ধান খেতের পাশে ছোট্ট একটা কুঁড়েঘর। রোয়াকে মাদুর পেতে ভাত খেতে দিয়েছ তুমি। সামনে দস্তরখানায় গরম বিরুই চালের ভাত। ধোঁয়া উঠছে। সাথের আয়োজন সামান্যই। টেংরা মাছের ঝোল জলপাই দিয়ে। বৈলর হাটের লাল লাল জাম আলুর ঝাল ঝাল ভর্তা। ছোট একটা পিরিচে আছে কালো জিরা ভর্তাও। আমি বললাম,
তুমি খাবা না? তুমিও বহ আমার লগে।
কিছু না বলে তুমি একটা তালের পাখা নিয়ে হাওয়া করতে বসলে। তোমার পরনে কচু পাতা রঙ শাড়ি। ব্লাউজ পরো নাই। নিটোল বাহুমূল বেরিয়ে আছে। স্নান সেরে আসা স্নিগ্ধ মুখ তোমার। অামি খুব দ্বিধায় পড়ে যাই। কোনটা রেখে, কোনটা খাব। চোরা চোখে তোমার দিকে তাকাই। মেয়েরা সব বুঝে। আমার চোখের ভাষা তুমি বুঝে গেলে নিমিষেই। অাঁচল খানিকটা টেনে নিয়ে বললে,
ভাত ঠাণ্ডা অইয়া যাইব। খাইয়া লও। জ্বর শরীর লইয়া এইসব ভাবনের দরকার নাইক্কা।
আমি বললাম,
বউ, জ্বরে আমার শইল কাঁপে। ভাতের লংকা মুখে দিওনের আগেই মাডিত পইরা যাইব।
তুমি পাখা রেখে ভাত মাখাতে বসলে। এবং অবাক ব্যাপার আমি সত্যি সত্যি খাওয়া শেষ করে তোমার আঙুল চেটেপুটে খেতে লাগলাম। বাচ্চা ছেলেরা যেমন লেবেনচুষ খায়…
ব্লগে সুস্বাগতম আপা।
একটা নিটোল ছিমছাম গল্প দিয়ে শুরু করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
গল্প পড়ে আমার তো জ্বর চলে এলো। 🙂
আরো আরো লিখবেন এখানে এ দাবী রইলো।
তোমার জন্য টাইলেনল পাঠিয়ে দিচ্ছি, নূপুর! ডাবল ডোজ খেয়ে নিও। 🙂 অনেক ধন্যবাদ পড়বার জন্য!!
টাইলেনল --- এ শব্দেই আপনার ভৌগলিক অবস্থান বোঝা গেল।
বহুক্ষেত্রে টাইলেনল অব্যর্থ হলেও এক্ষেত্রে আরো একখানা 'স্বপ্নদৃশ্য' ছাড়া জ্বর ছেড়ে যাবার চান্স কম আপা।
আপনার লেখনী বেশ ভালোরকমের পোক্ত --- প্রথম ইশারাতেই স্পষ্ট। বঞ্চিত করবেননা পাঠককূলকে --- আশা করি।
স্বপ্নে স্বপ্নেই কাটুক না এক জীবন, নূপুর! টাইলেনল থাকুক বা নাই থাকুক কাছে...অশেষ শুভ কামনা তোমার জন্য!
ইংরেজীতে যাকে বলে so obvious! 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
ব্লগে স্বাগতম আপা।
দুহাত খুলে লিখতে থাকুন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ধন্যবাদ, রাজীব 🙂
অসাধারন নিটোল গল্পটা সত্যি সুন্দর হইছে। আরও অনেক লিখো।
🙂 জিয়া!
