেঘাচ্ছন্ন মাঠ আর কর্দমাক্ত আকাশ বিরাজ করছে”। কিংবা, ” বোলার শ্রীনাথ তার ট্রাউজার খুলে আম্পায়ারের হাতে দিয়ে চলে যাচ্ছেন বোলিং রান আপের শেষ প্রান্তে।”
সংগীত মনা শরাফত ভাই
” পরের বল। এবারে কিন্তু একটু ঠুকে দিয়েছিলেন। বলটি ব্যাটসম্যান মাশরাফির ব্যাটের কানা ছুঁয়ে স্লিপের উপর দিয়ে চলে গেলো সীমানার বাইরে। আরো চারটি রান। বাংলাদেশের রান গিয়ে দাঁড়ালো একশত তেইশ। এক দুই তিন। আমার কিন্তু জনপ্রিয় একটি হিন্দী গানের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।”- ২০০১ সালে নিউজিল্যাণ্ডের সাথে বাংলাদেশ প্রায় অলআউট হবার আগে এমনিভাবে গানের কথা মনে পরাতেই তার সংগীত পিপাসু মন আমরা খুঁজে পাই।
অতিথিপরায়ণ শরাফত ভাই
“সুপ্রিয় দর্শক মণ্ডলী আজকের মত আমার বলার পালা শেষ। এরপর ইংরেজিতে বলা শুরু করবেন শামীম । আমি আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। তবে বেশি দূর যাচ্ছি না। মাঠের দক্ষিণ পূর্ব পাশের একটি অফিসের ছয়তলায় আমি বসি। আপনারা কেউ এখানে এলে অবশ্যই আমার সাথে দেখা করে যাবেন। আমি খুব খুশি হবো।”- এমসিসি টাইপ কোন দলের সাথে খেলার কমেন্ট্রি দিতে গিয়ে তার করা এই ডায়লগটি তার মাঝেকার অতিথি পরায়ণ বাঙালি রূপটিকে তুলে ধরে।
সাহিত্যিক শরাফত ভাই
নিটল টাটা জাতীয় ফুটবল লিগের কোন ম্যাচে রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক হিমু ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়েছিলেন। তাকে পুরস্কার নিতে ডাকার আগে এবং পরেকার কথোপকন গুলো এরকম-
” আজকের ম্যাচে জয় কোন দলের হয়নি , কিন্তু একজন ছিলেন মাঠে, দৃপ্ত অবিচল দৃঢ় প্রতিজ্ঞ দুর্বার গোলরক্ষক হিমু। তিনি একের পর এক হা হয়ে যাওয়া গোলমুখ থেকে বলকে রক্ষা করেছেন। হিমু আপনি ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ। (করতালি । হিমুব পুরস্কার নিয়ে আসল শরাফতের দিকে)।
হিমু আপনি কি আজকে প্রতিজ্ঞা করে নেমেছিলেন কোন বলকে জালে ঢুকতে দেবেন না?” সাহিত্যিক শরাফত ভাইয়ের সাহিত্যিক প্রতিদান হিমু দিতে পারলেন না। তিনি বললেন, না। “তেমন কোন পরেতিজ্ঞা আছিল না। যাস্ট খেলার দরকার খেলছি। ভাল্লাগতাসে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হইছি।”
ধোঁকাবাজ শরাফত ভাই
শরাফত ভাইয়ের অতি অভিনয়ে ধোঁকা খায়নি এমন লোক খুব কমই আছে। আমরা যারা খেলা দেখি বা শুনি সবাই এর সাথে পরিচিত- “ছয় হতে পারে কিন্তু বোল্ড “। তবে শরাফত ভাই সেরা দেখিয়েছিলেন যে ঘটনা সেটাই বলি। রেডিওর ঘোষিকা বললেন, সুপ্রিয় শ্রোতামণ্ডলী বাংলাদেশ এবং কেনিয়ার মাঝেকার ফাইনাল খেলা বৃষ্টিতে বন্ধ। মাঠের খবর জানাতে আপনাদের নিয়ে যাচ্ছি কিলাত ক্লাব মাঠে।” এরপরে ভেসে এল চেনা কন্ঠের উদাত্ত স্বর” মেঘ কেটে গেছে, সূর্য উঠেছে। চারদিকে বইছে সুবাতাস। ( আমরা সবাই খেলা শুরুর প্রত্যাশায় নড়ে চড়ে বসলাম)। বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই সুবাতাস দীর্ঘস্থায়ী হোক । এদিকে মাঠের খবর বৃষ্টি কিন্তু পড়ছে।”( গালি দিতে দিতে আমজার সামনের অপেক্ষমান শ্রোতারা চলে গেলো) ।
