
ছোট্ট এই পৃথিবী,
আমরা ও তো বন্দী হেথায়।
ফিশ বোলে জীবণ।
বিস্তারিত»
লাল টি শার্টে
হাওয়ায় উড়িয়ে চুল
উদ্দাম গানে তেতে
শ্বেত মেঘ আর
নীল রোদ্দুর
উদযাপন
করবে বলে
পাহাড়ী পথ
ঘুরে ঘুরে
প্রেমের ভেতরে
নেমে
যেতে
যেতে
টের কি পাচ্ছো
স্টিয়ারিং হাতে
কনভার্টিবল নয়
ঢালের দিকে
গড়িয়ে
চলা
এক
পাথরই চালাচ্ছো?
কেন গো বাজাও
ওবায়েদুল্লাহ ওয়াহেদী
বাঁশের বাশীতে সুর কেন গো বাজাও হে
আমি যে মরমে মরি
চাঁদের হাসিতে জোছনা কেন যে ঝরাও হে
ঘরে যে থাকিতে না রি।
হিয়া কাঁদে যাতনায় চাতকী পরান নিরবে চেয়ে
তারা ফোটে সীমানায় আকাশে বিধুর গীত গেয়ে
যায় গো পরান বুঝি আজ আর সহিতে না রি
অহন মরনে অন্তর জরজর ওহে দোষন আমারি।
বিস্তারিত»~ চাই খুব অথচ যাই না ~
জীবনের ট্রেনটাকে ধরি, ছুঁই, চড়ি না।
চড়লেই যদি সে টেনে নেয় কোনো গন্তব্যে !
যাওয়ার শখটাই এতো বেশী
যাত্রা শেষ হোক কিছুতেই চাই না।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
~ এমনতরো নীল নয় স্বপ্নীল ~
জীবন এমনতরো কেন হয় !
যাপনের ছাই চাপা তূষ
জ্বলে জ্বলে কেন শুধু এঁকে যায় ক্ষয় !
বুনো মেঘ উড়ে যায় পাহাড়ের আড়ালে
দুর্নাম বেড়ে যায় লুকোচুরি চাঁদনীর
মশারীর খাঁচা খুলে দরোজায় দাড়ালে
তন্দ্রায় দুই চোখ বুঁজে যেন আধ নীড়।
শেষ রাতে ভাঙে ঘুম, চাঁপাফুল উঠোনে
কার্পেট দুর্বা ও ঘাসদল মাড়িয়ে
ধীর পায়ে হেটে হেটে শিউলিকে মুঠো নেয়
তারপর পাহাড়ের প্রান্তে দাঁড়িয়ে–
চাঁদ ডাকে আয় আয়, অদ্ভুত উজ্জ্বল
এ্যালুমিনিয়াম মাখা চমকিত ধুধু মাঠ
যতদূর চোখ যায় থৈ থৈ ভরা জল
কাপ্তাই কোলে সেই স্মৃতিময় বুড়িঘাট!
আগে তো আবৃত্তিটা শুনুন, তারপরেই না হয় পিছনের গল্পটা শোনাবো…
এবার তাহলে এই আবৃত্তির পিছনের গল্পটা শুনাই…
এক স্নেহাষ্পদ ফেবু বন্ধুর অনুগল্পধর্মি একটা অসাধারন স্ট্যাটাস দেখলাম দিন দুই আগে।
দ্বিতীয় বার মনে মনে তা পড়ার সময় কেমন যেন একটা ছন্দ ছন্দ ম ম গন্ধ পাচ্ছিলাম। আর সেই গন্ধের টানেই সশব্দে তা পড়া শুরু করলাম, তৃতীয়বারে এসে।
এবার বুঝলাম,
বিস্তারিত»অনামিকা স্বেচ্ছায় দ্বিখন্ডিতা হয়ে যায়।
এক খন্ড দিয়ে সে কবিতা লেখায়,
আরেক খন্ড দিয়ে সে কবিতা লেখে।
এক খন্ড হয়ে যায় যাপিত জীবন,
অপরখন্ড থেকে যায় অশ্রুর কারণ।
ঢাকা
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
অথচ চুম্বন নামে কোন দেশ নেই
যেখানে পরিখাঘেরা দুর্গ
আর অনুগত সৈন্যদল নিয়ে
শত্রুঠোঁটের আক্রমণ রুখে দিয়ে
বিজয়নিশান ওড়াতে পারো পতপত,
শান্তির কপোত উড়িয়েও
সন্ধিপ্রস্তাব ছিঁড়ে ফেলতে পারো
কপট হেলায়
ছিলোই না অমন কোন দেশ,
নইলে এ অবেলায়
জনহীন করিডোরে
প্রতিরোধ নেই;
একাকী ঠোঁটে
প্রতিকারবিহীন
কেন মুছে চলো
লালিমার একগুচ্ছ রেশ!
