স্কুবা ডাইভিং ইন দ্য ক্লাসরুম

লেকচার হলে বসে আছি …
কিংবা ভাসছি বায়বীয় মাইলাম সাগরে।
প্রফেসর!
কুয়াশায় অস্পষ্ট হে মহাত্মন!
শীতাতপ কক্ষের হিমের সঙ্গে যখন
বিক্রিয়া ঘটে আপনার গমগম লেকচারের,
নিজের অজান্তেই মাকড়শার মত আপনি বুনে যান ঘুমের জাল।
হে সেপিয়া টোন প্রফেসর !
আপনি এক জলজ্যান্ত ডরমিকাম !

রিসার্চ মেথডোলজি, ইনডাকশন-ডিডাকশন,
অবজারভেশন-প্যাটার্ন-হাইপোথিসিস-থিওরী,
প্রফেসর, চেয়ার, টেবিল, রোস্ট্রাম, এসি……

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ পাঁচ

: কাল সারারাত ঘুম হতে চাইছিল না, শুধু ছটফট করেছি। আজ তোমার সাথে কখন কথা হবে এই ভেবে ভেবে ছিলাম অস্থির!
এরকম কেন হলো, আমার?
: প্রতীক্ষা ব্যাপারটি তাহলে বেশ থ্রিলিং মানতেই হবে।
: ইস, আমার যে কী হয়, তা যদি উনি বুঝতেন। উনার কবিতা করাই সার!
: তাহলে এখন সুখী?
: সুখই তো, আবার দুঃখও হয়; কিছুক্ষণ পরেই কথা ফুরোবে,

বিস্তারিত»

জন্ম

জন্ম
মুহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ

নারীর অস্রুত আতুরের গন্ধ
শরীরে লেগে আছে,
ভালবেসে তোর বুকে লেখা কবিতা
গান হয়ে দোতরায় আজো তেমনি কাঁদে,
বাধ ভাঙ্গা জোয়ার জলে
জীবন সাঁতরিয়ে ডাঙ্গায় উঠে চোখ মেলে
দেখে মানুষের মুখ ।

ভোরের আলোয় পদর্া তুলে
রৌদ্র উকি দেয়,
আলিঙ্গনে আকে তোর গভর্ে গল্প গাঁথা
সুখ হয়ে কপোলে আজো তেমনি হাসে,

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ চার

: একটা কথা বলবো?
: বল।
: কোন কিছু নিয়ে বেশি ভাবছো?
চুপ ক’রে আছ কেন?
: আচ্ছা, বলো তো, আমার চোখগুলা কি অসুন্দর?
তুমি ভাল ক’রে কখনো তাকিয়ে দেখেছো?
: দেখি তো শুধু তোমাকেই। তোমার মোলায়েম মুখখানা, মাঝে মাঝে হঠাৎ অস্থির হয়ে থাকা চোখ, কপালের ওপর দু’তিনটে চুল, গাল বেয়ে পড়া ঘাম।
: আজ আমার চোখকে খুনীর চোখ বলেছে এক বন্ধু …

বিস্তারিত»

তিনটি ত্রিপদী

এক.
একাকী জলপিপি
হয়েছে ক্লান্ত
ফেরেনি এখনো, জীবনানন্দ …

দুই.
আনখসমুদ্দুর জানা চোখও
হয় বিষন্ন, অচেনা
এই গাঢ় পঞ্চমীর রাতে …

তিন.
রাত ক্রমশ নিস্তব্ধ হয়
তুমি আসছো ভেবে
লীলাবতী জ্বোনাকিরাও নিভেছে ..

হাইকু লেখার চেস্টা করি, কিন্তু হাইকু বলতে বাধে। তাই ত্রিপদী বলি।
এক এবং দুই ফেসবুকে প্রকাশিত

বিস্তারিত»

জিজ্ঞাসা

কখনো আধো ঘুমে কখনো আধো জেগে
তুমি চোখ মেলে আইফোনে দেখো খুঁজে
কেউ জানালো কিনা কোন কোমল কথা
যা আর্দ্র করে দেয় দেহ মন চোখ, অযথা।

যদি কোন বাণী থাকে তবে চোখ খুলে যায়,
অঙুলি চলে যায় কী বোর্ডের ছোট্ট লেখায়,
লিখে যাও কত চিরকুট রোমান্টিক আবেশে
কখনো ভারী মনে, কখনো বা মুচকি হেসে।

যদি কোন নতুন বাণী জ্বলজ্বল করে না ভাসে,

বিস্তারিত»

রশিদ খাঁ-র হংসধ্বনি শুনে

এই যে স্বচ্ছ জল
এই টলটল সরোবর
এখানে তোমাকে দেখি
প্রতিদিন।
প্রতিদিন সুর আসে
তোমার চাউনির
অবাধ্য বাতাসে;

যেন বা ব্যাকুল হাঁস তুমি
মরাল গ্রীবায়
আমাকে ডাকো —
এমন কোমল ভোরে,
শান্ত সবুজ তীরে
অবিরল
‘হংসধ্বনি’ শোনাতে থাকো

বিস্তারিত»

