গোলাপের রঙ (শেষ পর্ব)

গোলাপের রঙ ১
গোলাপের রঙ ২

একটানা কথা বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন হাসান ভাই। বললেন, ‘দেখেনতো গল্প করতে করতে আসল কথাই বলা হয়নি। আপনারা খেয়ে এসেছিলেন?’ আমি বললাম আপনি ওয়েস্টার্ণ কালচারের লোক, আপনি তো সন্ধ্যায় খান ।
– তা, খাই। কিন্তু আজ আপনাদের সাথে খাবো ভেবেছিলাম।
– এখন খাবার পাওয়া যাবে কোথাও?

অন্য সবাই তখন গল্পের গভীরে ঢুকে গেছে।

বিস্তারিত»

বৈ শা খী

~ এ ক ~

এই ঢলঢলে জামাটাকেই সব চাইতে প্রিয় মনে হয় ওর। গা জ্বালা করা গরমে এর চেয়ে আরামদায়ক কোন জামা মেয়েটি আর কখনো পরেনি। জামাটার পিঠের দিকটা ঘাড়ের পাশাপাশি বড় বৃত্তে এগিয়ে কাঁধ পেরিয়ে প্রান্তের দিকে সরে এসেছে বেশ অনেকখানি। সামনের দিকে গলাটা প্রয়োজনের চেয়ে অনেকখানি বড়। ওর চেয়ে স্বাস্থ্যবতী, বড় সড় আর সুখী কোন একটা শরীরের জন্য কখনো তৈরী হয়েছিলো এটা।

বিস্তারিত»

নাইরোগংগো

শেষ বিকেলের সূর্য তখন দূর পাহাড়ের কোণে হেলে পড়েছে। দুরন্ত বালকের দল ঘরে ফেরার আগে গোধূলির কমলা রঙে নেয়ে আরো খানিকটা বেলা শেষের খেলা খেলে নিচ্ছিল। ইব্রাহিম সাসা তার কাঠের চকোডুটা* ঠেলে ঠেলে ঘরে ফেরার পথের শেষ চড়াইটা পার হচ্ছিল। পেশল কালো দেহ ঘামে নেয়ে গেছে। বুকটা ওঠানামা করছে হাপরের মতো। ভেতরটা যেন নাইরোগংগোর** জ্বালামুখ। আর একটু উঠলেই বামে বাঁক নিয়ে পথটা নীচে নেমে শেষ হয়ে যাবে।

বিস্তারিত»

গোলাপের রঙ ২

গোলাপের রঙ ১

হাসান ভাই এর গল্প দিয়েই শুরু হল আসর। মাগুরায় জন্ম আমদের মেজবানের। সর্বহারাদের দলে ঢুকেছিলেন সাম্যের রাজনীতিতে অনুপ্রাণীত হয়ে। এর পরের জীবনের কালো অধ্যায় আর মনে করতে চান না। এই ক্লেদাক্ত জীবনকে পিছনে ফেলার চেষ্টাতেই টাকা পয়সা ধার করে এরশাদের আমলে দেশ ছেড়েছেন। প্রথমে ইরাক, তুরস্ক হয়ে গ্রিস, তার পরে ইটালি হয়ে সুইজার ল্যান্ড, আর সব শেষে পায়ে হেটে জার্মানি।

বিস্তারিত»

পঞ্চ ভৌতুক

[ভৌতুকঃ ছোট  সাইজের হাসির গল্প যেমন কৌতুক, তেমনি ভৌতুক হল  দু’তিন কথায়  ভয়ের  অথবা ভুতের অদ্ভুত  গল্প]

কলিং বেল

প্রতিদিন বিকেলে কলিং বেল বাজিয়ে ভেগে যাওয়া হতচ্ছাড়াটাকে ধরার জন্য মিতু আজ আট ঘাট বেঁধে বসে ছিল। ঝট করে দরজা খুলে যা দেখল তার জন্য কিন্তু সে একেবারেই তৈরী ছিল না। পাশের ফ্ল্যাটের হারিয়ে যাওয়া বাচ্চাটা হাসতে হাসতে তার চোখের সামনেই হাওয়ায় মিলিয়ে গেল না?

