নিঃশব্দ বিভাজন

ছিন্নমস্তা শঙ্খ জোড়ার বিনুনি কাটা,
শিরদাঁড়ার পথে ওঠে হিংসার জহর।
অবশ করা নীল বেদনার আকাশ।
ইত্যবসরে কারও শাটার ক্লিক,
অবকাশ যাপন যাত্রার সুযোগ।

যদিও আছে, তবুও মনে করো নেই
আমার কোন সহোদর সহোদরা।
আর সব থাক; নয় মাস অবস্থান,
দৌড়াদৌড়ি শেখা পর্যন্ত স্তন্যদান।
বোমা কিংবা আগুনঝরা দিন-রাত
নিরাপদ থাকতে এবং রাখতে,
এদিক-সেদিক সতর্কতার সাথে
বুকে আগলে রেখে পলায়ন
শুধু এটুকুই তো সব নয়;

বিস্তারিত»

বাস্তবিক ব্যস্ততা

বাস্তবিক ব্যস্ততার
বিবর্ণ বিবরে
শৃঙ্খলিত
বিশৃঙ্খল সময়,
দীর্ঘসূত্রিতা আর কালক্ষেপণে
পণ্ড।

আপসে আর পণ্য মূল্যবোধে
টিকে যাওয়া
সততার অহমে
নিত্য পিষ্ট
অহমের সততা।

সমাজ-সংসারের
দায়হীন নিরপেক্ষতার
দায়,
জন্ম দেয়
শুধু হতাশার।

মিরপুর, ৩০ জুন, ২০০৩

বিস্তারিত»

স্মৃতি অমলিন (১)

এটিকে বলা যায়, একটি প্রাগৈতিহাসিক পোস্ট। এখনকার ছেলেমেয়েদের কাছে এর কিছু কথা বিস্ময়কর মনে হতে পারে। কথাগুলো ১৯৬২-৬৭ সালের দিকের আমার জীবনের অভিজ্ঞতার কথা।

খুব ছোটবেলা থেকেই (৭/৮ বছর) আমাদের বাসায় কোন অতিথি এলে আমি খুব খুশি হ’তাম। আমরা যেহেতু ঢাকায় থাকতাম, দেশের বাড়ি থেকে কোন আত্মীয় স্বজন ঢাকায় কোন কাজে আসলে সাধারণতঃ আমাদের বাসাতেই উঠতেন। এতে আম্মার উপর অবশ্য বেশ চাপ পড়তো,

বিস্তারিত»

আরব মরুর বুকে জীবিকার সন্ধানে যাওয়া পলিমাটির বঙ্গ ব-দ্বীপের কর্মঠ ছেলেদের নিয়ে কিছু কথা

২৪ মে ২০২৫ থেকে ২৪ জুন ২০২৫, গত এই একটি মাস পবিত্র হজ্জব্রত পালনের উদ্দেশ্যে মক্কা-মদীনায় অবস্থান করেছিলাম। প্রথমে গিয়েছিলাম রাসুল (সাঃ) এর শহর মদীনা শরীফে। সেখানে ৮ দিন অবস্থান করার পর চলে এসেছিলাম আজিজিয়া শহরে। আজিজিয়া থেকেই ০৫ জুন ২০২৫ তারিখে হজ্জের অবশ্যপালনীয় আনুষ্ঠানিকতাগুলো পালনের উদ্দেশ্যে মিনায় চলে গিয়েছিলাম, সেখান থেকে আরাফাত এবং মুযদালিফায় অবস্থান করার উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে যাত্রা করেছিলাম। সেসব অবশ্যপালনীয় আনুষ্ঠানিকতাগুলো পালনের পর মক্কা শরীফে এসে হারাম শরীফের নিকট একটি হোটেলে উঠেছিলাম।

বিস্তারিত»

