সকালে উঠেই চোখ কচলে যদি দেখি, দূর আকাশে
ঘন কালো মেঘের আনাগোনা, আর চারিদিক থেকে
ধেয়ে আসছে অথৈ আঁধার, তখন থেকেই আমার
মনের মাঝে একটা ময়ূর পেখম মেলতে শুরু করে।
শ্রাবনের প্রথম শীতল বারিধারাকে স্বাগত জানাতে
প্রকৃতির গাছ গাছালিগুলো যেন উন্মুখ হয়ে থাকে।
ঘনসবুজ ডালপালাগুলো আনন্দে হেলেদুলে নাচে,
পাখীরা খুশীতে হঠাৎ হঠাৎ গান গায়, আসে যায়।
বর্ষার কালো মেঘ দেখলেই, রাজ্যের যত আলস্য
আমাকে পেয়ে বসে। সব কাজ ফেলে রেখে শুনি
আনমনা যত মানুষ আর হেয়ালী প্রকৃতির গান।
কালো মেঘের মাঝে সাদা বক খুঁজে হই হয়রান।
শ্রাবনের ঘনকালো মেঘের গহীনে একটি ব্যাকুল মন
খুঁজে বেড়ায় কেবল একটি নিবিড় আশ্রয়। যেখানে
একান্তে বসে স্মৃতির সাদাকালো এলবামটা খুলে
সে চোখ বুলিয়ে নিতে পারে, মেঘমেদুর নিরালায়।
বর্ষা আমাকে সৃষ্টির মন্ত্রণা দেয়। আলস্যের মাঝেই
সৃষ্টির উন্মাদনা পেয়ে বসে। শুধু চাই একটু নিঃশব্দ
নিবিড়তা, একটুখানি একান্ত ঠাঁই। বর্ষা এলেই তাই,
আমি একটুখানি প্রাইভেসির খোঁজে অস্থির হয়ে যাই।
ঢাকা
১৫ জুলাই ২০১৪
৩১ আষাঢ় ১৪২১
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
বাহহহ ! দারুন । বর্ষার বৈভব, তার জন্য আকুল আকুতি ।
:boss: :boss:
ধন্যবাদ লুৎফুল। আষাঢ় শ্রাবন মাস এলেই বাঙালী মাত্রই কত কিছুর জন্য আকুল ব্যাকুল হয়ে ওঠে!
ঠিক তাই ভাই। কতো কিছু যেনো খলবল করে ওঠে বৃষ্টিজলের সংগে পাল্লা দিয়ে।
সকালে পড়েছিলাম মোবাইলে। মন্তব্য করিনি মোবাইলে লেখার কষ্টের কথা ভেবে।
মুগ্ধ হলাম কবিতায়
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
অনেক ধন্যবাদ, সাইদুল। অনুপ্রাণিত হলাম।
ভালো লেগেছে নাগরিক বর্ষা-বন্দনা!
দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ
প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম, ধন্যবাদ।