ঘটনা ১৯৯৭ সালের,এসএসসি পরীক্ষা প্রায় শেষের দিকে। আমাদের সাইন্স পার্টির শুধু টিউটোরিয়াল বাকী আর আর্টস পার্টির একটা শেষ পরীক্ষা। যাই হোক এই পরীক্ষা শেষে আর্টস পার্টির ভিতর বিরাট হৈ চৈ ,মহা অসন্তোষ ইতিহাসের এক স্যারকে নিয়ে।স্যার এর সঠিক নামটা ঠিক মনে নাই কিন্তু আমরা সবাই বড়ভাইদের দেয়া টিজনাম টাং টাং হিসাবেই চিনতাম। স্যার ক্যাডেটদের পিছনে খুবই লেগে থাকা টাইপএর ,অসম্ভব রোগা আর কথা বলার সময় কাপতেন,
বিস্তারিত»no
শেষ ট্রাক কিংবা একটা উপন্যাসের বই
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য ড্রাফটিং হচ্ছে। এবার সরাসরি ক্যাডেট কলেজ থেকে ক্যাডেটদের নেয়া হচ্ছে। আমাদের কাছে ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক মনে হওয়ায় খুব দ্রুত ব্যাগ-ট্যাগ গুছিয়ে আবার রেডি-ও হচ্ছি। আমরা কয়েকজন আবার মাত্র জার্মানী থেকে একটা মহড়া দেখে আসলাম তাই আর নতুন করে কাপড় পাল্টাতে হচ্ছে না। হাউজের সামনে নিচে সবাই ফল-ইন আকারে দাড়িয়ে যাচ্ছে — কোন এক কারণে সবাই হাউজের দিকে হাত নাড়াচ্ছে যেন এইমাত্র তারা একটা ওয়ার্ল্ড কাপ জিতে আসছে!
বিস্তারিত»বোধোদয়
ছাদ ঢালাই গতকাল শেষ হল।
ক’টা দিন যা গেলো! বছর খানেক ছোটাছুটি করেও হয়তো এতোটা ক্লান্ত হতেন না আশরাফ। একতলা এই বাড়িটা তার কাছে একটা অবসেসন! একটা স্বপ্ন! যা আজ বাস্তবে রূপ পেলো। কম তো কষ্ট করেননি। তারপরও ফ্রেশ একটা সন্তুষ্টির অনুভূতির বদলে মনের ভিতরে কিসের যেন একটা কাঁটা বিঁধে থাকার অনুভূতি পাচ্ছেন।
নতুন বানানো সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠে গেলেন। ছাদের চারপাশে শক্ত মাটি দিয়ে বাঁধের মতো বানানো হয়েছে।
বিস্তারিত»নক্ষত্রেরা ফিরে গেছে
সারাদিন কর্মব্যস্ত। সেই সাড়ে পাঁচটার পর নিজের বলে কিছু সময় পাওয়ার শুরু। আসলেই কি নিজের সময় বলে কিছু রয়েছে ওর জীবনে। অফিস আওয়ারের পরে বাসায় সময় দেয়া। বাসা বলতে বাসাই। এখনো যখন বাড়ি হয়ে উঠেনি, বাসাই বলতে হচ্ছে। ছোট্ট একটি শান্তির নীড়… কিন্তু ওর বাসাটা ছোট ঠিকই, তবে শান্তি রয়েছে কিনা… সেটি পরীক্ষার বিষয়। পাখির বাসা দেখে দেখে সেরকম একটা বাসার কল্পনা করেছে। কিন্তু পাখি কখন বাসা বাঁধে?
