জানতাম ‘ভালোবাসি’
বলতে নেই কখনো
তবুও অস্ফুট আবেগে
কখনো একবার রাতভর প্রলাপ ;
হৃদয় উজাড় করে …
তার ফেলে যাওয়া
পায়ের চিহ্ন মিশে গেছে
এক পথিকের পথে
যে নিঃশব্দে নিয়ে গেছে তারে
শুধু এক বিষণ্ণ দীর্ঘশ্বাসে …
পূর্বে প্রকাশিত
বিস্তারিত»জানতাম ‘ভালোবাসি’
বলতে নেই কখনো
তবুও অস্ফুট আবেগে
কখনো একবার রাতভর প্রলাপ ;
হৃদয় উজাড় করে …
তার ফেলে যাওয়া
পায়ের চিহ্ন মিশে গেছে
এক পথিকের পথে
যে নিঃশব্দে নিয়ে গেছে তারে
শুধু এক বিষণ্ণ দীর্ঘশ্বাসে …
পূর্বে প্রকাশিত
বিস্তারিত»এইটা মূল এনাউন্সমেন্ট না।
তাই এটাকে প্রি-এনাউন্সমেন্ট নাম দিলাম।
এরকম একটা অনুষ্ঠানের হোস্ট হতে CCCL-এর সক্ষমতা ও ইচ্ছার ব্যাপারে খোঁজ নিলাম।
বুঝলাম, ওরা এতে আপত্তির কিছু দেখছে না।
আজ রাতে বাকি ফর্মালিটিটা শেষ করা সম্ভব হলো না।
তাছাড়া সিসিবির দীর্ঘ্যদিনের অভিভাবক লাভলু ভাই-এর সম্মতিও এখনও নেয়া হয় নি।
ওগুলোর পর, চুড়ান্ত ঘোষণা দেবো।
আর তা খুবই শীঘ্রই।
আপাততঃ আমি যেভাবে ভাবছি,
বিস্তারিত»এক আশ্চর্য সঙ্গমের স্মৃতি – ১
———————–
সৈয়দ শামসুল হক
বারান্দায় বসে আছি আমরা। রাত ১১-৩০।
ছাইদান রাখো না ঘরে, তাই পিরীচ
দিয়েছিলে। ছাই উড়ছে মৃত জোনাকির মতো ।
লোকে যা জানে না, মেলে ধরছি প্রণয়ের ক্ষত;
যেন তুমি চিকিৎসক জোছ্নার ক্লিনিকে আজ, তোমার সমুখে।
থামের অন্ধকারে, হাতের চাঁদনামা চিবুকে
কি সাবধানে ধারণ করে আছো মমতা
যা তোমার।
সূর্য সারথি রথ
চলছিল পথ
সে ছিল বহুদূরে
এক অচিনপুর
নিদারুন একা
নিবার্সিত অভিমান
কালের ক্রন্দন
ক্রোধ ভরে তিরস্কার
গহীন আধাঁর ।
দেখেনি সূর্য আকাশ
আবৃত ছিল মেঘে
রংধণু জলরঙ
আসহবেনীকলা
অবেলায় পথহারা
নীল বেদনা ছিল
ভরা বুক সমুদ্র
অতল উত্তাল দ্রোহে
সংসপ্তক।
বিস্তারিত»সে-কথাগুলো কেবলি ভাসতে থাকে।
আকাশের এক টুকরো ফাঁকে
কি করে এঁটে যায়
মস্ত জীবনের সবগুলো ছবি
হার্ড ডিস্ক, যত নেগেটিভ
মামুলি সব লোনাজল,
কথা অনর্গল
তাকে প্রলাপ বলে ভুল করে
ছুঁড়ে ফেলে
হাত মুখ মুছে নিয়ে
জীবনে জীবন ঘষে
আগুন জ্বালাবার মিছে
প্রয়াস নিয়ে
যখন ফুলে ফুলে
দুলে দুলে উঠছে
সব-পেয়েছি-র হাওয়া,
আজ না বুধবার
রেবেকা তারান্নুম আসবে ক্লাসে …
আরে ইংলিশের রেবেকা;
ফুলার রোড নিমেষেই শেষ
অপরাজেয় বাংলা পার পলকেই
রেবেকা তারান্নুম আসবে ক্লাসে
আজ না বুধবার
গেল বুধবার হঠাৎ করেই
মুখ ফিরিয়ে প্রশ্ন করল
তুমি না বুয়েটের …
আশ্চর্য ! কি করে জানে
গর্বিত হৃৎপিণ্ড দু’শ ছাড়ায়
পৃথিবী ঝাপসা লাগে
রেবেকা তারান্নুম আসবে ক্লাসে
আজ না বুধবার
এরপর
হাজার বছর পার হতে দেখি
এখনো বুধবার আসে যায়
বোকা হৃৎপিণ্ড কিছুতেই
হয় না সত্তর পার …………………………
~ এলোমেলো – এক ~
ইচ্ছে করে
গোলাপ ফুলের রঙটা আনি গন্ধরাজে
গন্ধরাজের গন্ধটা দেই গোলাপ বনে ।
ইচ্ছে করে
মেঘগুলো সব খামচে এনে মেশাই জলে
জল থেকে সব নীল মাখি ওই মেঘের দলে ।
তোমার যত সুন্দর সব মিশিয়ে রঙে
তুলির টানে কষ্ট আঁকি নানান ঢঙে ।
ভীষণ দেখি ভালোবাসার কষ্ট-সুখে
হৃদয়পুরের ক্যানভাসে সব কেমন ভাসে ।
কালি কলম সবই ছিল,
সাদা কাগজ, তাও তো ছিল,
চিঠিও লেখার ইচ্ছে ছিল, কেবল…
লিখবো যাকে, সে ছিল না!
