আলাপনঃ এক

– এই চুপ! কথা নয় একটিও! শুষে নিতে দাও তোমার গোলাপ ঠোঁটের রঙ

– আহা! যেন খাও নি কখনো! আজই যেন তোমার প্রথম পাঠ?

– খেয়েছি, কিন্তু প্রতিবারই তোমার ঠোঁট নতুন মনে হয়। কখনো শ্রীমঙ্গলের কমলালেবুর মত রসে ভরা, আবার কখনোবা ক্লেমেন্টাইনের মত, আলাদা এক একটা কোষ যেন সযত্নে মোড়া সোনালী রাংতায়। মাধুরী, কী আছে বলো তোমার ঐ ট্যাঞ্জারিন ঠোঁটে?

বিস্তারিত»

একটি স্বপ্ন দৃশ্য

ধান খেতের পাশে ছোট্ট একটা কুঁড়েঘর। রোয়াকে মাদুর পেতে ভাত খেতে দিয়েছ তুমি। সামনে দস্তরখানায় গরম বিরুই চালের ভাত। ধোঁয়া উঠছে। সাথের আয়োজন সামান্যই। টেংরা মাছের ঝোল জলপাই দিয়ে। বৈলর হাটের লাল লাল জাম আলুর ঝাল ঝাল ভর্তা। ছোট একটা পিরিচে আছে কালো জিরা ভর্তাও। আমি বললাম,

তুমি খাবা না? তুমিও বহ আমার লগে।

কিছু না বলে তুমি একটা তালের পাখা নিয়ে হাওয়া করতে বসলে।

বিস্তারিত»

গন্তব্য

এক

তিন টাকা দামের চা আর দুই টাকার ঠোঙা চিনাবাদামের দিন ফুরিয়ে গেছে, এককাপ চায়ের দাম এখন পাঁচ টাকা। অথচ সেই অনুসারে আয় বাড়েনি, রিক্সা ভাড়া বেড়েছে, সবজী-মাংস-মাছের দাম বেড়েছে, বাড়ি ভাড়া বেড়েছে এমনকি পতিতার রেটও বেড়েছে।
সিগারেটে টান দিতে দিতে দেশ ও জাতির জন্য দিল-দরিয়া ভেবে ছারখার করে দিল আলম। উরুর ফাঁকায় আপতত চুলকাচ্ছে, অথচ সামনে একজন হুজুর বসে বসে চা খাচ্ছেন,

বিস্তারিত»

একটি সারপ্রাইজ বার্থডে পার্টি এবং…

কাল তারিফের জন্মদিন, একটা স্পেশাল দিন। আর কারো জন্য না হলেও তারিফের জন্য অবশ্যই। তাই এই উপলক্ষ্যে প্রীতি তারিফকে একটা সারপ্রাইজ দেবে বলে ঠিক করেছে। গার্লফ্রেণ্ড হিসেবে এটা তার দায়িত্ব বলেই ধরে নিয়েছে সে।

তারিফ তার কলেজের বন্ধুদের খুব মিস করে। প্রীতির পরিকল্পনা হলো, তারিফের সেই বন্ধুগুলোকে একসাথে ডেকে নিয়ে একটা সারপ্রাইজ বার্থডে পার্টি দেবে। পরিকল্পনামত তারিফের কলেজের বন্ধু নুর-এর সাথে যোগাযোগ করলো প্রীতি।

বিস্তারিত»

উজলীদীঘিরপাড়ে

টং এর গায়ে সাঁটানো বাংলা সিনেমার পোষ্টার গিলছিলো হানিপ। পোষ্টার এর প্রধান আকর্ষণ একজন হাফপ্যান্ট পড়া নায়িকা। দেখতে ভালোই, নাম মাহি। এতো সুন্দর একটা মেয়ে কেন হাফপ্যান্ট পড়ে আছে সেটা একটা আশ্চর্যের বিষয়। 

সরু রাস্তা দিয়ে বাস যাওয়া আসা করছিলো। হঠাৎ করেই কিছু একটা উড়ে এসে হানিপের শার্টে পড়ে। সাদা থকথকে একটা পদার্থ, হানিপের কাছে “কাইশ” নামে পরিচিত। “শালার পুত”-মুখ দিয়ে গালি বের হয়ে যায়।

বিস্তারিত»