বিস্তারিত»ফেসবুকের মানুষগুলো (পর্ব-৩)
বিকালের রোদ পড়তে শুরু করেছে। আশেপাশের গাছগুলোর পাতাগুলোতে একটা লালাভ আভা। লেকের পাশেই সবুজ ঘাসের পার্ক, সারি সারি বেঞ্চি দেয়া। একটা খালি বেঞ্চি দেখে তাতে বসে পড়লো ইশতিয়াক।
জার্মানীর Darmstadt শহরে এসেছে দুই মাস হলো। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিচিত মানুষ থাকে এই দেশে। প্রায়ই উইকেন্ডে দেখা করে সবাই, আড্ডা দেয়। দেশ ছেড়ে দূরে থাকতে তেমন খারাপ লাগছে না। সারাদিনের ক্লাশের পর খালি এই বিকালের সময়টাতে কেমন সব কিছু খালি খালি লাগে।
বিস্তারিত»Mocha উইথ আ ‘k’ ফ্রম মিশিগান – ৩য় সংস্করণঃ জীবনের গল্প।
(১) প্রেমটা করার আগে বলতে গিয়েও পারিনি যে আমার এর আগে আরো একবার বিয়ে হয়েছিল। এই দেশে মেয়ে হিসেবে “আগে বিয়ে হয়েছিল” বিয়ে বাজারে বিশাল বড় লালকালির দাগ। মন্দের ভাল পারিবারিক চাপে করা বিয়ে মাসখানেকের সমঝোতায় শেষ করে বের হয়ে এসেছিলাম। গত সপ্তাহে যখন বললাম ততদিনে রাজনের সাথে সম্পর্ক অনেকদূর গড়িয়েছে। বলার পরে রাজনকে হতাশ হবার চেয়ে চিন্তিত হতে দেখে জানা আশংকাই মাথায় চেপে বসলো।
বিস্তারিত»লক্ষ্যভ্রষ্টার লক্ষ্যভেদ? নাকি লক্ষ্যভেদীর লক্ষ্যভ্রষ্ট?…
“লক্ষ্যভ্রষ্টা” – বাবামা শখ করে কেনইবা এমন অদ্ভূত একটা নাম রেখেছিলো তার? লক্ষ্যভ্রষ্টা নিজেও সেটা আবিষ্কার করতে পারেনি এতকাল। দেখতে অপরূপাই সে। সঙ্গত কারণেই অহম তার সঙ্গী হলেও সেটা ছিলো অনাবিল। সব কিছুই তো উদ্দাম চলছিলো, যেমনটা চলবার কথা। কিন্তু গত বছর দুয়েক হলো লক্ষ্যভ্রষ্টার বাবামা অনেক চেষ্টা করেও কিছুতেই যেন ওর বিয়ে দিতে পারছিলেন না। কন্যাদায়গ্রস্থ পিতামাতা মোটেও নন তারা। ধনী বাবামার একমাত্র কন্যা সে।
বিস্তারিত»খান্দান
রূপার নানীজান সালেহা খাতুন উনিশ থেকে বিশ বলতে পারতেন না, বলতেন উনিশ থেকে বিনিশ! এই নিয়ে বাড়ীর বছুইরা কামলারা পর্যন্ত হাসাহাসি করে আড়ালে আবডালে। কিন্তু ঐ পর্যন্তই! তার সামনে চোপা খুলবে এমন সাহস ছনকান্দা গ্রামে কারোরই নাই। নানীজান পান থেকে চূণ খসা বুঝাতে গেলেই বলছেন উনিশ থেকে বিনিশ!
শারীরিক উচ্চতায় খানিক ঘাটতি থাকলেও রূপার নানা জমির মুনশীকে রীতিমত সুপুরুষ বলা চলে। দুধ মাখন খাওয়া চকচকা শরীর তার।
বিস্তারিত»নিশীথ প্রলাপ।
রিয়ার ভিউ মিররে পেছনের গাড়ির তীব্র হেডলাইটের প্রতিফলনে চোখ যেন ঝলসে যায়। এদেশে কি কোন আইন কানুন নাই? এভাবে হাই-বিম মেরে এরা কি রাস্তায় মানুষ খুন করতে নামসে? রাস্তা ভর্তি লাইট। আলোর কোন কমতি নাই। তারপরও এত প্রকট আলো জ্বালিয়ে কি লাভ, শুনি? রাস্তার এপারে গাড়ি অনেক আস্তে চলছে। পাঁচ লেনের প্রশস্ত হাইওয়ে। রাত ১২টা ছুঁই ছুঁই। মঙ্গলবার পেরিয়ে বুধবার হবে। তারপরও এত জ্যাম কেন?
