পুষ্প তুমি কার

এক.
রাজশাহী। নতুন জায়গা এবং বিরক্তিজনকভাবে প্রচণ্ড গ্রীষ্মপীড়ীত এলাকা। আমার এখানকার কর্মস্থলের প্রথম দিন। প্রচন্ড গরম আর এখানকার অফিসের যাচ্ছেতাই অবস্থা আমার মেজাজটা এমনিতেই অনেক গরম করে রেখেছে। মানুষ হিসেবে আমি যথেষ্ট রূঢ় প্রকৃতির বিশেষত যখন আমার মেজাজ অনেকটা চড়ে থাকে। হয়ত আজকে একটু বেশিই হয়ে গেছে। অফিসের কম্পিউটার সেকশনের মেয়েটা নাকি আমার ঝাড়ি জাতীয় কথাগুলো শুনে তার টেবিলে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিল। খুব একটা খারাপ হয়েছে ব্যাপারটা তা আমার মনে হচ্ছে না।

বিস্তারিত»

আমি

হোয়াই অলয়েজ মি? কেউ কি দয়া করে ব্যাখ্যা দেবেন আমার সাথেই কেন এমন হয়? আমি জানি আমার দুঃখের কথা আপনাদের কাছে প্যানপ্যানানি লাগবে। প্যানপ্যানানি হবেই বা না কেন? যে তীব্র অনুভূতির সাথে নিজের কোন যোগ নেই সেটা কেন যেন সহানুভূতির চেয়ে আমাদের মনে বিরক্তি বা হাসিরই উদ্রেক করে বেশী।

 

ছোটবেলা থেকে আশেপাশের মানুষের ঘৃণাটাই বেশী পেয়েছি। চেহারাটা তেমন একটা সুবিধার নয় বলে।

বিস্তারিত»

দ্য ফোর্থ ডাইমেনশন

“এইপ, কথা বলছিস কেন? বকবক করছি ভাল লাগে না?”আচমকা ফিজিক্স স্যারের ঝাড়ি খেয়ে চুপ করে গেল কুদ্দুস।স্যার কি পড়াচ্ছে টা ও শুনছিল না।ওর মাথায় গিজগিজ করছে হাজারটা প্রশ্ন।কে তার উত্তর দেবে? “নিউটন বলেছেন ,প্রত্যেক বলের একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে, অর্থাৎ আমি আবারও বলছি”…… “স্যার আমার একটা প্রশ্ন ছিল” , হঠাৎ ব্রেক কষা গাড়ির মত স্যারের কথা থামিয়ে দিল কুদ্দুস। মোটা ভুরু দুইটা কুঞ্চিত করে স্যার বললেন,

বিস্তারিত»

পূর্বপুরুষ

আমার পিতামহের গল্প বলতে ইচ্ছা করছে।এর সবটাই শোনা গল্প।

কুরবান আলি-অনেক ভাইবোনের মধ্যে ছোটর দিকে। মানে ঐ আরকি ঠিক ছোটটার একটু বড় । অন্য ভাইয়েরা লেখাপড়া জানে।একজন তো ফার্সি ও উর্দু কবিতা লেখেন।কয়েকজন কুরানে হাফিজ।আর কুরবান কিছুতেই পড়ালেখা মাথায় ঢুকাতে পারেনা।একটু বোকা কিসিমের সহজ সরল।
বাবা ১৭ বছরের কুরবানকে বিয়ে করিয়ে ঘরে আনলেন ৯ বছরের বধু।
বৌকে কুরবানের পছন্দ হল। কি লাজুক আর কি মিষ্টি !

বিস্তারিত»

প্রিয় পুষ্পিতা

প্রিয় পুষ্পিতা ,

তোর নামটা অনেক সুন্দর । ফেসবুকে তোকে প্রথম যখন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে যাব তখন কেন যেন তোর নামটা খুব ভালো লেগেছিল । আমি সাধারনত কোন মেয়েকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর সময়ে তার ছবি দেখি । কেন জানি তোরটার সময় এ কাজ করিনি । তুই মাঝে মাঝে গ্রুপ ছবি দেস । সিঙ্গেল ছবি কেন দেসনা – তুই জানিস । লজ্জা পাস বোধ হয় ?

