বিজিস-এর “ট্র্যাজেডি” শোনার পর…

ট্র্যাজেডির আনন্দ
===============
সারাদিন যত ব্যস্ততায়
যত আনন্দময়তায়
যত বন্ধু-বাৎসল্যতায়
কাটুক না কেন
তোমার সময়,
আমি জানি –
রাত এলে, কী এক শূন্যতা
ঘিরে ধরে তোমায়।
বিশিষ্ট এক শূন্যতা-উদ্ভুত একাকিত্ব,
কুরে কুরে খায় তোমায়।
সকাল অবদি কুরে কুরে খায় –
আর ক্লান্ত করে,
ক্লান্ত, ক্লান্ত করে তোমায়।

ক্লান্ত চোখে ঘুম ভেঙ্গে যখন
তুমি ওঠো,

বিস্তারিত»

কোরবানি

কোরবানি

এই মন সারাখন ভাবে কি জানিনা,
আর কত কি যে হচ্ছে চারিদিকে
সব তো মানতে পারিনা,
জানিনা কিযে করি মরি যত যাতনা
আমি যে ঠিক বলব কথাটা তাত না
সত্যটা সতি্য কি বুঝি না।

এলে ঈদ চোখে নিদ বিতারিত অনেকের
ব্যাবসা বানিজ্য কারবারি ধান্ধা জমে ঢের
এই বিষয়টি মিথ্যে না,
হাকা দাম নিত্য কাম সন্ধান সুযোগের
গুদাম ভরে সংকট করে জমে বেচা ফের
লাভ টা তো কম না।

বিস্তারিত»

তোমার জন্য কান্দি।

তোমার জন্য কান্দি
মুহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ

তোমার জনে্য কান্দি আমি তুমি ধরিলে গো কার হাত
তোমার জনে্য বিবাগী আমি তুমি কার সনে কাটাও রাত,
বল সখি কি হবে আর রাখিয়া এ প্রান ।

আমি যে ভাসালেম নাও উজান গাঙের সো্রতে তুমি কোথা গেলে
নদী কুলে কি গো হবে দেখা প্রিয়ে রাখিব এ দেহ তোমার কোলে,
বলি সখি সে আশায় মোর জীবন করিব দান।

বিস্তারিত»

মোস্তাফিজের হাইকু পাঠের পর অনুভূতি

ভালবাসায় অরুচি যখন
===================
সে চাইতো, প্রেমের উত্তাপ
ছুঁয়ে যাক তাকে।
অথচ প্রেম নাকি
সারাক্ষনই থাকে তার
ধরা ছোয়ার বাইরে
কারন –

বারবার নাকি
ভুল মানুষের সাথে
ভুল সময়ে
ভুল সব প্রেম হয়ে যায় তার।

প্রেমে তাঁর তাই
ভীষণ অরুচি আজকাল…

কিন্তু যেদিন –
ঠিক মানুষের সাথে
ঠিক সময়ে
ঠিক ঠাক এক প্রেম হলো তার…

বিস্তারিত»

কিছুদিন একা থাকো


কিছুদিন একা থাকো,এই ভালো;
নিজস্ব বৃত্তের কেন্দ্রে-প্রেমহীন মূর্খতায়
শীতল অনিমেষ দুঃখের মধ্যে নির্বাপিত হোক সকল প্রেমাগ্নি
তাতে ডুবে যেতে থাকুক তেজস্ক্রীয় সন্দেহ, তোমার অবিশ্বাস
তুমি একা থাকো, নীরব থাকো অথবা মুখরাও হতে পারো
নিতান্ত নিন্দা-স্তবে, আমাকে ঘৃণা বাক্য-ভর্ৎসনায়
পুরোনো মলাটে, তোমার স্ব-স্বীকৃত মিথ্যে স্বর্গে
যেখানে তোমাকে বিউটি পার্লারে ছুটতে হয় পেডিকিউরের জন্য,
সৌন্দর্যবর্ধক ভিটামিন আর ঢেউহীন ঝরঝরে চুলে খুঁজতে হয়
লোকের চোখের ঝলক,

বিস্তারিত»

আমি তোমার চোখ দেখেছি (একটি প্রথম দর্শনে প্রেমের স্বীকারোক্তি)

আমি তোমার চোখ দেখেছি।
এমন দুচোখ আর দেখিনি,
খুব যে কাজল-টানা নিখুঁত – তা নয়
বনলতার পাখির বাসা কিংবা মায়া-হরিণীর সাদৃশ্য? এক বিন্দুও নেই-
নেই সপ্তাকাশের বিশালতা,অতলান্তিক গভীরতা
চোখ পড়লেই থমকে যাবেনা কোনও আনমনা পথিকের হৃৎস্পন্দন,
কোন শিল্পীর তুলিতে বা কবির কলমের নিব-এ জাগাবেনা প্রবল আন্দোলন।
মণিতে নেই বিদেশিনীর চোখের নীল সূর্য,
সাদাতেও অনেক বেশি সাদামাটা।
সত্যি বলতে ,কারো স্বপ্নে প্রবল দাপটে চিড় ধরাবেনা কখনই!