অনেক ধন্নবাদ,জিয়া! (সম্পাদিত)
:boss:
🙂
সুনদর,ছিমছাম কিনতু নিখুত গলপ।অসাধারণ সাবিনা।আরো লেখা চাই।
তোর কারণেই আমার এইসব লেখালেখি, লুবনা! অনেক ধন্যবাদ সিসিবিতে আমার নামে ব্লগ খুলে লিখতে উৎসাহিত করবার জন্য!! এত্তোগুলা ভালবাসা রইল তোর জন্য।
:clap:
🙂
:boss:
🙂
ব্লগে স্বাগতম আপু, প্রথম লেখাতেই বাজিমাত! দূর্দান্ত লেগেছে লেখাটা। আশা করি আপনার কাছ থেকে নিয়মিত লেখা পাব।
হ্যাপি ব্লগিং 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আমার বন্ধু লুবনা নিজে রেজিস্ট্রি করে আমাকে এখানে এনে তোমাদের কাছে গছিয়ে দিয়ে গেছে, আকাশ। ভাল লাগলেও আমি তোমাদের একজন, মন্দ লাগলেও ফেলে দিতে তো পারবেনা, ভাইডি! তোমাদের ভালবাসা পেয়ে মনে হচ্ছে, খুব একটা খারাপ জায়গায় আসি নাই। 🙂 অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
সাবিনাপা, ব্লগে স্বাগতম... :clap:
আশা করি নিয়মিত থাকবেন... 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ধন্যবাদ, কবির!
🙂
লন্ডনে বিরুই চাল পাওয়া যায়।
কিনে আনবো।
কাল রাতে বউ জলপাই দিয়ে ভেড়ার গোস্ত রান্না করেছিলো। (দেশি জলপাই)
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ভেড়ার গোস্তে জলপাই? খাই নাই কখনোই। কেমন লাগলো খেতে, রাজীব?
চমৎকার আপা।
অন টেষ্ট রান্না করা হইছিলো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
🙂 🙂 🙂 🙂
জাম আলু নিয়া আসছিল বউ এর বান্ধবী দেশ থিকা। সে দিছিলো কিছু আমাদের।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
জাম আলু কিন্তু জোস লাগে খেতে! লাল লাল, আঠালো জাম আলু আমাদের ময়মনসিংহে খুব জনপ্রিয়, রাজীব!
আমার নানা বাড়ি টাঙ্গাইল।
ময়মনসিংহ আর টাঙ্গাইল তো পাশাপাশি।
সেই হিসাবে আমারো ভাগ্যে জুটছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ময়মনসিংহের মন্ডা আর টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ীর চমচম! 🙂
বেঁচে থাকবার মত আনন্দ আর হয় না... 🙂 🙂
প্রেম ভালো জিনিস।
প্রেমের গল্প ভালো লাগে।
😀
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আহা প্রেম! বাহা প্রেম!!
ব্লগে স্বাগতম আপা। ছোট গল্পগুলো বড় ভাল লাগে। বেশ কয়েকবার পরে অনুভব করে পারি! :hatsoff: লিখা থামাবেন না প্লিজ! 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
ধন্যবাদ, মোকাব্বির! ছোট গল্প আমার বরাবরই পছন্দের! 🙂
আপা, ওয়েলকাম টু দি ব্লগ। 😀
সুন্দর লেখা...... :clap:
আর, ইয়ে... মানে...প্রথমবার ব্লগে আসলে...অর্থাৎ...কিছু লিখলে...কি যেন করতে হয়...... 😉 😉
* ডি জুনিয়রস্... লুক ডাউন!!!!!!!! :grr: :grr:
আপা...... নিজ গুণে...দোয়া...দাওয়া...ইত্যাদির সাথে...কষ্ট করে যদি একটু ফ্রন্ট্ররোল-টা দিতেন...... 😛 😛 😛
ওরে জুলহাস, আজ তোর একদিন কি আমার একদিন! তুই ফ্রন্টরোল শুরু কর, আমিও আসছি তোর সাথেই!
:frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: (সম্পাদিত)
তুই, লগ ইন না করে কমেন্ট করিস ক্যান? x-(
@দাদা
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ব্লগে স্বাগতম আপু। এসেই তো পুরা :gulli2: :gulli2: :gulli2: করে দিছেন।
লেখার জন্য ::salute:: ::salute:: ::salute::
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
তোমাদের ভালবাসায় মুগ্ধ... আর কী বলবো, বলো!