বল ইন দি ফ্লাইট…


কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ; আন্তঃ ক্যাডেট কলেজ বাস্কেটবল প্রতিযোগিতা- ২০০৬; ফাইনাল ম্যাচ।
মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ (ম ক ক) বনাম ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ ( ঝ ক ক)
স্কোর বোর্ডে মকক ৫৫ বনাম ঝকক ৫৭, স্টপ টাইম কীপারের হাতে স্টপ ওয়াচ এ সময় আছে মাত্র ১৫ সেকেন্ড। মেজর রাশিদ চিৎকার করে বলবেন, “টেক থ্রী পয়েন্ট শট। জাস্ট রিলিজ দি বল নাজের।“ অ্যাডজুট্যান্টের কথা অনুযায়ী থ্রী পয়েন্টের জন্য শট নিলেও তা রিং এ লেগে বেরিয়ে যেতেই রেফারী বাঁশি বাজিয়ে সময় সমাপ্তির ঘোষনা দিতেই ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের উৎফুল্ল দর্শকরা জয়ধ্বনি করতে করতে মাঠে প্রবেশ করে উল্লাসে মেতে উঠলো।

বিস্তারিত»

একজন রহিম মিয়া

রহিম মিয়া, আলমনগর এলাকার প্রভাবশালী গৃহস্থ।

হটাৎ তার টাইফইয়েড হলো । ডাক্তারের   পরামর্শে ওষুধ খেয়েও তার জ্বর ভালো হলো না । সে মানত করলো,“হে আল্লাহ, আমার জ্বর যদি ভালো করে দাও আমার গরু বিক্রি করে যে টাকা পাবো তা তোমার রাস্তায় দান করে দিবো ।”

মাসখানেক পর তার জ্বর ভাল হলো। কিন্তু সে তার মানতের কথা ভুলে গেলো ।

অনেকদিন পর তার আবার হাল্কা জ্বর আসাতেই তার মানতের কথা মনে পড়লো ।

বিস্তারিত»

ফেসবুকের মানুষগুলো (পর্ব-২)

এক

এই মাত্র রীহানকে খাইয়ে ঘুম পাড়ালো শর্মিলী। ছেলেটা ঘুমাচ্ছে কত সুন্দর করে। রীহানের বাবার সাথে কি আশ্চর্য ঘুমানোর স্টাইলের মিল! “ব্যাপারটা নিশ্চয় জিনগত”- ভাবে শর্মিলী। হঠাৎ করেই ছেলের ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে শর্মিলীর চোখে পানি চলে আসলো।

আহারে ছেলেটা দেখতে দেখতে বড় হয়ে যাচ্ছে, আর কিছুদিন পর পাঁচে পা দিবে। স্কুলে ভর্তি করে দিতে হবে। ছেলে পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবে,

বিস্তারিত»

ছেলে-ধরা

হয়তো আগেও সমস্যাটা ছিল সুপ্ত অবস্থায়, কিন্তু জিনাত বেগম এখন তা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছেন। বিশেষ করে আগের দিন শাকিলার বাসা থেকে ফিরে আসার পর থেকে। ফলাফল গতরাতের পুরোটাই কাটলো নির্ঘুম অবস্থায়। পরদিন সকালে উঠলো মাইগ্রেনের ব্যথা। অনিদ্রা আর মাইগ্রেন – একেবারে কান আর মাথা। একটা টানলে আরেকটা সুরসুর করে এগিয়ে আসে। সেই সাথে শুরু হবে আরও কিছু যন্ত্রণাদায়ক উপসর্গ। যেমন, খাবারের অরুচি, বমি বমি ভাব।

বিস্তারিত»

দ্য গ্রেট মিরাজ ভাই ১/২

১. নীতু

মিরাজ ভাইকে আমি চিনতাম নীতুর কারণে। নীতুকে চিনতাম ন্যাংটাকাল থেকে। উনিশ শ একানব্বই এর যে রাতে বঙ্গোপসাগরের ঢেউ পোয়াতি নারীর তলপেটের মত ফুলে উঠেছিল, দশ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে চট্টগ্রাম শহর ডুবে গিয়েছিল, সেই রাতে রাবেয়া ক্লিনিকের গাইনি ওয়ার্ডে নীতুর মায়ের সাথে আমার মায়ের পরিচয়। রাত দেড়টার সময় দুইজন নার্স নিচতলা থেকে পাঁজাকোলা করে তুলে এনে নীতুর মাকে আমার মায়ের বিছানায় শুইয়ে দিয়ে যান।

