ফরেন থেকে ফাইভ ফিচারস

বিদেশী ছবিতে চুমু-তো অহরহ দেখি, তবু জানালা ভেঙ্গে ঢুকে শার্লক যেভাবে মলিকে চুমু খেলো সে কথা মনে থাকবে বহুদিন।
ছবিতে ছবিতে মনে এলো সুচিত্রা সেনের কথা, আমাদের প্রায় সবার বাপ চাচাদের বাংলা নায়িকা ফেটিশ ছিলেন হয়তবা সুচিত্রা সেন, সেবার পিরোজপুরে মামা বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছি, কথায় কথায় উঠে এলেন সুচিত্রা সেন, মেজো মামা বললেন এক চমকপ্রদ কাহিনী।

টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে সিনেমা দেখার টিকেট যোগাড় হত,

বিস্তারিত»

একটি মাথামুণ্ডুবিহীন স্বপ্নভঙ্গের গল্প


এইমাত্র ক্লাস শুরু হল। যিনি ক্লাস নেবেন, তাঁর চোখে ভারী ফ্রেমের চশমা। দেখতেই বোঝা যায়, বাবা-মার আদরের পড়ুয়া ছেলে। উসকো-খুসকো চুল, চুলের যত্ন নেয়ার সময়ই বা কোথায়। ক্লাসে ঢোকার পর নিজের পরিচয় দিলেন। ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি কোচিংয়ে ক্লাস নেবেন, বুয়েটে যে পড়েন তা সহজেই অনুমেয়। ডিপার্টমেন্টের নাম বলার পর ক্লাসের ভেতর একটা সম্মিলিত চাপা চিতকারের শব্দ শোনা গেল। ভাবী প্রকৌশলীদের চোখ উজ্জ্বল থেকে উজ্জলতর হয়ে উঠল।

বিস্তারিত»

বেহায়া শীত

[ বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ইহা সুশীলদের জন্য নহে ]

কয়েক দিন হল মৃদু শৈত্য প্রবাহ চলছে । কেমন মৃদু ? হরতাল ঠেঙ্গাতে পুলিশ যেমন মৃদু লাঠিচার্জ করে সে রকম আর কি । যাই হোক মৃদু শীতে গুরুতর কম্পন ঠেকাতে হীটার ফ্যান কিনলাম। বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। একটু বেশী দরেই উষ্ঞতা কিনতে হবে । এখন তো আর ভার্সিটিতে পড়িনা যে ফ্রি বিদ্যুত ব্যবহার করব! সেই সময়ের কথা মনে পড়লে এখন খারাপই লাগে।

বিস্তারিত»

বদলানোর গল্প

জীবন মানুষকে নানা সময়ে নানানরকম জিনিস শেখায়। আমার এই ১৯বছরের জীবনে হয়ত অনেক বেশীই দেখা হয়ে গেল। প্রথমে হয়ত কিছুই মনে হত না। কিন্তু আসতে আসতে বয়স বাড়ল দেখলাম এইসব জিনিস এ বুকের মধ্যে চিন চিন করে ব্যাথা করে। খুবই অসস্তিকর ব্যাথা।এসব ব্যাথা শুরু হলে খুব ভাঙতে ইচ্ছা করে। সামনে যা পাই তাই ভাঙতে মন চায়। আরেকটা কষ্টকর কাজ করা যায় তা হল কাটাকুটি। সুন্দর দেখে বেশ কয়েকখানা সার্জিক্যাল ব্লেড আছে আমার।

বিস্তারিত»

কান্না আমায় ক্ষমা করো

পূর্বের যেদিকে ঠাকুরঘরটা ছিল সেখানটাতে এখনো আগুন দেখা যাচ্ছে। সানবাঁধানো বেদীতে যত্নে বেড়ে ওঠা তুলসীগাছের অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে দুয়ারের এদিক সেদিকে। প্রতিদিনের মত আজকের সন্ধ্যাতেও আলোকিত হয়েছিল যেই তুলসীতলা, অর্ধেক ভাঙ্গা কদমা আর জল ঢেলে দেয়া হয়েছিল যার গোড়ায়,তুলসীরুপী নারায়ণকে উদ্দেশ্য করে। আনত সিঁদুর আর জোড়া শাখার যুগল মিলনে স্বামীর কল্যানে ভগবানের কৃপা চাওয়ার তুলসীতলা। মঙ্গলদীপ আর শান্তিকামনার গুণগুণ গানে সরব থাকা সন্ধ্যেবেলার তুলসী তলা।