বিস্তারিত»

নিজ মানুষের পাল্টানোর কথা

আমার চাচাতো ভাই রুবেল ভালো প্লেন চালায়। প্লেন চালাতে যেয়ে ছেলেটা অনেক স্মার্ট হয়ে গেছে। এতো স্মার্ট যে আমার একমাত্র চাচী মানে রুবেলের মায়ের কাছে প্রায় গ্রামের অনেক মেয়ের বাবা আসেন বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। এটা যদিও একটা খুশির বিষয় তবে আমার পক্ষে খুশি হওয়াটা সম্ভব হয় না। রুবেলের বাবা মারা যাবার পর থেকে আমার চাচী তার কথা বলবার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। মেয়ের বাবা আমাদের বাড়িতে এসে রুবেলের বিয়ের কথা বললে চাচীর চোখ দিয়ে কেন জানি অশ্রু ঝরে।

বিস্তারিত»

অলিভার

অলিভারের সাথে প্রথম পরিচয় হয়েছিল যখন Real wheel এর একটা সমস্যা নিয়ে আমাদের কোম্পানীতে আসে। মোটামুটি লম্বা। প্রায় ৫ ফুট ৯ অথবা ১০ ইঞ্চির মত হবে। কাঁচা-পাকা চুল আর ছোট ছোট চোখের সামনে মোটা ফ্রেমের চশমা। হাঁটে একটু ঝুঁকে ঝুঁকে। Stainless Steel এ মরিচার মতন সাদা সাদা দাঁতের উপর কালো কালো দাগ। সিগারেটের প্রতি আসক্তিটা তখনই বুঝে গিয়েছিলাম। দেখে মনে হয়েছিল বয়স চল্লিশের আশেপাশে কিন্তু পরে জেনেছিলাম পঞ্চান্ন।

বিস্তারিত»

একটি বিক্ষুব্ধ সত্ত্বা

অনেকক্ষণ ধরেই সূর্যটা মধ্যগগনে  অধিষ্ঠিত হয়ে তার অস্তিত্ব টা বেশ ভালোভাবেই জানান দিচ্ছে। প্রচণ্ড তাপে পিচ ঢালা পথ থেকে বাষ্প উড়ে সূক্ষ্ম মরীচিকার সৃষ্টি করছে। শহরের একটি ব্যস্ত রাস্তার ফুটপাতে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে হেঁটে যাচ্ছে এক যুবক। দুনিয়ার কোন কিছুতেই তার আর কিছু যায় আসে না।মুখে কিছুদিন ধরে শেভ না করা খোঁচা খোঁচা দাড়ি । পরণে প্রায় ফিকে হয়ে যাওয়া একটা নীল ফুল টি শার্ট ও কালো প্যান্ট।

বিস্তারিত»

একটা পাখি তিনটা পাখি চারটা পাখি

[নামটা বেশ হাস্যকর মনে হতে পারে । হওয়াটাই স্বাভাবিক । আসলে নামকরনের পেছনে ছোট্ট একটা কাহিনী আছে । আসলে আমি এই লেখাটার বা গল্পটার জন্যে কোন নাম খুজে পেলাম না । তখন হুমায়ুন আহমেদ স্যারের বইয়ে একটা ছোট্ট ধাধা পেলাম । এবং সেটাকে একটু পরিবর্তন করে সেই নামটাই ব্যবহার করলাম।]

 

রফিক সাহেব পত্রিকার দিকে বিরক্ত দৃষ্টিতে চেয়ে আছেন । আজকাল পত্রিকায় ভালো কোন সংবাদ পাওয়া যায়না –

বিস্তারিত»

শিকির হাইকু ও লুটেরা

Evening Snow falling,
A pair of mandarin ducks
On an ancient lake.
-Masaoka Shiki

রাতে টিভিতে লুটেরা দেখছি।পশ্চিম বঙ্গের জমিদার বাড়িতে তুষারপাত হচ্ছে দেখে আমি অবাক।তবে শেষ পাতার ব্যাপারটা ভাল লাগলো।মনে পড়ল টিআইসি অর্থাৎ টোকিও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার এর লবি।জাইকা আয়োজিত যুব আমন্ত্রণ প্রশিক্ষণে বাংলাদেশীদের চায়ের কাপে ঝড়।আঁতেলেকচুয়াল রকিব শিকির কবিতা ডাউনোলোড করেছে।খুব খারাপ।এত খারাপ কথা দিয়েও কবিতা লেখে।সে আবার জাপানের একজন বিখ্যাত কবি।আসলে কবি সাহিত্যিকরা একটু হারামি টাইপের হয়।দেখি দোস্ত,কেমন কবিতা ?

