তুমি যত্ন না নিলেই সবকিছু অযত্নে পড়ে থাকে,
চশমার কাচ ঘোলা হয়,
অশাষণে বেড়ে ওঠে নখ, মসৃণ গালে রাজত্ব করে অমসৃণ দাঁড়ি।
বড় হয় চুল- আরো কতো ভুল, আরো কত কি।
চিরুনি বসে থাকে অলস হয়ে,
লুকিং গ্লাসে দেখা হয় না নিজেকে।
ইস্ত্রী না করা শার্ট পড়ে বের হই যত্রতত্র।
তুমি যত্ন না নিলেই সবকিছু ক্যামোন জানি মনে হয়,
অর্থহীন
সবই আছে, তবু যেন কিছুই নেই।
চারিদিকে শুধু নেই নেই, কিছু নেই।
আছে শুধু শূন্যতা, দিবসে নিশীথে,
গৃহকোণে, শয্যায়, লেখার টেবিলে
অলিন্দে, ছাদে, মনের ঘুলঘুলিতে।
এসব শুন্যতার কারণ জানা নেই।
এ কেমন শুন্যতা, যখন সবকিছু
এমন অর্থহীন হয়ে যায়!
যাপিত জীবনটা থেকে রঙিন স্মৃতি
বাসি ফুলের পাঁপড়ির মত ঝরে যায়।
জ্যোৎস্নালোকে নিভৃত স্নান, মাঝরাতে
পিয়ানোর ঝঙ্কার,
তাড়াহুড়ো
তুমি যখন খুব তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে,
চোখের কাজল লেপ্টে ফেল,
কিংবা মেজেন্টা রঙের জামার সাথে,
ভুল করে পড়ে ফেল নীল চুড়ি।
অথবা তোমার টিপ পয়তাল্লিশ ডিগ্রী কোণ করে,
সরে যায় কপাল থেকে।
তখন মনে হয় এই অগোছালো তুমিই বুঝি,
আমার অসমাপ্ত পৃথিবীর অবিন্যস্ত দেবী।
আচ্ছা,
তখন কেমন লাগে বলবে?
যখন তুমি আমার কনিষ্ঠা আঙুল ধরতে গিয়ে,
সাতটি তিলের তিমির
তিলের অধিক তিমির হয় না বুঝি!
তেরো নদী
সাত সমুদ্র খুঁজি
বরিশালের কবি শেষে
আকাশের ওপারে
আকাশ পেয়ে গেলে
ট্রে হাতে মেয়েটি
গ্রীন টি হয়ে আসে
অঘ্রানের আলতো বিকেল
সহসা অন্ধকার হলে
সাতটি তিলের
নিবিড় আশ্বাসে,
‘বরং নিজেই তুমি
আঁকোনাকো একটি তিল’!
সুজাতা হতবাক।
ভেতরে পালিয়েছে রুদ্ধশ্বাসে
ভূধরের পাদদেশে এক নামহীন উপল
ভূধর পৃষ্ঠে ঘুমিয়ে ছিলাম
এক নামহীন উপলের মতো,
সময় হলে গড়িয়ে গেলাম,
ধুলো মেখে গায়ে যতো।
পথে পরিচয় কত ঝোপ ঝাড়
আর গুল্মলতার সাথে,
কত পাথরের বোবা কান্না
শুনেছি সন্ধ্যা প্রাতে।
বহু পথ ধরি গড়াগড়ি করি
আজ পড়ে আছি পাদদেশে,
বয়ে যাই কত অচেনা জনের
পদভার অক্লেশে!
ঢাকা
০৯অগাস্ট ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
আজান
প্রবীণ ললাটে, কোরান মলাটে, বন্দী যে মহাকাল
রোদপোড়া দেহে তামাটে ভাঁজের বয়স আজ বারো সাল।
লাউয়ের মাচার তলেতে বিছানো হাতবোনা লাল পাটি,
বয়সী দু হাতে লেপে ছিমছাম প্রাচীন এই ভিটা মাটি।
দহল ছাড়ায়ে ছোট ডোবাখানি, ভরিছে কচুরিপানা
ধারে ওল কচু হাটেই বিকিয়ে সের-এ মেলে তেরো আনা।
চাননী রাইতে শিয়ালেরা মিলি রসুই ঘরেতে ঢুকে
এটা ওটা ছানে, নাক ঘষে ঘষে,
সংশয়
সংশয়
ওবায়েদুল্লাহ
কোথায় আছি? নাইতো কোথা
এমন বসবাস
এইত এখন অমনি তখন
গরল হিস্যা নিকাশ।
আসন পাতা , কোথায় আসন?
ভুবন পরপার
এইত আছে তেমন যেমন
হঠাৎ হাহাকার।
এই যে দেহ দেহ না কি?
মাটির ও পিণজর
এই যে আছে সকল মাঝে
শুনে্য বসত যার।
আসছি নাকি না এসেছি ?
