দেখব জগত যেইনা বাহির পা ফেলেছি
নামলো দেওয়া হঠাৎ করে
আকাশ যেন করল পেশাব মুখের পরে
ভিজিয়ে দিল সবর্ শরীর
কেউ কি করে এমন তরো অসভ্যতা ?
করে করে নিতুই করে
আকাশ করে ,
তাইতো সবাই চলতে পথ
নামলে দেওয়া
মাথার পরে ছাতা ধরে।
ভ্রম
শুধুই উচ্চারিত শব্দে
‘ভালবাসি’ কে বলেছে কবে?
যতটুকু বলেছে মুখে
চোখদুটি বলেনি কি
শতগুণ বেশি?
শুধুই বৃষ্টিতে কি ভিজেছে এ তনু
হৃদয়ের ঝড়-জলে ভেজেনি কি কিছু?
মেঘ কেটে এই বুকে
জাগেনি কি নীলাকাশ?
বাজেনি কি মেঠো পথে নূপুরের ঝঙ্কার?
খোলাচুলে এই পথে যায়নি কি সেইজন?
বিস্তারিত»তোমার শখের পসরা
আমার ঘরের নিভৃত একটি কোণে
রয়েছে তোমার এক নিজস্ব ভূবন।
সেখানে কখনো প্রবেশ করিনি আমি।
তবে বাহির থেকে দেখেছি কি সুন্দর করে,
সাজিয়ে রেখেছো তোমার শখের পসরা
একটি আলমারীর ক্ষুদ্র পরিসরে, থরে থরে।
কতনা যতন করে রেখেছো সেখানে,
ছোট ছোট সব শখের পজেশনগুলো,
শাড়ীর পরতে পরতে, এভাঁজে ওভাঁজে,
গোপন কুঠুরির কোন গোপনতম স্থানে।
আর পরখ করে দেখ সেসব অমূল্য রতন
যখনি সময় পাও,
অচল।
যত নৈবেদ্য ছিল
কিছুই গ্রহন করো নি
কেটে গেছে সময় তবু
পূজায় পূজায়।
যত প্রেম ছিল
কখনো অর্পন করনি
রিক্ত হয়েছে চাতকি হৃদয়
ব্যাথায় ব্যাথায়।
চক্ষু দিয়েছ দৃষ্টি দাওনি দেখার
কর্ণ দিয়েছ শক্তি দাওনি শোনার
এহেন জনম কেন
কেন এত উপহাস?
মুক বধির অবলা আবাস তবু
উগ্রে শৃঙ্গার সবর্নাশ,
নির্যাসে নিপতিত কষ
ধারায় ধারায়।
মমতা – আনন্দ শঙ্কর
কথাগুলো কি করে
গান হয়ে যায়
কি করে কী-বোর্ডে
ওঠে সুর
তোমার মমতামেদুর
মেসেজ আসে —
উদ্ভাসিত ফেস, বুক
আনন্দ, মমতার
এমন শঙ্কর
দেখিনি আগে
ছিল কোথা
সুখের এ অসুখ!
যৌবন
কুহক কায়িক
আবছায়া বিধৃত
চারণ,
মন্থিত ফেনিলে
সপর্ ছোবল
হনন।
গলিত দলিত
রিপু ঋতু
রমন,
উত্থিত প্রত্যয়ে
বূহ্য ভেদী
গমন।
যমুনা সন্তরন
ভ্রুন সদল
বপন,
কষর্িত ভুমে
কদর্মাক্ত প্রান
নি:সরন।
প্রণব প্রণয়
শ্রাবন সিক্ত
সিনান,
জনম জীবন
নিয়ত প্রসব
ক্ষরণ।
চয়ন চপল
অক্ষি মদির
স্বপন,
কনকপ্রভা
কনকপ্রভা,
তুমি মাঘের কোমল রোদ্দুর হয়ে এসেছিলে,
তেমনই থেকো, এই আছো এই নেই।
এই অরণ্যচারীর নিভৃত নিবাসে
এক চিলতে সোনালী রোদ্দুর হয়ে থেকো।
আলোছায়া হয়ে মিশে রবো একসাথে।
কনকপ্রভা,
তুমি আষাঢ়ের মেঘ হতে চেওনা।
এমনিতেই তুমি আমার ভেতরে
শান্ত স্রোতস্বিনীর ন্যায় সততঃ প্রবাহমান।
তুমি নরম রোদ্দুর হয়েই থেকো,
গায়ে মুখে মেখে হবো, আঁধারেও চক্ষুস্মান!
অকবির আবোলতাবোল প্রলাপ
এক
ফোডর্ ফ্যাশনিস্টায় চাবি ঘুরাতেই ম্যাসেনজারে বার্তা এলো, আছো?
এন্ড্রোমেডার ওপার থেকে আসা সামান্য এই ‘আছো’ তে দিন শেষে
মেঘের আকাশে লীলাময় রংধনু!
মৃদঙ্গ সুর অথবা কুহকিনী কার্ডিনালের ঘোরলাগা ডাক
এ যেন পেনসেলিনার উদ্দাম সুর;
আতখা টানে ঘর থেকে বাইরে যাবার ডাক!