বিস্তারিত»মহুয়া
অমৃত সরবরে ডুবে দেখি, অনেকটা অবাক হয়েই যেন; হঠাৎ তোমার মুখ । ভাবছি, তুমি এখানে কিভাবে এলে !? এটা তো আমার, একান্তই আমার । বাস্তবতাকে লুকিয়ে, ব্যাথার নীলকে এড়িয়ে, স্মৃতির মেলে ধরা পাখাটিকে কোনরকমে ধোঁকা দিয়ে আমি প্রায়শই যেখানে হারিয়ে যাই, এটাই সেই অমৃত সরবর ।
এখানে না আছে সময়ের আধিপত্য, না তোমার ঐন্দ্রজালিক প্রভাব । এখানে আমার মন চাইলেই ছোট্ট একফালি চাঁদ তার খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসে পূর্ণিমার রূপোলিতবক মোড়া সজ্জায় ।
বিস্তারিত»ডিজিটাল সুখ দুঃখ
পাঁচ মাস ফেইসবুক আর জিমেইলে ইলেক্ট্রনিক বার্তা চালাচালির পর অবশেষে স্কাইপে দেখা হলো রোদেলার সাথে।
: হ্যালো বিউটিফুল! ফাইনালি পাওয়া গেলো তোমাকে
আমি হাত নেড়ে বলি
: হাই, প্রিন্স অব নোভাই!
দুই হাত আর একমাথা ঝাঁকড়া চুল দুলিয়ে রোদেলা আমাকে উইশ করে
রোদেলাকে ভড়কে দিতে আমার চুলগুলোকে অনেক কায়দা করে একটা মোহক স্টাইল দিয়েছি একটু আগেই,
বিস্তারিত»মোল্লা নাসিরুদ্দিনের গল্প- উপদেশমূলক
অন্যের প্রতি অন্ধত্বের চেয়ে নিজের প্রতি অন্ধত্ব অনেক বেশী খারাপ। আপনি যা ভাবছেন সেটা যে সঠিক এমনটা ভাববেন না।
মোল্লা নাসিরুদ্দিনের একটি গল্প পড়ুন।
শিকারে বেরিয়ে পথে প্রথমেই মোল্লা নাসিরুদ্দিনের সামনে পড়ে রাজামশাই খেপে উঠলেন আর বললেন-
‘লোকটা অপয়া। আজ আমার শিকার পণ্ড হল। ওকে চাবকে হটিয়ে দাও।’
রাজার হুকুম তামিল হল এবং মোল্লাকে যথারীতি চাবকানো হল।ঐ দিকে রাজার শিকার হল জবরদস্ত।
বিস্তারিত»আলাপনঃ দুই
– বাবার পাঞ্জাবীর নীচে ন্যাপথলিনের সুবাস মাখা একটি বাজুবন্দ সযতনে রাখা আছে এখনো। মায়ের স্মৃতির এই গয়নাটি ঘুমোয় অনন্তের ঘুম আর আমি অনন্ত তৃষ্ণা নিয়ে অপেক্ষা করি তোমার। চায়ের আড্ডায় চকিতে কোন হরিণ চোখে চোখ পড়তেই মনে হতো আহা! এই কি সেই মেয়েগো, যাকে খুঁজে ফিরছি আজন্মকাল?
– একই শহরের আলো হাওয়ায়, একই রোদ জল, রংধনু আর ছুটে যাওয়া তারাদের দেখেই আমাদের বেড়ে ওঠা,
বিস্তারিত»