আমাদের গল্পটা শীতের শেষের দিকে এক বিকেলের। ম্যাড়মেড়ে, ক্লান্ত কিংবা ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে বসে থাকার কোন বিকেল নয় সেটা। ঝরা পাতার মর্মর শব্দ আর ঠান্ডা বাতাসের শো-শো আওয়াজের সাথে উজ্জ্বল হলদে রোদে ভরা সে বিকেল। এমন সময়ে মনে হয় না কারো ইচ্ছে করে লেপ-কম্বল গায়ে ঘরে বসে থাকতে। বরং ইচ্ছে হয় গরম কাপড় গায়ে চড়িয়ে পকেটে দু’হাত ঢুকিয়ে একলা পথে হাঁটতে। আমি তাই পথে বেড়িয়ে পড়ি।
বিস্তারিত»কথোপকথন
-ফ্রি তে নাকি কিছুই পাওয়া যায় না।মূল্য দিতে হয়।এইজন্যই বোধহয় তোমার আমার মাঝে অতটা …ইউ নো ..’ম্যাটেরিয়াল ‘ নাই! তোমাকে পেতে আমার ওয়েট করা ছাড়া আরতো কিছুই করতে হয় নি!
-কে বলছে? তোমার সবসময় ফোনে কথাবলা বন্ধুদের কেউ? ….অফকোর্স উইদাউট মিনিং এনি ডিজরেস্পেক্ট টু দেম!তোমার বন্ধুদেরতো আবার সমালোচনা করা নিষেধ! দেবতাকূল!
-হুম! তুমি কি আমাকে খোঁচা দিলা? ইন অ্যান “অ্যাটেম্পট টু টীজ ”
বিবর্ণ অনুভূতি…
ক্রিং ক্রিং। একঘেয়ে শব্দে বেজে চলেছে ফোনটা। চোখ কচলিয়ে পাশ ফেরে ফারহান। দেয়ালের রেডিয়াম ঘড়িটা সময় জানান দিচ্ছে রাত দুটা বেজে সাত। ধুর! কোন বলদ এত রাতে ফোন দিয়েছে?
দেশের মানুষের কি কাজকর্ম নেই নাকি?ভাবতেই মেজাজটা খিঁচ খেয়ে যায় ওর।
মোবাইল স্ক্রিনে আননোন একটা নাম্বার।
আইজ খাইসি তোরে। বিড় বিড় করে ফোনটা রিসিভ করে সে।
-হ্যালো, স্লামালিকুম। কে বলছেন?
–
চা-সিগারেট
সকালের নাস্তা সেরে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম মোজাম্মেল মামার দোকানের উদ্দেশ্যে। ভার্সিটির ক্লাস ক্যানসেলড হওয়ায় সকালের চা সিগারেট দুপুরের চা সিগারেটে রুপ নিয়েছে। সাড়ে এগারোটায় ঘুম থেকে উঠেছি, এখন বাজে বারোটা দশ। মিরপুর ১৪ নম্বর মোড়ে, ডেন্টাল কলেজের সামনে মামার দোকান।
মোজাম্মেল মামাকে আমার প্রায়ই ফিলসফার পর্যায়ের লোক বলে মনে হয়। মাঝে মাঝে মামার কথা শুনে আমার আফসোস হয়। লোকটা পৃথিবীতে আসতে মিসটাইমিং করে ফেলেছে।
বিস্তারিত»কালাইডোস্কোপে বিষ
১
শীতের রোদ বড্ড পুরুষালী হয়, বিশেষ করে দুপুরের দিকে। এই মুহূর্তে সে কাজরার পিঠের চামড়া পুড়িয়ে দিচ্ছে। মাটির চুলোয় আগুন ধরিয়ে কাজরা ডালায় রাখা কাঁকড়ার দিকে ঝাঁপিয়ে পরে, দক্ষ হাতে এক এক করে কাঁকড়ার হাত পা গুলো শরীর থেকে আলাদা করে ফেলে, মোচড় কেটে কেটে তারা নিষ্প্রাণ হয়ে যাচ্ছে। পাতিলে রসুন আর পেঁয়াজ বাটা চড়ায় সে, নৌকার দুলুনীতে চুলা দুলছে, দুলছে পেঁয়াজ আর রসুন বাটাও।
বিস্তারিত»পয়েন্ট ফাইভ ডেজার্ট ঈগল কিংবা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
১।