😡
সিসিবির ট্রাফিক খুবই খারাপ।
কেউ তেমন একটা পড়ে বলে মনেহয় না।
পড়লেও কিছু লিখে না।
তারপরেও ফিরে ফিরে আসি। দুচার কলম লিখি আর তা ঐ ভালবাসাবাসির গুনেই।
তারপরেও স্বপ্ন দেখি, একদিন সিসিবি মুখরিত হয়ে উঠবে লেখক পাঠকের কলধ্বনিতে। জম্পেশ আড্ডা হবে লিখালিখি নিয়ে অনলাইনে অফলাইনে।
কিন্তু কবে সেটা? জানি না...
অফটপিক: একটু আগেই লক্ষ করলাম, হোমপেজের কমেন্ট লিস্টে রাজিবের দুটো অনু কমেন্ট ছাড়া বাকি সবগুলো কমেন্টই আমার।
এইডা কিছু হইলো?
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
হা হা হা ।
না ভাই পাবলিক পড়ে।
কিন্তুন সমস্যা হইলো কমেন্ট করতে লগ ইন করা লাগে।
বাংলিশ বা ইংলিশ কমেন্ট ও ঠিক একসেপ্টেড না।
মতামত জানানোটা ও বলগে বেশ কষ্টসাধ্য। সেই তুলনায় ফেবু ইজি। আর লাইক এর নেশা ত আছেই। আর যদি একপাল ফলোয়ার থাকে তো ফেবু তে সহজেই নবী বনে যাওয়া যায়।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আর আমার সমস্যা হইলো আমি সবসময় কম্পু তে থাকি না। ট্যাবলেট বা মোবাইলে বাঙলা লেখা খুব কষ্টসাধ্য লাগে। তাই অনেক সময় ইমো দিয়ে কাজ চালিয়ে দিই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
তাইলে কি একটা কাউন্টার জাতীয় কিছু সেট করা যায়?
কেউ পড়ছে কিনা, জানলে কিন্তু লিখার আগ্রহ বাড়তো।
আমি তো প্রায় সময়েই মেম্বার নন-মেম্বার মিলায়র ১০-১২ জনের বেশী হাজির পাই না।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
আমি কিন্তু কয়দিন আগেই ত্রিশজনের উপরে পাইছি।
তবে গেট টুগেদার ইত্যাদি র নিয়মিত আয়োজন হইলে সবকিছু চাঙ্গা থাকে।
তবে সবচেয়ে বড় কথা টান টা থাকা চাই।
আপনি যেভাবে লেগে আছেন আমি কিন্তু আশাবাদী। আমার বেশ কিছু প্রস্তাব ছিলো
০১ সিসিবি ফাউন্ডেশন করে বই প্রকাশনা
০২ ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ
০৩ তিন মাস পর পর গেট টুগেদারের আয়োজন করা..
বলা বাহুল্য বই বিক্রি থেকে লাভের অংশ টা দুস্থ-অসুস্থ ক্যাডেট ও কলেজের টিচার ও কর্মচারীদের পিছনে ব্যয় হবে.....
আমার ধারণা এই কাজটা উদ্যোগের অভাবে হচ্ছে না। আপনার ইলেকশন শেষ হোক তারপর ভাবা যাবে এই বিষয়ে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এত্ত ছোট্ট পরিসরেো এমন নিটোল একটা গল্প লেখা সম্ভব? না পড়লে বিশ্বাস করতাম না। রিয়েলী সুপার্ব!
তবে দু'একটা জায়গায় ডায়ালগে আঞ্চলিক ও চলিত ভাষা মিশে গেছে, এটুকুই যা খুঁত, কেউ যদি আদৌ খুঁত বাছতে চায়। নতুবা নয়।
এটুকু ছাড়া, একেবারে লিখুঁত, নিটোল পরিপূর্ণ ছোট গল্প।
:hatsoff: :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
প্রথমেই পুরনো একখানা লেখা খুঁজে পেতে পড়বার জন্য অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া। আপনার প্রশংসা বাক্যে যারপরনাই বিগলিত হয়ে আছি। আপনার মতো মনোযোগী পাঠকের বড় প্রয়োজন সিসিবিতে। একে অপরের পিঠ চাপড়ানোমূলক মন্তব্য নয় আমি চাই লেখার সমালোচনা হোক জোরসে সিসিবিতে। 🙂
অসম্ভব ভাল লিখছেন 🙂