খাঁচার পাখি কেন গায়?

[ আই নো হোয়াই দা কেজ্‌ড বার্ড সিঙ্গস- মায়া এঞ্জেলোর কবিতার অনুবাদ]

বনের পাখি ঝাঁপ দেয়
চড়ে বসে বাতাসের পিঠে
ভেসে চলে প্রবাহের
শেষ সীমায়
ডানা ঝাপ্টে ঝেড়ে ফেলে
গোধুলির আলো
যেন আকাশটা তারই।

কিন্তু যে পাখি বন্দী
খাঁচার নিষ্ঠুর শিকের
ফাঁক দিয়ে সে তো
বলতে গেলে বাইরের
কিছুই দেখতে পায় না
তার পাখা ছাঁটা
পা শিকল দিয়ে বাঁধা
গলাটাই শুধু মুক্ত
তাই গলা বের করে
সে গান গায়।

বিস্তারিত»

ছবির কবিতার গল্প

শুরুর আগে

সিকি শতাব্দী আগের কথা। এফসিসি থেকে বেরিয়ে আমরা মেডিকেল কলেজে ঢুকেছি। অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রির বুট ক্যাম্প চলছে প্রতিদিন। ডিসেকশন হলের  ঝাঁঝাল-মিষ্টি,  “একবার শুকলে ভোলা যায়না” গন্ধ গায়ে মেখে বাসায় ফিরি। রাতে অন্য মানুষের হাড় গোড় বিছানায় নিয়ে ঘু্মিয়ে পড়ি।  পরদিন ভোরে আবার লাল চোখে ঝিমাতে  ঝিমাতে  আইটেম পরীক্ষা দিতে হাজির হই।  প্রাণান্তকর অবস্থা!

 

শুরু

দীর্ঘ সময় চাপের ভেতর  থাকলে প্রাকৃতিক নিয়মেই আত্মরক্ষার জন্য মানুষ  ডাইভারশন খুঁজে নেয়।

বিস্তারিত»

এ শহরে কি আদৌ মানায় কোকিলের কুহু কলতান !

ভোর না হতেই কোকিলের ডাকটা অনবরত কানের পাশে বাজতেই থাকলো। দীর্ঘক্ষণ। অথচ তাতে আমার কিছুমাত্র ভালো লাগছিলো না। নিশ্চিত ভাবেই জানি এই কংক্রিটের শহরে খুব কম মানুষই এমন কোকিল ডাকার শব্দ শুনতে পান। তবুও এই ভয়ানক শ্বাপদসম শহরে যেনো বড্ড বেশী বেমানান শোনাচ্ছিলো এই কুহু কলতান।

এ শহরে যখন প্রথম শ্রেণী আর পঞ্চম শ্রেণীর শিশুদেরও অশালীন অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হয়। রাজধানীর বুকে বসে সেখানে কর্তৃপক্ষ নির্বিকার পদক্ষেপহীন বসে থাকার স্প্র্ধা দেখাতে পারেন।

বিস্তারিত»

শব্দের নীরব সান্ত্বনা

কবির অরক্ষিত মনে,
শব্দরা দাঁঁড়িয়ে থাকে নিঃশব্দ প্রহরীর মত।
মনের আনাচে কানাচে কিছু কিছু শব্দ থাকে
ইতস্ততঃ ছড়িয়ে ছিটিয়ে, আর কিছু ডুবে থাকে
মনের অতল গভীরে। ডাক দিলে নিমেষেই চলে আসে।
কবির পাশে যখন কেউ থাকেনা, তারাই কবিকে ঘিরে রাখে।

কবি কখনো আহত হলে,
সেইসব শব্দরা চলে আসে বিশ্বস্ত দেহরক্ষীর মত।
নীরবে পাশে দাঁড়িয়ে শোনায় যত সান্ত্বনার বাণী।

বিস্তারিত»

অনিশ্চিতের প্রতীক্ষায়

মুখের বলিরেখাগুলো বলে দেয়,
কতটা পথ তুমি পেরিয়ে এসেছো।
সে পথটা যে কুসুমাস্তীর্ণ ছিলোনা,
চোখের অভিব্যক্তিই তার প্রমাণ।

মুখে প্রতিবাদ নেই, চোখে আছে।
দুটো ঠোঁট যেন সেলাইয়ে জোড়া
দুটো চোখ যেন কত বিস্ময়ভরা,
উষ্মায় ভুরু দুটো কুঁচকে গেছে।

হে অনিশ্চিতের পথযাত্রী,
তোমার বাকী পথটুকু মসৃণ হোক!
মশালের ন্যায় জ্বলজ্বলে চোখদুটো
বোঁজার সময় এক পশলা বৃষ্টি হোক!

বিস্তারিত»

এ কেমন জীবন

জীবনে সুখ থাকে, সুখের সম্পর্ক থাকে,

থাকে ভালোবাসার মানুষ;

ছোট্ট একটা শান্তির নীড় থাকে,

সেই নীড়ে থাকে কমলতার পরশ ।

বিস্তারিত»

ডিপ্রেশন

ঘরের অন্ধকার কোনা
কথা বলেই চলে;
কুয়াশার স্যাঁতস্যাঁতে স্বরে

চোখ বুজে গুটিসুটি মেরে পড়ে থাকি,
সে বলেই চলে, জল জঙ্গল,
বুনো হাস, নক্ষত্র আর মৃত্যুর গল্প

বিস্তারিত»

একটি কাল্পনিক কথোপকথন

(কিছু ফরমায়েশি ও প্রমিজড লিখা জমে গেছে। ওগুলো লিখে পোস্ট করার আগেই এই রেডি লিখাটা দিয়ে দিলাম। এইটা বেশ কিছুদিন আগে খসড়া করা ছিল। নীচে নামতে নামতে কিছুটা সময় পাওয়া যাবে। ততদিনে ওগুলো নামিয়ে ফেলবো বলে আশা করছি…)

-এখানে এসেছেন কেন?

