একটি বার্গারের আত্মকাহিনী

আমাকে আপনারা সবাই চিনেন। জ্বী আমি আপনাদের অনেকের প্রিয় খাবার।কিন্তু আমি সাধারণ কোনো ফাষ্ট ফুড কিংবা হোটেল এর বানানো খাবার নই। আমার আত্ম-কাহিনী অন্য কোনো বার্গারের মতো নয়।আমাকে সপ্তাহের ৭ দিন পাওয়া যায়না, আমাকে সারাদিন ও পাওয়া যায়না, আমাকে সারা পৃথিবীর মাত্র ১২টি জায়গায় পাওয়া যায়, প্রতি বৃহস্পতিবার, বিকেলে (মাগ-রিবের নামাজের আগে বা পরে)। আমাকে খাবার জন্য সবাই আলাদা পোশাক পরে আসে। সাদা পাঞ্জাবী এবং সাদা পায়জামা। আমাকে খেতে হলে তাদের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ডাইনিং হল এ আসতে হয়। অবশ্য সবাই আসেনা কারণ সেদিন তারা যেন কী দেখে টিভিতে। তাই কিছু ছোট ছেলে আমাকে নিয়ে তাদের থাকার জায়গায় যায়। কয়েক টা রুম এ এসে তারা “ভাইয়া আসব?”বলে, তখন ভিতর থেকে একজন বলে আসো। তখন যে ছেলেটা আমাকে নিয়ে এলো সে ঐ রুমের বাসিন্দার কাছে আমাকে দিয়ে যায় এবং বলে যায়”…………ভাইয়া আপনার পাশে তার জায়গা রাখতে বলসে”, তারপর অনুমুতি নিয়ে সে চলে যায়। আমার বর্তমান মালিক লাল কিছু একটা আমার গায়ে ঢেলে হাঁটতে হাঁটতে টিভি রুমে চলে যায়। সেখানে তার মত আরও ৫/৬ জন থাকে। তারা নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করে,মারামারি করে,বিভিন্ন ধরণের কথাও বলে। একবার তারা বললো আমি নাকি পৃথিবীর সবচাইতে মজার বারগার। আপনারাই বলেন আমি কি খেতে সবচাইতে ভাল???? :-/

৩,৫৮৫ বার দেখা হয়েছে

৪৫ টি মন্তব্য : “একটি বার্গারের আত্মকাহিনী”

  1. হাসনাইন (৯৯-০৫)

    বার্গার!! ক্লাস এইটে শেষ দেখছিলাম মনে হয় কলেজে। পোলাপাইন পছন্দ করত না বলে উঠায় দিছিল। বিশেষ করে জুনিয়র ছিলাম; শুকনা পাউরুটি চায়ে ভিজায়ে খাইতেও পারতাম না...তয় আমার কিন্তু ভালাই লাগত। মনে করায় দিলারে নাজমুল। 🙁 :dreamy:

    লেখার পর একটু টাইম দাও। জানি... আমারও ধৈর্য্য কুলায় না। 😛
    প্রথম প্রথম আমারও এরকম হত। থাইমনা... লেখায় গতি চলে আসবে দেখতে দেখতে। হ্যাপি ব্লগিং 🙂

    জবাব দিন
  2. তাইফুর (৯২-৯৮)

    বানান আর এডু'র মাঝখানে পোলা তো পুরা 'বার্গার' হই গেল। 😛
    তোমার চেয়ে ভাল 'বার্গারের আত্মকাহিণী' আর কার পক্ষে লিখা সম্ভব ??

    (লিখা বন্ধ করে দিও না আবার। লিখতে থাক। শুধু জমা দেয়ার আগে কয়েকবার পড়ে দেখবা।)


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  3. মরতুজা (৯১-৯৭)

    এডু স্যার বড়ই কড়া। তবে তার ফলও হাতেনাতে পাচ্ছি আমরা। ব্লগতো শুধুমাত্র অভিজ্ঞতা ভাগাভাগির আর মজার যায়গা নয়, নিজেদের প্রকাশের ক্ষমতাটাও উন্নত হয় এখানে। ঈমানে কইতাচি, আমার বাংলা লেকালিকি আসলেই ম্যালা উন্নতি হইচে 😀 ।

    এডু স্যারকে :salute:

    জবাব দিন
  4. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    নাজমুল মন খারাপের কিছু নাই। আমার প্রথম পোস্টটা পড়ে দেখিস, অনেক বানান ভুল আছে, হাস্যকর কিছু বানানও। এখনও অনেক ভুল হয়। কিন্তু একটু যত্ন নিয়ে লিখলে দেখবি যে ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে, লেখায় স্পিড আসবে...
    এই ব্লগটাতো অনেক মানুষ পড়ে তাই না? এই কারণেই একটু সতর্কতার প্রয়োজন আছে।
    তুই কি-বোর্ড লে আউট কোনটা ব্যাবহার করিস? ফোনেটিক??

