সেইরকম আবজাব – বেইনসাফ পর্ব

নাহ্, আজকালকার দুইন্নায় ইনসাফ বইলা কিস্সু নাই। এই জিনিসটা অনেক আগেই উপরে উইঠা গ্যাছে।

বয়স বাড়তাছে। মানে বুড়া হইতাছি। অটোমেটিক বাড়তাছে, নিজের দোষে না। কোটেশন মার্কের ভিতরে অবস্থান করা জাস্ট দ্বারা শুরু হওয়া সম্পর্কগুলার এফ.এম বা ডিজুস টাইমটা অল্প কয়েকটা বছর আগে জন্মাইবার অপরাধে ধরতাম পারলামনা। এইটাতেও নিজের কোনো দোষ খুঁইজা পাইলামনা। টার্ণ আউট জিনিসটারে দীর্ঘ এক দশক আগে একশত পচাশি একরের এক জায়গায় নিজের আত্মা সহ রাইখা আইছি,

বিস্তারিত»

আফসোস…!!!

কলেজে ক্লাস সেভেনের অবস্থা থাকে অনেকটা অবলা নারীদের মতন। বুক ফাটে তো মুখ খোলে না…ছোট-বড় নানান সমস্যা-কাকে জানাব, কিভাবে জানাব…এইসব নানান ভাবনায় জানানোই হয়ে ওঠে না…ব্যাপারটা এমন যে সমস্যাটা কাউকে জানানোটাই একটা সমস্যা!

আমার জীবনের দীর্ঘতম জুমআর নামাজগুলোর সবগুলোই কলেজের ক্লাস সেভেনে থাকতে পড়া…নামাজে যেতাম আযানের ১০/১৫ মিনিট আগে…নামায শেষ করে বের হতে প্রায় ঘন্টা দেড়েকের মামলা…ঐ দীর্ঘ সময়ে যে কারও প্রাকৃতিক ডাক আসাটা খুবই স্বাভাবিক…বেশিরভাগ সময়ে সবাই যা করত তা হল- জুমআর নামাজ ব্রেক অফের পর ভরা ব্লাডার নিয়ে কোনমতে দৌঁড়ে গিয়ে ডাইনিং হলের অথবা হাউসের কোন টয়লেটে গিয়ে সেরে আসত…খুব কমই ছিল যারা নামাজের মধ্যে উঠে মসজিদের টয়লেট ব্যবহার করত।

বিস্তারিত»

ফোনালাপ

: কিরে কাকে ফোন দিচ্ছিস?
: আমার গার্ল ফ্রেন্ডরে।
: গার্লফ্রেন্ড? কোন গার্লফ্রেন্ড?
: মনে আছে সেই ১৯৯৬ সালে মেসে আমি আমার এক গার্লফ্রেন্ডরে নিয়ে এসে খাওয়াইছিলাম? সেই গার্লফ্রেন্ড।

বিস্তারিত»

আচার০০৬ : বাংলা ব্লগোস্ফিয়ার

ব্লগ বলতে আমি শুধু বুঝতাম টেকি ব্লগ, টেকনোলজিক্যাল কোন সমস্যায় পড়লে যেখানে সমাধান পাওয়া যায়। বাংলা ব্লগিং কি জিনিস জানতামই না। বাংলা ব্লগিং-এর সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল কানাডায় আসার পর। এক বন্ধু ফেসবুকে একটা লিংক পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল আমাদের আরেক বন্ধু যে ব্লগ লিখে তা জানি কিনা। সত্যি বলতে কি ব্লগিং শব্দটার মানেই তখন আমার কাছে পরিস্কার ছিল না। যাহোক লিংক ধরে চলে গেলাম সেই বন্ধুর ব্লগে,

বিস্তারিত»

খেরোখাতা -আমার সাদামাটা দিন

বয়স বাড়ার ব্যাপারটা আমার কাছে খুব বিভ্রান্তিকর মনে হয়। আমরা জন্ম তারিখকে কন্সট্যান্ট রেখে বয়সের হিসাব করি। আচ্ছা এমন যদি হয়, জন্মের সময় আমরা কোন ভাবে জেনে গেলাম কবে আমি মারা যাব, আর বয়সের জন্য মৃত্যুর দিনকে কন্সট্যান্ট রেখে হিসাব করা শুরু করলাম। একটা করে দিন যাবে, আর বয়স ধীরে ধীরে কমে যাবে। লিমিটের মত, আস্তে আস্তে তা জিরো হবে। তাই যদি হত, তাহলে দিনগুলো কি এত সাদামাটা ভাবে আমি কাটাতে পারতাম।

বিস্তারিত»

