রহিম মিয়া, আলমনগর এলাকার প্রভাবশালী গৃহস্থ।
হটাৎ তার টাইফইয়েড হলো । ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খেয়েও তার জ্বর ভালো হলো না । সে মানত করলো,“হে আল্লাহ, আমার জ্বর যদি ভালো করে দাও আমার গরু বিক্রি করে যে টাকা পাবো তা তোমার রাস্তায় দান করে দিবো ।”
মাসখানেক পর তার জ্বর ভাল হলো। কিন্তু সে তার মানতের কথা ভুলে গেলো ।
অনেকদিন পর তার আবার হাল্কা জ্বর আসাতেই তার মানতের কথা মনে পড়লো । সে তারাতারি জামে মসজিদের ঈমামের কাছে গেলো ।
রহিম ভাই, এইডা কি করছেন? কথা দিয়া তা না রাখা ত মুনাফিকের লক্ষণ । আর আপনি আল্লাহর আছে মানত কইর্যা রাখেন নাই !!! এখনি গরু বেইচ্চা মসজিদে দান কইর্যা দেন । মানত পুরা না করলে আল্লাহর লানত পড়বো ।
রহিম মিয়া হন্তদন্ত হয়ে গরু আর সাথে একটা মুরগী নিয়ে হাটে গেলো ।
ভাই, গরুডা কতো ?
২০০ টাকা ।
কি?? ২০০ টাকা !!!!
তয় একটা শর্ত আছে । এই গরুর লগে মুরগি ও কেনা লাগবো । মুরগির দাম ২০ হাজার টাকা ।
কম কতো ?
কম নাই ।
শেষমেষ তর্কাতর্কির পর রহিম মিয়া গরু আর মুরগি মিলে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে রাজি হলো । ওদিকে লোকটা তাকে পাগল ভাবলেও, ২০ হাজার টাকায় ভালো গরু সাথে মুরগি পাচ্ছে দেখে খুশিই হলো ।
রহিম মিয়া পরের দিন সকালে ঈমামের সাথে দেখা করে ২০০ টাকা দান করে আসলো ।
গত দেড় বছর যাবত এমন এক রহিম মিয়ার কবলে আছি । লজিকালি হি ইজ রাইট । কিন্তু সবকিছুতে কি লজিক খাটে ????
কিছু লোক আছে যারা সব জায়গাতেই চালাকি করতে চায়
এসব রহিম মিয়ারা সব সময় ই সুযোগ এর সন্ধানে থাকে ... ছোট খাটো সুযোগ গুলোকে নিজের প্রয়োজনে লাগাতে কখনোই ভুল করে না...... যাই হোক, উপরোক্ত গল্পটিতে নীতিকথার সাথে বাস্তব এর মেলবন্ধন প্রশংসার দাবিদার ...... :clap: :clap: :clap:
বাপরে! রহিম সাহেবের বাড়ি হয় নোয়াখালি নাইলে বরিশাল!
(আমার বাড়ি বরিশাল) 😛 😛 😛
ছোট হাতি
তুষার, হা হা হা । এই রহিম মিয়ার বাড়ি নোয়াখালি কিংবা বরিশাল ছিলো না । 🙁 🙁
Coming together is a beginning; keeping together is progress; working together is success..
😀