A TRIBUTE TO A MOTHER
মাতৃতুল্য অতি ঘনিষ্টজন গতরাতে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করেছেন, তিনি আমার সুখ-দুঃখের সাথী এমনই এক বন্ধুর মা। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন।
আমার এই বন্ধুটির সাথে আমার পরিচয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকে, ১৯৯৫ সাল থেকে, একই ডিপার্টমেন্টের সহপাঠী হিসেবে। আমাদের দুজনের এলাকা ভিন্ন এবং পরবর্তীতে বেশ ভিন্ন কর্মজীবনে থাকা স্বত্ত্বেও সুখে-দুঃখে অনেক স্মৃতিতেই আমরা একে অপরের সাথে জড়িয়ে আছি। আমি পড়েছি ক্যাডেট কলেজে আর আমার বন্ধুটি নন-ক্যাডেট ব্যাকগ্রাউন্ডের। আমি এখন আছি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায়, আর আমার বন্ধুটি সামরিক বাহিনীর এডুকেশন কোরের একজন চৌকস অফিসার।
আর তার মায়ের সাথে আমার পরিচয় খুব সম্ভবতঃ ১৯৯৬ সাল থেকে, যখন আমার মায়ের মৃত্যুর পরে আমি প্রথম আমার বন্ধুটির সাথে কুমিল্লায় তাদের বাসায় বেড়াতে যাই।। অসম্ভব রকমের স্নেহশীল, অতি সরলমনা এবং সদা স্মিত হাসিমুখের এই নারীকে আমার পক্ষে কখনোই ভোলা সম্ভব নয়। একজন সন্তানের মতই যেন তাঁর স্নেহধন্য ছিলাম সবসময়। ছেলের বন্ধুর প্রতি তাঁর নিজ সন্তানের মতন ভালবাসা সবসময়ই তাঁকে মায়ের আসনে রাখতে আমাকে বাধ্য করেছে। তাঁর কাছে আমি চিরকালই একটি বিষয়ে ঋণী থেকে যাব, তা হলো, তিনি আমাকে অসম্ভব রকমের বিশ্বাস করতেন। নিজের সন্তান ছাড়া কোন মা আর কাউকে এমন বিশ্বাস কখনো করতে পারেন, তা মাতৃতুল্য এই নারীর সংস্পর্শে না এলে আমি হয়তো কখনোই উপলব্ধি করতে পারতাম না। পরম করুণাময়ের কাছে খালাম্মার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত প্রার্থনা করছি; আল্লাহতালা তাঁকে যেন জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করেন।
খালাম্মা নানান শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। বেশ কিছুদিন প্রায় আনকনশাস অবস্থায় বিএসএমএমইউ-তে ভর্তি ছিলেন। আমার জানামতে, গতরাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন, যদিও আমি খবরটা জানতে পারি আজ ভোররাত একটার দিকে। খুবই খারাপ লাগছে। শুধু যে ঘনিষ্ট বন্ধুর মাতৃবিয়োগে কষ্ট পাচ্ছি, তা নয়; বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকে আজ অবধি পড়াশোনা, ক্যারিয়ার এবং পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে আমাকে সব সময় সাপোর্ট দিয়ে যাওয়া এই বন্ধুটির পাশে এই মুহূর্তে না থাকতে পারাটাও অনেক কষ্টের।
রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বা ইয়ানি সাগিরা।
বন্ধুর মায়ের প্রতি যথার্থ সম্মান ও ভক্তি প্রদর্শন করে বন্ধুর প্রতিও সম্মান ও সহমর্মিতা প্রদর্শন করা হলো।
মরহুমার মাগফিরাত কামনা করছি।