বিস্তারিত»

গোলাপের রঙ ১

হাসান ভাইকে দেখে মনে হচ্ছিল তিনি খুশি হননি। তাঁর নিমন্ত্রণেই আমাদের মুঞ্চেনার ফ্রিহিইটে আসা। আমাদের রিসিভ করতে তিনি ষ্টেশনেও এসেছেন অথচ আমাদের সাথে দেখা হবার পর থেকেই তাঁর মুখে রাজ্যের অন্ধকার। আমাদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী রুমন। সে বললো, ‘হাসান ভাই এর মন খারাপ নাকি? সে কথার উত্তর না দিয়ে হাসান ভাই বললেন আপনাদের সার্ট-টাই পরে আসতে বলেছিলাম না!’
মনে পড়লো হাসান ভাই বলেছিলেন,

বিস্তারিত»

পাহাড়ের কান্না

ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছিলাম, হিল ট্র্যাক্টস থেকে, রাতের বাসে, বৃষ্টি পড়ছিল টিপটিপ করে। ভোররাতের দিকে বাস থামল এলেঙ্গা। নেমে গেলাম, আমাকে এখান থেকে বাস চেঞ্জ করতে হবে। সমস্যা হল সকালের আগে আর বাস নেই। অগত্যা এক চায়ের দোকানে বসে গেলাম। চায়ের অর্ডার দিয়ে এসে টেবিলে বসলাম, খানিক পরে এক ভদ্রলোক এসে বললেন, ‘বসতে পারি?’
-শিয়োর।
চা খেতে বললে বললেন , ‘আমি অর্ডার দিয়েই এসেছি’।

বিস্তারিত»

নী ল ম স লি ন

~ এক ~

হেমন্তের রোদের এমন তেজ। অবাক করা ব্যাপার। বছরের এই সময়ের কোন দিনের এমন খরতপ্ত ধৃষ্টতা ! স্মৃতির দেরাজ হাতড়ে পাওয়া গেলো না কিছুতেই। বেশ কিছুক্ষণ হলো সমীক হাঁটছে। ব্যস্ত, বাধা-বিঘ্নময় ফুটপাত। তবু আজ তুলনামূলকভাবে অনেক কম মানুষ পথে। হাঁটছে আরও কম জন। যাদের বেরুতেই হবে তেমন কেউ বাদে অন্যরা বোধ করি কেউই আজ বাইরে নেই।

রিকসা, স্কুটার, কিছুই মিলছিলোনা।

বিস্তারিত»

ওহ, মুস্তাফিজ? ও তো আমার…

(প্রথমে ফেসবুকে স্ট্যাটাস আকারে দিয়েছি, প্রথম পাতায় আগে থেকেই দু’টি ব্লগ ছিল বলে এখানে দিতে দেরি হল!!)

বাংলাদেশ থেকে কলকাতা, নির্বাচক বা কোচ, সাংবাদিক বা আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুবান্ধব…গত কয়েকদিনে যে যেভাবে পারছে মুস্তাফিজের সাথে নিজের নাম জুড়ে দেবার চেষ্টা করছে। এমন ভাব যে তার কারণেই মুস্তাফিজ আজ এই অবস্থানে এসেছে!!
আজব আমাদের জ্যুস খাওয়া মেন্টালিটি!

এবার আসল কথা বলি!
২০০০ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত সাতক্ষীরা সদর ও শ্যামনগরে আমার বাবার পোস্টিং ছিল!

বিস্তারিত»

মায়ের হাত

এতবড় গল্প মানুষ ব্লগে একটানা পড়তে চায়না। তাও দিলাম
———————————————–

পবন সোনার ঘুম ভাঙলো?
আজ না তোর ইন্টারভিউ, ওঠ!
মায়ের ডাকাডাকিতে চোখ মেলল পবন। কাল একটু বেশি রাতে ঘুমিয়েছে। অনেকদিন ধরেই চাকরির চেষ্টা করছে সে। মা চেয়েছিলো ছেলেটা লেখা পড়া শেষ করুক। তার বাবার স্বপ্ন ছিলো ছেলে বড় কিছু হবে। ডিগ্রী পাশ করার পর আর লেখাপড়া চালিয়ে যেতে চাইছিলো না পবন।

বিস্তারিত»

