প্রথম কিস্তি
– তোকে এত করে বললাম, আজ অন্ততঃ রাশেদ ভাইকে যেমনে হোক ভুজুং-ভাজুং বুঝিয়ে নিয়ে আসবি? আজও একা এলি? এইডা কিছু হৈলো?
কপট না, শাওনের চোখে মুখে সত্যিকারের হতাশা ফুটে ওঠে।
তোড়া আগেও ব্যাখ্যা করেছে, রাশেদ কেন ওর বন্ধুদের এইসব গেট-টু-গেদারে আসতে চায় না। সেই খোঁড়া যুক্তির পুনরাবৃত্তি করতে আর ইচ্ছা হয় না তোড়ার। কেবলই একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে সে, আর তা দিয়েই জানায় “আমার কিছু করার ছিল না”।
না-গল্প চার : আড়াইখানা ব্রেক-আপ কাহিনী
গল্প নাম্বার – এক
একটি আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেনীতে অধ্যায়নরত থাকাকালে সহপাঠি রুমমেট রুমার কাছ থেকে রাজুর ঠিকানা পেয়েছিল মিতু। রুমা তখন চুটিয়ে প্রেমালাপ চালাচ্ছে রনির সাথে আর মিতুর সাথে এমন একটা ভাব করছে যে, “এত সুন্দরি, সুকন্ঠি হয়ে কি লাভটা হলো রে তোর, যদি একটা বয়ফ্রেন্ডই না থাকলো জীবনে?”
প্রথম প্রথম ভালই যুক্তি দিয়ে নিজের অবস্থানকে শ্রেয়তর প্রমান করে ছাড়তো মিতু।
বেলা শেষের অবেলায়
সুর্যটা ডুবতে বসেছে।
সেই সাথে রাসেল ও। ত্রিশ বছরের জীবন এতো দ্রুত শেষ হয়ে যাবে…
ডিমের কুসুমের আকার নিয়ে রক্তিম ভানু অস্তাচলে যাই যাই করছে। সামনে পিছনে আঁধারের ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে এক অপুর্ব বিষাদময়তা লেজের মত অদৃশ্য রশ্মিতে বাঁধা! সামনে কেউ নেই। পেছনে অনেকে থেকেও নেই।
একা একজন মানুষ।
স্মৃতির মিনারে আজনম ক্লান্ত এক পথিক পথের শেষে এসে বিষন্ন প্রহর গুনছে!
কি করছে এখন রেবেকা?
বিস্তারিত»না-গল্প তিন: তোড়ার জন্য
ইন্টার্নশিপ চলাকালেই পারিবারিক আয়োজনে বিয়েটা সেরে ফেলে ডাঃ হৃদয় ইসলাম। কনে টুম্পা তখন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ পড়ছে। কথা হয়, এখনি আনা নেয়া হবে না। দুজনেই যেহেতু পড়াশুনায় ব্যাস্ত, আগে পড়াশুনার পাট তো চুকুক তারপরেই না হয় সুবিধা মত ঘটা করে ওসব করা যাবে খন।
এরেঞ্জমেন্টটা কনে পক্ষের জন্য খুব একটা সুবিধাজনক না হলেও প্রথম সারির সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে সদ্য পাশ করা তুখোড় ছাত্র এবং হ্যান্ডসাম ও স্মার্ট এই পাত্রের কাছে কন্যাকে পাত্রস্থ করতে পারার সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি হলেন না কনেপক্ষ।
আরেকটি না-গল্প: বেল্ট কাহিনী
১
– তোমার কলারের মাপ কত?
– ষোল। কেন, শার্ট কিনতে চাও বুঝি আমার জন্য? তাও ভাল, বেঁধে রাখার জন্য কোন বেল্ট কেনার কথা ভাব নাই। যেভাবে সময় সুযোগ পেলেই তোমার চারপাশে ঘোরাঘুরি করছি আজকাল, প্রভুভক্ত কুকুর ভেবে বসাটাও অন্যয় ছিল না। আর তাই মাপ জেনে গলায় পরানোর বেল্ট যোগার করাটা ভুল কিছু হতো না কিন্তু, কি বল?
– দুষ্টুমি হচ্ছে, না?