পাগলামি আর ধাওয়া খাওয়ার গল্প

৯ম শ্রেনী থেকে আমাদের এডজুট্যান্ট ছিলেন মেজর আলম স্যার। তো স্যার ছিলেন ভীষন কড়া। তার ভয়ে পুরা কলেজ এক ঘাটে পানি খেতো। তাই ১২য়ে উঠার ২ দিন আগে যখন শুনলাম স্যার চলে যাবে তখন আনন্দে কি যে করেছিলাম !! ১২য়ে উঠার কিছুদিন পর প্রিন্সিপাল স্যারও যখন চলে গেলেন, পুরা কলেজ তখন আমাদের নিয়ন্ত্রনে। স্যাররাও আমাদের কিছু বলে না। তাই ক্লাশ ১২এ উঠার পর আমরা নিজেরাই কলেজের রাজা হয়ে গেলাম।

বিস্তারিত»

ঘুড়ে এলাম মেঘের দেশে

অনেকদিন পরে আবার কম্পিউটারের সামনে একটু সময় করে বসার সুযোগ পেলাম। বাস্তবতা এবং কর্মব্যস্ততা কোনটিই সুযোগ দেয়নি অতি পরিচিত এবং অতি আপন সিসিবিতে আসার। খুব একটা যে অবসর মিলেছে তাও ঠিক না। তবে যতটুকু পেয়েছি, তার সবটুকুই এই মুহুর্তের জন্য সিসিবিকে দিতে চাই। তবে একথা অনস্বীকার্য যে, এই কয়টা দিন ভীষন মিস করেছি সিসিবিকে। শত ব্যস্ততার মাঝেও মনে পড়েছে অতি প্রিয় সিসিবিকে। আশা করি সবাই এই ক’টা দিন ভালোই ছিলেন।

বিস্তারিত»

এই লেখাটা তোমার জন্যে

[এটা ক্যাডেট কলেজ নিয়ে নয়। এমনকি কোনও ক্যাডেট নিয়েও নয়। এই লেখাটা আমার খুব প্রিয় আর আপন একজন বন্ধুকে নিয়ে। তার সাথে এখনও যোগাযোগ আছে, এখনও মাঝে মাঝে আমি খুব বিপন্ন সময়ে তাকেই খুঁজি! আপনারা ধীরে ধীরে আমার বন্ধু হয়ে উঠছেন, তা নাহোক ভার্চুয়াল জগতেই সই। সেজন্যে আপনাদের সামনে নিবেদন।]

২৪ শে ডিসেম্বর ২০০৩, তোমার সাথে আমার বন্ধুত্বের শুরু। মাঝখানে কতটা সময় কেটেছে রে?

বিস্তারিত»

ইস্মার্টনেস…

মাই-লাইন বাসে যাচ্ছি…সকাল সাড়ে ১০টার মতো বাজে। বাস মোটামুটি ফাঁকা। একটু পর কল্যানপুর থেকে দুই জন উঠলেন। দুজনেই লুঙ্গি পরা।

বাসে উঠেই তারা জমি জমা সংক্রান্ত আলোচনা শুরু করে দিলেন। কথা-বার্তায় বোঝা গেল, একজনের জমি সংক্রান্ত কোন ঝামেলা হয়েছে, সেই ঝামেলায় মামলা হয়েছে, আজকে তার রায় হবে। আর আরেকজন দালাল। দুনিয়ার সকল সমস্যার সমাধান তার হাতের মুঠায়…ফাঁপরে ফাঁপরে একাকার করে দিচ্ছেন সবকিছু…

বিস্তারিত»

একটি বার্গারের আত্মকাহিনী

আমাকে আপনারা সবাই চিনেন। জ্বী আমি আপনাদের অনেকের প্রিয় খাবার।কিন্তু আমি সাধারণ কোনো ফাষ্ট ফুড কিংবা হোটেল এর বানানো খাবার নই। আমার আত্ম-কাহিনী অন্য কোনো বার্গারের মতো নয়।আমাকে সপ্তাহের ৭ দিন পাওয়া যায়না, আমাকে সারাদিন ও পাওয়া যায়না, আমাকে সারা পৃথিবীর মাত্র ১২টি জায়গায় পাওয়া যায়, প্রতি বৃহস্পতিবার, বিকেলে (মাগ-রিবের নামাজের আগে বা পরে)। আমাকে খাবার জন্য সবাই আলাদা পোশাক পরে আসে। সাদা পাঞ্জাবী এবং সাদা পায়জামা।

বিস্তারিত»

জীবনটাকে উপভোগ করে গেল বন্ধু সঞ্জীব চৌধুরী

[এক বছর আগে এইদিনে চিরবিদায় নিয়েছিল বন্ধু সঞ্জীব চৌধুরী। তাকে নিয়ে এই লেখাটা সামেহায়ারইনে গতবছর এইদিনে দিয়েছিলাম। লেখাটায় কোনো পরিবর্তন না করে এই ভূমিকাটুকু যুক্ত করে ক্যাডেট কলেজ ব্লগে দিলাম।]

