আমার ইমিগ্রেশন অভিজ্ঞতা -১

বিভিন্ন দেশ ঘুরে ইমিগ্রেশনের ও এয়ারপোর্টের কিছু মজার মজার অভিজ্ঞতা হয়েছে । এগুলো শেয়ার করার জন্যই লিখছি আজকে :

সিংগপুর ইমিগ্রেশন :

সিংগাপুরের চাংগী এয়ারপোর্ট আমার প্রিয় এয়ারপোর্টগুলোর একটা। অতি আধুনিক এই এয়ারপোর্টে সময় পাস করা কোন ব্যাপারই না। শপিং করে, ঘুরে, মানুষের ব্যস্ততা দেখে সময় কাটিয়ে দেয়া যায় অনায়াসেই। সিংগাপুর ইমিগ্রেশও খুব আধুনিক। স্মার্ট অফিসাররা খুব দ্রুততার সাথে সবকিছু শেষ করে।

বিস্তারিত»

তুমি রোজ বিকেলে আমার বাগানে

১। মাইয়ার নাম মম। বাবার নাম প্রিন্সিপাল স্যার। দেখতে ক্যামন ছিল মনে নাই। অবশ্য ওই সময় মন অতো সুন্দরীও খুজতো না …… ‘অতেই চলবে’ টাইপ ছিলাম। আমাদের গেমস শেষ হবার পর টারজান স্যুইং এর রোপের নীচের মোটা গিট্টুটার উপর বইসা মম দোলা দোলা খেলতো। গিট্টুটার উপর ক্যামনে যে বসতো, আহারে। কত পোলাপাইনরে দেখছি ক্যান্টিনে যাওয়ার পথে অথবা ছুটির দিনে ওই গিট্টু নিয়া তফসরা (গবেষণা) করতেছে।

বিস্তারিত»

নুঁগা (নঁওগা)পার্টি……

আমাদের ক্লাসে নঁওগা জেলার পো্লাপান প্রায়ই তাদের উচ্চারনের বিশেষনের কারনে আমাদের অসীম মজার খো্রাক এবং টিজ নামক আক্রমনের শিকার হত । তার কিছু উদাহরন মনে পরল…

০১ ক্লাস সেভেনে এক নুঁগা দুপুরে কারি ও ডাল একসাথে খাওয়া দেখে অবাক হয়ে, ভ্যাই (ভাই), ড্যাল দিয়ে কি ম্যাংশ দিয়ে খ্যায় ।

০২ সেভেনের ২য় টার্মের পর ছুটি পেয়ে খুশিতে আত্নহারা হয়ে, এবার ন্যাচতে ন্যাচতে গ্যাইতে গ্যাইতে বাড়ি যাবো ।

বিস্তারিত»

যাদের সাথে বসবাস

লাইবেরিয়াতে আসার আগে বৌ’কে নিয়ে মুশফিকের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। সাথে ছিল শামীম। ও বছরখানেক আগে পার্শ্ববর্তী দেশ আইভরী কোস্টে শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করে গেছে। গাড়ীতে বসে শামীম নানান পরামর্শের সাথে সাথে পশ্চিম আফ্রিকার বিপদজনক রোগবালাইয়ের কথা বলছিল। ম্যালেরিয়া, ইয়েলো ফিভার, টাইফয়েডের সাথে ছিল লাসা ফিভারের কথা। লাসা ফিভারে আক্রান্ত হয়ে একজন সৈনিক মারা গেলে স্টিলের কফিনে ৪০ ফুট মাটির নিচে লাইবেরিয়াতেই সমাহিত করা হয়।

বিস্তারিত»

একটি কাল্পনিক গল্প!!!

‘নিজের বাড়ির আলাদা একটা ঘ্রান আছে’-মনে মনে ভাবলেন আমানুল্লাহ্‌ চৌধুরী। কই,থাইল্যান্ডএ গত দুবছর যে এক বাসায় থাকলেন একবারও তো এই ঘ্রানটা পেলেন না…অবশ্য পাবেনই বা কি করে? ছিলেন পুরো দৌড়ের উপর। দেশে দূর্নীতি দমনের নামে যে ধর-পাঁকড় শুরু হল তা থেকে বাঁচার জন্য প্রথমে ঢাকা-দুবাই, এরপর দুবাই-লন্ডন সবার শেষে লন্ডন-ব্যাঙ্কক! থাইল্যান্ড গিয়েও কি শান্তি ছিল? দলীয় কোন্দল, বেইমানির ভয়, স্থানীয় পুলিশের ভয়- আরও কত কি!!!

