১.
অনেকক্ষণ ধরে পজিশন নিয়ে আছে অপু। জানালার ফাঁক গলে এয়ারগানের নলটা বাড়ির পাশেরই এক গাছে তাক করা। গাছে চড়ুই পাখির বাসা আর জানালার এপাশে বিছানার উপর অপু। নতুন বাঁচ্চা ফুটেছে চড়ুইটার, দুটো ছানা। মা চড়ুইটা বাসায় আসলেই বাচচাগুলো কিচির মিচির করে মায়ের মুখ থেকে খাবার কেড়ে খায়, অপুর দেখতে ভাল লাগে। মা-টা আশেপাশেই আছে হয়ত, খাবার খুঁজতে ব্যস্ত। কিন্তু আজ মা চড়ুইটার নিস্তার নেই অপুর হাত থেকে,
দশ বছরের ক্যাডেট জীবনঃ বিদায়বেলার কথা
আইইউটি-তে ‘০৫ ব্যাচে আমরা মির্জাপুরের ৬ জন আছি। কলেজে ছয় বছর কাটিয়ে আসার পর কখনও ভাবিনি আবার একই প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পাবো। অন্তত আমি ভাবিনি। প্রথম আইইউটি-তে এসে যখন ইমন আর তুহিনকে দেখলাম তখন কেমন অনুভূতি হয়েছিলো বলে বোঝাতে পারবো না। তিনজনে মিলে এক রুম নিয়ে নিলাম। পরে দেখলাম আমাদের কলেজের আরও তিনজন আছে: শামীম, জিহাদ আর মামুন। এ বিষয়ে কারও কোন সন্দেহ ছিল না যে,
বিস্তারিত»স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট
মিশন এলাকায় একই স্থানে আবদ্ধ থাকতে থাকতে এবং একই কাজ করতে করতে একঘেয়েমি চলে আসে। এটা কাটানোর জন্য যৎকিঞ্চিত বিনোদনের যা ব্যবস্থা আছে তাও অপ্রতুল মনে হয়। তারউপর আছে পরিবার পরিজন থেকে দূরে থাকার কষ্ট। এই সবকিছু মিলিয়ে একটা মানসিক ক্লান্তি আমাদের সবার উপর ভর করে বসে যেটাকে সহজভাবে “স্ট্রেস” বলে আখ্যায়িত করা হয়। আর এটাকে কমানোর জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপই “স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট”।
আমরা যে স্থানে থাকি সেটা “কারী কমপ্লেক্স”
বিস্তারিত»ইংরেজি খাতা
১। টার্ম এন্ড এর খাতা দিতে এসে ‘খান’ সার বললেন, “আই ইয়ে কতা হছছি গিয়ে কতা তা না,তোরা সবাই পাশ করেছিস একজন ছাড়া,আর উনি হলেন…।।”থাক নাম টা বললাম না। এরপর খান সার ওর খাতা থেকে একটি ট্রান্সলেশন আমাদের পড়ে শুনালেন।
মানুষ সৃষিঠর সেরা জীব
ম্যান ইজ দি কিং অফ এনিম্যাল
২। আমাদের এই বন্ধু যখনি আমাদের ডর্মে আসতো,সে বলতো, “ম্যা আই কমিন প্লিজ ছার”
উদ্ভট ফ্যান্টাসী
অনেকদিন ধরে কিছু একটা লিখবো চিন্তা করতেছিলাম। এখন সিসিবি এর যেই লেখার স্রোত চলতেছে, ভাবলাম, উদ্ভট কিছু দেয়ার এইতো সময়।
১।
জিহাদ এর ফোনে হঠাৎ ঘুম ভাংলো।
“রবিন ভাই, নেক্সট উইকে যে সিসিবি গেট টুগেদার আছে, মনে আছে?”
