নিউরনে আলাপনঃ তিন

: সবকিছু কি বলে বুঝানো যায়?
: হয়তো এইজন্যেই আমি সব বলি না, নিজেই বুঝি না, বুঝিয়ে বলবো কী ক’রে?
: তাই হবে হয়তো।
: তুমি কি বুঝতে পারো, আমাকে?
: পুরোটা নয়।
: কতটুকু বুঝতে পারো?
: তুমি যতটুকু বুঝতে দাও।
: খুউব না? ভালই তো বলো!
: মাঝে মাঝে অবাক হই, তুমি কত সহজে অনেক কিছু বুঝিয়ে বলতে পারো আশ্চর্য!

বিস্তারিত»

আমার বানানো সম্পুর্ন নকল একটি অসম্পূর্ণ কবিতা

স্বপ্নমঙ্গল ReLoaded

হবুরাজের চুলে ছিল উকুনের দল
স্বপ্ন দেখিবার কালে করে কোলাহল,
আসিলো মর্কটত্রয়ী নাশিতে উকুন
তাহাতে রাজার জ্বালা বাড়িল ত্রিগুণ।
নড়িলে মারিছে চড়, মুরুব্বি না মানে!
ব্যাকুল হইয়া হবু চায় আসমানে,
উপরে আছেন পিতা উর্ধলোকে বসি
রাজার যাতনা দেখে কয় দিয়ে হাসি –
“দেহের আজাবে যদি এত কষ্ট হয়,
মনের যন্ত্রণা কি তা জাননা নিশ্চয়!”
এ বলিয়া কল-কাঠি নাড়িলেন তিনি
নিমেষে বাঁদর হাওয়া,

বিস্তারিত»

পিছুটান

পিছুটান
মুহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ

মনটা বড় উদাস পড়ে রয়
তোমার ঘরের বারান্দায়, সাত সকালে
একটি শালিক দাঁড়িয়ে জানালায়
থমকে হঠাৎ আমার ভাবনায়।
পশলা ঝরা শীতল পরশ
টিনের চালে রিমি ঝিমি, ভর দুপুরে
একটি কাক ভিজছে জানালায়
অবাক হঠাৎ সিক্ত বরষায়।

মনটা বড় উদাস পড়ে রয়
তোমার ঘরের বারান্দায় , ভরা সাঁঝে
একটি পেঁচা বসে জানালায়
হুতুম মুখে কাতর বেদনায়।

বিস্তারিত»

আমার লেখা একটি ড্যাশিং কবিতা

স্বর্ণলতা সেন
কবি তারক নারায়ণ ঠাকুর।

স্বর্ণলতা, হাজার বছর ধ’রে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে
তুমি প্লিজ, বোলো নাকো কথা অই যুবকের সাথে
এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান,
না জানি কেন রে এত দিন পরে জাগিয়া উঠিল প্রাণ।

কড়কড়ে রৌদ্র আর গোলগাল পূর্ণিমার চাঁদ
স্বর্ণলতা, আমি আর কত বড় হবো? আমার মাথা এ ঘরের ছাদ,

বিস্তারিত»

ধ্রুপদী ভাবনা

নিজ হাতে যবনিকা টেনে দিলে তুমি,
ওগো সুদূরিয়া!
ঝরাপাতার দিন শুরু হয়ে গেছে বলে,
তুমি তাকেও ঝরিয়ে দিলে!

শুকনো পাতার মর্মরধ্বনি
সকাল দুপুর সাঁঝে,
যে বুকে সতত বাজে,
সেতো ঝরেই যাবে!