বিস্তারিত»

বাঙ্গাল ইউটোপিয়াঃ জলে যন্ত্রণা

বানৌজা ফিরোজ কবীর। দেশীয় প্রকৌশলীদের তৈরী প্রথম ডুবোজাহাজ। সজীবের নেতৃত্বে একঝাঁক নিবেদিতপ্রাণ প্রকৌশলী তাদের মেধা মনন কাজে লাগিয়ে একবছরে তৈরী করেছে ডুবোজাহাজটি। বানৌজা ফিরোজ কবীর ছুটে চলেছে বঙ্গোপসাগরের শেষ সীমানার দিকে। নারিকেল জিঞ্জিরা পাশ কাটিয়ে যাবার সময় বাকা প্রধান এডমিরাল নেপোলিয়ন উজরাত একটু স্মৃতিকাতর হলেন। এখানে এসে অদম্য রাহিম ভাই দম হারিয়ে ফেলেছিলেন ডুবোস্রোতে। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্রোতটির নাম রাখা হয়েছে রাহিম ঘূর্ণী।

বিস্তারিত»

রফিকের ঈদ

প্রচলিত ধর্মে বিশ্বাস রফিকের কখনো ছিলো না। নামায সে কালে ভদ্রে পড়েছে বটে কিন্তু গত এক যুগে কয়বার সে কিবলায় মাথা ঠেকিয়েছে তা হয়তো হাতের কর গুণে বলে দেয়া যাবে। এমনকি রমযানের রোজা রাখার ব্যাপারেও রফিকের তীব্র অনিহা।

স্ত্রী মমিনুন নেছার এই নিয়ে তীব্র মনোঃকষ্ট। জীবনে আর যাই হোক এইরকম বেদ্বীন, নাস্তিক স্বামী তার কখনো কাম্য ছিলো না। তাও যদি তার স্বামী রফিক উদ্দিন এইসব নিজের ভিতরে রাখতো!

বিস্তারিত»

রহিম বাদশাহর দিনলিপি

যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে, এখনই তাকে নেয়ার জন্য গাড়ি চলে আসবে।আজকে সারাদিন অনেক পরিশ্রম গেছে।

রহিম বাদশাহর গল্প বলছিলাম।

প্রতিদিন রহিম বাদশাহর সাথে দেখা হয় আমার। ঢাকা রিজেন্সীর সামনের খিলক্ষেত ফুটওভারব্রীজ এর উপরে সে উপুড় হয়ে থাকে। উঁরুর পর থেকে দুইটা পা নাই। খালি গা-উরুঁ পর্যন্ত গোটানো মলিন প্যান্ট, মাথায় ময়লা একটা টুপী।পেট-মাথা-নাক দিয়ে ভর দিয়ে শুয়ে থাকে। কি তীব্র গরম,

বিস্তারিত»

একটি ক্যাডেটীয় প্রেমের গল্প

মণ্ডল স্যারকে আমরা ডাকতাম চড়ুই স্যার বলে। তাঁর আচরণ ছিল কিছুটা চড়ুই পাখির মত। অর্থাৎ তিনি ছিলেন চড়ুই পাখির মতই চঞ্চল প্রকৃতির। এই যেমন ক্লাসে ঢুকেই তিনি কারো ড্রেসের দিকে তাকিয়ে বলতেন, এই ছেলে, তোমার নেমপ্লেট ঠিক নাই কেন? বোতাম একটা ভাঙ্গা কেন? এই ড্রেস পড়ে কি কুস্তি করেছ? এই ফ্যানটা আরো একটু বাড়িয়ে দাও তো। আচ্ছা তোমাদের সিলেবাস কতখানি বাকি? এই তুমি জানালাগুলো সব খুলে দাও।

বিস্তারিত»

দ্বিতীয় পর্ব

নোটঃ এই গল্পটা আগেরটার মত অত বড় না, অনেক ছোট, পড়তে তেমন একটা কস্ট হওয়ার কথা না। যারা আগের গল্পটা জানেন না, তারা জাস্ট হ্যাড এ ফার্স্ট হ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স অন লাইফ থেকে পড়ে নিতে পারেন।

আজকে দুপুরের আগে লোকটার বাবা ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন), আল্লাহ তার যাবতীয় ভুল ভ্রান্তি মাফ করে তাকে চিরশান্তিতে রাখুক,

বিস্তারিত»