বছর কুড়ি পরে

আবার বছর কুড়ি পরে
মেঘের মতন শহরে
আমাদের দেখা হলে
মনে রেখো
কফিমগ কিংবা রক্তে
চিনির সঙ্গত পরিমাপ নিয়ে
কথা বলা যেতে পারে

ভিজে ভিজে পথ
এবং ছাতার মিছিলে
মিছেমিছি তাকাবার নাম করে
আমাদের বুড়ো দু’চোখ
পরস্পর ফাঁকি দেবার কথা ভেবে’
‘কী লাভ!’ বলে হেসে দেবে

তারপর ক’ইঞ্চি কাছে’
এই হাত ওই আঙুল
সোনাঠোঁট রূপোলি চুল;

বিস্তারিত»

মুখোশের মুখ্য বৈশিষ্ট্য

তার ভেতরে অচেনা কেউ একজন বসবাস করে
মাঝে মাঝে আয়নায় তার মুখ দেখে সে, তার মুখ ফুঁড়ে
আবার হঠাৎই হারিয়ে যায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই।

থেকে থেকে মনে পড়ে ফকির লালন এরকম
কিছু একটা বলেছিল, তোমার ঘরে বাস করে কারা
ও মন জানো না। সে জানে না অজানা কেউ তার
ঘরে কীভাবে এলো তাকে চেনে না সে, বাড়ছে
এখন সদাভয় সদাসন্ত্রস্ততা ও তটস্থ সংশয়!

বিস্তারিত»

সেই বায়বীয় হস্তলিপির কথা

হাওয়ায় বিলি কেটে কেটে তোমার নাম লিখা,
কিশোর বয়সে আমার অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
হঠাৎ কেউ দেখে ফেললে অতিশয় লজ্জা পেতাম,
আঙুলটাকে টুপ করে পকেটে ঢুকিয়ে ফেলতাম।

চারিদিকে ঔৎসুক্যের অভাব ছিলনা, সবারই
জিজ্ঞাসা, কি লিখি? সহাস্যে এক কথাই বলতাম,
ঐকিক নিয়মের এক কঠিন সমাধান খুঁজছিলাম!
কথাটা সবাই বিশ্বাস করতো, কেবল তুমি ছাড়া!

এর পর জীবনে অনেক নাম এসেছে আর গেছে,

বিস্তারিত»

~ নও যদি তুমি হৃদযন্ত্রের শল্যবিদ ~

মোহন হাসির মন্ত্র
চোখের তারায়,
নিপূণ বক্র ওষ্ঠ
আতস পোড়ায় ।

বুকের সকল মাদল,
আবেগ কথার
আগুন, শিরায় শিরায়
মরন ডাকার ।

রহস্যের মন্ত্রণায়
সাগর জল নীলে
বলো, যন্ত্রণার দ্যোতনায়
আঁচড় কেনো দিলে !

বুকের ব্যাকুল কথাটার
খাঁচায় মরন,
হৃদয় গভীর ক্ষতটার
তীব্র ক্ষরণ,

চেয়েছো বলে কী ওড়ালে
মোহিনী আঁচল !

বিস্তারিত»

~ অচেনা শহরের পথে হারাবার রথে ~

প্রাগ থেকে পায়ে হেঁটে যেতে চাই
ভিয়েনা কিংবা ভেনিস,
নিকারাগুয়ার মেঠো পথ
থেকে উগান্ডা-কাম্পালা,
সেন্টপিটার্সবার্গ শহর
ঘুরে রিগা অথবা মিনস্ক !
গন্ডোলায় চড়বার শখ
টানেনি আমাকে তেমন ।
শুধু এক অচেনা শহর
ঘুরে, পথে পথে, খুব শখ ছিলো,
হারাবো দিব্যি আমাকে ।
লস এঞ্জেলেস কিংবা
লাস ভেগাসের নিয়ন রাত,
ঘুমকাতুরে বিরহে ফেলে
ডেনভার কলোরাডো ওহাইও,

বিস্তারিত»

হুতাশ

কাঁটাতার বুকের ভিতর দুই বিঘা কড়িডোর
সংগীন উচিয়ে প্রহরী সদা রাত্রি হয়না ভোর,
আমি তোর বল কেমনে বলি?
তোর বুকে হেটে পথ পৌঁছায় আমি যে বাড়ী
বেঁধেছ সময়ে চলাফেরা কতনা নিয়ম জারি,
বল তোর সাথে কেমনে চলি?

বন্ধ খোয়ার মনের দুয়ার চারপাশ বেড়াঘেরা
সন্দেহ ঘোরে মরচে ধরা চেতনারা জীনর্ জরা,
তুমি কি আর বাসবে ভালো?
তোর চোখে চোখ রেখে দেখি আমি যে জগত
লোভাতুর চাহুনি চতুর পরজন করছে বসত,

বিস্তারিত»

বিস্মৃতি।

শিখবো সাঁতার
নদীর জলে যেই দিয়েছি ঝাপ
ভয় ছিল মা’র
ডুবে যাবি থামরে বাপু থাম।

নামবো বলে
গাছের থেকে যেই দিয়েছি লাফ
মরবি ছোরা
ঝোপের মাঝে কাল কেউটে সাপ।

পড়বো বলে
গুরু মশায় যেই দিয়েছে পাঠ
পালিয়ে গেছি
ডাক দিয়েছে পুকুর বাগান মাঠ।

গল্প কথা
তের নদী সাত সাগরের পাড়
দারুন ভয়
রাক্ষুসী আর ভুত পেত্নীর ঝাড়।

বিস্তারিত»

