জবানবন্দি

মেয়ে তিনটির পরনে নামী ফ্যাশন হাউসের এক্সক্লুসিভ সালোয়ার-কামিজ । পায়ে ফ্যাশনেবল জুতো । হাতে বিদেশী ব্র্যান্ডের ব্যাগ । মেক আপে আঁকা নিখুঁত মুখশ্রী । ঈশ্বরপ্রদত্ত গায়ের রঙ,চোখের রঙ, চুলের ধরণ কিছুই আর বুঝবার উপায় নেই । তিনজনের পারফিউমের ককটেলে আশপাশের কয়েক গজ মাতোয়ারা ।

ওদের মুখ ফুটে বলতে হয়না নিজেদের সামাজিক অবস্থান সম্পর্কে । শেখ সাদীর সেই গল্পের মত পোশাক-পরিচ্ছদই জোরগলায় তা ঘোষণা করে ।

বিস্তারিত»

না-গল্প পাঁচ(ঘ) – তোড়ার কথা: ফেরা

প্রথম কিস্তি
না-গল্প পাঁচ(ক) – তোড়ার কথা: ফ্ল্যাশব্যাক

দ্বিতীয় কিস্তি
না-গল্প পাঁচ(খ) – তোড়ার কথা: শাওন-রিটা অধ্যায়

তৃতীয় কিস্তি
না-গল্প পাঁচ(গ) – তোড়ার কথা: নেপাল অধ্যায়

চতুর্থ ও শেষ কিস্তি
মায়ের বাসায় ফেসবুকের স্ট্যাটাস চেক করছে তোড়া। ঘুরেফিরে ইচ্ছা, রাশেদ কিছু দিল কিনা, সেটা জানার।
নাহ্‌ তেমন কোন কিছু চোখে পড়ে না।

বিস্তারিত»

না-গল্প পাঁচ(গ) – তোড়ার কথা: নেপাল অধ্যায়

প্রথম কিস্তি
না-গল্প পাঁচ(ক) – তোড়ার কথা: ফ্ল্যাশব্যাক

দ্বিতীয় কিস্তি
না-গল্প পাঁচ(খ) – তোড়ার কথা: শাওন-রিটা অধ্যায়

তৃতীয় কিস্তি
নিজেকে আসলেই দারুন স্মার্ট হিসাবে প্রমান করেছে রিটা।
এক সন্ধ্যার পরিচয়কে পুঁজি করেই শুধু ইন্টার্নশিপই না, রাশেদের আন্ডারে বিজনেস ডেভেলাপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট-এ কাজ করার সুযোগও পেয়ে গেছে সে।
সবার সামনে রাশেদকে স্যার বলে এবং পূর্ণ অফিস ডেকোরাম মেনে চলে কিন্তু একা থাকলে রাশেদ ভাই-কে কফি বানিয়ে খাওয়াতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে।

বিস্তারিত»

না-গল্প পাঁচ(খ) – তোড়ার কথা: শাওন-রিটা অধ্যায়

প্রথম কিস্তি
না-গল্প পাঁচ(ক) – তোড়ার কথা: ফ্ল্যাশব্যাক

দ্বিতীয় কিস্তি
তোড়ার বিয়ের সময়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই তুখোড় ছাত্র শাওন যথারীতি ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্টই শুধু হয়নি, পাশ করার পরপরই ডিপার্টমেন্টে জয়েনও করে ফেলে শিক্ষক হিসাবে। অন্য বন্ধুদের মত ওর সাথেও তোড়ার বরাবরই যোগাযোগ ছিল। মাসখানেক আগে বিয়ে করেছে মোটামুটি নামি এক প্রাইভেট ইউনিভার্সিটতে পড়া অনিন্দ সুন্দরি মেয়ে রিটাকে। অবশ্যই এফেয়ারের বিয়ে।

বিস্তারিত»