-তুমি জানো না বুঝি?

-না বললে জানবো কি করে?

-না ই যদি জানো, তবে থাক না তা অজানাই
কি আর এমন হ্রাস-বৃদ্ধি হবে তাতে?

বিস্তারিত»

মা

মা কে নিয়ে দিবস কিসের
মা তো প্রতিদিনের
দিবস পালন করে কি আর
কমবে বোঝা ঋণের?

মা আমার পাশে থাকুক
এই তো আমি চাই
মায়ের পায়ের নিচে যেন
হয়গো আমার ঠাই ।

বিস্তারিত»

চলে যায়…

চলে যায়, উড়ে যায়..
শাবকেরা বড় হলে উড়ে যায়,
তাদের শাবকেরাও উড়ে যায়,
পক্ষীমাতার বুক খালি করে উড়ে যায়…
নীড় খালি পড়ে থাকে, পক্ষীমাতার চোখে ভাসে
দু’ফোঁটা নীর, আর বুকে বাজে শুন্যতার হাহাকার!

যে বুকের উষ্ণতা দিয়ে সে তাদের ঢেকে রাখে,
পরম আদরে ঠোঁটে তাদের আধার ধরে রাখে,
সেই বুক খালি হয়ে আসে, একদিন নিমেষে,
যখন তারা চলে যায়,

বিস্তারিত»

মা দিবসে পাঠ প্রচেষ্টা – কখনো আমার মাকে

কখনো আমার মাকে
শামসুর রাহমান

কখনো আমার মাকে কোনো গান গাইতে শুনিনি।
সেই কবে শিশু রাতে ঘুম পাড়ানিয়া গান গেয়ে
আমাকে কখনো ঘুম পাড়াতেন কি না আজ মনেই পড়ে না।

যখন শরীরে তার বসন্তের সম্ভার আসেনি,
যখন ছিলেন তিনি ঝড়ে আম-কুড়িয়ে বেড়ানো
বয়সের কাছাকাছি হয়তো তখনো কোনো গান
লতিয়ে ওঠেনি মীড়ে মীড়ে দুপুরে সন্ধ্যায়,
পাছে গুরুজনদের কানে যায়।

বিস্তারিত»

উদগ্রীব কথার ফসিল

কথারা বুক পকেট থেকে সন্তর্পণে
এগুচ্ছিলো নিকটবর্তী কণ্ঠস্বরের পানে ।

দিকচিহ্ন ছিল না জানা ।
গন্তব্যের ঠিকানা
তা ও না …
বাহানা,
তবু সে শব্দের শরীরে সাজাবে ভাবনা,
বাতাসের গায়ে আঁচড় কেটে কয়খানা
রেখে যাবে চিহ্ন দ্যোতনা,
আর কিচ্ছু না ।

ওখানে কখনও এক বাক্স দেশলাই
দিয়েছিল ক্ষোভ জ্বালাই জ্বালাই ।
একবার আধ প্যাকেট কড়কড়ে সিগারেট
বুকের মধ্যে এনেছিল হাসফাঁস ক্যাবারেট ।

বিস্তারিত»

আমি বেয়ে চলেছি (অনুবাদ)

আমি বেয়ে চলেছি, আমি বেয়ে চলেছি,
সাগর পাড়ি দিয়ে আবার বাড়ী পানে
আমি বেয়ে চলেছি উত্তাল ঢেউ ধেয়ে,
তোমার কাছাকাছি যেতে, মুক্ত হতে!

আমি উড়ে চলেছি, আমি উড়ে চলেছি,
পাখির মত আকাশ চিড়ে উড়ে চলেছি,
উত্তুঙ্গ মেঘমালা ভেদ করে উড়ে চলেছি,
তোমার সাথে সাথে থাকতে, মুক্ত হতে!

শুনতে কি পাও, তুমি শুনতে কি পাও?
রাতের আঁধারে গভীর তিমিরে,

বিস্তারিত»

অডিও ব্লগ: পাঠ-প্রচেষ্টা “ক্যামেলিয়া”

সাবিনার দশ মিনিটের পিয়ানো শোনার প্রতিক্রিয়ায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রায় দশ মিনিটের এই কবিতা পাঠ… (বেশী বোরিং লাগলে, দুঃখিত!!)

ক্যামেলিয়া
নাম তার কমলা,
দেখেছি তার খাতার উপরে লেখা।
সে চলেছিল ট্রামে, তার ভাইকে নিয়ে কলেজের রাস্তায়।
আমি ছিলেম পিছনের বেঞ্চিতে।
মুখের এক পাশের নিটোল রেখাটি দেখা যায়,
আর ঘাড়ের উপর কোমল চুলগুলি খোঁপার নীচে।
কোলে তার ছিল বই আর খাতা।

বিস্তারিত»

ধানসিঁড়ি সমাচার

মায়াভরা ধানসিঁড়ি বেয়ে

জীবনানন্দ চলে গেছে বহুদূর

মায়াবতী ললনারাও

চলে গেছে সাথে।

 

আজ তার বালুময় বুকে

কোন প্রেম নেই,

এ নদীর উদোম বুকে

কি খোঁজে মাছরাঙা আজ?

 

এক আকাশ দূরে জীবনানন্দ

তার ধানসিঁড়ি বুকে নিয়ে

বেঁচে আছে বেশ,

তার অনেক নীচের দেশে

ধানসিঁড়ি মরে গেছে কবে

শঙ্খচিল,

বিস্তারিত»