ভণিতি

একটা হাইকু Some of griefs are gone /when they come naturally/force and its a crap এর শিরোনাম দিতে গিয়ে দেইনি। দুটো কারণ। হাইকুতে শিরোনাম চলে না। পাঠকের সাথে মজা করতে ইচ্ছা হল। কেউ আমার চিন্তাটা ধরতে পারে কি না সেটা বোঝা। যাক গে, ইংরেজীটা বাংলা করলাম।সেটা হয়ে গেল একটা ভণিতা।

আসলে পরে সহজেতে
পালায় কিছু যাতনা
জবরদস্তি করলে ভায়া
বাড়ে শুধু আবর্জনা

ফেসবুক মন্তব্য- শব্দযুগল অপনয়ন আবশ্যক।

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ তিন

: সবকিছু কি বলে বুঝানো যায়?
: হয়তো এইজন্যেই আমি সব বলি না, নিজেই বুঝি না, বুঝিয়ে বলবো কী ক’রে?
: তাই হবে হয়তো।
: তুমি কি বুঝতে পারো, আমাকে?
: পুরোটা নয়।
: কতটুকু বুঝতে পারো?
: তুমি যতটুকু বুঝতে দাও।
: খুউব না? ভালই তো বলো!
: মাঝে মাঝে অবাক হই, তুমি কত সহজে অনেক কিছু বুঝিয়ে বলতে পারো আশ্চর্য!

বিস্তারিত»

আমার বানানো সম্পুর্ন নকল একটি অসম্পূর্ণ কবিতা

স্বপ্নমঙ্গল ReLoaded

হবুরাজের চুলে ছিল উকুনের দল
স্বপ্ন দেখিবার কালে করে কোলাহল,
আসিলো মর্কটত্রয়ী নাশিতে উকুন
তাহাতে রাজার জ্বালা বাড়িল ত্রিগুণ।
নড়িলে মারিছে চড়, মুরুব্বি না মানে!
ব্যাকুল হইয়া হবু চায় আসমানে,
উপরে আছেন পিতা উর্ধলোকে বসি
রাজার যাতনা দেখে কয় দিয়ে হাসি –
“দেহের আজাবে যদি এত কষ্ট হয়,
মনের যন্ত্রণা কি তা জাননা নিশ্চয়!”
এ বলিয়া কল-কাঠি নাড়িলেন তিনি
নিমেষে বাঁদর হাওয়া,

বিস্তারিত»

পিছুটান

পিছুটান
মুহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ

মনটা বড় উদাস পড়ে রয়
তোমার ঘরের বারান্দায়, সাত সকালে
একটি শালিক দাঁড়িয়ে জানালায়
থমকে হঠাৎ আমার ভাবনায়।
পশলা ঝরা শীতল পরশ
টিনের চালে রিমি ঝিমি, ভর দুপুরে
একটি কাক ভিজছে জানালায়
অবাক হঠাৎ সিক্ত বরষায়।

মনটা বড় উদাস পড়ে রয়
তোমার ঘরের বারান্দায় , ভরা সাঁঝে
একটি পেঁচা বসে জানালায়
হুতুম মুখে কাতর বেদনায়।

বিস্তারিত»

আমার লেখা একটি ড্যাশিং কবিতা

স্বর্ণলতা সেন
কবি তারক নারায়ণ ঠাকুর।

স্বর্ণলতা, হাজার বছর ধ’রে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে
তুমি প্লিজ, বোলো নাকো কথা অই যুবকের সাথে
এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান,
না জানি কেন রে এত দিন পরে জাগিয়া উঠিল প্রাণ।

কড়কড়ে রৌদ্র আর গোলগাল পূর্ণিমার চাঁদ
স্বর্ণলতা, আমি আর কত বড় হবো? আমার মাথা এ ঘরের ছাদ,

বিস্তারিত»

ধ্রুপদী ভাবনা

নিজ হাতে যবনিকা টেনে দিলে তুমি,
ওগো সুদূরিয়া!
ঝরাপাতার দিন শুরু হয়ে গেছে বলে,
তুমি তাকেও ঝরিয়ে দিলে!

শুকনো পাতার মর্মরধ্বনি
সকাল দুপুর সাঁঝে,
যে বুকে সতত বাজে,
সেতো ঝরেই যাবে!

ঝরা পাতার মুখ তুমি মেঘের মাঝে
খুঁজতে যেয়োনা, সুদূরিয়া!
তুলো নাকো কোন দুখ জাগানিয়া গান
বিষন্ন পাঁজরের মত পিয়ানোর রীডে।

তোমার একটি মায়ামাখা কথা
বদলে দিতে পারে পৃথিবীর যত বিষন্ন সুর,

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ দুই

: আমার ঈর্ষা হয় ভীষণ! কারো কারো ব্যাপারে!
: আমার ব্যাপারেও?
: কিন্তু শুধু ঈর্ষা দিয়েই আর কী হয় বলো?
: হয়তো কিছুই হয়না … পড়েছিলাম মেয়েদের ঈর্ষাটাই ভালবাসা! যত বেশি ঈর্ষা, তত বেশি ভালবাসা!
: তোমার ব্যাপারে কি না তা বলা যাবে না, যেমন তুমি অনেক কিছুই বল না।
: হুম, আমি চিরকেলে মুখ চোরা … মনে মনে মন চুরি,

বিস্তারিত»