ঝরা পাতার মুখ তুমি মেঘের মাঝে
খুঁজতে যেয়োনা, সুদূরিয়া!
তুলো নাকো কোন দুখ জাগানিয়া গান
বিষন্ন পাঁজরের মত পিয়ানোর রীডে।

তোমার একটি মায়ামাখা কথা
বদলে দিতে পারে পৃথিবীর যত বিষন্ন সুর,

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ দুই

: আমার ঈর্ষা হয় ভীষণ! কারো কারো ব্যাপারে!
: আমার ব্যাপারেও?
: কিন্তু শুধু ঈর্ষা দিয়েই আর কী হয় বলো?
: হয়তো কিছুই হয়না … পড়েছিলাম মেয়েদের ঈর্ষাটাই ভালবাসা! যত বেশি ঈর্ষা, তত বেশি ভালবাসা!
: তোমার ব্যাপারে কি না তা বলা যাবে না, যেমন তুমি অনেক কিছুই বল না।
: হুম, আমি চিরকেলে মুখ চোরা … মনে মনে মন চুরি,

বিস্তারিত»

আই ওয়াজ টাচড বাই এন এঞ্জেল

বান্ধবি পর্ব
========
কথা ছিল, এইরকম এক সন্ধ্যায়
তুমি আসবে।
তোমার ঝোলায় থাকবে
স্মিরনভ অথবা ভদকা এবসলিউট।
কথা ছিলো, আকন্ঠ পান করবো
আমরা দুজন, সারাসন্ধ্যা ধরে……

বিয়ারের পরেই তোমার প্রিয় পানীয়
ব্লাডি মেরি সাজাতে তাই
টমাটো জুস, লেমন জুস,
টাবাস্কু আর সল্ট-পিপার নিয়ে
বসেছিলাম আমি।
আর নিজের জন্য ছিল প্রিয় পানীয়
ভদকা-লাইমের সকল উপকরন,

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ এক

: জানো, এখানে খুব বৃষ্টি হচ্ছে?
: জানি আজ সারারাত বৃষ্টি হবে।
: আমি তোমার সাথে দু’টো কথা বলার জন্য ভেতরে ভেতরে ছটফট করি ভীষণ!
: রাতে যদি কখনো বৃষ্টি নামে বুঝে নিও সব কাজ শেষে ঘরে ফেরার মত
আমি মেঘ হয়ে এসেছিলাম, তোমার ছাদের ওপর ভাসে আমার বুকে জমে থাকা জল!
: ইস, তাই বুঝি?
: হুম, হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি ছুঁলেই আমায় ছোঁবে …

বিস্তারিত»

~ বাসিনি ভালো ~

বাসবো বলেই বাসিনি ভালো
পৃথিবীর এতো আলো।
বাসবো বলেই বলিনি কখনো
বুকের প্রদীপ জ্বালো।

বাসবো বলেই
কথার বাগানে কখনো খুঁজিনি
ক্যাকটাস ফুলগুলি।
বাসবো বলেই করিনি উজাড়
রাতজাগা ঘুমগুলি।
চাইনি কখনো ফানুসে সাজানো
নিথর অন্তপুরী।

চোখের মাদল জলের ঢলে
রঙধনূ রঙ কাগুজে নৌকো
ভাসাইনি পাল তুলে।
বাসবো বলেই এক জোড়া কাপে
দেইনি চুমুক চুমুর নোটেশনে।

বিস্তারিত»

বিজিস-এর “ট্র্যাজেডি” শোনার পর…

ট্র্যাজেডির আনন্দ
===============
সারাদিন যত ব্যস্ততায়
যত আনন্দময়তায়
যত বন্ধু-বাৎসল্যতায়
কাটুক না কেন
তোমার সময়,
আমি জানি –
রাত এলে, কী এক শূন্যতা
ঘিরে ধরে তোমায়।
বিশিষ্ট এক শূন্যতা-উদ্ভুত একাকিত্ব,
কুরে কুরে খায় তোমায়।
সকাল অবদি কুরে কুরে খায় –
আর ক্লান্ত করে,
ক্লান্ত, ক্লান্ত করে তোমায়।

ক্লান্ত চোখে ঘুম ভেঙ্গে যখন
তুমি ওঠো,

বিস্তারিত»

কোরবানি

কোরবানি

এই মন সারাখন ভাবে কি জানিনা,
আর কত কি যে হচ্ছে চারিদিকে
সব তো মানতে পারিনা,
জানিনা কিযে করি মরি যত যাতনা
আমি যে ঠিক বলব কথাটা তাত না
সত্যটা সতি্য কি বুঝি না।

