অচল।

যত নৈবেদ্য ছিল
কিছুই গ্রহন করো নি
কেটে গেছে সময় তবু
পূজায় পূজায়।
যত প্রেম ছিল
কখনো অর্পন করনি
রিক্ত হয়েছে চাতকি হৃদয়
ব্যাথায় ব্যাথায়।

চক্ষু দিয়েছ দৃষ্টি দাওনি দেখার
কর্ণ দিয়েছ শক্তি দাওনি শোনার
এহেন জনম কেন
কেন এত উপহাস?
মুক বধির অবলা আবাস তবু
উগ্রে শৃঙ্গার সবর্নাশ,
নির্যাসে নিপতিত কষ
ধারায় ধারায়।

বিস্তারিত»

মমতা – আনন্দ শঙ্কর

কথাগুলো কি করে
গান হয়ে যায়
কি করে কী-বোর্ডে
ওঠে সুর
তোমার মমতামেদুর
মেসেজ আসে —
উদ্ভাসিত ফেস, বুক

আনন্দ, মমতার
এমন শঙ্কর
দেখিনি আগে
ছিল কোথা
সুখের এ অসুখ!

বিস্তারিত»

যৌবন

কুহক কায়িক
আবছায়া বিধৃত
চারণ,
মন্থিত ফেনিলে
সপর্ ছোবল
হনন।
গলিত দলিত
রিপু ঋতু
রমন,
উত্থিত প্রত্যয়ে
বূহ্য ভেদী
গমন।
যমুনা সন্তরন
ভ্রুন সদল
বপন,
কষর্িত ভুমে
কদর্মাক্ত প্রান
নি:সরন।
প্রণব প্রণয়
শ্রাবন সিক্ত
সিনান,
জনম জীবন
নিয়ত প্রসব
ক্ষরণ।
চয়ন চপল
অক্ষি মদির
স্বপন,

বিস্তারিত»

কনকপ্রভা

কনকপ্রভা,
তুমি মাঘের কোমল রোদ্দুর হয়ে এসেছিলে,
তেমনই থেকো, এই আছো এই নেই।
এই অরণ্যচারীর নিভৃত নিবাসে
এক চিলতে সোনালী রোদ্দুর হয়ে থেকো।
আলোছায়া হয়ে মিশে রবো একসাথে।

কনকপ্রভা,
তুমি আষাঢ়ের মেঘ হতে চেওনা।
এমনিতেই তুমি আমার ভেতরে
শান্ত স্রোতস্বিনীর ন্যায় সততঃ প্রবাহমান।
তুমি নরম রোদ্দুর হয়েই থেকো,
গায়ে মুখে মেখে হবো, আঁধারেও চক্ষুস্মান!

বিস্তারিত»

অকবির আবোলতাবোল প্রলাপ

এক

ফোডর্ ফ্যাশনিস্টায় চাবি ঘুরাতেই ম্যাসেনজারে বার্তা এলো, আছো?
এন্ড্রোমেডার ওপার থেকে আসা সামান্য এই ‘আছো’ তে দিন শেষে
মেঘের আকাশে লীলাময় রংধনু!
মৃদঙ্গ সুর অথবা কুহকিনী কার্ডিনালের ঘোরলাগা ডাক
এ যেন পেনসেলিনার উদ্দাম সুর;
আতখা টানে ঘর থেকে বাইরে যাবার ডাক!

দুই

ছ’টা বেজে কুড়ি,
সাতটা পেরিয়ে সতের মিনিট হাওয়া,
আটের কাটা করছে ছুঁই ছুঁই
এখনো তুমি গুয়াডালুপে একা?

বিস্তারিত»

~ দেখি দাপুটের বায়োস্কোপ ~

মেঘের মিছিল জমা হয়ে আছে সব
জনপদ সীমান্ত জুড়ে।
ইমিগ্রেশনের ছাড়পত্র পেলেই
যেনো এসে যাবে হুড়মুড়িয়ে।

রোদের সন্ত্রাস শুষে নিচ্ছে তখন এই
শহরের শেষ কণা স্বেদ, সাথে
শ্রমিকের কর্মস্পৃহা তেজ।
তুমি শীতাতপ যন্ত্রের সাথে
পারদের তীব্র মাখামাখি
গায়ে দিয়ে বলো, হয়ে যাচ্ছো নিস্তেজ !

চৌচির মাটির বুক চিরে
যোদ্ধা কৃষকের চকচকে লাংগলের
ফালফুলো ফুসছে যখন ঘামের জ্বালানীতে,

বিস্তারিত»

সর্বনাশের সম্ভাব্য কারন

চিবুকের সাথে দু:খের দূরত্ব মাপতে আসিনি।
তোমার নীলের পরিধি কিংবা
অভিমান ফর্দ লিখতেও না।
ভেবেছো অমন হাসলেই মূর্ছা
যাবে বুঝি বেবাক পুরুষ !
মোহিনী মায়ায় ডুবে মরতেই শুধু
সমর্পিত গোটা নরকূল !

অথচ জানোনি অযুত সুবাস
আর রঙের নিযুত নৈবেদ্য
নিয়ে যতো অপেক্ষা, শুধু
আমার হাত ধরে তোমার খোঁপায়
যাবে বলেই। জানে তা তাবত ফুল।

বিস্তারিত»

The River – আনন্দ শঙ্কর

ইদানিং
নদীর মতন আসেনা কেউ!
তার মতন ঢেউ
তুলে কেউ বলেনা –
চলো,
ছলোছলো
চোখ মুছে নিয়ে

এলে যে কি নির্ভার
হতাম! কি দিয়ে
তাকে ডাকি,
বুকে রাখি
ভেবে বার করার
আগেই, আনন্দ,
আপনি বাজালেন
দি রিভার!