না-গল্প পাঁচ(ক) – তোড়ার কথা: ফ্ল্যাশব্যাক

প্রথম কিস্তি
– তোকে এত করে বললাম, আজ অন্ততঃ রাশেদ ভাইকে যেমনে হোক ভুজুং-ভাজুং বুঝিয়ে নিয়ে আসবি? আজও একা এলি? এইডা কিছু হৈলো?
কপট না, শাওনের চোখে মুখে সত্যিকারের হতাশা ফুটে ওঠে।
তোড়া আগেও ব্যাখ্যা করেছে, রাশেদ কেন ওর বন্ধুদের এইসব গেট-টু-গেদারে আসতে চায় না। সেই খোঁড়া যুক্তির পুনরাবৃত্তি করতে আর ইচ্ছা হয় না তোড়ার। কেবলই একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে সে, আর তা দিয়েই জানায় “আমার কিছু করার ছিল না”।

বিস্তারিত»

না-গল্প চার : আড়াইখানা ব্রেক-আপ কাহিনী

গল্প নাম্বার – এক
একটি আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেনীতে অধ্যায়নরত থাকাকালে সহপাঠি রুমমেট রুমার কাছ থেকে রাজুর ঠিকানা পেয়েছিল মিতু। রুমা তখন চুটিয়ে প্রেমালাপ চালাচ্ছে রনির সাথে আর মিতুর সাথে এমন একটা ভাব করছে যে, “এত সুন্দরি, সুকন্ঠি হয়ে কি লাভটা হলো রে তোর, যদি একটা বয়ফ্রেন্ডই না থাকলো জীবনে?”
প্রথম প্রথম ভালই যুক্তি দিয়ে নিজের অবস্থানকে শ্রেয়তর প্রমান করে ছাড়তো মিতু।

বিস্তারিত»

বেলা শেষের অবেলায়

সুর্যটা ডুবতে বসেছে।
সেই সাথে রাসেল ও। ত্রিশ বছরের জীবন এতো দ্রুত শেষ হয়ে যাবে…
ডিমের কুসুমের আকার নিয়ে রক্তিম ভানু অস্তাচলে যাই যাই করছে। সামনে পিছনে আঁধারের ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে এক অপুর্ব বিষাদময়তা লেজের মত অদৃশ্য রশ্মিতে বাঁধা! সামনে কেউ নেই। পেছনে অনেকে থেকেও নেই।
একা একজন মানুষ।
স্মৃতির মিনারে আজনম ক্লান্ত এক পথিক পথের শেষে এসে বিষন্ন প্রহর গুনছে!

কি করছে এখন রেবেকা?

বিস্তারিত»

না-গল্প তিন: তোড়ার জন্য

ইন্টার্নশিপ চলাকালেই পারিবারিক আয়োজনে বিয়েটা সেরে ফেলে ডাঃ হৃদয় ইসলাম। কনে টুম্পা তখন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ পড়ছে। কথা হয়, এখনি আনা নেয়া হবে না। দুজনেই যেহেতু পড়াশুনায় ব্যাস্ত, আগে পড়াশুনার পাট তো চুকুক তারপরেই না হয় সুবিধা মত ঘটা করে ওসব করা যাবে খন।
এরেঞ্জমেন্টটা কনে পক্ষের জন্য খুব একটা সুবিধাজনক না হলেও প্রথম সারির সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে সদ্য পাশ করা তুখোড় ছাত্র এবং হ্যান্ডসাম ও স্মার্ট এই পাত্রের কাছে কন্যাকে পাত্রস্থ করতে পারার সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি হলেন না কনেপক্ষ।

বিস্তারিত»

আরেকটি না-গল্প: বেল্ট কাহিনী


– তোমার কলারের মাপ কত?
– ষোল। কেন, শার্ট কিনতে চাও বুঝি আমার জন্য? তাও ভাল, বেঁধে রাখার জন্য কোন বেল্ট কেনার কথা ভাব নাই। যেভাবে সময় সুযোগ পেলেই তোমার চারপাশে ঘোরাঘুরি করছি আজকাল, প্রভুভক্ত কুকুর ভেবে বসাটাও অন্যয় ছিল না। আর তাই মাপ জেনে গলায় পরানোর বেল্ট যোগার করাটা ভুল কিছু হতো না কিন্তু, কি বল?
– দুষ্টুমি হচ্ছে, না?

