চঞ্চলা চপলা তুমি কখনো ছিলেনা,
সেও ছিলনা কোন ডানপিটে ডাকু।
তোমার টানা চোখ দুটোকে কখনো
ডাগর আঁখি বলে তার ভ্রম হয়নি।
পটলচেরা চোখও ভাবেনি কখনো।
তারপরও তার খুব, খুবই প্রিয় ছিল,
তোমার ঐ কাজল টানা চোখ দুটো।
সন্তরণপ্রিয় ডুবুরীর মত অবলীলায়
সে তোমার চোখের গহীনে কি যেন
খুঁজে বেড়াতো, ডুবসাঁতার দিয়ে
যখন তখন। আর ভাবতো, ওখানেই
যেন লুকিয়ে আছে পৃথিবীর যত মায়া,
ঘন কালো মেঘ, আর প্রেমের প্লাবন,
শীতের রোদ্দুর আর গোধুলির ছায়া।
ঢাকা
০৬ জুলাই ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
খুব ভাল লাগল ভাই। বুক ধুকপুক করার ইমোটা খুজে পেলাম না মোবাইল থেকে।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ধন্যবাদ মোস্তাফিজ। "বুক ধুকপুক করার ইমোটা" খুঁজে না পেলেও ক্ষতি নেই, কারণ আমি আবার ইমো টিমোর মানে অতটা বুঝিনা। কি নাতো কী দিয়ে ফেলি, এজন্য ইমোর ধারে কাছে যাই না, শুধু ক্ল্যাপ আর স্মাইল ছাড়া।
🙂 🙂
খায়রুল ভাই,
যেন কোন কিশোর প্রেমিকের চিঠি পড়ছি।
একদম দিল মে চাক্কু । 🙂
নূপুর, "একদম দিল মে চাক্কু?"
সর্বনাশ!
🙂 🙂
তাই-ই তো!
খুবই ভালো
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
বহুত বহুত শুকরিয়া সাইদুল।
আমিও সেই সৌন্দর্যের গহনে ডুবরী হলাম।
দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ
অনেক ধন্যবাদ, মোস্তফা, সেই সৌন্দর্য অনুধাবন করতঃ অবগাহনের জন্য।
চপলা চঞ্চলা
দীঘল চুল খোলা
পটল চেরা আঁখি
ডাগর চোখে দেখি
আমায় খোঁজে নাকি
তাইতো দেখি, একি
দিনভর রাতভর
জ্বলে থাকে জোনাকী !
লুৎফুল, চমৎকার সাজিয়েছো তোমার ভাবনাগুলোকে ছন্দে ছন্দে!
আপনার লেখা থেকেই তো ভাই !
এই জায়গাটা হৃদয় ছুঁয়ে গেল:
"ওখানেই
যেন লুকিয়ে আছে পৃথিবীর যত মায়া,
ঘন কালো মেঘ, আর প্রেমের প্লাবন,
শীতের রোদ্দুর আর গোধুলির ছায়া"
মনে হল যেন পড়ছি না, সবটুকুই দেখতে পাচ্ছি......
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
পারভেজ, কবিতা পড়ে তার ছবিটাকে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখতে পেরেছো, এই না হলে আর তুমি কবি কেন?
কবিতা পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
খায়রুল ভাই, আমাকে কবি বললে আসলে বেশ লজ্জাই পাই।
আমার ধারনা, যত যা লিখালিখির চেষ্টা করি, তার মধ্যে আমার ধারনা, আমার কবিতা লিখার প্রচেষ্টাগুলাই হয় সবচেয়ে দুর্বল।
আর সেই দুর্বলতা ঢাকতে চেষ্টা করি, কবিতার মধ্যেও একটা গল্প ফুটিয়ে তুলতে যেন পাঠক গল্পটা নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন, কবিতার দোষ-ত্রুটিতে চোখ না পড়ে।
বুঝি, এটা এক ধরনের ছলনা, তবুও তা না করে উপায় কি?
কারনও একটা আছে।
কবিতায় যেহেতু বুঝি দুর্বলতা সবচেয়ে বেশী, তাই মনের আনন্দে লিখে যাই, যখন যা মনে আসে তাই।
প্রবন্ধ বা গল্প লিখার সময় সেই স্বাধীনতা থাকে না।
বুঝি পাঠকের জাজমেন্টের ছুরির তলায় পড়তে হবে।
তাই সতর্ক না থেকে উপায় থাকে না।
আবার এটাও ঠিক লজ্জা পেলেও, কেউ যখন কবি বলেন (এই যেমন এখন আপনি বললেন), কোথা থেকে যেন একরাশ ভাল লাগা এসে ঘিরে ধরে।
আমাকে নত করে দেয়। নম্রতায়।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
খুব সুন্দর কবিতা হয়েছে!
'শীতের রোদ্দুর আর গোধুলির ছায়া।' এই দুইটির উপরই আমার দুর্বলতা আছে।
দুটোই মনের মাঝে স্নিগ্ধ ছায়া ফেলে, আমারও। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, রমিত।