বিস্তারিত»অযুত-নিযুত-লক্ষ-কোটি
অযুত-নিযুত-লক্ষ-কোটি
————————-
আমি লাভ লোকসান না দেখিলাম; সর্বশেষের ভালবাসায়,
পুঁজি-পাট্টা সব হারালাম; প্রথম প্রেমের বীষ যাতনায়।।
লক্ষ টাকার ব্যবসাতে তাই
কোটি টাকার ক্ষতি আমার।।
তুমি আগে-পরে না ভাবিলে; এই আমাকে প্রথম দেখায়,
ধ্যান-ধারণা সব খোয়ালা; এক পশলা মেলামেশায়।।
লক্ষ টাকার ব্যবসাতে তাই
কোটি টাকার ক্ষতি তোমার।।
তিনি ভালবাসার অন্তরালে; সম্মহনে ডুবে ছিলেন,
বিস্তারিত»~~ একটি অণূ ও একটি পরমাণু কবিতা ~~
~ হিজিবিজি ~
জীবনটা চাইলেই হতে পারতো
শ্লেট পেনসিল ।
চাইলেই …
চাইলেই …
চেয়েছি কি !
আঁকের ওপর আঁকে, এঁকে গেছি
যতোসব !
জীবন তো হিজিবিজি মন্তাজের
জোনাকী !
নাকি !
০৩ জুন ২০১৫ ~ বিকেল
~ মেঘরাত ~
ছিলো চাঁদ, পূর্ণিমাও ।
দৃষ্টিসখ্য পায়নি
শুধু চন্দ্রালোক !
ওয়ান্স আপন এ ট্রেজার্ড টাইম
শেখ আব্দুল হামিদ । ক্যাডেট নম্বর ১, ব্যাচ নম্বর ১। রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের জীবন্ত কিংবদন্তী। ক্যাডেট , কর্মচারী কিংবা শিক্ষক সবার মাঝেই সমান জনপ্রিয় তিনি। তবে ক্যাডেটদের মাঝে তাঁকে নিয়ে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। শাহী ভাই (১৭/৯৫২) ( লেঃ কঃ এ কে এম ইকবাল আজিম জি+ ) অধ্যক্ষ থাকাকালে ২০১২ সালের ১৩ ই মার্চ আব্দুল হামিদ ভাইয়ের পার্সোনাল ফাইল হাতে পেয়ে স্টোরকীপারকে আবেগাপ্লুত হয়ে জড়িয়ে ধরেছিলেন।
বিস্তারিত»~ আগুনে অচ্ছুত সে, ভালোবাসায় ব্রাত্য ~
শহরের আগুন আজ আর
কিছুতেই দেবালয় ছোঁয় না।
মানুষকে যতোটা সে বাসে ভালো
দেবতাকে ঠিক ততোটা না।
দেবতার শাদা কিংবা নীল
রক্ত – দাহ্য ততোটা
নয়, যতোটুকু কামলার বা
শ্রমিকের, খেটে খাওয়া মানুষের,
নগন্য সাধারণ লাল
রক্ত হয়। অনায়াস বহ্নুতসবে
যারে সহজে পোড়ানো যায়।
স্বস্তা আবেগে কথার
খই ফোটায় যারা, সেই সব
বোকা সাধারণ কেরানী ও
কর্মী,
তুমি না এলে
তুমি না এলে চারপাশ কেমন নিষ্প্রভ মনে হয়,
তুমি চলে গেলে তারাগুলো সব উদাস হয়ে রয়।
তুমি না এলেও জীবন বয়ে চলে, বয়ে যায় সময়,
তবু মনে হয় বয়ে চলা যেন এ চলার নাম নয়।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।)
বিস্তারিত»প্রযুক্তি,টেকসই উন্নয়ন এবং পরিবেশ
ফরিয়াদ
-মোস্তাফিজুর রহমান
আধা বর্বর থুড়ি আধা পরিবাহী
তড়িচ্চুম্বকীয় আবু গারিবের ফরিয়াদ
কানে তোলো কিচিরমিচির
এত কষ্ট দিও না নিউরন রেটিনাকে
ক্যাথোড গামা কাপড় খুলে
এলইডি পরালেই চলবে না
অবরোধ তুলে নিতে হবে
ঘাস ফুল মৌমাছি থেকে
নির্বাসন থেকে ফিরিয়ে আন
ফড়িং আর সব প্রজাপতি।
প্রণয়।
সাদা পাতা খাতা ছিল লেখাহীন জীবন
খোলা মন আকাশ ছিল মেঘে ভেজা নীল
উদার ভাবনায়
সহস্র ধারায় ঝরে প্রবাহিল প্রণয়,
ধুলা উড়া মরা গাঙে খা খা ধু ধু বালি
পরানে প্রনয় জ্বালা ডোবে না অতলে।
কালো জল টলমল চোখ ছিল ভাষাহীন
বুকে সুখে সাগর ছিল সূদুরে হরিত
অমল আশায়
সহস্র ধারায় গলে বহিল প্রণয়,
বিজন বন পল্লব পত্রহরিৎ নির্জন সপর্িল
বষর্িত বজ্র ফণা হানে ছোবলে।
‘আমিই পুরুষ’
খোলা ময়দানে একা
প্রহরাহীন, প্রতিরোধহীন
অক্লেশে, আকাশে তাকিয়ে
বলতেই পারি
‘আমিই পুরুষ’।
গভীর রাতে একাকী পথে
কুকুরের ডাক অগ্রাহ্য করে,
নিশুত পাখির ভয় জাগিয়ে
চিৎকার করে বলতেই পারি,
‘আমিই পুরুষ’।
মিছিলে শ্লোগানে বুক চিতিয়ে
কালো রাজপথ বুকের রক্তে রাঙিয়ে,
বিস্তারিত»