ইস্তানবুলের ডায়েরী………কিছু স্মৃতিচারণ
স্বপ্ন নাকি বাস্তবতা… নাকি দুটোই…অনেকের মত আমিও হাতড়ে বেড়াই এই প্রশ্নের না জানা উত্তরটি। হয়ত সেই অজানা উত্তরের আশায় হাতড়িয়ে বেড়াতেই কেটে গেছে সময়ের গর্ভ থেকে নামবিহীন ২ টি বছর। খুলে দেখা হয়নি সেই পুরনো ডায়েরীর মলাটখানা। হয়তবা তারই আবর্তে ঢাকা পড়ে গেছে সেই অভিজ্ঞতার পাতা গুলো, জীর্ণতা ছেয়ে বসেছে প্রতিটি কোণে। আজ হটাৎ করেই অজানা এক বাস্তবতার বুক চিরে আবারো সেই ডায়েরীর মলাটখানায় হাত রাখলাম।
বিস্তারিত»একটি না-গল্প: সার্ভিস চার্জ
মিড-লেভেল কর্পোরেট কামলা থাকা কালে ইনি এক সন্তানসহ একা হয়ে পড়েন।
তাতে কি? কর্পোরেট কামলার ব্যস্ত জীবন, ক্যারিয়ার তৈরীর প্রানান্তকর সংগ্রাম, পাশাপাশি সন্তানের বেড়ে ওঠা, মানুষ করার দায়িত্ব – সব মিলিয়ে একাকি জীবনটাকে তার কখনো বোঝা মনে করার কোন সুযোগই হয় নি।
মধ্য চল্লিশে পৌছে তিনি যখন শীর্ষ পর্যায়ে পৌছেছেন, হেড অব সামথিং, দেখলেন আগের সেই ব্যস্ততা আর নেই। অফুরন্ত অবসর নিজের জন্য।
ফেসবুকের মানুষগুলো (পর্ব-৪)
মায়ের রুমের সামনে চশমার ফাঁক দিয়ে উঁকিঝুঁকি মারতে দেখা যাচ্ছে মারজুকাকে!
দরজা আবছা ভেড়ানো। পাশের রুম থেকে মায়ের উচ্চস্বরের কথা শুনতে পাচ্ছে সে। কি কথা হচ্ছে কিছু শোনা যাচ্ছে না। কিন্তু মারজু সহজেই বুঝতে পারছে ফোনের অপর পাশের মানুষটি কে। পরিণত মানুষের মতোই সে আঁচ করতে শিখে গেছে।
আদর করে সবাই মারজুই ডাকে তাকে। বয়স সবে আট হলো।
দরজা খুলে বের হলো মারজুর মা জিতু।
বিস্তারিত»একজন বিসিসি১৭ এর চোখে বরিশাল ক্যাডেট কলেজ রিউনিয়ন ২০১৫ঃ
বরিশাল ক্যাডেট কলেজ এর রিউনিয়ন থেকে ফিরে আসলাম ১৮ জানুয়ারী ২০১৫ সকালে। শুরুটা ছিলো ১৪ জানুয়ারী ২০১৫ সন্ধ্যায় লঞ্চ যাত্রা এর মধ্য দিয়ে। সারারাত ধরে লঞ্চের কেবিন এ বসে জাতিকে উদ্ধার করার পর ভোরবেলা নামলাম বরিশাল শহরে!
বিস্তারিত»no
No
বিস্তারিত»সমাপ্ত
বিস্তারিত»স্বীকারোক্তি
ঘটনা ১৯৯৭ সালের,এসএসসি পরীক্ষা প্রায় শেষের দিকে। আমাদের সাইন্স পার্টির শুধু টিউটোরিয়াল বাকী আর আর্টস পার্টির একটা শেষ পরীক্ষা। যাই হোক এই পরীক্ষা শেষে আর্টস পার্টির ভিতর বিরাট হৈ চৈ ,মহা অসন্তোষ ইতিহাসের এক স্যারকে নিয়ে।স্যার এর সঠিক নামটা ঠিক মনে নাই কিন্তু আমরা সবাই বড়ভাইদের দেয়া টিজনাম টাং টাং হিসাবেই চিনতাম। স্যার ক্যাডেটদের পিছনে খুবই লেগে থাকা টাইপএর ,অসম্ভব রোগা আর কথা বলার সময় কাপতেন,
বিস্তারিত»no
No
বিস্তারিত»শেষ ট্রাক কিংবা একটা উপন্যাসের বই
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য ড্রাফটিং হচ্ছে। এবার সরাসরি ক্যাডেট কলেজ থেকে ক্যাডেটদের নেয়া হচ্ছে। আমাদের কাছে ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক মনে হওয়ায় খুব দ্রুত ব্যাগ-ট্যাগ গুছিয়ে আবার রেডি-ও হচ্ছি। আমরা কয়েকজন আবার মাত্র জার্মানী থেকে একটা মহড়া দেখে আসলাম তাই আর নতুন করে কাপড় পাল্টাতে হচ্ছে না। হাউজের সামনে নিচে সবাই ফল-ইন আকারে দাড়িয়ে যাচ্ছে — কোন এক কারণে সবাই হাউজের দিকে হাত নাড়াচ্ছে যেন এইমাত্র তারা একটা ওয়ার্ল্ড কাপ জিতে আসছে!
বিস্তারিত»বোধোদয়
ছাদ ঢালাই গতকাল শেষ হল।
ক’টা দিন যা গেলো! বছর খানেক ছোটাছুটি করেও হয়তো এতোটা ক্লান্ত হতেন না আশরাফ। একতলা এই বাড়িটা তার কাছে একটা অবসেসন! একটা স্বপ্ন! যা আজ বাস্তবে রূপ পেলো। কম তো কষ্ট করেননি। তারপরও ফ্রেশ একটা সন্তুষ্টির অনুভূতির বদলে মনের ভিতরে কিসের যেন একটা কাঁটা বিঁধে থাকার অনুভূতি পাচ্ছেন।
নতুন বানানো সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠে গেলেন। ছাদের চারপাশে শক্ত মাটি দিয়ে বাঁধের মতো বানানো হয়েছে।
বিস্তারিত»