টুশকি [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১০] [১১] [১২] [১৩] [১৪] [১৫] [১৬] [১৭] [১৯]
১. আমার দুই ক্লাসমেট সামিরুল আর কাওসার যথাক্রমে রংপুর ও যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে ঢাকায় এসে ছুটি কাটাচ্ছিল।
বিস্তারিত»সিমিকে নিয়ে এই ব্লগটি অনেকেই পড়েছেন। ওর জন্য খুব দ্রুত ৫০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। সিসিবির অনেকেই যথাসাধ্য করবেন বলে মন্তব্য করেছেন। আরও বেশ কিছু ব্লগে ক্যাম্পেইন করা হয়েছে। করা হচ্ছে মানব বন্ধন সহ আরও অনেক কিছু। কিন্তু একাউন্টে পড়ে আছে মাত্র ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। অথচ সময় ঘনিয়ে আসছে।
গতবছর আমার খুব প্রিয় একজন শিক্ষক মারা গিয়েছিলেন একই কারণে। টাকা তুলতে তুলতে বেশ দেরী হয়ে গিয়েছিল।
বিস্তারিত»দেখি, আজ একটা গল্প বলি বরং।
এক বাড়ির বড় ছেলে নতুন বিয়ে করে খুব লক্ষীমন্ত একটা মেয়েকে ঘরে নিয়ে আসলো। দুইজনে খুব ভাব-ভালবাসা, খুব মিল-ঝিল। নিজেদের মত করে সুখেদুখে দিন কাটায়।
বাড়ির বাকি লোকজনের আবার এটা পছন্দ হলো না। রূপকথার কূটনী বুড়িদের মত তাদের চোখ টাটাতে লাগলো এত সুখ দেখে। তারা নানান মিটিং-টিটিং করে একসাথে নানান রকম ফন্দি-ফিকির করতে লাগলো। বৌ-টার লক্ষীপনাকে বললো ন্যাকামী,
আই ইউ টির সেকেন্ড ইয়ারে মনে হয় প্রথম কম্পিউটার কিনি। উদ্দেশ্য ছিল শুধুই গেম খেলা। গেম খেইলা খেইলা কত দিবস রজনী পার কইরা দিছি তার ইয়ত্তা নাই। ক্লাসও ফাঁকি মারতাম প্রায়ই। গেমের স্বপ্নীল জগতটাতে হারিয়ে যেতে যে কি ভালো লাগত। আর আমার গেম খেলার মেশিনটাকে আদর কইরা নাম দিছিলাম গ্যালাহাড। এই বিতিগিচ্ছিরি নামটার আদি মালিক ছিলেন কিং আর্থারের রাউন্ড টেবিলের একজন নাইট। স্যার ল্যান্সেলটের জারজ সন্তান।
বিস্তারিত»১.
কোন কোন সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকেই সবকিছু ভাল লাগতে শুরু করে। সেইদিন সকালের পরোটাটা অমৃতের মত লাগে, আলুভাজি কিংবা ডিমের স্বাদ মনে হয় ওই সকালেই সবচেয়ে ভালো হয়! ভার্সিটিতে ভোর সকালে কোন ক্লাস থাকেনা কিংবা ওইদিন বস ছুটিতে থাকে বলে অফিসে দেরীতে গেলেও হয়। সকালের ভালোলাগার রেশটুকু যেন সারাদিনের সঙ্গী হয়ে যায়।
ক্লাস করতে গেলে দেখা যায় সবচেয়ে বদরাগী স্যার ক্লাসে আসেননি অথবা কোন এক বিচিত্র কারনে ওই স্যার ক্লাসে গল্প করছেন।
১৯৯২ সালে ক্লাস সেভেনে কলেজে যোগদান করার পর একটামাত্র ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে স্টেজে ওঠার সুযোগ হয়েছিল। প্রাক্তন ইউএসএসআর ভেঙ্গে অনেকগুলো দেশে পরিণত হওয়ার ঘটনাটাই ছিল আমাদের হাউসের বিষয়বস্তু। আরও কয়েকজনের সাথে আমাকেও একটা পুরনো রেইনকোটে আবৃত করে দেয়া হলো। বড় ভাইদের কে যেন এসে কাজল দিয়ে একটা গোঁফ এঁকে দিলেন। ক্লাসমেট আরও কয়েকজনের সাথে আমি মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে রিনরিনে কন্ঠে “গেট ব্যাক গেট ব্যাক, রেড আর্মি গেট ব্যাক”
বিস্তারিত»পাঠকগন, আমার এই লেখাটা মাস্ফ্যুর জোরাজুরির ফলাফল, ছোট ভাই একটা দাবী করেছে। ফেলতে পারলাম না। যা মনে আসল লিখে ফেললাম।