কিছু কিছু দিন থাকে আপাতদৃষ্টিতে গুরুত্বহীনভাবে শুরু হয় এবং খুব বেশি গুরুত্ব ছাড়াই শেষ হয়। কিন্তু জীবনের বৃহত্তর ছবিতে স্থায়ী দাগ রেখে যায়। ১৯৯৮ এর সেই বিকেলটা অনেকটা সেরকম একটা দিনের বিকেল। ব্রাজিল ফুটবল দলের কট্টর সমর্থক হিসাবে মনটা সেদিন বিশেষ উদাস। আগের রাতেই স্বাগতিক ফ্রান্সের কাছে বিশ্বকাপ খুইয়েছে দলটা। আমার বাজির ট্রাম্পকার্ড রোনালদো নামক তরুন টেকো ছেলেটা ফাইনালে বাচ্চাদের মত বমি করে ভাসিয়েছে।
বিস্তারিত»ICCLMM-2011:একটি অজানা ভালোলাগার গল্প(২য় পর্ব)
প্রতিযোগিতা থেকে বাসায় গিয়ে ধরলাম ঢাকার বাস। খোঁজ নিয়ে জেনেছি সে ঢাকায় থাকে। তাই অগত্যা কোন উপায় না দেখে আমার ছুটির শান্তি নষ্ট করে ছুতে গেলাম ঢাকা অভিমুখে। ঢাকায় থাকার অন্যান্য সহস্র সমস্যার মধ্যে প্রধান সমস্যা হল – ০১। সকালের অতি আদরের ঘুম বিসর্জন করা ও ০২। মিরপুর-১ থেকে ফার্মগেট গিয়ে পড়া। অবশ্য তাতেও রাজি শুধু যদি পূরণ হয় সে আশা যার জন্য এত জলাঞ্জলি,
বিস্তারিত»ICCLMM-2011:একটি অজানা ভালোলাগার গল্প(১ম পর্ব)
২৬ শে অক্টোবর,২০১১ ইং। ৩ মাসের সুদীর্ঘ প্রস্তুতি পর্ব শেষে ছাড়পত্র পেয়েছি এখানে আসার। কিন্তু বর্তমানে যে অবস্থায় আছি তা সহ্য করা দায়। ডিনারের আগে সর্ব সাকুল্যে ১২টা রবীন্দ্র সংগীত শুনতে হয়েছে। আসলে রবীন্দ্র সংগীত ভালো লাগেনা। তা নয়, বরং সবার গাইবার ঢংটা তো আর রবীন্দ্র সংগীতের সাথে যায়না তাই ভালো লাগে না। ডিনারের পর আবার ফিরে যেতে হলো বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা মিলনায়তনে, আন্তঃ ক্যাডেট কলেজ সাহিত্য ও সংগীত প্রতিযোগিতায় এবারের ইভেন্ট আধুনিক গান।
বিস্তারিত»মেয়েটিকে ভাল লাগে – ২য় ও শেষ পর্ব
এক দৃষ্টে তাকিয়ে আছি ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে। এটা আমার খুব পছন্দের বাজে অভ্যাস। গান থেমে গিয়েছে মনে হচ্ছে। নতুন কিছু শিল্পীর সঙ্গীত নিয়ে নাড়াচাড়া করছি ইদানীং। দ্য ওয়াটার বয়েজ নামের একটা নতুন ব্যান্ড পেলাম। বেহালা আর গীটার ডুকরে কান্নার মত সুর তোলে। মেলোডি গারডট – চমৎকার জ্যাজ গায় মেয়েটি। জন কোলট্রেন – স্যাক্সোফোনের পাগলামি। থেলোনিয়াস মঙ্ক – পিয়ানোর সাদাকালো শরীর নেচে বেড়ায় ৯/৮ মাত্রায়। মুঠোফোনটি হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম ক্ষুদেবার্তা গুলোর দিকে।
বিস্তারিত»মেয়েটিকে ভাল লাগে – ১ম পর্ব।
মেয়েটিকে দেখলেই ভাল লাগে। সারাক্ষণ হাসে। “মুখের মাংসপেশী অবশ হয়না?” জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছা হয়। ইদানিং বেশ কিছু পুরোন প্রিয় রোমান্টিক গান ভাল লাগছে। মেয়েটিকে ভাল লাগার সাথে সম্পর্ক আছে কিনা ধরতে পারছি না। লাস্যময়ী সুন্দরী যেকোন মেয়ে দেখেই তো ভাল লাগে। সেদিনের কমলাপুর রেলস্টেশানগামী ট্রেনে উঠার জন্য দৌড় দেয়া মেয়েটি। সেও তো ভাল লাগা তৈরী করেছিল। শাড়ি পরে এভাবে এর আগে কাউকে দৌড়াতে দেখিনি। বাতাসে ছড়িয়ে যাওয়া সুগন্ধী মিলিয়ে আসার আগ পর্যন্ত ভাল লাগা বজায় ছিল।