নস্টালজিক শরাফত ভাই
শরাফত ভাই মাঝে মাঝে কমেন্ট্রি দিতে দিতে নস্টালজিক হয়ে যান। ফল শ্রোতাদের বিভ্রান্তি আর রাগের কারণ। ১৯৯৯ সালে ধাকায় জিম্বাবের সাথে ম্যাচের কমেন্ট্রি- ” সুপ্রিয় শ্রোতারা দর্শকদের করতালি শুনে আপনারা বুঝতে পারছেন মাঠে নামছেন মোঃ রফিক। তার কথা বলতে গেলে মনে পড়ে যায় অনেক কথা। বাংলাদেশের প্রথম জয়ে ব্যাট হাতে কিন্তু রফিক ৭৭ রান করেছিলেন। সেদিন তিনি একটি বিশাল ছক্কা মেরেছিলেন। তাছাড়াও বোলার হিসাবে সেই সার্ক ক্রিকেট ১৯৯২ সালে–আউট আ–উ–ট,মোঃ রফিক আউট হয়ে গেলেন এইমাত্র, যাহোক যে কথা বলছিলাম…….”।
দার্শনিক শরাফত ভাই
শরাফত ভাই নিজের নিঃশেষতার দর্শনে তার বিশ্বাসের জানান দেন ২০০৬ সালে কেনিয়ার সাথে ম্যাচে রাজিনের সেঞ্চুরিতে ম্যাচ জেতার দিন। তার কমেন্ট্রি ছিলো এমন, আরে জিতবেই তো। আমি আগেই বলেছিলাম।, বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ করবে। আর শুধু আজকে কেন, বাংলাদেশ একদিন বিশ্বকাপ জিতবে। সেদিন হয়তো আমি থাকবো না। কিন্তু যারা আমার কমেন্ট্রি শুনছেন তারা থাকবেন। তারা বলবেন , ঐ লোকগুলো বলেছিলো,,,,,,,,,,,,,,,,
ধেশপ্রেমিক শরাফত ভাই
সুপ্রিয় দর্শকমণ্ডলী বাংলাদেশ আজ বারমুডাকে হারিয়ে সুপার এইটে খেলার গৌরব অর্জন করলো। এ জয় অনেক দিনের আশার, অনেকদিনের প্রত্যাশার অনেক বড় সম্মানের অনেক বিশাল অর্জন——সুপ্রিয় দর্শক আমি প্রথমে বলতে ভুলে গিয়েছিলাম দুটি কথা। সাবাশ বাংলাদেশ। সাবাশ বাংলাদেশ। তোরা সব জয়ধ্বণি কর। ওপু নতুনের কেতন ওড়ে কালবৈশাখীর ঝড়………
—।
বিভিন্ন দিক আলোচনায় ভালো খারাপ থাকলেও শেষ অংশটুকুর জন্যই তারে আমি ভালো পাই। তাকে দেখেও যদি বাঙালি প্লেয়াররা একটু দেশপ্রেম শিখত।
মাস্ফ্যুর সৌজন্যে আরো কিছু শরাফতীয় রূপ:
রেসিস্ট শরাফত ভাইঃ
কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড় এনকালা বল করতে আসার পর জাফরুল্লা সাহেবের কমেন্টঃ
এই যে আসছেন এনকালা,তিনি নামে কালা দেখতেও কালা(অফ টপিক-জাফর ভাই কি নিজের চেহারা আয়নায় দেখছেন কোনদিন? 😡 😡 😡 )
দূরদর্শী শরাফত ভাইঃ
বাংলাদেশ ইংল্যান্ড খেলা চলাকালীন লর্ডস মাঠে খেলার বর্ণনা দি্চছেন শরাফত ভাই-”আমি লর্ডসের পাশে আমার ভাগ্নীর বাড়িতে মাছ বাজার করে ব্যাগে করে সব মাছ নিয়ে হেঁটে যাচ্ছি এমন সময় দেখলাম হঠাৎ কি যেন একটি জিনিস আমার ব্যাগে এসে পড়ল আর সব মাছ বাইরে পড়ে গেল।আমি তাকিয়ে দেখি এটি একটি ক্রিকেট বল-ছক্কা হয়ে আমার ব্যাগে পড়েছে।আমি সাথে সাথে বুঝে গেলাম যে এটি নিশ্চয়ই ব্রায়ান লারার মারা ছক্কা কারণ তিনি ছাড়া আর কেউ এভাবে তাগ করে আমার ব্যাগে ছক্কা মারতে পারতেন না।ওমা সত্যি সত্যি লর্ডসের মাঠে গিয়ে দেখি ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলা হচ্ছে এবং ব্যাট করছেন ব্রায়ান লারা-যিনি এই মাত্র ছক্কা মেরে বলটি আমার বাজারের ব্যাগে ফেলেছেন… :)) :)) :))