দুই
ছ’টা বেজে কুড়ি,
সাতটা পেরিয়ে সতের মিনিট হাওয়া,
আটের কাটা করছে ছুঁই ছুঁই
এখনো তুমি গুয়াডালুপে একা?
~ দেখি দাপুটের বায়োস্কোপ ~
মেঘের মিছিল জমা হয়ে আছে সব
জনপদ সীমান্ত জুড়ে।
ইমিগ্রেশনের ছাড়পত্র পেলেই
যেনো এসে যাবে হুড়মুড়িয়ে।
রোদের সন্ত্রাস শুষে নিচ্ছে তখন এই
শহরের শেষ কণা স্বেদ, সাথে
শ্রমিকের কর্মস্পৃহা তেজ।
তুমি শীতাতপ যন্ত্রের সাথে
পারদের তীব্র মাখামাখি
গায়ে দিয়ে বলো, হয়ে যাচ্ছো নিস্তেজ !
চৌচির মাটির বুক চিরে
যোদ্ধা কৃষকের চকচকে লাংগলের
ফালফুলো ফুসছে যখন ঘামের জ্বালানীতে,
সর্বনাশের সম্ভাব্য কারন
চিবুকের সাথে দু:খের দূরত্ব মাপতে আসিনি।
তোমার নীলের পরিধি কিংবা
অভিমান ফর্দ লিখতেও না।
ভেবেছো অমন হাসলেই মূর্ছা
যাবে বুঝি বেবাক পুরুষ !
মোহিনী মায়ায় ডুবে মরতেই শুধু
সমর্পিত গোটা নরকূল !
অথচ জানোনি অযুত সুবাস
আর রঙের নিযুত নৈবেদ্য
নিয়ে যতো অপেক্ষা, শুধু
আমার হাত ধরে তোমার খোঁপায়
যাবে বলেই। জানে তা তাবত ফুল।
The River – আনন্দ শঙ্কর
ইদানিং
নদীর মতন আসেনা কেউ!
তার মতন ঢেউ
তুলে কেউ বলেনা –
চলো,
ছলোছলো
চোখ মুছে নিয়ে
এলে যে কি নির্ভার
হতাম! কি দিয়ে
তাকে ডাকি,
বুকে রাখি
ভেবে বার করার
আগেই, আনন্দ,
আপনি বাজালেন
দি রিভার!
মে ২৭, ২০১৫। ফেসবুক
বিস্তারিত»আলো এবং অন্ধকারের উপাখ্যান
আমার আকাশ থেকে আলো করে চুরি
সাজাও নক্ষত্ররাজি তোমার আকাশে,
এটা ঠিক শোভনীয় নয়
এটা নয় মানবিক।
তবু ক্ষমা করে দিলাম,
একটু আলোই তো করেছ চুরি
আমার দশ দিগন্তের অন্ধকারে
কেউ বসাতে পারোনি ভাগ।
ঊষা থেকে গোধূলি পর্যন্ত
অবাধ আলোর মিছিল থেকেই
নিয়ে নেব আলোর ভাঁড়ার,
বিস্তারিত»কী হবে?
সূর্যটা শেষমেষ
সাগরের তরল বুকেই ডুবে যায়!
আগুনের ফুলকিগুলো
শেষমেষ ছাই হয়ে জলে মিশে যায়।
কী হবে কাঠিন্য দিয়ে,
তারল্যের বুকেই যদি লিখা থাকে
শেষ ঠিকানাটা।
সব কিছু দ্রবীভূত হয়,
যদি রসায়নটা ভালো করে জানা থাকে।
দিগন্তে যে সূর্যটা হারিয়ে যায়,
ভূঁই ফুঁড়ে সে আবার বের হয় পরদিন।
আবার আলো জ্বালে, উত্তাপ ছড়ায়,
পজিটিভিটি
নিজেকে একেবারে মেলে ধরতে পারি না
আর কারো কাছে, শুধুমাত্র তুমি ছাড়া।
আমার জীবনের সকল অর্জনগুলোর সার-সংক্ষেপটাকে
সামেশন করে যখন কারো কাছে নিবেদন করতে যাই,
কি করে যেন ফলাফলের আগে
একটা মাইনাস চিহ্ন বসে যায়।
তোমার কাছেই শুধু পজিটিভ মূল্য পায়
আমার সকল অকিঞ্চিৎকর নিবেদন।
ঢাকা
০৬ মে ২০১৫কাছেই
স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
মা
পড়বে মনে এতটাই
কখনো বুঝিনি,
কত বিস্তৃত হলে দিগন্ত
আগলে রাখে ধরনিকে বাহুমেলে,
কত গভীর হলে জলধি
বেধে রাখে এত জল বক্ষতলে,
কে বোঝে?
ঐ যে উচিয়ে খোলা আকাশ
ছুয়েছে মাটি ঘাস নীলে,
ঐ যে নিভে রবি ডোবে অস্তাচলে
গোধূলির হলুদাভ লালে
কিছুই সত্য নয় ।
যা দেখি সত্যি সবই
তোমাকে দেখেছি বলে
মনে পড়ে এতটাই।