হতে পারতো একশো দশটা মাসের পরও সেই
মদির সুরভি পেয়ে গেলে পাঞ্জাবীর শরীর থেকে।
হতে পারতো হাতাটায় যেমন, গোটানো ছিলো ভাঁজ
তেমনি নিপাট পেলে তাকে যত্নের সুরম্য র্যাকে।
হতে পারতো সাতশো তিরিশ দিনের পরও
সেই সুগন্ধি ছড়ালো সাজানো ফুল। যার
দেহের ভেতরে বাইরে আদৌ নেই কোথাও
একাধি বসন্ত হারাবার দীর্ঘ স্মৃতিভার।
হয়তো পৃথিবীর তাবৎ সময় শুধু, শুধুই আমার
অনুগত সুবোধ বালকের মতোন নিরীহ, নিরপরাধ !
পদার্পণ করে প্রতিবার, সময়ের একই ঘরে যার
আদপে চেষ্টা নেই গতির। যদিও সে চলমান অবাধ !
হতে পারতো প্রথমে দেখার দিনের মতোন থেকে যেতো,
প্রতিদিন। প্রথম বৃষ্টি ভেজার মতোন প্রতিটি বর্ষণ।
হতে পারতো প্রথম চুমুর মতোন চির শিহরিত ক্ষণ,
প্রতিক্ষণ। বাসর রাতের মতোন তীব্র নিশির মাতন।
প্রতিরাত। হতে পারতো পূর্ণিমায় পূন্যস্নানের মতোন,
রূপালী আলোর আলিঙ্গন সিক্ত জীবনের কলতান।
সন্তানের প্রথম ডাক – জগৎ ভোলানো স্বর্গীয় আধো উচ্চারণ।
পৃথিবীর তাবৎ শিল্পীর সাধনা অতীত, যেনো সফল এক গান,
ঐকতান। হতে পারতো। অথচ নিরন্তর বদলের দৃশ্যদল,
থেমে অবিকল, জীবন শুধু আজ সুদৃশ্য শোভন ফ্রেমে
বাঁধা পড়া ছবি একখান … … !
[ রচনাকাল ০১ সেপ্টেম্বর ২০০২ ]
ছুঁয়ে গেল!
দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ
ভালো লাগলো যে ছুঁয়েছে কোথাও।
আরো বেশী বেশী কথার দাবী থাকে যে তোমার আর নূপুরের কাছে। (সম্পাদিত)
লুৎফুল ভাই,
বেশ কয়েকবার পড়লাম ফিরে ফিরে। এ লেখাটার মজা হল --- হঠাত একজায়গায় চোখ আটকে গেলে সেখান থেকেও বেশ এগিয়ে যাওয়া যায়। আর এত টুকরো টুকরো ছবি -- এত দ্যুতি!
একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন। ভাবনা টুকে রাখার পর পরিপূর্ণরূপে সাজালেন কতদিন ধরে? 🙂
লেখা কিন্তু এক দিনেই। বেশ পরে আবার পড়তে গিয়ে একবার এডিট করেছি। অনেক দিনের ভাবনার জমানো প্রকাশ তা কিন্তু নয়। জীবনের খন্ডচিত্র তুলে ধরবার একটা ব্যাপার এসেছিলো লিখতে গিয়ে।
তাহলে কি গ্রন্থি দুর্বল হয়েছে !
একশো দশটা মাসের পরও, সাতশো তিরিশ দিনের পরও, ইত্যাদি হিসেবগুলো খুব ভাল লাগলো।
হতে পারতো...কুড হ্যাভ বীন... এসব চিন্তার অবকাশ পাওয়াটাও ভাগ্যের ব্যাপার। আর এমন কবিতা পাঠকের মনেও সেসব চিন্তা সংক্রমণ করে।
কবিতা ভালো লেগেছে।
সংখ্যাতীত ধন্যবাদ খায়রুল ভাই। গতানুগতিক সময়ের হিসেব না তুলে, আনতে চেয়েছি একটু ভিন্ন স্বাদ। দীর্ঘ একটা সময়, যা পড়ে সেই সময়ের দৈর্ঘ্য নিয়ে ক্ষণিক যেনো ভাবে পাঠক। ঠিক কতোটা দীর্ঘ !
একেক জায়গায় এসে আটকে গেছি। নুপুরের মত।
আবার শুরু করতে হয়েছে।
যেখানে আটকে গেছি, আগে কি পড়ে এসেছি, মনে করতে পারি না আর।
পাঠককে ভালই ধাঁধায় ফেলেছিস বন্ধু!!!
😀 😀 😀
তবে সুখপাঠ্য, সন্দেহ নাই.........
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
জীবনের খন্ডচিত্রগুলো কি তবে সেলুলয়েডের সহজ বন্ধনের সাক্ষাত পায়নি !
তাহলে তো ভাবাচ্ছে ...