এলে ঈদ চোখে নিদ বিতারিত অনেকের
ব্যাবসা বানিজ্য কারবারি ধান্ধা জমে ঢের
এই বিষয়টি মিথ্যে না,
হাকা দাম নিত্য কাম সন্ধান সুযোগের
গুদাম ভরে সংকট করে জমে বেচা ফের
লাভ টা তো কম না।

বিস্তারিত»

তোমার জন্য কান্দি।

তোমার জন্য কান্দি
মুহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ

তোমার জনে্য কান্দি আমি তুমি ধরিলে গো কার হাত
তোমার জনে্য বিবাগী আমি তুমি কার সনে কাটাও রাত,
বল সখি কি হবে আর রাখিয়া এ প্রান ।

আমি যে ভাসালেম নাও উজান গাঙের সো্রতে তুমি কোথা গেলে
নদী কুলে কি গো হবে দেখা প্রিয়ে রাখিব এ দেহ তোমার কোলে,
বলি সখি সে আশায় মোর জীবন করিব দান।

বিস্তারিত»

মোস্তাফিজের হাইকু পাঠের পর অনুভূতি

ভালবাসায় অরুচি যখন
===================
সে চাইতো, প্রেমের উত্তাপ
ছুঁয়ে যাক তাকে।
অথচ প্রেম নাকি
সারাক্ষনই থাকে তার
ধরা ছোয়ার বাইরে
কারন –

বারবার নাকি
ভুল মানুষের সাথে
ভুল সময়ে
ভুল সব প্রেম হয়ে যায় তার।

প্রেমে তাঁর তাই
ভীষণ অরুচি আজকাল…

কিন্তু যেদিন –
ঠিক মানুষের সাথে
ঠিক সময়ে
ঠিক ঠাক এক প্রেম হলো তার…

বিস্তারিত»

কিছুদিন একা থাকো


কিছুদিন একা থাকো,এই ভালো;
নিজস্ব বৃত্তের কেন্দ্রে-প্রেমহীন মূর্খতায়
শীতল অনিমেষ দুঃখের মধ্যে নির্বাপিত হোক সকল প্রেমাগ্নি
তাতে ডুবে যেতে থাকুক তেজস্ক্রীয় সন্দেহ, তোমার অবিশ্বাস
তুমি একা থাকো, নীরব থাকো অথবা মুখরাও হতে পারো
নিতান্ত নিন্দা-স্তবে, আমাকে ঘৃণা বাক্য-ভর্ৎসনায়
পুরোনো মলাটে, তোমার স্ব-স্বীকৃত মিথ্যে স্বর্গে
যেখানে তোমাকে বিউটি পার্লারে ছুটতে হয় পেডিকিউরের জন্য,
সৌন্দর্যবর্ধক ভিটামিন আর ঢেউহীন ঝরঝরে চুলে খুঁজতে হয়
লোকের চোখের ঝলক,

বিস্তারিত»

আমি তোমার চোখ দেখেছি (একটি প্রথম দর্শনে প্রেমের স্বীকারোক্তি)

আমি তোমার চোখ দেখেছি।
এমন দুচোখ আর দেখিনি,
খুব যে কাজল-টানা নিখুঁত – তা নয়
বনলতার পাখির বাসা কিংবা মায়া-হরিণীর সাদৃশ্য? এক বিন্দুও নেই-
নেই সপ্তাকাশের বিশালতা,অতলান্তিক গভীরতা
চোখ পড়লেই থমকে যাবেনা কোনও আনমনা পথিকের হৃৎস্পন্দন,
কোন শিল্পীর তুলিতে বা কবির কলমের নিব-এ জাগাবেনা প্রবল আন্দোলন।
মণিতে নেই বিদেশিনীর চোখের নীল সূর্য,
সাদাতেও অনেক বেশি সাদামাটা।
সত্যি বলতে ,কারো স্বপ্নে প্রবল দাপটে চিড় ধরাবেনা কখনই!

বিস্তারিত»