এক ছিল রাখাল। সে তার মামার গরু চরাত।একদিন মামী অনেক পিঠা তৈরী করল । রাখাল তো খুব খুশী। মজা করে পিঠা খাবে। কিন্তু মামী তাকে একটাও পিঠা দিল না। রাখালের খুব মন খারাপ হল। সে তখন একটা বুদ্ধি করল। মামার গরুটাকে মাঠে নিয়ে গেল। আচ্ছা রকম করে পাকা ধান খাওয়াল । এত্ত খাওয়ালো ,এত্ত খাওয়ালো যে গরুটা ধান লাদা শুরু করল। রাখাল তখন গরুর পাছায় পোয়ালের সিপি দিল।
বিস্তারিত»জীবন মানে জি বাংলাঃ রিমান্ডাগ্রহ
প্রথম আলোতে একটা খবর পড়ে দুই জায়গাতে ধাক্কা খেলাম! শেখ হাসিনা নাকি জিয়া হত্যা মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়াকে রিমান্ডে নিতে আগ্রহী। ব্যাক্তিগতভাবে খালেদা জিয়া বা তারেক জিয়ার প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গি আর দশটা রাজনীতিবীদের প্রতি যেমন, ঠিক তেমনই, কিন্তু সেটা এখানে বিবেচ্য বিষয় না। যেখানে যেখানে ধাক্কা খেলাম, তা হলো, প্রথমত, প্রধানমন্ত্রীর পদানসীন একজন ব্যাক্তি আইনের আওতায় আনার চাইতে রিমান্ডে নেয়ার প্রতি বেশী আগ্রহী,
বিস্তারিত»প্রথম প্রেমের গল্প
শুনেছি মানুষ নাকি তার প্রথম প্রেমকে ভুলতে পারেনা। আর সেখানে যদি থাকে বেদনার গল্প, তাহলে তো আরো ভুলার কথা না। আজকে প্রথম প্রেম এর গল্প বলতেই বসলাম।
না, কোন মানবীর গল্প বলছিনা। বলছিলাম “রোনাল্ডো-দ্যা ফেনোমেনন আর ব্রাজিল” এর কথা।
গল্পের শুরুটা ১৯৯৮ এর কোন এক পড়ন্ত দুপুরে। পড়ি তখন চতুর্থ শ্রেনীতে। বাড়িওয়ালাদের ছেলে রিমন এর সাথে আমাদের ভাই-বোনের খুব ভালো সম্পর্ক।
বিস্তারিত»একটি সুখস্বপ্ন
[বিঃ দ্রঃ সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা 😛 ]
এক্স ক্যাডেট হওয়ার প্রায় তিন বছর পেরিয়ে গেছে। কলেজকে আগের মত এখন আর মিস করা হয়না, মাঝে মাঝে আশপাশের কিছু কিছু ঘটনায় কলেজের কথা খুব বেশী মনে পড়ে যায়। মাঝে মাঝে বৃহস্পতিবার রাতে ডিভিডি শো গুলোর কথা মনে পড়ে, কিংবা বাস্কেটবল গ্রাউন্ড দেখলে কলেজের বাস্কেটবল গ্রাউন্ডটাকে খুব মিস করি। মনে পড়ে ক্লাসে কিংবা প্রেপে দোস্তদের সাথে আড্ডা কিংবা ফাজলামির কথা,
বিস্তারিত»ফেসবুকের মানুষগুলো (পর্ব-১)
অফিসে ঢুকেই মহিউদ্দিন আহমেদের মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। ৮ টা ৫০ বাজে। পুরা অফিস খাঁ খাঁ করছে। এমনি রাতে ভাল ঘুম হয়নি। এই খালি অফিস দেখে তার মেজাজ আরো চড়ে গেলো। অফিসে ঢুকার টাইম ৯ টায় । ১০ মিনিট এর রিলাক্স টাইম দেয়া আছে। সবাই হিসাব করে ৯ টা ১০ এই ঢুকবে! মাসে ৩ দিন লেট এলাউড আছে। ঐ সুযোগও নিবে! “রাবিশ! আমি হেড অফ সিকিউরিটিজ হয়ে সময়মতো চলে আসি,