নুসরাত ফতেহ আলি শুনে শুনে

“উনকি নজরোঁ নে কুছ এয়সা জাদু কিয়া
লুট গয়ে হাম তো পেহলি মোলাকাত মেঁ”

আপনাকে শুনে শুনে সারাদিন
প্রণয়ের বাঁধ ভেঙে
গলগল শরাবে
হেডফোন ল্যাপটপ যথেচ্ছ ভেসে যায়

বেহেড কলম ফুঁড়ে ও জি
কেবলি আঁসু ঝরে হায়,
বিরহের মতো মধু

একা হারমোনিয়ম আ হা
তেরছা দেখে প্রেম, ভাঙে
আড়মোড়া শুধু

বিস্তারিত»

মেঘবালিকা

1385122_703862129666003_496582177_n

আমি তাকে আকাশ দিতে চেয়েছিলাম,
সে চাইলো শুধু এক টুকরো মেঘ।
তারপর মেঘেরই আড়ালে লুকিয়ে পড়লো,
চোখেরই সামনে মেঘে মেঘে ভেসে গেলো।
এর পরে আর তার দেখা পাইনি….

মেঘে মেঘে অনেক বেলা হয়ে গেলো,
সাঁঝের মায়াও ধীরে নেমে এলো,
পাখীরা যখন নীড়ে ফিরে আসে ধীরে ধীরে,
তখনো আমি খুঁজে ফিরি মেঘবালিকাকে,

বিস্তারিত»

রাধাকথন – ১৩

আসবার কথা ছিল
এই পথে,
সোনালী রথে?
জলের নীল বেয়ে
তরী কি আসে
ধীরে,সঘন উদ্ভাসে
দূরের গান হয়ে!

আ হা
দিনগুলি কেবলি
দিন গুনে যায়;
কী বলি?
কী যে বলি!
কাঁচেরো মন ভেঙ্গে যায়
প্রার্থনার
মৌনতায়
জানলা কাঁপে,
সুরেলা দ্বিধায়
দরোজায়
প্রবল জ্বর

মাঝি আইলা?

বিস্তারিত»

অশ্রুর বিচিত্র রসায়ন

নারীর দুইটা চক্ষু আছে, যেমন আছে নরের,
মূল কাজটা একই হলেও, ফারাক মাঝে দুয়ের।
নারীর চক্ষু ভরাপুকুর, শাওন মেঘে ঢাকা,
নরের চক্ষু মরুভূমি, জলহীন, করে খাঁ খাঁ।

যতই থাকুক নরের দাপট ভিতর ও বাহির,
পণ সে করুক যতই কঠিন প্রসঙ্গে নারীর,
তার ধনুর্ভঙ্গ পণগুলো সব ভেঙ্গে হয় খানখান,
যখন নারীর গালে অভিমানে বহে অশ্রুবান।

নারীর অশ্রু নাইট্রিক এসিড,

বিস্তারিত»

ঘাসের বুকে শেফালী

ঘাস হয়ে পড়ে আছি মাঠে

কখন ভোরের শেফালী হয়ে

পড়বে আমার বুকে ?

শিশিরে ভেজা নরম শেফালী

আর সবুজের নিবিড় মিতালী

মিলেমিশে একাকার ধরণী।

যেন নিপুন এক চিত্রকর্ম

প্রগাঢ় ভালোবাসা

আর অনুভূতির গল্প।

কত যুগ ধরে

শেফালী ঝরে

ঘাসের বুকে ?

কে জানে তাদের সম্পর্ক?

বিস্তারিত»

ইপসা

যদি বাসবি ভালো গহন ঘন
মেঘ মাখা ঐ চন্দ্র আলো দেনা মেলে দে,
যদি চাইবি চোখে পাপড়ি মেলে
শেওলা জলে ঐ শীতলে নে না কোলে নে।

যদি জোৎস্না ঝরে আকাশ ভেঙে
তিমির রাতের কৃষ্ণ কালো দে না মুছে দে,
যদি তেষ্টা জাগাস এই পরানে
ঝণর্া ঝরা ওষ্ঠ দুটি দে না ছুয়ে দে ।

যদি বষর্া নামে অঝোর ধারায়
চৈত্র খরার নিদাঘ দাহ দে না ভিজে দে,

বিস্তারিত»

অন্ধ প্রেমিক।

নদীর জলে ভিজাইনি পা
পুকুর জলে গা
সাঁতার যখন শিখিনিকো
নাইতে নামি না।

ডাক দিয়েছ ইশারাতে
বুঝতে পারি নি
ফুলের বুকে এত মধু
ভাবনা আসেনি।

হাত ধরেছ অন্ধকারে
শিউরে উঠেছি
পথ চলেছি নিশি রাতে
পিছলে পরিনি।

চোখ রেখেছ চোখের পরে
পলক ফেলিনি
আলতা রাঙা কপোলেতে
নকশা আকিনি।

বিস্তারিত»

অন্য সুর

অন্য সুর, অন্য সুর,
শুনি শুধু অন্য সুর।
উদাসী ঘুঘুর ডাক,
স্তব্ধ করে দেয় দুপুর।
অলস মগনে শুনি,
কেবলি এক অন্য সুর!

সৈকতে যে ঢেউ আসে,
সেখানেও অন্য সুর।
দু’পায়ে পরশ বুলায়,
দু’কানে সুর শোনায়,
মিলিয়ে যায় বহুদূর,
বাজিয়ে দিয়ে অন্য সুর।

ধারাপাত বদলে গেছে,
সাথে সুর নামতারও।
হিসেবের মুদ্রা উধাও,

বিস্তারিত»