আতিথেয়তা

আমাদের বাসায় একজন ডমেস্টিক এইড একটানা প্রায় ৭/৮ বছর কাজ করেছিলেন। তার নাম মর্জিনা বেগম। তিনি বয়স্কা ছিলেন, তবে তার সঠিক বয়সটা তিনি অনুমান করেও বলতে পারতেন না। শুধু এটুকু বলতে পারতেন যে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি অনেক ছোট ছিলেন, সে সময়ের কোন স্মৃতি তার মনে নেই। বছর পরিক্রমায় তখন তার মেয়ের ঘরে নাতি নাতনিও আছে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। তাই আমরা ধরে নিয়েছিলাম, তখন তার বয়স হয়তো পঞ্চাশ হবে,

বিস্তারিত»

নিউ ইয়র্কের পথে…. ২

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল। গ্যাংওয়ের একেবারে শেষ মাথায় লাইন করে দাঁড়িয়ে ছিল ক্যাথে প্যাসিফিক এর কয়েকজন গ্রাউন্ড স্টাফ। তারা যাত্রীদের বোর্ডিং পাস চেক করে করে একেকজনের বাম বাহুতে একেক রঙের একেকটি স্টিকার লাগিয়ে দিচ্ছিল। আবার কারও হাতে কিছুই লাগাচ্ছিল না। পরে আরেকটু নিবিড়ভাবে লক্ষ্য করে বুঝলাম, তারা যাত্রীদেরকে মোট তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করে নিচ্ছিলঃ এক,

বিস্তারিত»

রাতকুমারী

একদিন সকালে মানুষেরা বর্জ্য-দুষিত আখ্যা দিয়ে তাদের রাতকুমারী নদীটাকে নিংড়ে তুলে রকেট লঞ্চারে বসিয়ে আকাশের দিকে ছুড়ে দিয়ে চাঁদে পাঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। তাকে ওরা আর চায় না। মেঘেরা রাতকুমারীকে চাঁদে যেতে না দিয়ে তাদের কোলে আটকে রাখে। সেখান থেকেই রাতকুমারী প্রায়ই বৃষ্টি হয়ে মানুষদের ভেজায়।

বিস্তারিত»

যে-সে

Song: যে-সে
Band: The Q
Lyrics: Bappy khan
Tune: Reshad Mahmood
Release/Album: 1994/ জন্ম
Label: Mars/বেতার জগত

যে হৃদয় ভেঙ্গে গেছে ,
তাকে কেন হাসতে বলো?
যে ছবি গিয়েছে মুছে ,
তাকে কেন আঁকতে বলো ?
যে স্বপন অলীক স্বপন,
তাকে কেন মিছে তুমি খুঁজতে থাকো?
যে আছে তোমার কাছে,
তারে প্রণাম করো।

বিস্তারিত»

অপেক্ষায়…

ঘন অরণ্যে দিনের আলোতেও আঁধার পুরোপুরি তিরোহিত হয় না।
মনে হচ্ছে গত সাতটি দিন ধরে এমনই এক অরণ্যে হেঁটে চলেছি।
আলো নেই, শ্বাপদ সংকুল পরিবেশ। পাখির কাকলি নেই, আছে শুধু
শবের অপেক্ষায় বসে থাকা অলক্ষুনে এক শকুনির কর্ণভেদী ডাক।

এ অরণ্যের যেন শেষ নেই, পথ চলারও নেই। পথের ক্লান্তি শুধুই দেহের,
চোখে সে ক্লান্তি নিদ্রা নামাতে পারে না। তন্দ্রা কেবলই আসে আর যায়।

বিস্তারিত»

ড্যান্স ফ্লোর

দূর থেকে চোখে পড়ে লাল-নীল বাতি
জ্বলে-নেভে, নেভে-জ্বলে,
চোখ ধাঁধানো ফ্ল্যাশ।
আকাশ ছাড়িয়ে মহাকাশে
সদর্প সাদা আলোর তরবারি।
বুক-কান কাঁপানো
ধুপ-ধুপ-চিক-চিক। চ্যাউউউ!
পশ ধরনের বেইজ ও ট্রেবল
সবকিছুই যেন মহাকাশ ছুঁতে চাইছে।
এ এক অনন্য উচ্চতা।
ওখানে না গেলে, মিস হয়ে যাবে।

বুক ভরা আশা নিয়ে আমি হাজির হই।
কীসের আশা জানি না,

বিস্তারিত»

প্রতিকৃতি ও কান্না বারণ

কান্না বারণ

 