১৯৯৭ সালের ঘটনা। আমরা তখন ক্লাস টুয়েল্ভে। আই সি সি এফ এম (ফুটবল) উপলক্ষে আমি মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে গিয়েছিলাম। এটা ছিল আমার ২য় আই সি সি। (এর আগে ৯৬ তে গিয়েছিলাম জেসিসি তে এ্যাথলেটিক্স টিমের মেম্বার হয়ে)। আমাদের ফুটবল টিমের কম্বিনেশন টা ছিল দারুন।
বিস্তারিত»…শশাঙ্ক নামে একটা ছেলে জন্মেছে একটু আগে। ম্যাটার্নিটি ওয়ার্ডের ঘোলাটে পর্দাঢাকা কেবিন থেকে তার চিল-চিৎকার ভেসে আসছে। ফিনাইলধোয়া ঘরে জীবাণুমুক্ত তোয়ালেতে সে জড়ানো। রোগ-জরা তাকে এখন ছুঁতে পারবে না। আরো অনেক অনেক দিন পরে সে পঙ্কিল হবে, তার আগে এখন অন্তত সে নিষ্পাপ, সরল, নির্মল আগমনের পরে কাঁদছে। শশাঙ্কের মা, একটু আগে প্রসবজনিত রক্তক্ষরণে মারা গেছেন চুপচাপ। মৃত্যুর একটু আগে তিনি একবার শশাঙ্ককে কোলে নিয়ে তার নরোম মাথায় চুমু খেয়ে বিড়বিড় করে কী যেন বলেছেন।…
বিস্তারিত»সার্ভার বদল করে একেবারে নিজের বাড়িতে আসার পর থেকেই জিহাদ ব্যাটাকে বলে আসছিলাম এবার সিসিবিকে নতুন করে সাজিয়ে ফেল। নতুন বাড়ি নতুন করে না সাজালে ক্যামনে কী? কিন্তু শয়তানটা আমার চেয়েও বেশি অলস। জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে যেখানেই ওর সাথে আমার দেখা হয় প্রথম কথাই হচ্ছে ‘ওই ব্যাটা, সব কিছু নতুন করে সাজাবি না? জলদি কর, সিসিবির বর্ষপুর্তির আগেই কর।” আর ওই ব্যাটা ‘পরীক্ষা চলতেসে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুর দিতে হবে’
বিস্তারিত»কাজ শেষ করে বাসায় যাবার জন্য উশখুশ করছি ঠিক তখনই ফোনটা বেজে উঠল। যাহ শালা এখনই দেখা যাবে কোন এক কাজের ফোন দিবে আমাকে আটকে আরো ঘন্টা দুয়েকের জন্য। ধরব না ধরব না ভেবেও শেষে ফোন তুললাম। যতটা বিরক্তি আনা যায় তা ফুটিয়ে বললাম হ্যালো।
-কিরে শালা আছিস তাহলে এখনো অফিসে, আমার বাসায় চলে আয়।
রাতুল আমার ভার্সিটি জীবনের বন্ধু। কিন্তু আজ আমার একদমই কোথাও যেতে ইচ্ছা করছে না।
প্রথমেই বলে রাখি কলেজে দেয়াল পত্রিকার দূর্দান্ত প্রতাপের সময়েও আমার দৌড় ছিল চুরি করে একটা ছড়া পর্যন্ত। রহমান ওর লেখাতে আমার নাম উল্লেখ করাতে আমি এডিট করতে বলেছিলাম। জিহাদ আর রহমান দুইজনে মিলে উত্তর দিল নিজেকে এডিট করার জন্য। এটা হল এক নম্বর মোটিভেশন। আর দুই নম্বর টা হল ঐ লেখাতে কমেন্ট চালাচালির পর মাথাটা খারাপ হয়ে গেল। মাথার ভেতর পরশুর পরিক্ষার পড়া লিড টাইম,
বিস্তারিত»সবার ঈদ কত দিনের আমি জানি না, কিন্তু আমার ঈদ আমার ক্যাডেট কলেজের বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি শেষ হওয়ার সাথে সাথে শেষ হয়ে যায়। আজ আমার ঈদ শেষ। প্রতিবার এই ঈদ শেষ হওয়ার পর কি করব বুঝতে পারি না। কিন্তু আজ আমি জানি আমার একটা দায়িত্ব আছে, আর তা হল সিসিবিতে সবাইকে জানানো যে আমার ঈদ কেমন গেলো। এমন নয় যে সবার খুব জানতে ইচ্ছা করছে কিন্তু আমার খুব জানাতে ইচ্ছা করছে।
বিস্তারিত»আমার বুদ্ধি একটু কম হবার কারনে কিনা জানি না- অনেক কিছুই ঠিকমত বুঝতে পারি না…কাউকে যে প্রশ্ন করে যে জেনে নেব সাহসের অভাবে সেটাও ঠিকমত হয়ে ওঠে না…তাছাড়া আমার জ্ঞান পিপাসাকে দমাবার কারনেই হয়ত জ্ঞানী-গুণিরা বলে গেছেন ‘জানার কোন শেষ নেই’ অথবা ‘অধিক কৌতুহলে বিড়াল মরে’…ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে ইদানিং ‘বাঁচতে হলে জানতে হবে’ এই স্লোগান দেখে আবার উৎসাহ পাচ্ছি…আমি যেহেতু বিড়াল নই- বরং একজন ‘বৃক্ষ-মানব’,
বিস্তারিত»