একটি ঘাসফুল গাছের আত্মকাহিনী

কখন কিভাবে এবং কোথায় আমার জন্ম হয়েছে ঠিক বলতে পারব না তবে যখন থেকে পৃথিবীর আলোবাতাস বুঝতে শিখেছি তখন থেকে দেখছি আমি এক লম্বা করিডোরের এক রুমের সামনে এক টবের মধ্যে অবস্থান করছি। সামনের রুমের নাম্বারটা দেখা যায়। ৩২৯ নাম্বার রুম। আশেপাশে যারা চলাচল করে তাদের থেকে শুনেছি এটা হচ্ছে ওমর ফারুক হাউজ, কলেজের নাম রংপুর ক্যাডেট কলেজ। আর আমি যে করিডোরে আছি এটা হচ্ছে সিনিয়র ব্লক।

বিস্তারিত»

প্রশ্ন

আমি এখন যে রুমটাতে শুয়ে আছি তা বেশ ছোট ।অস্বস্তিকর রকমের ছোট। আমি অনড় শুয়ে আছি একরাশ বিরক্তি নিয়ে। ঘরটা আরেকটু বড় হলে কি এমন ক্ষতি হতো সে কথাই ভাবছিলাম সটান। বিদ্যুৎ নেই এখানে। একটা হারিকেন জ্বালাতে পারলে বেশ হোতো। কিন্তু সেটা তো আর সম্ভব না। বড় ঝামেলায় পড়ে আমার এই জায়গায় আসা। এখানে আসার আগে বলা হয়েছিলো দু’জন লোক আসবে আমার বর্তমান দুর্দশা সমাধান করতে।

বিস্তারিত»

নতুন বাংলা রচনা আর গুলের কৌটার গল্প

”তোমাকে একটা গল্প বলব অহনা, সহজ সরল ভাষায়,পৃথিবীর সবচে সরল মানুষের গল্প।

শুনবে?”
-”গত ১৭ বছরে অনেকবার ভেবছি তোমাকে এই গল্পটা বলবো। তবু কেন জানি বলা হয়ে ওঠেনি”

-এতো প্রিঅ্যাম্বল না রেখে বলা শুরু করো না!

স্ত্রীর উত্যাক্ত ঝাঁঝালো প্রত্যুত্তর আসে।

ঝগড়া হলেই ও এমনটা নিরলিপ্ত হয়ে যায়। দেড়যুগের এই বিদেশ-বিভূঁইয়ে পাতা সংসারে অসংখ্যবার দেখছি।

আমি ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলে,ওর ভ্রূকুটি উপেক্ষা করে শুরু করি,

বিস্তারিত»

একটি আত্মহত্যা, অতঃপর………

ঘটনার সুত্রপাত ২৭ শে মে ২০১৫।
এক আড্ডায় হঠাৎ করেই উঠে এলো সদ্য আত্মহত্যা করা এক তরুনের প্রসঙ্গ।
কেউ কেউ নানা যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছিল, কেন তা আত্মহত্যা না ও হতে পারে। আবার অন্যান্য সোর্স থেকেও এমন সব খবর পাওয়া যাচ্ছিল যা তার একটা “মৃত্যুকে মহিমান্বিত কর” অবস্থানেরই বর্ননা দেয়। একই সাথে এটাও জানা যাচ্ছিলো যে মৃত্যু যে জটিলতার একটা সমাধান, এরকম কথাও তরুনটিকে কেউ কেউ বলতে শুনেছে।

বিস্তারিত»

কুয়ো

কুয়োটা বেশ গভীর ছিলো, কালো জলে টলমল।নির্বিকার সুনসান গোপনে ঠায় বসে ছিলো,অস্তিত্ব জানান দেয়ার তাড়া ছিলোনা।ইটের গাঁথুনিতে বার্ধক্যের ছাপ লাগা প্রৌঢ় জলাধার।

শুন্য ভিটের এক কোণায় দিব্যি নিরুপদ্রব পড়ে ছিলো। দেয়াল বেয়ে খাপছাড়া বেড়ে ওঠা লতাপাতার অলংকার।গত কিছুদিনের প্রবল বর্ষায় পানি একদম মুখে এসে ঠেকেছে। জীবনের অস্তিত্ব বলতে শুধু একঘেয়ে ডেকে যাওয়া ব্যাঙ, একটা-দুটা ঝি ঝি, খুব কাছের কোন গাছে একলা বসে থাকা শ্যামা পাখি।

বিস্তারিত»