বিস্তারিত»

ইস্তানবুলের ডায়েরী………কিছু স্মৃতিচারণ

স্বপ্ন নাকি বাস্তবতা… নাকি দুটোই…অনেকের মত আমিও হাতড়ে বেড়াই এই প্রশ্নের না জানা উত্তরটি। হয়ত সেই অজানা উত্তরের আশায় হাতড়িয়ে বেড়াতেই কেটে গেছে সময়ের গর্ভ থেকে নামবিহীন ২ টি বছর। খুলে দেখা হয়নি সেই পুরনো ডায়েরীর মলাটখানা। হয়তবা তারই আবর্তে ঢাকা পড়ে গেছে সেই অভিজ্ঞতার পাতা গুলো, জীর্ণতা ছেয়ে বসেছে প্রতিটি কোণে। আজ হটাৎ করেই অজানা এক বাস্তবতার বুক চিরে আবারো সেই ডায়েরীর মলাটখানায় হাত রাখলাম।

বিস্তারিত»

একটি না-গল্প: সার্ভিস চার্জ

মিড-লেভেল কর্পোরেট কামলা থাকা কালে ইনি এক সন্তানসহ একা হয়ে পড়েন।
তাতে কি? কর্পোরেট কামলার ব্যস্ত জীবন, ক্যারিয়ার তৈরীর প্রানান্তকর সংগ্রাম, পাশাপাশি সন্তানের বেড়ে ওঠা, মানুষ করার দায়িত্ব – সব মিলিয়ে একাকি জীবনটাকে তার কখনো বোঝা মনে করার কোন সুযোগই হয় নি।
মধ্য চল্লিশে পৌছে তিনি যখন শীর্ষ পর্যায়ে পৌছেছেন, হেড অব সামথিং, দেখলেন আগের সেই ব্যস্ততা আর নেই। অফুরন্ত অবসর নিজের জন্য।

বিস্তারিত»

ফেসবুকের মানুষগুলো (পর্ব-৪)

মায়ের রুমের সামনে চশমার ফাঁক দিয়ে উঁকিঝুঁকি মারতে দেখা যাচ্ছে মারজুকাকে!

দরজা আবছা ভেড়ানো। পাশের রুম থেকে মায়ের উচ্চস্বরের কথা শুনতে পাচ্ছে সে। কি কথা হচ্ছে কিছু শোনা যাচ্ছে না। কিন্তু মারজু সহজেই বুঝতে পারছে ফোনের অপর পাশের মানুষটি কে। পরিণত মানুষের মতোই সে আঁচ করতে শিখে গেছে।

আদর করে সবাই মারজুই ডাকে তাকে। বয়স সবে আট হলো।

দরজা খুলে বের হলো মারজুর মা জিতু।

বিস্তারিত»

একজন বিসিসি১৭ এর চোখে বরিশাল ক্যাডেট কলেজ রিউনিয়ন ২০১৫ঃ

10933744_10152707732239436_2579516722135620511_n10931687_10153596814326164_8822977008468374306_o

 

 

 

 

moments

10915222_10155162686305193_7726664750684326970_n

 

 

বরিশাল ক্যাডেট কলেজ এর রিউনিয়ন থেকে ফিরে আসলাম ১৮ জানুয়ারী ২০১৫ সকালে। শুরুটা ছিলো ১৪ জানুয়ারী ২০১৫ সন্ধ্যায় লঞ্চ যাত্রা এর মধ্য দিয়ে। সারারাত ধরে লঞ্চের কেবিন এ বসে জাতিকে উদ্ধার করার পর ভোরবেলা নামলাম বরিশাল শহরে!

বিস্তারিত»