যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে, এখনই তাকে নেয়ার জন্য গাড়ি চলে আসবে।আজকে সারাদিন অনেক পরিশ্রম গেছে।
রহিম বাদশাহর গল্প বলছিলাম।
প্রতিদিন রহিম বাদশাহর সাথে দেখা হয় আমার। ঢাকা রিজেন্সীর সামনের খিলক্ষেত ফুটওভারব্রীজ এর উপরে সে উপুড় হয়ে থাকে। উঁরুর পর থেকে দুইটা পা নাই। খালি গা-উরুঁ পর্যন্ত গোটানো মলিন প্যান্ট, মাথায় ময়লা একটা টুপী।পেট-মাথা-নাক দিয়ে ভর দিয়ে শুয়ে থাকে। কি তীব্র গরম, কি বৃষ্টির দিনে প্যাঁচপ্যাচে কাঁদা- যেকোন অবস্থাতেই তার জায়গা একটাই। ঠিক যেন একটা দলা পাকানো মাংসপিন্ড। সেই নোংরা জায়গাতেই উপুড় হয়ে নাক দিয়ে অদ্ভুত একটা শব্দ করে আর বলে “আল্লাহ”।
তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কেন জানি আমি তাকাতে পারিনা, আমার সংবেদনশীল নাকে একটা কাল্পনিক গন্ধও পাই মাঝে মাঝে। দ্রুত ওকে ক্রস করে ফেলি।
ভোরের আলো ফুটতেই দলের লোকেরা এখানে তাকে দিয়ে যায়। দলে তার একটা প্রভাব আছে। এই জায়গাটা বেশ লোভনীয়, কিন্তু তার প্রভাবের কারনে অন্য কেউ আসতে পারে না। আসল নাম যে কি সবাই ভুলে গেছে, এখন সবাই তাকে রহিম বাদশাহ বলেই চিনে।
অন্ধকার হয়ে গেছে।যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে, এখনই তাকে নেয়ার জন্য গাড়ি চলে আসবে।আজকে সারাদিন অনেক পরিশ্রম গেছে।
:clap: :clap: :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কঠিন অফিস। 😮
ভাল লেগেছে।
:clap:
ভালো থাকা অনেক সহজ।
ছোট কিন্তু দারুন :boss:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