বিস্তারিত»

Democracy Redefined

বয়সটা বেড়েছে । চল্লিশ পার হয়ে  হ্যাংওভার। চালসেতে চশমা নিলাম। সেজন্য কিনা জানি না কিন্তু এখন ঘুম কম হচ্ছে। যেটুকু ঘুম হয় এর মধ্যেই দুঃস্বপ্ন দেখি। কখনও কখনও স্বপ্ন কে সত্যি মনে করি আবার সত্যিকে স্বপ্ন । বিভ্রান্ত হয়ে যাই । স্বপ্ন আর সত্যির পার্থক্য বের করতে আমার মাথার ভিতরের সিপিইউ হ্যাং হয়ে যায় । এরকম কোন এক সময় পৌরনীতি নিয়ে ভাবতে ভাবতে এরকম একটা উদ্ভট কবিতা শুনলাম-

Democracy Redefined

Democracy
Of the people.

বিস্তারিত»

অতন্দ্রিলা

প্রিয় মিমোসা,
আজ তোর ছবি দেখলাম ফেসবুকে ।এখনো অত সুন্দরী আছিস কেমন করে বলবি?আমি হিংসায় জ্বলে পুড়ে গেলাম ।আমার চিঠি পড়ে কি বুঝতে পারছিস আমার কী ভীষণ মন খারাপ?বোধ হয় না ।আজ সকালে উঠে দেখলাম আমার আদরের কন্যা রবি ঠাকুরের কবিতা পড়ছে ।অতন্দ্রিলার সঙ্গে আমার কিছুতে মিল নেই ।ও চুপচাপ,আমি অস্থির চঞ্চল,ও কখনো রাগ করে না,আমি কথায় কথায় রেগে যাই ।তবে ওর জন্মের আগের কয়টা মাস মন শান্ত রাখার জন্য রবি ঠাকুর নিয়ে মেতে থাকতাম বলেই হয় তো ও আমার মত রবি ঠাকুরের পাগলাটে ভক্ত পাঠিকা ।”অভিসার”

বিস্তারিত»

কথা

#
“স্যার, বাইরে একজন মহিলা বসে আছেন। উনাকে কি ভেতরে আসতে বলব?” এই নিয়ে তিনবার তার বস, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জাহিদুল হাসানকে বলল । প্রায় দুই ঘণ্টা হয় প্রৌঢ়া মহিলাটি বসে আছেন। বস জাহিদুল হাসান ভাল মনের একজন মানুষ । গতানুগতিক উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের মত ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাউকে বসিয়ে রেখে নিজের পদের ভার বুঝানোর চেষ্টা করেন না। আজকে বসের রুমে কেউ নেই তারপরেও বস কেন যে মহিলাকে ভেতরে ডাকছেন না কে জানে।

বিস্তারিত»

দোলাচলে

 বিশাল বিশাল দু’টো গামলায় লুচির পাহাড় জমে উঠেছে। চপলাদি দ্রুত হাতে লুচি বেলে দিচ্ছে আর মা দু’ ঘন্টা যাবত অম্লান বদনে লুচি ভেজে যাচ্ছেন। দু’ লিটার তেলের বোতল লুচি ভাজতেই খালি। রান্নাঘরে উঁকি দিয়ে সূচনা বলে, ‘ মা! তুমি পাগল হলে নাকি!এত লুচি কে খাবে !’

‘ গরম গরম লুচি একবার খাওয়া শুরু করলে কখন শেষ হয়ে যাবে টেরও পাবি না !

বিস্তারিত»

পুষ্প তুমি কার

এক.
রাজশাহী। নতুন জায়গা এবং বিরক্তিজনকভাবে প্রচণ্ড গ্রীষ্মপীড়ীত এলাকা। আমার এখানকার কর্মস্থলের প্রথম দিন। প্রচন্ড গরম আর এখানকার অফিসের যাচ্ছেতাই অবস্থা আমার মেজাজটা এমনিতেই অনেক গরম করে রেখেছে। মানুষ হিসেবে আমি যথেষ্ট রূঢ় প্রকৃতির বিশেষত যখন আমার মেজাজ অনেকটা চড়ে থাকে। হয়ত আজকে একটু বেশিই হয়ে গেছে। অফিসের কম্পিউটার সেকশনের মেয়েটা নাকি আমার ঝাড়ি জাতীয় কথাগুলো শুনে তার টেবিলে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিল। খুব একটা খারাপ হয়েছে ব্যাপারটা তা আমার মনে হচ্ছে না।