কান্নার শব্দে সাড়া মেলে না
চকিতে চোখ মুছে নেয় সে
গায়ের ধুলো ঝেড়ে ফেলে
দু’হাত পকেটে ঢুকিয়ে
মাথা একটু নিচু করে
শিস্ দিতে দিতে আগায়
একটু থামে চারিদিকে তাকায়
যাবতীয় দুঃখ গ্লানি হতাশা
পেরুবার সীমিত দরোজা
ক্রোধ কিংবা সফলতা
পুরুষ হবার পথে যাত্রা শুরু।

০৫   এপ্রিল  ২০২৪

 

বিস্তারিত»

দুইটা লিরিক

[ফেসবুক মেমরি থেকে পেলাম। গত দশকের গোড়ার দিকের লেখা। গান হবে এরকম চিন্তা ছিল। হয়নি। ঘনিষ্ঠ এই ব্লগে আনকাট ভার্সনটা টুকে রাখা থাক।]

#
শ্যাওলা জমেছিল বুঝি
তোমার মনের পুকুরে,
ভিজতে ইচ্ছে করেছিল
তাই অন্য শ্রাবণ দুপুরে।

দেয়াল পাশের বাতায়নে
কাঁদতে যখন অঝোরে
ভাবনা জমাট বাঁধা ছিল
অন্য কারো আদরে।

খেয়াল খুশীর ইচ্ছে মত
আমায় কেন জড়ালে?

বিস্তারিত»

নিউ ইয়র্কের পথে….১

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের পথ ধরেই; এমিরেটস এর ফ্লাইটে, দুবাই হয়ে। এবারে ইচ্ছে হলো পূবের পথ ধরে উড়াল দিতে। আমার এ ইচ্ছেটার কথা প্রকাশ করার আগেই ট্রাভেল এজেন্ট জানালো, ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্স তাদেরকে হংকং হয়ে উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে যাত্রী পাঠাতে উৎসাহিত করছে এবং এর জন্য তারা আকর্ষণীয় টিকেট মূল্য ধার্য্য করেছে।

বিস্তারিত»

নীরব রাতের নিবিড় আঁধারে….

একজন শ্রোতা যখন কোন গান শোনেন, আর সে গানটি যদি তার ভালো লেগে যায়, তখন তার তিনটে ইন্দ্রিয় একত্রে কাজ করতে থাকে- কর্ণ, মানস (মন, কল্পলোক) আর নয়ন। গানের সুর কর্ণকুহরে প্রবেশ করা মাত্র তার মন সেই গানের কথা ও সুরের আবহে স্পর্শিত হয়ে, স্পন্দিত হয়ে, তরঙ্গায়িত হয়ে কল্পলোকে বিস্তৃত হয় এবং একইসাথে সেই সুরসৃষ্ট কিছু ছবি তার চোখের সামনে দিয়ে ভেসে যেতে থাকে। যতক্ষণ সেই সুর তার কানে প্রবেশ করতে থাকে,

বিস্তারিত»

জীবন থেইকা মাধুর্য উইড়া গেছে

বৃহঃস্পতিবার আসলে আগে একটা ফিল পাইতাম। এই ফিল প্রথম আসে স্কুল-কলেজে থাকতে। যেইখানে পড়তাম ওইখানে শুক্কুরবার সকালে পিটি-প্যারেড করতে নামা লাগতো না। আর বৃহঃস্পতিবার রাতে আমাগো ভালো-মন্দ খাইতে দিত। ওইটারে আমরা বলতাম— স্পেশাল ডায়েট। জেলখানার কয়েদিদের যেমন বিশেষ দিবস আসলে এইরকম খাবার খাইতে দেয়। আর বৃহঃস্পতিবার রাতে মুভি শো হইতো৷ দল বাইন্ধা আমরা বিদেশি সিনেমা দেখতাম৷ যদিও ইলেভেন-টুয়েলভে সিনেমা না দেইখা, মোবাইলে তৎকালীন প্রেমিকার লগে কথা কইতাম বা পছন্দের জুনিয়র ডাইকা গান শুনতাম,

বিস্তারিত»