১ম
আমিন লেখা জটিল হইসে =)) =)) =))
বিদিক মজা পাইলাম পইড়া ভাইয়া। =)) =))
তাইলে আর কি করা :frontroll: :frontroll: লাগাও।
:khekz: :khekz:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
:)) =))
শরাফত ভাই রে নিয়া একটা সিরিজ লেইখা ফালাও।
হুম। যখন যেটা মনে পড়ে এক কইরা ঢুকানো যায়। তয় বসরে নিয়া সিরিজ শুরু করলে শেষ হবে না।
জটিল জটিল :)) :))
আমিন দারুন হইছে =)) মানপত্র টাইপের শরাফত ক্লাসিক :))
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
😀 😀 😀
কাই--য়ুম ভাই, আপনার কমেন্ট পেয়ে আমি উচ্ছসিত উদ্ভাসিট উদ্বেলিত সর্বোপরি উত্তেজিত...
(ক.রা: শরাফত ভাই)
আর বাকি আছে একটি বল কিন্তু রান দরকার আরো বিশটি, তাই ম্যাচটি বোলিং টিম জিতেই যাচ্ছে। কিন্তু না এখোনো আশা আছে, প্রতিপক্ষের বোলার যদি নো বল দিতেই থাকেন দিতেই থাকেন দিতেই থাকেন তবে বলা যায়না...... (ক.রা: শরাফউল্লাহ জরাফত :grr: )
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
বস একটা লাইন বাদ গেছে, " ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা , শেষ বলটি না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যায় না।"
দারুণ মজা পাইলাম।
চমৎকার পোস্ট আমিন, ব্যতিক্রমী।
বেশ কিছুদিন আগে উনার এক সাক্ষাৎকারে শরাফত সাহেব বলেছিলেন উনি নাকি একটা ধারাভাষ্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলবেন। :khekz: :khekz:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
থ্যঙ্কু বস।
ধারাভাষ্য কেন্দ্র খুললে সেটার স্টুডেন্ট হমু কিনা ভাবতেসি।
ফেসবুকে জাফর ভাইয়ের ফ্যনক্লাব আসে। তার দুর্দান্ত কমেন্ট্রির কিছু ভিডিও পাবেন সেখানে।
সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী একটা পোষ্ট দেওয়ার জন্য ভাইয়াকে ধন্যবাদ। 🙂
স্টকে আরো আছে নাকি? থাকলে তাড়াতাড়ি আরেকটা লেখা দিয়ে দাও।
স্টক লাগে না । আসলে জাফরুল্লার এইসব এমনিতেই মুখে মুখে বলি। লিখতে বইসা যেগুলা মনে আসছে একটানে লিখছি। আরো কয়েকটা চেষ্টা করলে মনে করা যাবে। 😀 😀
বিসমিল্লাহ বলে তাহলে শুরু করে দাও ভাইয়া। 🙂
হাহাহাহাহাহ, আমিন বহুদিন পরে মনে হইল আড্ডায় তোর সেই কমেন্ট্রি। তবে ব্যাটসম্যান মাশরাফি না কইয়া তোর প্রিয় গুল্লুর কথা কইতি।
তুই এক কাজ কর আরেকটা লেখ এবার ঈদের মোনাজাত।
আমাদের আড্ডায় মাঝে মাঝেই আমিনের কমেন্ট্রি আর মোনাজাত সেইরকম হিট ছিল।
মাঠ চলে গেল বলের বাইরে, থ্রো-ইন আবাহনীর অনুকূলে
-কঃরাঃ ঐ
:)) :))
হুম দোস্ট। গুল্লু তরে আমরা বুয়েটে ঝাড়ছিলাম সেই কাহিনী সময় কইরা লিখুম নে।
মোনাজাত লিখতে ভয় পাই। এর ধর্ম অধর্ম ট্যাগ লেগে যেতে পারে বলে। মোনাজাত নিয়া ফাইজলামি কয়জন সহ্য করতে পারে।
=)) =))
সকালবেলার মজার পোস্ট । আরো ছাড়ো মিয়া । :thumbup:
😀 😀 😀
ফাটাফাটি হয়েছে আমিন... শরাফতের একটা বানী সংকলন বের করে ফ্যাল...