জীবন একটাই, আর সেটাকে পুরোপুরি উপভোগ করে আমাদের চোখের আড়ালে চলে গেল সঞ্জীব চৌধুরী। আমার বন্ধু। আমাদের কাছে এই মৃত্যু ভাবনায় ছিল না, কামনার তো নয়ই। মাত্র ৪৪ বছরের জীবন! কেউ এই সময়টাকেই যথেষ্ট মনে করেন,

বিস্তারিত»

আমার চলে যাওয়া!!!

কয়টা বাজে দেখতে পারলে খুব ভাল হত-ভাবলাম আমি। বেশ কিছুক্ষণ আগে কে জানি বলে গেল আর দেড় ঘণ্টা বাকি। কতক্ষণ আগের কথা সেটা, আধা ঘণ্টা? বিশ মিনিট? আমি হাঁক ছেড়ে ডাক দিলাম,
-‘আনিস ভাই, এই আনিস ভাই…’
-‘জ্বি ভাইয়া, কিছু বলবেন?’
-‘আর কতক্ষণ বাকি?’
-‘উম্‌…আর পঁচিশ মিনিট বাকি…কিছু এনে দেব??’
-‘না থাক, থ্যাংক ইউ!’

আর পঁচিশ মিনিট! তারপরই সব কিছুর উর্ধ্বে চলে যাব আমি।

বিস্তারিত»

টুশকি ১২

টুশকি [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১০] [১১] [১৩]

১. কুমিল্লার একটা ইউনিটে জনা ত্রিশেক নতুন সৈনিক যোগদান করেছে। এ্যাডজুট্যান্ট জিজ্ঞেস করল, “সামনে বক্সিং কম্পিটিশন আছে, কে কে বক্সিং করবি”? কেউ হাত তোলে না। যথারীতি সিএসএম ঘন্টাখানের রগড়ায়ে নিয়ে আসে।

বিস্তারিত»

টেবিল পার্টি

বরিশাল ক্যাডেট কলেজ এর একটা ট্রেডিশন ছিল যে কোনো ব্যাচ যাবার আগে টেবিল মেটদের সাথে টেবিল পার্টি দিবে। তো এই টেবিল পার্টির সময় বিভিন্ন সমস্যা হয়।আমাদের ব্যাচ এর সমস্যাগুলো আমি টেবিল হিসেবে এখানে লিখছি: B-)

১। ৪ নং টেবিল এর পার্টি হয় ৩০৪ নং রুমে। খুব ভাল ভাবে পার্টি শুরু হল,পরীক্ষার্থী নাইম তো ব্লেজার,টাই,সু পরে পার্টি তে আসলো।গান বাজনা খাওয়া দাওয়া শেষ এ আমরা টয়লেট থেকে হাল্কা ধুয়া পান করে এসে করিডরে গল্প করতেসি ঔ সময় ডিউটী মাষ্টারের হাউসে আগমন।এসে দেখে ঔ রুম থেকে জুনিয়ররা মুড়ী,মিষ্টীর প্যাকেট,চানাচুর এর প্যাকেট ঝাড়ু দিতেসে।স্যার এসে তার মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে ফেললো।(কেউ ভাব্বেন্না যে সে n-95 নামক ৫ মেগা pixel ক্যামেরা দিয়ে ছবিটা তুলসে।তিনি তার vga ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে ভাব মারতে মারতে হাউসে ঘোড়াঘোড়ি করলো ) সেদিন তাকে বিট দেয়ার কথা ছিল কিন্তু এই কারণে দেয়া হলনা।তিনি অবশ্য পরে আর তা রিপোর্ট করেন্নাই।

বিস্তারিত»

বাংলা ভার্সেস ইংরেজি

[মরতুজা ভাইয়ের “আমার বাংলা শেখা আর আমাদের হিজড়ারা” ব্লগে শার্লীর কথাগুলো পড়ার পর মনের ভিতর যা যা এসেছিল তার প্রায় সবই বলে দিয়েছে মাসরুফ। থ্যাংকস ব্রাদার, কথাগুলো যথার্থভাবে তুলে ধরার জন্য। এর বিপরীতে মন্তব্য করতে যেয়ে ওভার ওয়েট হয়ে গেল। তাই সেটাকে ব্লগের সম্মানে সম্মানিত করলাম। কয়েকদিন না লেখার গ্যাপটাও চামে পূরণ হবে…. 😛 ]

ক্যাডেট কলেজে ভালো অনেক কিছু শিখেছি।

বিস্তারিত»