বিস্তারিত»টিটোর গপ্পোঃ গিট্টু, প্যাঁচ ঘ্যাচ
অতীত ভ্রমন সম্ভব। বিশ্বাস হচ্ছে না ? গাল গল্প নয়। আপনিও পারবেন। এজন্য বিশাল কিছু হবার প্রয়োজন নেই।ওয়ার্প স্পীডে ছোটার মত নভোযানও লাগবে না।টাইম মেশিনও দরকার নাই।প্রথমে একটু প্রমান দেই।চাঁদ তারা দেখুন।অতীত দেখা হয়ে যাবে।এবার কাজের কথায় আসি।নারকেল গাছে উঠুন। গিট্টু, প্যাঁচ ঘ্যাচ দিয়েই পাঠিয়ে দিবো আপনার শৈশবে।
প্রথমে একটা নারকেল পাতার শলার এক পাশ থেকে একফালি কাটুন।ফালিটার মাথা থেকে একটা ছোট অংশ কাটতে হবে।ছোট অংশের দৈর্ঘ্য ফালিটার প্রস্থের তিনগুনের কম হতে হবে।ছবি অনুসরন করে গিট্টু দিন।হাতের কব্জির সাথে প্যাঁচ দিন।তৈরী হয়ে গেলো ঘড়ি।গিট্টুর দুই দিকে প্যাঁচ দিয়ে দুপাশে শলা লাগান।পেয়ে গেলেন চশমা।কয়েক ফালি পাতা নিয়ে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে চোঙা বানান।বড় পাশে শলা আটকান।ছোট পাশে সমান দুই টুকরা পাতার ফালি ঢুকিয়ে দিন।
বিস্তারিত»সান ফ্রান্সিসকোতে ফাঁস
(গল্পটি আগে একটি সাহিত্য ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে।)
১
রুমমেট মেরি লী আর আমার সমস্যাটা এক। অথচ দু’জন এর সমাধান চাচ্ছি দুরকম পথে। এটাই স্বাভাবিক। কারণ আমাদের মিলের থেকে অমিল বেশি। প্রথম এবং প্রধান মিলটার কথা আগে উল্লেখ করি। আমরা সমবয়সী। আমার বয়স চব্বিশ। মেরি লী আমার থেকে দু’বছরের ছোট। অমিল অনেক। সে বেশ সুন্দর। স্কুল-কলেজে পড়ার সময় তাকে একজন প্রথম সারির সুন্দরী বলে বিবেচনা করা হতো।
অতিপ্রাকৃত
যখন ছোট ছিলাম তখন গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে গেলেই সন্ধ্যার পর জমে উঠত জমপেশ ভূতের গল্প। রাতের খাবার দাবার পর্ব শেষ হবার পর হ্যারিকেনের আলোটা একটু কমিয়ে দিয়ে নিস্তব্ধ পরিবেশে মামারা যখন তাদের ভারী কণ্ঠস্বর অনেকখানি খাঁদে নামিয়ে এনে থেমে থেমে গল্প গুলো করতেন তখন সেখানকার সবকিছুই ভৌতিক মনে হত। এমনকি একা বাথরুমে যাবার ভয়ে অনেক সময় ওটা চেপেই ঘুমিয়ে পরতাম। আজকাল কর্মচঞ্চল ব্যস্ত নাগরিক জীবনে ভৌতিক কোন ব্যাপার নিয়ে কেউ আর মাথা ঘামায়না।
বিস্তারিত»শোধ
এই ধরুন যুগ দুয়েক আগে, এই বিস্তৃত মিরপুর বারো অঞ্চলে গা ছমছমে এক জঙ্গল ছিল। চাকলী গ্রাম থেকে কালশী- কালাপানি অঞ্চলে যেতে, হাতে লাঠি অথবা দা নিয়ে যেতে হত। তখন চাকলী গ্রামের মন্দির থেকে পূবে বেশ কিছুদূর এগোলে একটা ছোট সুন্দর জলাশয় ছিল। সেই জলাশয় এবং তার আশেপাশের গাছগুলোতে চমৎকার সংসার গুছিয়েছিল এক সাদা বক। আজ যেখানে ধুরন্ধর আট তলা বিল্ডিংটা উঠছে ঠিক সেখানে তার আদরের সন্তানরা খেলতো।