আমিও একটা দিয়ে যাই, "পুল করতে গিয়ে ভুল করে আউট হয়ে গেলেন বুলবুল... "
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:)) :)) :))
হাস্তেই আছি.....
=)) =)) =))
শরাফাত মামায় দেখি বেশি বস।
আমিন ভাই দারুন হইছে। :teacup: :teacup:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
হুম। চায়ের জন্য থ্যঙ্কু।
শরাফত বসে আসলেই অন্য জিনিস। কালকে সামুতে যখন এই পোস্ট দেই তখন আমার এক বন্ধু তার নাম বলে খটাখট। তার এই নামের মাজেজা জানতে চাইলে সে বলল, উনার কমেন্ট্রি শুনলেই বুকের ভিতর কেমন জানি খটাখট ঘোড়দৌড় শুরু হয়া যায়, হার্ট টা যেকোন সময় ফেইল করার হুমকি দেয়, উনি ছক্কা বইলা হাঁক দিলেই মনে হয় কিন্তু না আউট হয়ে ফিরে যাচ্ছেন ব্যাটসম্যান। এই আনপ্রেডিক্টেবল ধারাভাষ্যকারের জন্য তাই খটাখট।
আমিন ,জটিল ...... =)) :))
থ্যঙ্কু দোস্ত।
:pira: :pira: :pira:
:goragori: :goragori: :goragori:
Dhk er baire tour e achi. Kintu ei post dekhe login na kore thakte parlam na. Sirokom hoise, ki bolen qayyum bhai?
এই সপ্তাহে কই আসলেন ট্যুরে?
কাইয়ুম ভাই আপ্নে কই? রিবিন ভাই ইপনিরে বিলায়?
কয়েকটা যোগ করি-পারলে মূল অংশের সাথে তুইলা দিয়েন,কপিরাইট আপনেরে দিয়া দিলাম যান...
রেসিস্ট শরাফত ভাইঃ
কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড় এনকালা বল করতে আসার পর জাফরুল্লা সাহেবের কমেন্টঃ
এই যে আসছেন এনকালা,তিনি নামে কালা দেখতেও কালা(অফ টপিক-জাফর ভাই কি নিজের চেহারা আয়নায় দেখছেন কোনদিন? 😡 😡 😡 )
দূরদর্শী শরাফত ভাইঃ
বাংলাদেশ ইংল্যান্ড খেলা চলাকালীন লর্ডস মাঠে খেলার বর্ণনা দি্চছেন শরাফত ভাই-"আমি লর্ডসের পাশে আমার ভাগ্নীর বাড়িতে মাছ বাজার করে ব্যাগে করে সব মাছ নিয়ে হেঁটে যাচ্ছি এমন সময় দেখলাম হঠাৎ কি যেন একটি জিনিস আমার ব্যাগে এসে পড়ল আর সব মাছ বাইরে পড়ে গেল।আমি তাকিয়ে দেখি এটি একটি ক্রিকেট বল-ছক্কা হয়ে আমার ব্যাগে পড়েছে।আমি সাথে সাথে বুঝে গেলাম যে এটি নিশ্চয়ই ব্রায়ান লারার মারা ছক্কা কারণ তিনি ছাড়া আর কেউ এভাবে তাগ করে আমার ব্যাগে ছক্কা মারতে পারতেন না।ওমা সত্যি সত্যি লর্ডসের মাঠে গিয়ে দেখি ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলা হচ্ছে এবং ব্যাট করছেন ব্রায়ান লারা-যিনি এই মাত্র ছক্কা মেরে বলটি আমার বাজারের ব্যাগে ফেলেছেন... :)) :)) :))
এইটা হইছিল এমসিসি আর বাংলাদেশ দলের খেলার মইধ্যে-আমরা তখন ক্লাস এইট।
দ্বিতীয়টা নিশ্চয়ই চাপা ছোয়াইছস তুই। এইটা কোনদিন শুনিনাই।
x-( x-( x-( কিকৈবার্চান?