উথাল পাতাল ইচ্ছে ছিল,
কাব্য করার সাধ্য ছিল,
চোখেও গভীর স্বপ্ন ছিল, শুধু…
স্বপ্নদেবীর খোঁজ ছিল না!
দু’চার চরণ পদ্য লিখে,
কেটে দিতাম পর নিমেষে,
কি হতো আর ওসব রেখে, যখন…
পদ্য পড়ার কেউ ছিল না!
রুটিন বাঁধা জীবন, সেতো বন্দীত্বেরই নামান্তর!
এপারেতে দৃষ্টি উদাস, ওপারেতে মুক্ত আকাশ,
অসীম পানে দৃষ্টি রাখি,
ভেতর থেকে বাহির দেখি,
বৃষ্টিভেজা বৃক্ষ দেখি,
কালো কাকের চক্ষু দেখি।
মাথায় ছিল সংখ্যা যত,
হঠাৎ দেখি সংকুচিত,
শূন্য ছাড়া নেই কিছু আর,
এপার ওপার ভাবতে গিয়েই ঘটছে কত ভাবান্তর!
তৃষ্ণা যখন মনের ভেতর, দৃষ্টি যখন তেপান্তর,
তখন দেখি দালান ভেজে,
সাদামাটা একখানা ফতুয়ার সাথে নিভাঁজ খাকিতে
দীপ্ত মুখখানি! কালো চশমার অন্তরালে গভীর চোখের
শুদ্ধতা আর সারল্য শিশুকেও পরাভূত করে।
রূপালী হাতঘড়িতে জ্যৈষ্ঠের ধূসরাভ সন্ধ্যা।
স্মিত হাসিতে করতলখানি বাড়িয়ে বললেন,
হ্যালো, জেটা! দেখা হলো অবশেষে! গালে গাল উষ্ণ সম্ভাষন।
তর্জনী আর বৃদ্ধাংগুলে ক্ষুদ্রকায় বৃত্ত এঁকে বললেন,
এইটুকু মোটে পৃথিবী তাতেই আধা জন্ম পার হয়ে মিললো দেখা তোমার!
লালচে কমলা মাসট্যাঙে কলাপাতা সবুজ মন
কিশোরের মুগ্ধতার বিনিময়ে বালিকার প্রগলভ হাসি।
জলভারাতুর
বিষণ্ণ থোকা থোকা মেঘ দেখে
তোমাকে মনে প’ড়ে গেলো,
আনন্দ শংকর!
বিরহের যথার্থ সুর বেঁধেছিলে বলে
আজ সারা দুপুর
‘মিসিং ইউ’ শুনে
হৃদয় পোড়ে,
মেঘেদের মতন
সমস্ত আকাশে
বিচ্ছেদের স্বরলিপি ওড়ে… …
————————-
ফেসবুক। ১৬ মে ‘১৫
আমার দুরন্ত আকাশ
বাঁধা পড়ে গেছে সময়ের ফ্রেমে,
নীল শেকলে বন্দী আমার
শুভ্র মেঘের ডানা।
এখানে তারারাও জ্বলে নেভে
সময় মেপে মেপে,
বিষণ্ণ চোখে চেয়ে থাকে
এক ফালি চাঁদ।
কখনও কখনও এখানে ওড়ে
এক ঝাঁক পাখি,
কিংবা গোটাকয় রঙ্গিন ঘুড়ি
আমি চেয়ে থাকি,
বিস্তারিত»মেয়ে আজ তোমায় আমি কিছুই বলবনা,
শুধু আসর খালি হয়ে গেলে,
শেষ মোমবাতিটাও যখন নিভে যাবে,
আমি একাকী ওই চাঁদটার সাথে জেগে থাকবো।
তুমি ক্লান্ত হয়ে তোমার বালিশে মাথা রেখো।
প্রিয় ফুল, প্রিয় রং, প্রিয় পাখী, প্রিয় নদী
ওসব কিছুই আমার নেই।
কখনো কোনো এক সময়ে
শীতের সকাল ভালো লাগতো,
বৃষ্টির দাপুটে ঝম ঝম ভালো লাগতো,
খরতপ্ত দুপুরের আলস্যও,
আর ছিলো মধ্যরাতের নির্জনতা।
শীতের পিঠা খেতে গেলে এখন শুধু ভূখা মানুষের কথা মনে হয়,
বৃষ্টি এলে খোলা আকাশের নীচে থাকা উদ্বাস্তুর কথা মনে হয়,
রোদের তেজে নিস্তেজ হয়ে নুয়ে আসা শ্রমিকের কথা মনে হয়,
আমরা পরিচিত ছিলাম,
আমাদের মধ্যে শ্রোদ্ধার সম্পর্ক ছিল,
আমরা পরষ্পরের গুনমুগ্ধ ছিলাম,
আমাদের নিজেদের পৃথক জীবন ছিল।
সেই জীবন-যাপনের ফাঁকে একদিন –
হয়ত আরেকটু পরিচিত হতে,
অথবা খানিকটা অজানাকে জানতে,
খানিকটা বিনোদন পেতে,
একটুখানি ভিন্নতার আস্বাদ নিতে,
আমরা আলাপচারিতায় জড়ালাম।
এই আলাপচারিতা
আমাদের পারষ্পরিক শ্রোদ্ধাবোধ
আমাদের গুনমুগ্ধতা বাড়িয়ে দিল।
আমরা একে অন্যের বন্ধু হয়ে উঠলাম।