ওহ, তাইতো, ভুলেই গেসিলাম।
“না ভাই, ভুলবো কেন?” খুব ভাব নিয়ে বললাম।
“তুমি আমাকে প্রোগ্রাম ডিটেইলস টা আমার কমিউনিকেশন মডিঊলে সেন্ড করে দিও।“
চিন্তা করতে লাগলাম,
বিস্তারিত»রং বেরংয়ের ভুল
গোলাম মুরশিদ এইবার প্রথম আলোর ঈদ সংখ্যায় একটা প্রবন্ধ লিখেছেন, শিরোনাম – (অ) শিক্ষার ইতিকথা। আত্নজীবনী ধাচের এই লেখায় তিনি নিজেকে অকাট মূর্খ প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। যাইহোক জ্ঞানী গুনীরা বিনয় দেখিয়ে অনেক কিছুই বলে কিন্তু তার সবই ধর্তব্য নয়। নিজের মূর্খতার প্রমাণ স্বরূপ তিনি লিখেছেন- এম, এ ক্লাসে যখন রবীন্দ্রনাথের ‘বিসর্জন’ পড়ানো হচ্ছিল তখন তিনি অবলীলায় লিখে গেছেন “বিষর্জন” । আবার তিনি বহু বছর পর সুদূর লন্ডনে গিয়ে বিবিসিতে নিজের একজন প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়ে স্বান্তনা পেয়েছিলেন।
বিস্তারিত»আমরাই পারি বনাম আমরা পারিও
১। কলেজে ফল বলতে ম্যাক্সিমাম সময়-ই দিতো কলা। কালে-ভদ্রে অন্য ফল দিত। সেই রকম এক কালে-ভদ্রে লাঞ্চে ‘আম’ দিয়েছে। ডিউটি মাস্টার সেইদিন কেমিষ্ট্রির ম’আলি। তিনি আবার খুবই পরিপক্ক প্রোনান্সিয়েশানের সহিত ইংলিশে টক করতেন। ডাইনিং-এ ঢুকে তিনি বীকট শব্দে ঘন্টা বাজায়ে ঘোষনা দিলেন ‘জেন্টেলমেন, ম্যাংগো হ্যাজ বিন গিভেন। পার ম্যাংগো, ওয়ান ম্যান’।
২। ভূগোল ক্লাসে ফয়জুল হাসান স্যার কে ধরে রাখা যেত না। শুরু ভূগোলে হলেও তিনি কোথায় যে শেষ করতেন।
বিস্তারিত»চানাচুর
বুড়ো লম্পট রিয়াদ সাহেব সত্তর বছর বয়সে কুড়ি বছরে এক সুন্দরী তরুণীকে বিয়ে করলেন।
বছর ঘুরতেই খোকা হলো তাদের।
হাসপাতালের নার্স মুচকি হেসে বললো, ‘বাহ রিয়াদ সাহেব, বেশ ফর্মে আছেন মনে হচ্ছে?’
রিয়াদ সাহেব গর্বিত হাসি দিয়ে বললেন, ‘পুরনো ইঞ্জিনটাকে চালু রাখলাম আর কি।’
আরো দুবছর পর আবার খুকি হলো তার।
চুন্নু বৃত্তান্ত
আইজ সারদিন সিসিবিতে থাইকা হাইসা ঠিক তৃপ্তি হয় নাই । অফিসে আর কত হাসুম, রানার আর বিএসএম বাইরে ঘুর ঘুর করে । ভয়ে ভিতরে ঢুকেনা, স্যার না জানি কি পরে…এইসময় ডিস্টার্ব করলে ঝারি নিশ্চিত । অবশ্য তারা ঠিকই আন্দাজ করছিল । তাই অফিস শেষে রুমে গিয়া মুনরে ফোন দিলাম । আরেকদফা হাইসা জানটা জুরাইলো । চুন্নুরে নিয়া হাসতাছিলাম । অবশ্য পরে আমি আর মুন হিসাব কইরা বাইর করলাম যে কলেজের মজার এবং বিরক্তিকর প্রসংগ উঠলে চুন্নু ইজ মাস্ট,
বিস্তারিত»অপেক্ষা
সেই আটটা পঞ্চাশ থেকে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছি, ক্ষিলখেত ওভার ব্রিজ এর একটু সামনে। পকেট থেকে মোবাইলটা আনমনে বের করে পর্দার দিকে তাকাতেই আঁতকে উঠলাম। নয়টা তিরিশ বাজে। হলোটা কি, এখনো আসছেন না! আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম অনেক দূর চলে এসেছি – লোটাস কামাল টাওয়ার এর পাশে। অনেক্ষণ অন্যমনস্ক ছিলাম, তাই খেয়াল করিনি।