বিস্তারিত»

নরকের কীট

কেমন লাগে বল

হয় গো যদি পরাণ বন্ধু

নরক এর কীট

[ আধুনিক হাইকু, ১১ শব্দ, ৩+৫+৩ ]

বিকল্প পাঠ ( নিচ থেকে উপরে)

নরকের কীট

হয় গো যদি পরাণ বন্ধু

কেমন লাগে বল

 

ইংরেজী সংস্করণ ( published in allpoetry.com) ( a modern haiku- 3/5/3 total 11 syllables)

bosom friend

almost a lover

big hater

 

বিস্তারিত»

জীবনানন্দ দাসের “কুড়ি বছর পর” পড়ার পর

পচিশ তিরিশ অথবা
আরও বেশী কিছু বছর পর,
হঠাৎ যদি দেখা হয়
তোমার আমার –
চিনতে কি পারবো আমরা পরষ্পরকে?
একটু কি থামবো, কুশল জানতে?
আনত নয়নে অথবা
চোখে চোখ রেখে বলবো,
“কেমন আছো?”
নাকি, অপরিচিতের মতো
হেটে চলে যাবো
পরিবার সামলানোর ভান করে,
নিজ নিজ গন্তব্যে?

ধরো, যদি দেখা হয়
সেই মানিক মিয়ায়
অথবা সেই সাউথপ্লাজায়
হাই-প্রেশার সোডিয়াম
বাতির সেই বন্যায়?

বিস্তারিত»

~ জলে জাগা ফসিলে প্রেমের তাগা ~

জলে, জুবুথুবু বৃষ্টিতে,
মরনধ্যান অর্ঘ্যে,
মেঘমগ্ন তারাতে,
তোমাকে খুঁজতে গিয়ে
চন্দ্রগুপ্ত রাতে,
হৃদয়পুর শুনশান।

মৃম্ময়ী বৃষ্টির ঘ্রাণ
সোঁদা গন্ধ লোবান।
স্থবির জীবন জুড়ে
অকস্মাৎ শ্মশান !
শ্রাবণস্পর্শে জানি
পাথরেও নাকি জাগে প্রাণ।

প্রেমে না হোক ঘৃণায়
যখন মনে তোমার
স্মরণ হই কৃপায়,
ফসিল ভালোবাসায়।
আংগুল ছুঁয়ে উত্তাপ
মাপার সাধেরা,

বিস্তারিত»

প্রজাপতি

প্রজাপতি, তোমার রঙিন হাতে
ভাত খাবে বলে
মুখিয়ে আছে সারা বাগান —

বেগানা আঙুলে
আচার তুলে দেবে সবার মুখে মুখে
এমন মুখরোচক গুজব
রটে গেছে সর্বত্র

তারপর এলো জোনাকি
সবুজ চায়ের কাপ নিয়ে,
ইনিয়ে বিনিয়ে চাইলো কি
চোখের তারার মত
মদির কিছু ভেষজ –
সুঘ্রাণ মুখশুদ্ধি

আর এক বিটকেল কবি!

বিস্তারিত»

তিনটি কবিতা

প্রতিভাকে পেপার ওয়েটে চাপা দিয়ে,
মুখস্ত করি লেকচার শিট।
বিদ্যার দেবী উপহাস করে বলে,
তোকে জ্ঞান দিয়ে দিয়েছি
চর্চার জন্য, আর তুই অপচয় করলি!


আমাদের ঈশ্বর আলাদা,
তবুও আমরা আলাদা নই।
দুজন একই অজ্ঞাত উপাস্যের
উপাসনা শেষে মুখোমুখি দাড়াই,
সম্মিলিত সংগম শেষে ঘুমিয়ে পড়ি
একই বিছানায়।
আমরা দুজন আলাদা বালিশে ঘুমাই,

বিস্তারিত»

সাংসারিক…

অনামিকা ততক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছিলো…
মধ্যরাতে আবীর বিছানায় এসে দেখে,
অনামিকা ডান পাশ ফিরে কাৎ হয়ে শোয়া,
নাকের ডগায় তার চশমাটা শিথিলভাবে বসা।

অনামিকা সবসময় ডানপাশে কাৎ হয়ে শোয়,
আবীরের বাড়ানো বাহুটাতে মাথা রেখে শোয়।
তারপর দু’জনে মিলে পিলো টক করতে করতে
ওরা একত্রে ঘুমিয়ে পড়ে। হয়তো কখনো আবার
মাঝরাতে এপাশ ওপাশ করে মুখ ফিরে শোয়।
রাত জেগে খেলা দেখছিলো বলে আবীর আজ
বিছানায় দেরীতে এলো।

বিস্তারিত»

প্রেম – ২

লাল টি শার্টে
হাওয়ায় উড়িয়ে চুল
উদ্দাম গানে তেতে
শ্বেত মেঘ আর
নীল রোদ্দুর
উদযাপন
করবে বলে
পাহাড়ী পথ
ঘুরে ঘুরে
প্রেমের ভেতরে
নেমে
যেতে
যেতে
টের কি পাচ্ছো
স্টিয়ারিং হাতে
কনভার্টিবল নয়
ঢালের দিকে
গড়িয়ে
চলা
এক
পাথরই চালাচ্ছো?

বিস্তারিত»

কেন গো বাজাও

কেন গো বাজাও
ওবায়েদুল্লাহ ওয়াহেদী

বাঁশের বাশীতে সুর কেন গো বাজাও হে
আমি যে মরমে মরি
চাঁদের হাসিতে জোছনা কেন যে ঝরাও হে
ঘরে যে থাকিতে না রি।

হিয়া কাঁদে যাতনায় চাতকী পরান নিরবে চেয়ে
তারা ফোটে সীমানায় আকাশে বিধুর গীত গেয়ে
যায় গো পরান বুঝি আজ আর সহিতে না রি

অহন মরনে অন্তর জরজর ওহে দোষন আমারি।

বিস্তারিত»