ইপসা

যদি বাসবি ভালো গহন ঘন
মেঘ মাখা ঐ চন্দ্র আলো দেনা মেলে দে,
যদি চাইবি চোখে পাপড়ি মেলে
শেওলা জলে ঐ শীতলে নে না কোলে নে।

যদি জোৎস্না ঝরে আকাশ ভেঙে
তিমির রাতের কৃষ্ণ কালো দে না মুছে দে,
যদি তেষ্টা জাগাস এই পরানে
ঝণর্া ঝরা ওষ্ঠ দুটি দে না ছুয়ে দে ।

যদি বষর্া নামে অঝোর ধারায়
চৈত্র খরার নিদাঘ দাহ দে না ভিজে দে,

বিস্তারিত»

অন্ধ প্রেমিক।

নদীর জলে ভিজাইনি পা
পুকুর জলে গা
সাঁতার যখন শিখিনিকো
নাইতে নামি না।

ডাক দিয়েছ ইশারাতে
বুঝতে পারি নি
ফুলের বুকে এত মধু
ভাবনা আসেনি।

হাত ধরেছ অন্ধকারে
শিউরে উঠেছি
পথ চলেছি নিশি রাতে
পিছলে পরিনি।

চোখ রেখেছ চোখের পরে
পলক ফেলিনি
আলতা রাঙা কপোলেতে
নকশা আকিনি।

বিস্তারিত»

অন্য সুর

অন্য সুর, অন্য সুর,
শুনি শুধু অন্য সুর।
উদাসী ঘুঘুর ডাক,
স্তব্ধ করে দেয় দুপুর।
অলস মগনে শুনি,
কেবলি এক অন্য সুর!

সৈকতে যে ঢেউ আসে,
সেখানেও অন্য সুর।
দু’পায়ে পরশ বুলায়,
দু’কানে সুর শোনায়,
মিলিয়ে যায় বহুদূর,
বাজিয়ে দিয়ে অন্য সুর।

ধারাপাত বদলে গেছে,
সাথে সুর নামতারও।
হিসেবের মুদ্রা উধাও,

বিস্তারিত»

তানভীরের “তুমি রবে নীরবে” পড়ার পর

মনেপরে, একবার এক হালকা আলাপে বলেছিলে:
“যেকোন বিচ্ছেদই কষ্টের।
তবে এক একটা সময় আসে –
যখন সম্পর্কে থাকাটাও হয়ে পড়ে আরও কষ্টের।
বিচ্ছেদের কষ্টের চেয়েও সেই সম্পর্কে থাকার কষ্টটা
যখন বড় মনে হয়, তখন বিচ্ছেদই হয়ে দাঁড়ায় কল্যানকর!”

হতে পারে আমাদের সম্পর্কটাও
সেই রকমের একটা ক্রান্তিকালে পৌছে গিয়েছিল।
হতে পারে তুমি তা বুঝতে পেরেই “কল্যান”-এর স্বার্থে
বিচ্ছেদের জানান দিয়েছিলে।

বিস্তারিত»

কি বিষ রেখেছ ঢেলে কোমল অনলে!

কখনো কি ভালোবাসা জীবনের কানাগলি দিয়ে
ভুল করে হেঁটে যাবে পথ?
কোথাও ধুসর দূরে…
ঝাঁক বেঁধে নামে যদি
নম্র-নীল আলোর কপোত!

নিশি পাওয়া মানুষের মতো
ভুল ঠিকানায় কড়া নেড়ে নেড়ে…
খোয়া গেলে আরো কিছু কাল
রক্তে বৈদগ্ধ যদি মেশে;
প্রাচ্যের বেশে তবু প্রতীচী আবেশে!

তবু আমি দেখে যেতে চাই
ওই নীলে, নোনা-নীল জলে..

বিস্তারিত»

জননী মম।

গ্রন্থিত কাহিনীর কোন পৌরানিক গল্প নায়ক নাকি ?
নাকি কল্প জঠরে জনম বিভূষিত সত্য স্পশর্ালোক সপ্নদ্রষ্ট বাস্তব সত্বা
সত্য আমি বুঝি কি?
গুহার নিকষ বূহ্য বহির্ভেদি কৃষ্ণ পক্ষ জাতক ,
নাকি শানিত কৃপাণ ক্ষত রক্তস্নাত বেদনার বষর্িত ফলন শ্রান্ত রমনীর ,
বুঝতে পেরেছি কি?
বহতা জনম বহে তথা আমি বুঝি নি।
সূযর্াস্ত কালাধিকাল , অমোঘ মহাকালের অনন্ত গর্ভলীন সমস্তই ,

বিস্তারিত»

তোমার চোখ

চঞ্চলা চপলা তুমি কখনো ছিলেনা,
সেও ছিলনা কোন ডানপিটে ডাকু।
তোমার টানা চোখ দুটোকে কখনো
ডাগর আঁখি বলে তার ভ্রম হয়নি।
পটলচেরা চোখও ভাবেনি কখনো।
তারপরও তার খুব, খুবই প্রিয় ছিল,
তোমার ঐ কাজল টানা চোখ দুটো।
সন্তরণপ্রিয় ডুবুরীর মত অবলীলায়
সে তোমার চোখের গহীনে কি যেন
খুঁজে বেড়াতো, ডুবসাঁতার দিয়ে
যখন তখন। আর ভাবতো,

বিস্তারিত»

প্রেম

কোন কালে’
প্রেম নেবেনা বলে কি
তারা আক্ষেপ
নিয়ে জানলায়
দিয়েছিল টেপ
ভালো করে,
‘আলো ভরে
চাই না কিছু’
তারস্বরে
স্বরলিপি ধরে
প্রতিদিন
গেয়ে গেছে গান;
অথচ যেদিন এলো সে
অপরিচিত
চশমাপরা
গোবেচারা মুখোশে

দোঁহে
কি মোহে
পরিধেয় ভেবে
প্রেম পরে নেয়
প্রেম খুলে ফেলে
আর সব
দূ উ রে
সুদূরে ঠেলে

বিস্তারিত»

(খোয়াবের দেশে নিরুদ্দেশ – স্বপ্নদ্রষ্টা )

স্বপ্নে কেন উকি দিলে অনেক ভোরের বেলা ?