ইয়ে মানে পরথম আলুর উটপাল ছুব্রু ইদানীং কম যাইতেছে না-হ্যার সাথে নাকি আইসিসি চীফ মরগ্যানের আর তার বঊয়ের ট্রেনে দেখা হইছিল আর ওই মহিলা নাকি তার সাথে সাংসারিক আলাপ করছে... =)) =)) =))
তুই যে উটুরে নিয়া মাতছস সেটা সামুতে আমি অনেক আগেই খেয়াল করছি। কিছু কই নাই মজা দেখতেছিলাম। আমি কমেন্ট রিপ্লাই না করায় তুই নাকি মাইন্ড করছস তাই জোড় কইরা লগ ইন হলাম জানান দিতে।
তর নতুন দুইটা জিনিস মনে ধরছে। মূল পোস্টে এ্যাড করে দিচ্ছি। 😀 😀
:shy: :shy: :shy: :shy: :shy: ইমি তি শিরিম পিলিম ইমিন ভি
আমিন ভাই খোদাবক্স মৃধা কই?উনারে অনেক দিন দেখিনা কেন?
ভারী চমৎকার ( ক:রা: মৃধা ভাই)
আমিন : আমি বুদ্ধিমান, তাই বাংলাদেশের কোনো খেলা বিটিভিতে দেখি না। 😛
অফটপিক : জাফরউল্লা শরাফত মারা গেলে সমস্যা নাই, ফুটবল আর ক্রিকেট কমেন্ট্রির জন্য আমিন আছে না!! 😉
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
:thumbup:
সালটা ১৯৯৬, মাসটা এপ্রিল। এবং যতোদূর মনে পড়ে একাদশতম দিবস। সোহরাওয়ার্দী হাউসের একতলা। ৬ নম্বর অথবা ৭ নম্বর রুমের সামনে সিনিয়ারটি-জুনিয়ারটির তোয়াক্কা না করে জুনিয়ার ছেলেপেলের ভিড়। একটা রেডিও বাজছে রুমের ভেতর, কথা বলছিলেন আমাদের প্রিয় জাফর ভাই। তার চিৎকারের পর আর কিছু মনে নাই। কমেন্ট্রি যাই দেক, ঐ একটা দিনের জন্য তার কথা আমার সারাজীবন মনে থাকবে।
কি বলছিল মনে আছে নাকি তোর,
" মালয়েশিয়ার কিলাআআআআআআআত ক্লাব মাঠ থেকে আমি জাফরউল্লাহ শরাফত আপনাদের জানাচ্ছি মাঠের চারপাশে লাল সবুজের পতাকায় ভরে গেছে, মাঠে নাচছে বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা, বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন ( একটা বিশাআআআআআআল টান হবে ) "
:hug: :hug: :hug:
তোর সাথে দেখি আমার ক্রিকেট অভিজ্ঞতা খুব মিলে যায় 🙂
মাসটা এপ্রিল না মার্চ হবে মনে হয়।
ওি দিন আমি সি এম এইচ থেকে ডিওসচার্জ হয়ে কলেজে আসি। হাউসে ঢোকার সময় দেখতে পাই উত্তেজনা। আমার তখনকার অসুস্থ শরীর নিয়েই হৈ হৈ করে নেমে পড়ি বিজয় মিছিলে।
ওি সময়ে তার দেয়া ডায়লগ,
" চিৎকার করতে করতে আমার গলার বারোটা বেজে গেছে" এইটরা অনেকেই মিস করে গেছে আবেগে আমার মাথায় অবশ্যি আঁটকে গেছে।
১৯৯৬ না ৯৭ হবে...... আমার স্মৃতি নিয়ে একটা পোস্ট ও দিসিলাম এক বলে এক রান
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আকাশ এই কথাটা কিন্তু তুই সহরাফত ভাইয়ের সুরে বলতে পারতি,
" আমার স্মৃতি যদি আমার সাথে প্রতারণা না করে তাহলে সেই ১৯৯৭ সালের কিলাত কিলাব মাঠ থেকে........" 🙂 🙂 🙂
:)) :))
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
দারুণ লিখছো আমিন।
আরো লেখো শরাফত ভাইরে লইয়া...
কামরুল, নাটক নামাও একটা ইনারে নিয়া...