    এডু এর উপর মাইন্ড করিস না। উনি না থাকলে বহুত ক্যাঁচাল লাগতো।

    জবাব দিন
  5. বিজ্ঞপ্তিঃ
    _____________________________

    এই পোস্টে 'ব্লগ এডজুট্যান্টে'র দুটি মন্তব্য ছিলো। তেমন কিছু না, লেখা কিভাবে আরো ভালো করা যায়,আর কি কি জিনিস মাথায় রাখলে লেখার সময় ভুল কম হবার সম্ভাবনা থাকে সেগুলি নিয়ে কিছু টিপস। যেহেতু নাজমুলের লেখা প্রকাশের সময় মডারেটরদের খুব ঘাম ঝরাতে হচ্ছে তাই একটু সচেতন করে দেয়া।

    দুঃখজনক হলেও সত্যি "লেখক" নাজমুল সে দুটি মন্তব্য মুছে দিয়েছে। এবং কোন রকম কারন দর্শানো ছাড়াই। পছন্দ না হলে পুর্নাংগ লেখকরা তাদের নিজের পোষ্টে অন্য কারো মন্তব্য মুছে দিতে পারেন তবে তা অবশ্যই প্রতি মন্তব্যে জানিয়ে দিতে হবে যে "অমুকের মন্তব্য এই কারনে মুছে দিলাম"।

    কিন্তু মডারেটর বা এডজুট্যান্টের মন্তব্য অনুমুতি ছাড়া মুছা খুবই অসৌজন্যমুলক।

    নাজমুল সে কাজটি করেছে। আমার নিজের খুব খারাপ লেগেছে ওর এই আচরনে। বলতে দ্বিধা নেই আমি খুব কষ্ট পেয়েছি এই ঘটনাটি জেনে। আমি নিজে ফোন করে ওর সাথে কথা বলছি, কিন্তু মন্তব্য মুছা নিয়ে ওর ব্যাখ্যা আমাকে আসলে সন্তুস্ট করতে পারেনি। তাই আপাতত কিছুদিন নাজমুলের লেখা ও মন্তব্যের অধিকার কিছুটা নজরদারিতে আনা হলো। আশা করছি সবাই ব্যপারটা বুঝতে পারবেন এবং সহযোগিতা করবেন।

    সবাইকে শুভেচ্ছা।

    জবাব দিন
    • ফয়েজ (৮৭-৯৩)

      ব্যক্তি কামরুল থেকে মডারেটর কামরুলকে আলাদা করা জরুরী। ব্যক্তি কামরুলের ভাল লাগা মন্দ লাগা থাকতেই পারে, এবং এই ভাল লাগা আর মন্দ লাগার প্রকাশটা তার একান্ত ব্যক্তিগত।

      মডারেটর কামরুলের সংগে আবেগ আসা উচিত না।কারন তা ব্লগের জন্য ক্ষতিকর।

      কামরুলে মন্তব্য পড়ে আমার মনে হয়েছে, ব্যক্তি কামরুল, মডারেটর কামরুল থেকে বের হতে পারেনি। আমি আশা করব কামরুল এ ব্যাপারে আরও নজর দেবে।


      পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

      জবাব দিন
      • অনেক ধন্যবাদ ফয়েজ ভাই।
        আমি ইচ্ছে করেই ব্যক্তি কামরুল হিসেবে মন্তব্য করেছি যাতে নাজমুল ব্যপারটাকে একজন বড় ভাইয়ের উপদেশ হিসেবে নেয়। মডারেটর হিসেবে করলে আরো অনেক কঠিন সিদ্বান্ত নিতে হতো। সেটা করতে চাই নাই।

        তবে এখন থেকে আপনার উপদেশ মাথায় থাকলো। অবশ্যই ব্যক্তি কামরুল থেকে মডারেটর কামরুল আলাদা থাকবে।
        মডারেটর কামরুলের সংগে আর আবেগ আসবে না।

        আপনাকে আবারো অনেক ধন্যবাদ।

        জবাব দিন
  6. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    কলেজের বার্গার আমার মোটেও ভাল লাগত না-এই কথাটা এখানে বলা ঠিক হবে কিনা ভাবছি... :-B :-B
    না থাক, কিছু বলব না... O:-)
    শুধু বলি, বেশিরভাগ সময়ই শুধু বার্গারের বীজটা(কাবাব!) খেয়ে বাকিটা রেখে আসতাম... B-)


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  7. নাজমুল (০২-০৮)

    প্রথমেই আমি ব্লগের সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।একজন জু্নিয়র ক্যাডেট হিসেবে আমার উচিত হয়নাই মডারেটর এর কমেন্টস মুছে দেয়া।কিন্তু আমি তাকে সিনিয়র নয় বরং মডারেটর হিসেবেই ভেবেছিলাম।আমি জানি এটা আমার উচিৎ হয়নি।
    কামরুল ভাই আশা করি ব্যাপারটা ক্ষমা দৃষ্টি তে দেখবেন।আপনি ক্ষমা করলে আমি সামনে কিছু ব্লগ লেখার ইচ্ছা প্রকাশ করছি।
    ধন্যবাদ।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।