মে ২৭, ২০১৫। ফেসবুক

বিস্তারিত»

আলো এবং অন্ধকারের উপাখ্যান

আমার আকাশ থেকে আলো করে চুরি

সাজাও নক্ষত্ররাজি তোমার আকাশে,

এটা ঠিক শোভনীয় নয়

এটা নয় মানবিক।

 

তবু ক্ষমা করে দিলাম,

একটু আলোই তো করেছ চুরি

আমার দশ দিগন্তের অন্ধকারে

কেউ বসাতে পারোনি ভাগ।

 

ঊষা থেকে গোধূলি পর্যন্ত

অবাধ আলোর মিছিল থেকেই

নিয়ে নেব আলোর ভাঁড়ার,

বিস্তারিত»

কী হবে?

সূর্যটা শেষমেষ
সাগরের তরল বুকেই ডুবে যায়!
আগুনের ফুলকিগুলো
শেষমেষ ছাই হয়ে জলে মিশে যায়।

কী হবে কাঠিন্য দিয়ে,
তারল্যের বুকেই যদি লিখা থাকে
শেষ ঠিকানাটা।
সব কিছু দ্রবীভূত হয়,
যদি রসায়নটা ভালো করে জানা থাকে।

দিগন্তে যে সূর্যটা হারিয়ে যায়,
ভূঁই ফুঁড়ে সে আবার বের হয় পরদিন।
আবার আলো জ্বালে, উত্তাপ ছড়ায়,

বিস্তারিত»

পজিটিভিটি

নিজেকে একেবারে মেলে ধরতে পারি না
আর কারো কাছে, শুধুমাত্র তুমি ছাড়া।
আমার জীবনের সকল অর্জনগুলোর সার-সংক্ষেপটাকে
সামেশন করে যখন কারো কাছে নিবেদন করতে যাই,
কি করে যেন ফলাফলের আগে
একটা মাইনাস চিহ্ন বসে যায়।
তোমার কাছেই শুধু পজিটিভ মূল্য পায়
আমার সকল অকিঞ্চিৎকর নিবেদন।

ঢাকা
০৬ মে ২০১৫কাছেই
স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

মা

পড়বে মনে এতটাই
কখনো বুঝিনি,

কত বিস্তৃত হলে দিগন্ত
আগলে রাখে ধরনিকে বাহুমেলে,
কত গভীর হলে জলধি
বেধে রাখে এত জল বক্ষতলে,
কে বোঝে?

ঐ যে উচিয়ে খোলা আকাশ
ছুয়েছে মাটি ঘাস নীলে,
ঐ যে নিভে রবি ডোবে অস্তাচলে
গোধূলির হলুদাভ লালে
কিছুই সত্য নয় ।

যা দেখি সত্যি সবই
তোমাকে দেখেছি বলে
মনে পড়ে এতটাই।

বিস্তারিত»

বিচ্ছিন্ন আবেগ

জানতাম ‘ভালোবাসি’
বলতে নেই কখনো
তবুও অস্ফুট আবেগে
কখনো একবার রাতভর প্রলাপ ;
হৃদয় উজাড় করে …

তার ফেলে যাওয়া
পায়ের চিহ্ন মিশে গেছে
এক পথিকের পথে
যে নিঃশব্দে নিয়ে গেছে তারে
শুধু এক বিষণ্ণ দীর্ঘশ্বাসে …

পূর্বে প্রকাশিত

বিস্তারিত»

সিসিবির ইন্টার কন্টিনেন্টাল আড্ডার প্রি এনাউন্সমেন্ট + ফ্রী কবিতা

এইটা মূল এনাউন্সমেন্ট না।
তাই এটাকে প্রি-এনাউন্সমেন্ট নাম দিলাম।
এরকম একটা অনুষ্ঠানের হোস্ট হতে CCCL-এর সক্ষমতা ও ইচ্ছার ব্যাপারে খোঁজ নিলাম।
বুঝলাম, ওরা এতে আপত্তির কিছু দেখছে না।
আজ রাতে বাকি ফর্মালিটিটা শেষ করা সম্ভব হলো না।
তাছাড়া সিসিবির দীর্ঘ্যদিনের অভিভাবক লাভলু ভাই-এর সম্মতিও এখনও নেয়া হয় নি।
ওগুলোর পর, চুড়ান্ত ঘোষণা দেবো।
আর তা খুবই শীঘ্রই।

আপাততঃ আমি যেভাবে ভাবছি,

বিস্তারিত»

পাঠ প্রচেষ্টা : এক আশ্চর্য সঙ্গমের স্মৃতি

এক আশ্চর্য সঙ্গমের স্মৃতি – ১
———————–
সৈয়দ শামসুল হক

বারান্দায় বসে আছি আমরা। রাত ১১-৩০।
ছাইদান রাখো না ঘরে, তাই পিরীচ
দিয়েছিলে। ছাই উড়ছে মৃত জোনাকির মতো ।
লোকে যা জানে না, মেলে ধরছি প্রণয়ের ক্ষত;
যেন তুমি চিকিৎসক জোছ্‌নার ক্লিনিকে আজ, তোমার সমুখে।
থামের অন্ধকারে, হাতের চাঁদনামা চিবুকে
কি সাবধানে ধারণ করে আছো মমতা
যা তোমার।

বিস্তারিত»