রাজশাহীর লোকাল কোন ফুটবল টুর্নামেন্টে কমেন্ট্রি দিচ্ছিলেন শারাফাত ভাই(উনিও নাকি ওখানকার লোকাল ছেলে) হঠাৎ গোল হয়ে যাওয়ায় শারাফাত ভাইয়ের কমেন্ট" যা বারা গোল হয়ে গেল"।
যা বারা গোল হয়ে গেল
😮 😮 😮 😮 😮 শরাফত ভাইয়ের বাড়ি কি যশোর এলাকায় নাকি?এস এস সি তে ১ম হওয়া আমাদের ফরিদ ভাইয়ের বাড়ি যশোরে-ভয়াবহ রকমের ব্রিলিয়ান্ট এই মানুষটার একটা মজার দিক হল প্রতি তিনটা শব্দের একটা শব্দ হিসেবে "াড়া" ব্যবহার করা।যেমনঃ
-কিরে াড়া মাসরুফ কেমন আছিস?
-আরে যা াড়া আমি আর কি ব্রিলিয়ান্ট, াড়া বুয়েটে আমার চেয়ে বস আরো কত াড়া আছে...
-চলে যাবি?তাহলে যা-ভাল থাকিস রে াড়া...
যশোরের মানুষের প্রিয় শব্দ মনে হয় ওইটা 😀 😀 😀 😀 😀
আমাদেরও ঐ এলাকার একটা ছিল... সেইরকম অবস্থা :))
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ফরিদ ভাই কিন্তু আপনেগো ব্যাচের 😛
হা হা । ফরিদরে কইতাসি দাড়া । বিদেশ যাওয়ার আগে তোরে শেষ ডলা দিবনে ।
🙁 🙁 এই কাম কইরেন না কেলাস সেভেনে উনি আমার টেবিল মেট ছিলেন-উনার থাবড়া গুলা আইজো ভুলি নাইক্কা... 🙁 🙁
শরাফত ভাই আর সমস্ত রেকর্ড সিডি আকারে বের করতে পারে। নির্মল আনন্দের খোরাক হতে পারে এইগুলি। 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
:thumbup: :thumbup:
মজার লেখা। ভালো লাগল পড়ে। অনেক ধন্যবাদ আমিন ভাই।
থ্যঙ্কু ভাইয়া।
আমিন তোমার ভিডিও দেখলাম..ফাটাফাট হইছে :thumbup:
ভিডিওটা কোথায় দেখলেন বস?
সিসিবিতে শেয়ার করব???
হাহাহাহা......হাসতে হাসতে পিরা গিয়া মিরা যাওয়ার মত অবস্থা। =)) =))
আমিন, দারুণ লিখছ। :thumbup:
থ্যঙ্কু ভাইয়া 😀 😀
এইটা কেমনে মিস্কর্সিলাম!
নির্মল বিনোদন আমিন ভাই!
বহুদিন পর হাত পা খুইলা হাসলাম :))
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
প্রাগৈতিহাসিক পোস্ট বাইর করলি কৈ থিকা?
আমিও পোস্ট পইড়া হাসতাসি আর কইতাসি, "আমিন, তুই কী লিখলি?"
আমিন ভাই, একটা নতুন ট্যাগ পাইছি- "যাদুকর শরাফত ভাই"।
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড খেলা চলাকালীন তাঁর কাল কোটের উপরে কলারের কাছে লাল-হলুদ ড্রাগনসুলভ এমব্রয়ডারি দেখে উনাকে চাইনিজ যাদুকর জিংগালো জুংলা এর মত দেখাচ্ছিলো =))
😀 😀 =))
জিঙ্গালু জুংলা!!!! বহুত দিন পর মনে পড়লো... হাস্তেই আছি.....
এ্যাড কইরা দেন না 🙁
সাহিত্যিক শরাফত ভাইয়ের সাহিত্যিক প্রতিদান হিমু দিতে পারলেন না। তিনি বললেন, না। “তেমন কোন পরেতিজ্ঞা আছিল না। যাস্ট খেলার দরকার খেলছি। ভাল্লাগতাসে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হইছি।” =)) =)) =)) =)) =))
হাসতে হাসতে পিরা গেলাম আমিন ভাই, এত্ত মজার পোস্ট অনেকদিন পর পড়লাম।
অনেক আগে কমেন্ট কইরা একটা ভিডিও দিতে চাইছিলাম, কিন্তু টেকি গোলযোগে দিতে পারি নাই। এখন লিংকটা দিতেছি। আমিন শরাফত আংকেলের কতো ভালো করতে পারে সেইটার একটা ছোট্ট উদাহরণঃ
http://www.youtube.com/watch?v=wd7YM7cV-MI