অন্য সুর, অন্য সুর,
শুনি শুধু অন্য সুর।
উদাসী ঘুঘুর ডাক,
স্তব্ধ করে দেয় দুপুর।
অলস মগনে শুনি,
কেবলি এক অন্য সুর!
সৈকতে যে ঢেউ আসে,
সেখানেও অন্য সুর।
দু’পায়ে পরশ বুলায়,
দু’কানে সুর শোনায়,
মিলিয়ে যায় বহুদূর,
বাজিয়ে দিয়ে অন্য সুর।
ধারাপাত বদলে গেছে,
সাথে সুর নামতারও।
হিসেবের মুদ্রা উধাও,
হিসেব করার অঙ্কটাও।
এ যেন এক অচিনপুর,
সবখানেতে অন্যসুর!
রাগ রাগিণী বিস্মৃত,
মল্লারী সুর তিরোহিত,
পাখিদের কন্ঠে বাজে,
অশ্রুত সব নতুন সুর,
মোটেই নয় শ্রুতিমধুর।
অন্য সুর, অন্য সুর!
ঢাকা
১৪ ডিসেম্বর ২০১৪
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
হিসেবের মুদ্রা উধাও,
হিসেব করার অঙ্কটাও।
এ যেন এক অচিনপুর,
সবখানেতে অন্যসুর!
- অন্য সুরের অবাক অচিন বাজনাতে
টান পড়ে কোন হৃদপুকুরের ফাতনাতে ।
চমৎকার, চমৎকার! ধন্যবাদ লুৎফুল।
"অশ্রুত নতুন সুর" -- কথাটা কী সুন্দর!
কিন্তু শ্রুতিমধুর নয় কেন?
কবিতা লেখার সময় যে সমস্ত নতুন সুর মাথার মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছিলো, চিরচেনা সুর থেকে সেগুলো পৃথক হও্য়াতে বোধকরি সেগুলোকে কানে শ্রুতিমধুর ঠেকছিলো না। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, নূপুর।
কবিতা ভালো লেগেছে। তবে অন্য সুরেরও একটা সুর আছে। কখনো কখনো তা ভালোও লাগে।
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
একদম ঠিক কথা সাইদুল! 'কখনো কখনো' তা ভালোও লাগে।
বোধকরি কিছুটা বুঝতে পারলাম। এমন অনুভবই কি জীবনানন্দকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছিল,
(সম্পাদিত)
দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ
অতি চমৎকারভাবে Relate করলে আমার এ অকিঞ্চিৎকর লেখাটাকে জীবনানন্দের কবিতাংশের সাথে।
অনেক ধন্যবাদ, মোস্তফা।