দিনের এই সময়টাতে আমি সাধারণত অন্যমনস্ক থাকি না। যন্ত্রের পিঁ পিঁ পিঁ শব্দে সকালে ঘুম ভাঙ্গে,
বিস্তারিত»আমার ইমিগ্রেশন অভিজ্ঞতা -১
বিভিন্ন দেশ ঘুরে ইমিগ্রেশনের ও এয়ারপোর্টের কিছু মজার মজার অভিজ্ঞতা হয়েছে । এগুলো শেয়ার করার জন্যই লিখছি আজকে :
সিংগপুর ইমিগ্রেশন :
সিংগাপুরের চাংগী এয়ারপোর্ট আমার প্রিয় এয়ারপোর্টগুলোর একটা। অতি আধুনিক এই এয়ারপোর্টে সময় পাস করা কোন ব্যাপারই না। শপিং করে, ঘুরে, মানুষের ব্যস্ততা দেখে সময় কাটিয়ে দেয়া যায় অনায়াসেই। সিংগাপুর ইমিগ্রেশও খুব আধুনিক। স্মার্ট অফিসাররা খুব দ্রুততার সাথে সবকিছু শেষ করে।
বিস্তারিত»তুমি রোজ বিকেলে আমার বাগানে
১। মাইয়ার নাম মম। বাবার নাম প্রিন্সিপাল স্যার। দেখতে ক্যামন ছিল মনে নাই। অবশ্য ওই সময় মন অতো সুন্দরীও খুজতো না …… ‘অতেই চলবে’ টাইপ ছিলাম। আমাদের গেমস শেষ হবার পর টারজান স্যুইং এর রোপের নীচের মোটা গিট্টুটার উপর বইসা মম দোলা দোলা খেলতো। গিট্টুটার উপর ক্যামনে যে বসতো, আহারে। কত পোলাপাইনরে দেখছি ক্যান্টিনে যাওয়ার পথে অথবা ছুটির দিনে ওই গিট্টু নিয়া তফসরা (গবেষণা) করতেছে।
বিস্তারিত»নুঁগা (নঁওগা)পার্টি……
আমাদের ক্লাসে নঁওগা জেলার পো্লাপান প্রায়ই তাদের উচ্চারনের বিশেষনের কারনে আমাদের অসীম মজার খো্রাক এবং টিজ নামক আক্রমনের শিকার হত । তার কিছু উদাহরন মনে পরল…
০১ ক্লাস সেভেনে এক নুঁগা দুপুরে কারি ও ডাল একসাথে খাওয়া দেখে অবাক হয়ে, ভ্যাই (ভাই), ড্যাল দিয়ে কি ম্যাংশ দিয়ে খ্যায় ।
০২ সেভেনের ২য় টার্মের পর ছুটি পেয়ে খুশিতে আত্নহারা হয়ে, এবার ন্যাচতে ন্যাচতে গ্যাইতে গ্যাইতে বাড়ি যাবো ।
বিস্তারিত»যাদের সাথে বসবাস
লাইবেরিয়াতে আসার আগে বৌ’কে নিয়ে মুশফিকের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। সাথে ছিল শামীম। ও বছরখানেক আগে পার্শ্ববর্তী দেশ আইভরী কোস্টে শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করে গেছে। গাড়ীতে বসে শামীম নানান পরামর্শের সাথে সাথে পশ্চিম আফ্রিকার বিপদজনক রোগবালাইয়ের কথা বলছিল। ম্যালেরিয়া, ইয়েলো ফিভার, টাইফয়েডের সাথে ছিল লাসা ফিভারের কথা। লাসা ফিভারে আক্রান্ত হয়ে একজন সৈনিক মারা গেলে স্টিলের কফিনে ৪০ ফুট মাটির নিচে লাইবেরিয়াতেই সমাহিত করা হয়।
বিস্তারিত»একটি কাল্পনিক গল্প!!!
‘নিজের বাড়ির আলাদা একটা ঘ্রান আছে’-মনে মনে ভাবলেন আমানুল্লাহ্ চৌধুরী। কই,থাইল্যান্ডএ গত দুবছর যে এক বাসায় থাকলেন একবারও তো এই ঘ্রানটা পেলেন না…অবশ্য পাবেনই বা কি করে? ছিলেন পুরো দৌড়ের উপর। দেশে দূর্নীতি দমনের নামে যে ধর-পাঁকড় শুরু হল তা থেকে বাঁচার জন্য প্রথমে ঢাকা-দুবাই, এরপর দুবাই-লন্ডন সবার শেষে লন্ডন-ব্যাঙ্কক! থাইল্যান্ড গিয়েও কি শান্তি ছিল? দলীয় কোন্দল, বেইমানির ভয়, স্থানীয় পুলিশের ভয়- আরও কত কি!!!
বিস্তারিত»