বিস্তারিত»

আমি

হোয়াই অলয়েজ মি? কেউ কি দয়া করে ব্যাখ্যা দেবেন আমার সাথেই কেন এমন হয়? আমি জানি আমার দুঃখের কথা আপনাদের কাছে প্যানপ্যানানি লাগবে। প্যানপ্যানানি হবেই বা না কেন? যে তীব্র অনুভূতির সাথে নিজের কোন যোগ নেই সেটা কেন যেন সহানুভূতির চেয়ে আমাদের মনে বিরক্তি বা হাসিরই উদ্রেক করে বেশী।

 

ছোটবেলা থেকে আশেপাশের মানুষের ঘৃণাটাই বেশী পেয়েছি। চেহারাটা তেমন একটা সুবিধার নয় বলে।

বিস্তারিত»

দ্য ফোর্থ ডাইমেনশন

“এইপ, কথা বলছিস কেন? বকবক করছি ভাল লাগে না?”আচমকা ফিজিক্স স্যারের ঝাড়ি খেয়ে চুপ করে গেল কুদ্দুস।স্যার কি পড়াচ্ছে টা ও শুনছিল না।ওর মাথায় গিজগিজ করছে হাজারটা প্রশ্ন।কে তার উত্তর দেবে? “নিউটন বলেছেন ,প্রত্যেক বলের একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে, অর্থাৎ আমি আবারও বলছি”…… “স্যার আমার একটা প্রশ্ন ছিল” , হঠাৎ ব্রেক কষা গাড়ির মত স্যারের কথা থামিয়ে দিল কুদ্দুস। মোটা ভুরু দুইটা কুঞ্চিত করে স্যার বললেন,

বিস্তারিত»

পূর্বপুরুষ

আমার পিতামহের গল্প বলতে ইচ্ছা করছে।এর সবটাই শোনা গল্প।

কুরবান আলি-অনেক ভাইবোনের মধ্যে ছোটর দিকে। মানে ঐ আরকি ঠিক ছোটটার একটু বড় । অন্য ভাইয়েরা লেখাপড়া জানে।একজন তো ফার্সি ও উর্দু কবিতা লেখেন।কয়েকজন কুরানে হাফিজ।আর কুরবান কিছুতেই পড়ালেখা মাথায় ঢুকাতে পারেনা।একটু বোকা কিসিমের সহজ সরল।
বাবা ১৭ বছরের কুরবানকে বিয়ে করিয়ে ঘরে আনলেন ৯ বছরের বধু।
বৌকে কুরবানের পছন্দ হল। কি লাজুক আর কি মিষ্টি !

বিস্তারিত»

প্রিয় পুষ্পিতা

প্রিয় পুষ্পিতা ,

তোর নামটা অনেক সুন্দর । ফেসবুকে তোকে প্রথম যখন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে যাব তখন কেন যেন তোর নামটা খুব ভালো লেগেছিল । আমি সাধারনত কোন মেয়েকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর সময়ে তার ছবি দেখি । কেন জানি তোরটার সময় এ কাজ করিনি । তুই মাঝে মাঝে গ্রুপ ছবি দেস । সিঙ্গেল ছবি কেন দেসনা – তুই জানিস । লজ্জা পাস বোধ হয় ?

বিস্তারিত»

নিজ মানুষের পাল্টানোর কথা

আমার চাচাতো ভাই রুবেল ভালো প্লেন চালায়। প্লেন চালাতে যেয়ে ছেলেটা অনেক স্মার্ট হয়ে গেছে। এতো স্মার্ট যে আমার একমাত্র চাচী মানে রুবেলের মায়ের কাছে প্রায় গ্রামের অনেক মেয়ের বাবা আসেন বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। এটা যদিও একটা খুশির বিষয় তবে আমার পক্ষে খুশি হওয়াটা সম্ভব হয় না। রুবেলের বাবা মারা যাবার পর থেকে আমার চাচী তার কথা বলবার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। মেয়ের বাবা আমাদের বাড়িতে এসে রুবেলের বিয়ের কথা বললে চাচীর চোখ দিয়ে কেন জানি অশ্রু ঝরে।

বিস্তারিত»