“ছেড়ে যাবো” বললেই যদি ছেড়ে যাওয়া যেতো,
“সরে যাবো” বললেই যদি সরে যাওয়া যেতো,
“ভুলে যাবো” বললেই যদি ভুলে যাওয়া যেতো –
তুমি তাহলে কবেই তো
সব ছেড়েছুড়ে
দূরে সরে গিয়ে
সব ভুলে গিয়ে
মুক্ত বিহঙ্গের মত ডানা ঝাপটে বেড়াতে সারাটা আকাশ জুড়ে………
“ধরে রাখবো” বললেই যদি ধরে রাখা যেতো,
“পাশে থাকবো” বললেই যদি পাশে থাকা যেতো,
তাজমহল
সদা সুন্দর নহ নহ রমনীয় মোহন
নহ স্নেহাস্রিত জননীর অমল মন।
শ্বেত মর্মর মহলে শুয়ে নুরজাহান
মৃত প্রাণহীনে দাপটের কি বিধান?
কেহ বলে সমৃতিসৌধ প্রেমের গবর্
বঞ্চিত ঘাম স্রোতে মানবতা খবর্।
সম্রাট শাসে পরাক্রমে ভারত বষর্
নিন্দিত নিছক উন্মাদনা প্রীত হষর্।
কেহ বলে প্রেম কেহ বা মাগে গর্ব
কে দেখে সহস্র বলির নৃশংস পবর্।
মীরজাফর
বল তুই কোথায় থাকিস
ছুচো তুই ইতর খবিস
এখনো গেল না মোনাফেকি,
কুকুর বিড়াল না হায়েনা তুই
শুয়োর! কত হুংলাবি ভুঁই
কামড়াবি রাতের চামচিকি ।
এতটা ঘৃনা আছি পুষে
দেখা হলে দেব কষে
পাছায় এমন একটা লাথি,
ছিটকে যাবি দুরে সরে
থাকবি মুখ থুবরে পড়ে
হাতে নিয়ে হারিকেন বাতি ।
বাতাসের পিঠে লাফিয়ে উঠে মুক্ত পাখি,
ডুব দিয়ে যায় নীচের দিকে যেথায় এসে
শেষ হয়ে যায় স্রোতের নাচন, আর তখন
পাখনা মেলায় কমলা রঙের রোদ্দুরে,
দুঃসাহসে আকাশটাকেই দাবী করে।
কিন্তু সরু খাঁচায় বন্দী আছে যে পাখিটা,
সে হেঁটে বেড়ায় চুপি চুপি। ক্রোধের বেড়া
পার হয়ে তার দৃষ্টি কদাচ বাইরে বেরোয়।
তার ডানা জোড়া এঁটে দেয়া, পা দুটোও
বাঁধা থাকায়,
আবার দেখা হবে
সেই খোলা প্রান্তরে, পাগলা হাওয়ায়
উড়বে তোমার চুল,
তোমার শাড়ীর আঁচলে
ছেয়ে যাবে কাশবন।
সমগ্র শরীরে প্রজাপতি
উল্লসিত ঘাসফড়িঙ,
এসো আবার উল্টে দেই
সময়ের বালিঘড়ি।
বিস্তারিত»তুমি যত্ন না নিলেই সবকিছু অযত্নে পড়ে থাকে,
চশমার কাচ ঘোলা হয়,
অশাষণে বেড়ে ওঠে নখ, মসৃণ গালে রাজত্ব করে অমসৃণ দাঁড়ি।
বড় হয় চুল- আরো কতো ভুল, আরো কত কি।
চিরুনি বসে থাকে অলস হয়ে,
লুকিং গ্লাসে দেখা হয় না নিজেকে।
ইস্ত্রী না করা শার্ট পড়ে বের হই যত্রতত্র।
তুমি যত্ন না নিলেই সবকিছু ক্যামোন জানি মনে হয়,
সবই আছে, তবু যেন কিছুই নেই।
চারিদিকে শুধু নেই নেই, কিছু নেই।
আছে শুধু শূন্যতা, দিবসে নিশীথে,
গৃহকোণে, শয্যায়, লেখার টেবিলে
অলিন্দে, ছাদে, মনের ঘুলঘুলিতে।
এসব শুন্যতার কারণ জানা নেই।
এ কেমন শুন্যতা, যখন সবকিছু
এমন অর্থহীন হয়ে যায়!
যাপিত জীবনটা থেকে রঙিন স্মৃতি
বাসি ফুলের পাঁপড়ির মত ঝরে যায়।
জ্যোৎস্নালোকে নিভৃত স্নান, মাঝরাতে
পিয়ানোর ঝঙ্কার,