বিস্তারিত»লিমনের জগত
ফজরের আজানের ধ্বনিতে আফরোজা বানু ধড়মড় করে জেগে উঠলেন। অনেকদিন বাদে আজ আবার একই দুঃস্বপ্ন দেখলেন। কিছুক্ষণ বিছানায় চুপচাপ বসে রইলেন তিনি। তার শ্বাসপ্রশ্বাস এখনো স্বাভাবিক হয়নি। প্রচণ্ড পিপাসায় গলা শুকিয়ে আছে। পাশেই লিমনের বাবা এখনো গভীর ঘুমে। ধীরে ধীরে উঠে পড়লেন আফরোজা। ওযু করে ফজরের নামাযে দাড়িয়ে গেলেন। আজ লম্বা সময় ধরে সিজদায় পড়ে রইলেন। মোনাজাতের সময় প্রতিদিনের মত আজও গাল ভিজে গেল। জায়নামাজ গুটিয়ে বারান্দায় চলে এলেন তিনি।
বিস্তারিত»লালসার অপমৃত্যু…
৪. চোখে পানি নিয়ে ডান হাতের দিকে তাকিয়ে আছে শফিক। মোমবাতির উপর হাতটা ধরে আছে মিনিট পাঁচেক। হাতের তালুর সাদা অংশটার একটা পাশ আস্তে আস্তে কাল হয়ে এলো। তাও হাত সরাল না শফিক। দাতে দাঁত চেপে ধরে আছে হাতটা, মোমবাতির লেলিহান শিখার উপরে। মাংস-পোড়া গন্ধ আসছে। তাতেও বিকার নেই শফিকের। অপরাধবোধ, কষ্ট যেন দেহের ব্যথাকেও হার মানাচ্ছে। আর একটু হলেই হয়ত ডান হাতের তালু পুরোটা পুড়ে যেত তার।
বিস্তারিত»বরুনা প্রবালের গল্প – ০২
আবারো টলে উঠলাম দিয়েগোর কথায়, মিসিং এবং পুলিশ ইনভেস্টিগেশন, মানে কোন হালকা ব্যপার না। এর পর সব বলে গেলো দিয়েগো একটানা।
এই এপার্টমেন্টে তেমন একটা ভাড়াটে বদল হয় না মাসে মাসে। নির্ঝঞ্ঝাট এবং বন্ধুবৎসল বলতে যা বোঝায়, প্রবালকে সে দলে ফেলা যায় কোন চিন্তা ছাড়াই। তাই প্রবাল চলে যাওয়ার পর দিয়েগোর মন কিছুটা খারাপ ই ছিলো। গত তিনদিন আগে পুলিশের আগমনে দিয়েগো স্বাভাবিক বলে ভাবলেও,
বিস্তারিত»ক্যাডেট কলেজের চিঠি
প্রিয় দেবী,
প্রথমেই বলি তুই তুই করে লিখতে পারবো না। মনে হয় পাশের বেডের মুকতাসিদের সাথে ঝগড়া করে চিঠি পাস করছি। কেমন আছো তুমি? যেমনই থাক, এই চিঠি পড়ার পর খুব ভাল থাকবা। ধরে নিচ্ছি স্যার পড়ার আগেই হাউজ বেয়ারাকে ম্যানেজ করে চিঠি নিয়ে এসেছো।
তোমার চিঠি পেলাম দুইদিন হলো। আচ্ছা তোমরা কি কলেজে মোবাইল নিবা না? আর কতদিন বাংলা রচনায় পড়বে প্রযুক্তির ব্যাবহার।
বিস্তারিত»স্বপ্ন
নিজের সদ্যোজাত সন্তানটিকে কোলে নিলে রমিছা বানুর বিস্ময়ের অন্ত থাকে না। এ কি তার সন্তান, তার গর্ভজাত সন্তান ! মোমেনা চাচী বলে, ‘রমিছা ! তোর পোলা তো দুনিয়া আলো করব রে ! এত্ত সোন্দর পোলা ! গায়ের রঙ য্যান ফাইট্টা পড়তাছে ! সাহেবগোর পোলাপাইনের মত দ্যাখতে হইছে রে !’
আক্ষরিক অর্থেই দুধে-আলতা ফর্সা একটা বাচ্চা, গোল সুন্দর মুখ- যেন রসে টুপটুপ রসগোল্লা। লাল টুকটুক ঠোঁট দেখে মনে হয় রক্ত লেগে নেই তো!
বিস্তারিত»