বিস্তারিত»

বাঘ

একবার একটা বাঘ তার একমাত্র ছেলে মাইকেলকে নিয়ে গেল হরিণ শিকার করতে। মাইকেল হরিণ শিকারে তার বাবা টমাসের থেকেও অনেক বেশি দক্ষ ছিল। বাপ-বেটা দুজন সুন্দরবনের হিরন-পয়েন্টে ঘাসের মধ্যে ভাল একটা ঘনঝোপ ঠিক করে শিকারের পজিশন নিয়ে হরিণের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো।

বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে তারা দুজন দেখতে পেল যে, কিছু হরিণ-হরিণী তাদের ছানাপুনা নিয়ে মনের আনন্দে সেই ঘন ঘাসের দিকে আসছে তাদের পেটপূর্তি করতে।

বিস্তারিত»

বৃষ্টি

মেঘে ঢাকা লস আঙ্গেলেস

বৃষ্টি হচ্ছে লস আঞ্জেলেসে ।
আকাশ মেঘে ঢাকা। দূর পাহারগুলোকে ও মেঘ ঢেকে দিয়েছে ।জানালা দিয়ে দেখলে বোঝা যাবে না যে বৃষ্টি ।
বাংলাদেশের সাথে তুলনা করলে এটা ইলশে গুড়ি। না ইলশে গুড়ি বল্লে ভুল হবে। আর ও কম।
বৃষ্টি ভেজা পিচঢালা রাস্তায় গাড়ি চলাতে এক ভেজা আওয়াজের হচ্ছে । এই আওয়াজ ও জানালার পাশ দিয়ে পানি পড়ার আওয়াজ।

বিস্তারিত»

অথঃবিড়াল সমাচার

দুইটা বিড়াল মিলিয়া এক টুকরা কেক চুরি করিল। কিন্তু কে কতটুকু খাইবে ঠিক করিয়া উঠিতে পারিল না। শুরু হইল ঝগড়া,মারামারি,হরতাল ,গাড়ি ও মানুষ পুড়ানো।
পাশের উঁচু গাছের ডালে বসিয়া এক চালাক বানর দেখিতেছিল সব।ঝগড়া নয় কেকের লোভে নামিয়া আসিলো সে।
গম্ভির চালে বলিল-এই, তোরা ঝগড়া থামা।আমি আসিয়াছি দ্বি পাক্ষিক মীমাংসার জন্য।শীর্ষ হইতে বৈঠকে নামিয়া।
কেক যার হাতে ছিল সেই বিড়াল বলিল-এই কেক আমার পূর্ব পুরুষ এবং আমার স্বপ্ন ।

বিস্তারিত»

অন্তর্নিহিতা

টিএসসির গোল চত্বরে দাঁড়িয়ে আছি অনেকক্ষণ। কলাভবনের কাজটা শেষ করে সারিনি মাহিরের সামনে পড়লাম। আর তার কোথা রাখতে আজ এখানে এসে দাঁড়িয়ে থাকা। শালা মানুষ হলো না। সেই কলেজ লাইফ থেকে শুরু করেছে। তার যেন কোন অন্ত নাই, নাই বিরক্তি। ছোটবেলা থেকে খাতার পাতায় অযথাই আঁকিবুঁকি করার একটা বদ অভ্যাস ছিল। আর আলপনাও মোটামুটি আঁকতে পারতাম। তাই যখন আমার টেনেটুনে করে পরীক্ষার পাশে কোথাও চান্স পেলাম না,

বিস্তারিত»

ডার্টি সিক্স

[ ব্লগ অ্যাডজুটেন্ট স্যারের কাছে প্রথমেই ক্ষমা চাচ্ছি ডার্ট পোস্ট করার জন্য । স্যার যদি খাতির করেন তাহলে চা খাওয়াব ]
এক সময় কাসিম  হাউসের  ছয়  নম্বর রুমে ছিলাম। ঐ রুমে বসবাসকারীরা ঐতিহ্যগতভাবে নোংরা ছিল। নোংরামিটা বেশি ছিল মোজা নিয়ে। মোজা কাচতে ভীষন অনীহা। একজন তো মোজা খুলে কৌটায় রাখতো। জুনিয়রদের জন্য ঐ কৌটাবদ্ধ মোজার গন্ধ শোঁকা ছিল মেজর পানিশমেন্ট। আর একজন জাংগিয়া কাচতো না,

বিস্তারিত»