বিস্তারিত»মাস্টার প্ল্যান! (শেষ পর্ব)
৫।
-‘শামীম, তোমার ছেলের যে বয়স তাতে করে গিফট বা এই জাতীয় কিছু দিয়ে তুমি মন জয় করতে পারবে না।‘ ডিপার্টমেন্ট এর ক্যাফেটারিয়াতে বসে কফি খেতে খেতে বললেন ডঃ আনিসুজ্জামান। শামীম হাসানের চেয়ে সিনিয়র হলেও তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান।
-তাহলে আপনিই বলুন, আমার কি করা উচিৎ…
-প্রতিটি ছেলের কাছেই তার বাবা হচ্ছে তার প্রথম হিরো।
আধাসামরিক প্রেমের গল্প
আধাসামরিক ক্যাডেট কলেজে বেসামরিক প্রেমিকা থাকা শুধু কষ্টের নয়, ভয়াবহ কষ্টের।প্রতিবার ছুটির শেষে প্রিয়
মানুষটিকে ফেলে কলেজে যেতে অনেক কষ্ট হয়।ক্যাডেট কলেজ, সে এমন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ, যেখান থেকে মুক্ত পৃথিবীর খোঁজ নেয়া অসম্ভব প্রায় । আর্মি হেড কোয়ার্টারের স্বেচ্ছাচারিতায় মুঠোফোনের বেতার তরঙ্গ তখনো জায়গা করে নিতে পারেনি ক্যাডেট কলেজের সেই চৌহদ্দিতে। তবুও সমস্ত কলেজ প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে কখনো আন্ডারগার্মেন্টস এর নিচে,কখনো মোজার ভেতর,মোটা বইয়ের পৃষ্ঠা কেটে,ব্যাগের কোনায়,এংলেটের মধ্যে,
মাস্টার প্ল্যান!
১।
-হাই ড্যাড, কেমন আছো?
প্রশ্নটা শুনে শামীম হাসান কিছুটা থতমত খেয়ে গেলেন। একমাত্র সন্তানের সাথে তিনি কখনোই তেমন আন্তরিক বা বন্ধুত্বপূর্ণ হতে পারেন নি। অনেকবারই চেষ্টা করেছেন কেয়ারিং বাবা হবার জন্য, কিন্তু ছেলের সাথে ‘লিটল টক’ দিয়ে আলাপ শুরু করতে গেলে এমন অবাক ও বিস্ময়মাখা এক্সপ্রেশন দেখেছেন যে কথা আর বেশি দূর কখনো এগোয় নি। আজ শিমুলের আকস্মিক এই পরিবর্তন কিছুটা অবাক হবার মতন বৈকি!
নাগাল
– অ্যাই অন্তু! নামবি না?
বারান্দার রেলিঙ এ গাল ঠেকিয়ে বৃষ্টি দেখছিল অন্তু। নিজের নাম কানে আসতেই নিচের দিকে তাকাল। পাশের বিল্ডিঙের রাকিব ডাকছে ওকে।
– বৃষ্টির ভেতর নিচে নেমে কী করবো? খেলা হবে নাকি? আর কেউ নেমেছে খেলতে?
– পলাশ ভাই ব্যাট বল নিয়ে উনাদের সিঁড়িতে বসে আছে। চার পাঁচজন হলে শর্ট পিচ খেলা হবে।
– দাঁড়া দেখি আম্মা নামতে দেয় নাকি
অন্তুর আম্মা পাশের বাসায় গেছেন।
বিস্তারিত»বড়দের গল্প
কয়ডা ঘটনা লখতে মন চাইল হঠাৎ। এগুলা বড় ভাইয়াদের মুখে শোনা গল্প।
১) ডাক্তার আতিক ভাই, একবার ওনাদের ক্লাস হচ্ছে মেডিকেলের। সেদিন পড়ানো হচ্ছিল পুরুষের স্থায়ী জন্ম বিরতিকরন পদ্ধতির ওপর। এই পদ্ধতিতে নাকি ছোট একটা অপারেশন করে একবার প্রডাকশন অফ করে আবার ইচ্ছাকরলে পরে আরেকটা অপারেশন করে চালু করা যায়। তো পড়ানোর সময় এ বিষয়ে বলতে বলতে, টিচার এটাও বলছিল যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের জন্য বাংলাদেশ সরকার এই পদ্ধতিকে উৎসাহিত করতে,সরকারী সাস্থ্যকেন্দ্র কেও এই পদ্ধতি গ্রহন করলেতাকে একটা ছাতা আর ২০০টাকা দেয়।
বিস্তারিত»