বিস্তারিত»

টুশকি ১১

টুশকি [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১০] [১২]

১. গৃহপালিত কুকুরের ভাবনা: আমার মনিব আমাকে খেতে দেয়, থাকতে দেয়, আদর করে – আমার মনিব নিশ্চয়ই ফেরেশতা।
গৃহপালিত বিড়ালের ভাবনা: আমার মনিব আমাকে খেতে দেয়, থাকতে দেয়,

বিস্তারিত»

ক্যাম্পাসের রানী শম্পা

আমগোর আছিল শম্পা ম্যাডাম। পুরা কলেজের রানী। আন্ডা-আব্বা হুদা না সিনিয়র-জুনিয়রেরও বালাই নাই। পোলাপাইন খালি তসবি নিয়া জপে শম্পা, শম্পা। কেউ কেউ গভীর রাইতে উদাস হইয়া দরাজ গলায় হিন্দি সুরে গান ধরে “শম্পা শম্পা, ও মাই ডারলিং…..”। হাহ…

এইরকম একদিন সকাল ১০টা-১১টা অইবো। কুনু কারণে নির্ধারিত শিক্ষক ক্লাস নিতে আসে নাই। পোলাপাইন গ্যাজাইতাছে। কেউ কেউ আবার ব্ল্যাকবোর্ডে নানা সৃজনশীল আঁকাঝুকিতে ব্যস্ত। কে হইতে পারে এইডা,

বিস্তারিত»

কেনিয়াতে ওবামা জ্বর

কেনিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম কোগোলোতে লোকজন ভোট দিচ্ছে বারাক ওবামাকে । না চমকানোর কিছু নেই এটা সত্যিকারের ভোট নয়, প্রতিকী ভোট মাত্র। কিন্তু সারা কেনিয়া জুড়ে উৎসাহ উদ্দীপনা কোন অংশেই যুক্তরাস্ষ্ট্রের চেয়ে কম নয়। এখানে অলরেডী ওবামার জয়ের খবর পৌঁছে গেছে। সারা কেনিয়া জুড়ে আনন্দের ঢেউ। রাস্তায় রাস্তায় মিষ্টি, পানীয় বিতরন চলছে। যেন ঘরের ছেলেই নির্বাচনে জিতেছে। আজ টিভিতে শুনলাম কেনিয়ার অনেক শিশুর নাম নাকি ওবামা রাখা হচ্ছে ।

বিস্তারিত»

টুশকি ১০

টুশকি [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১১]

১. বিএমএ’তে কোন ক্যাডেটের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সময় ক্যাডেটকে “এ্যাকিউজড” বলে সম্বোধন করে পূর্ণ সামরিক কায়দায় মার্চপাস্ট করিয়ে টার্ম কমান্ডারের অফিসে নেয়া হয়। আমাদের কামরুজ্জামান সাব (জেসিও ইন্সট্রাকটর) এর গলায় “এ্যাকিউজড”

বিস্তারিত»

আমি কবি নই তবু কাক ভালবাসি

কাককে বলা হয় ‘স্মার্ট’ পাখি। সে নগরীতে বসবাসের জন্য নাকি তার ভাবগাম্ভীর্যের জন্য, তা আমার ঠিক জানা নেই।তবে সে যখন ঝট করে ঘাড় নাড়ায় তখন মাল্টিন্যাশনালগুলির তুখোড় এক্সিকিউটিভও হাত তালি দিতে বাধ্য হবেন।বাহ! জোশ একটা মোশন দিল তো!

বৃষ্টি দিনে কেউ ভিজে চুপসে হয়ে আছেন।সাথে সাথে সবার মন্তব্য- কাকভেজা ভিজছেন দেখছি। ভেজা কাককে কিন্তু মানুষের মত এমন চুপসে যেতে কোনদিনই দেখিনি। তবু কাকভেজা কেন বলে,

বিস্তারিত»

খেরোখাতা- বৃষ্টির ঘ্রানে

(এখানে বৃষ্টি হচ্ছে, তোমার ওখানেও কি তাই?)