নির্জনতা ভাঙ্গেনি ত’ – হয়নি শুরু মেলা |

কোথায় তুমি জানি না ত’ , জানি আছ যোজন দূরে ;

হয়ত তুমি বন্দী আজো আধার পাতালপুরে |

মোর হিয়াতে ব্যাথা যত শুষে নিলে তুমি,

অবাক আলোর শান্ত ভোরে বিদায় নিলে চুমি |

 

স্বপ্ন এখন টুটে গ্যাছে,

বিস্তারিত»

কবিতা: ভালবাসার বিজয়

কষ্ট দিতে পারবে,
দুঃখ দিতে পরবে
কিন্তু জিততে পারবে না।

আমি কষ্ট পেলে
যদি তুমি আনন্দ পাও
আমি কষ্টটাকেই বেছে নেবো –
তোমাকে আনন্দ দিতে।

আমি দুঃখ পেলে
যদি তুমি সুখি হও
আমি দুঃখটাকেই বেছে নেবো –
তোমাকে সুখি করতে।

ভেবেছো,
তোমাকে না পাওয়ার
কষ্ট ও দুঃখ পেয়ে পেয়ে
আমি হবো পরাজিত?

বিস্তারিত»

~ এক রকম জীবনের পোর্ট্রেট ~

হতে পারতো একশো দশটা মাসের পরও সেই
মদির সুরভি পেয়ে গেলে পাঞ্জাবীর শরীর থেকে।
হতে পারতো হাতাটায় যেমন, গোটানো ছিলো ভাঁজ
তেমনি নিপাট পেলে তাকে যত্নের সুরম্য র‌্যাকে।

হতে পারতো সাতশো তিরিশ দিনের পরও
সেই সুগন্ধি ছড়ালো সাজানো ফুল। যার
দেহের ভেতরে বাইরে আদৌ নেই কোথাও
একাধি বসন্ত হারাবার দীর্ঘ স্মৃতিভার।

হয়তো পৃথিবীর তাবৎ সময় শুধু,

বিস্তারিত»

অভিমান।

ভুলে ভরা যত কথা থাক না যতনে মোড়া
আর কভু শুধরাবো না,
কষ্ট জরা যত ব্যাথা থাক না হৃদয় জোড়া
আর মুছে ফেলব না,

সবই তো ছিল আমার থাক এখনো আমার।।

বেসুরো যত গান থাক না সুরহীন সাবলীল
না হয় গাইবো না আর,
থাক না কবিতা ছন্দ হীন মুক শব্দ সলিল
না হয় আর লিখবো না ,

বিস্তারিত»

আরেকখানা না-গদ্য, না-পদ্য: ধুমকেতু নারীর জন্য পংক্তিমালা

[এইটা একটা “গদ্য-কবিতা” নাকি “কাব্যধর্মি-গদ্য” তা নিয়ে আমার নিজেরই সংশয় আছে। তবুও স্ট্রাকচারটা যেহেতু কবিতার, তাই কবিতা হিসাবেই ক্যাটাগরাইজ করলাম। নীচে একটি ডিসক্লেইমার আছে। দেখতে ভুলবেন না]

ধুমকেতু নারীর জন্য পংক্তিমালা

প্রতিরাতে ঘুমুতে যাবার আগে
আমার শেষ কাজটি ছিল,
কিছু একটা করে বা লিখে
তা তোমার ইনবক্সে পাঠানো।

কখনো লিখতাম দু’ছত্র অনুভূতি
কখনোবা পড়তাম দু লাইন কবিতা
কখনো আবার নিদ্রা-পূর্ব সেলফি –
এর সবই থাকতো প্রেরন-তালিকায়।

বিস্তারিত»

হাত ধরো

পথ চলতে চলতে যদি পিছলে পড়ি,
হাত ধরো, অন্ততঃ একটি হাত।
আবার উঠে দাঁড়াবো, ঘুরে দাঁড়াবো।

ভুল পথে যদি কখনো পা বাড়াই,
শুধু একটি হাত ঊঠিয়ে ইশারা করো,
নিমেষেই বুঝে নিব, ফিরে আসবো।

একান্তে যদি কখনো কিছু বলতে চাও,
আলতো করে শুধু হাতটি ধরো,
বুঝে নিব, বলার আগেই বুঝে নিব।

ঘুমের মাঝে যদি কোন বার্তা দিতে চাও,

বিস্তারিত»

অটোবায়োগ্রাফি অফ এ স্লেভ

“এক তারা পাইতে আর পাঁচ তারা দিতে ব্যাপক আনন্দ”- রাজীব আহমেদ
আমার নিজের লেখা কবিতার মধ্যে দাসের আত্মকথা খুব প্রিয়। একটা ঘোরের মধ্যে থেকে লিখেছিলাম। কিন্তু এটা লিখে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। রেটিং এর কথা বাদই দিলাম। সিসিবিতে অনেক কিছুই হচ্ছে কিন্তু রেটিং ফিরে আসছে না।যাই হোক, সাহস করে সেটি ইংরেজীতে অনুবাদ করে অল পোয়েট্রিতে দিলাম। অনুবাদ মান সম্পন্ন না হলেও রেটিং পয়েন্ট ৩।

বিস্তারিত»