বৃষ্টির আলাদা একটা ঘ্রান আছে, প্রথম যখন বৃষ্টির ফোটা পড়ে, তখন এক ধরনের ঘ্রান, একটু ধুলো ধুলো সেটা, যদি বছরের প্রথম বৃষ্টি হয় তাহলে তো কথাই নেই। একটু বেশি সময় নিয়ে পড়লে ঘ্রানটা বদলে যায়, মাটি মাটি ঘ্রানটা নাকে আসে তখন। আর যখন টানা বৃষ্টি তখন একটা সোদা সোদা গন্ধ পাই আমি। আর সবগুলো গন্ধই,

বিস্তারিত»

আমার প্রথম প্রেম

আমরা সেভেন-এ জয়েন করার কিছুদিন পর এক ম্যাডাম জয়েন করলেন। দেখতে শুনতে আল-হামদুলিল্লাহ। আমি কিছু বুঝে না বুঝেই তার প্রেমে পরে গেলাম। সেই রকম প্রেম, রাতে ঘুম হয় না টাইপ, আমার প্রথম প্রেম। তখনকার টুয়েল্ভ-এর এক ভাইয়ের বড় ভাই যিনি নিজেও আমাদের কলেজেরই এক্স-ক্যাডেট, উনার সাথে পরে তিনার বিয়ে হয়ে যায়। দুঃখ পাইলেও কষ্ট পাইনাই এই ভেবে যে ‘যাক, ফ্যামিলিতেই তো রইল’।(এই ম্যাডামকে লইয়া আমার অনেক অম্ল মধুর গল্প আছে।

বিস্তারিত»

আজকের সিসিবি

বাংলালিংক যতই দিন বদলের কথা বলুক, কিছু মানুষের দিন বদলায় না। এই যেমন আমি-
সেই আজো পরীক্ষা থাকা সত্বেও করবীর হাতে বানানো ব্রেকফাস্ট ত্যাজ্য করে অফিসে এসেছি…..সেই আজও হাজিরা খাতায় লালকালি। সেই আজও একটি সিগারেট ধরিয়ে পিসি ওপেন করেই ক্যাডেট কলেজ ব্লগ।

কিন্তু আজ ব্লগে ঢুকেই মাথা নষ্ট। সযতনে কাল সন্ধ্যায় প্রথম পাতায় কয়েকটি পোস্ট রেখেগিয়েছিলাম। আগের দিনগুলোর মতই সেগুলি তৃতীয় কিংবা চতুর্থ নম্বরে থাকার কথা।

বিস্তারিত»

আচার০০৪ : কি করুম আপনারাই কন…

খাওয়া নাই, ঘুম নাই, খালি মাথা গুঁজিয়া কাজ করিয়া যাওয়া। লক্ষ্য একখানা মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন। এতোই ব্যস্ততা যে ইদানীং সিসিবিতেও আসিতে পারি না। আজকাল যাহা করিতেছি তাহা হইল সরঞ্জামীকরণ পরিকল্পনা, উহাই করিতেছিলাম খানিক আগে পর্যন্ত। কাজের মাঝে অকস্নাৎ টিং শব্দ করিল আমার বজ্রপাখি, তড়িৎডাক আসিয়াছে। পড়লাম সেই তড়িৎ ডাক, হাসিব নাকি গলা ছাড়িয়া কাঁদিব বুঝিতে পারিতেছি না। আপনাদের সহৃদয় বিবেচনার জন্য নিম্নে তড়িৎডাকখানি হুবুহু তুলিয়া দিলাম।

বিস্তারিত»

“প” নাকি “ফ”

১।
মিলন ষ্টাফ ক্যাডেট পার্খ কে বলতেন, আই ফার্থ……এদিক আয়
আর ক্যাডেট ফাত্তাহ কে বলতেন, আই পাত্তাহ… এদিক আয়
তো এই কথা শুনে ফাত্তাহ ভাই উনা কে জিজ্ঞাশা করলেন যে , ” ষ্টাফ,আপনি সবসময় প কে ফ বলেন কেন?”
মিলন ষ্টাফ এর সহজ উত্তর, “আমি তো “ফ” কে “ফ” ই বলি কিনতু সবাই “ফ” বুঝে…”
২।
পিকনিক এ যাবার সময় বাস এর ব্যাক বেঞ্চে বসে সবাই গান ধরলাম,

বিস্তারিত»