৯ আগস্ট ২০০৭ এর রাত সাড়ে দশটার দিকে ফোন আসল শাইখের কাছ থেকে। যশোরে একটা বাইক এ্যাক্সিডেন্ট করে নাকি তিনজন এয়ার ফোর্স অফিসার আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে অবস্থা খারাপ রাজীবের। ওকে হেলিকপ্টারে ঢাকা সিএমএইচ’এ ইমার্জেন্সি ইভাকুয়েট করা হচ্ছে। এই খবর পাওয়ার পর আর বাসায় থাকা হলো না। এক ছুটে যখন সিএমএইচ এর পার্কিং লটে পৌঁছালাম ততক্ষণে রাজীবের সঙ্গীসাথী অফিসার কলিগরা এসে পড়েছে। রাজীবের বাবা মা’ও এক পাশে চুপটি করে দাঁড়িয়ে আছেন।
বিস্তারিত»আমার বিসিএস পরীক্ষা…!!!
আমার খুব শখ ছিল বিসিএস পরীক্ষাটা হেব্বি মাস্তি করে দেব…একে তো জীবনের প্রথমবার, তার উপর আবার চান্স পাব কিনা- এরকম কোন টেনশন নেই। কারন আমি নিশ্চিৎ যে আমার হচ্ছে না। জীবনে আর বিসিএস দেয়া হয় কিনা-কে জানে!! সুতরাং মাস্তি না করার কি আছে??
কিন্তু হায়! মানুষ ভাবে এক, হয় আরেক…সিট প্ল্যান দেখে জানতে পারলাম, আমার সিট পড়েছে কাজী নজরুল ইসলাম কলেজ, লক্ষ্মীবাজার!!! অর্থাৎ কিনা সদরঘাটের কাছাকাছি…আমি থাকি বনানী,
বিস্তারিত»ফটোব্লগঃ জাস্ট সেলোগ্রাফী-০৩ (শেষ পর্ব)
শেষ তিন দিন সিসিবি তে আসতে পারি নাই। এসেই দুইটা মন খারাপ করার মতো খবর। মশিঊর ভাই এর টা আগেই একক থেকে শুনেছি।
দুইটা এমব্যাসী আর ব্যাংকে দৌড়াতে দৌড়াতে জান শেষ। একবার বলে এই পেপার দাও, আবার ওইটা। টুরিস্ট ভিসা এর যদি এই হাল হয়, না জানি অন্যগুলার কি হয়।
আজকে আসলাম সিসিবি তে। অনেক গুলা লেখা জমছে। সব পড়তে পারি নাই। হিট টুসকি পড়লাম।
মেজর মশিউর : ভালোবাসা নিও ভাই
মেজর মশিউর কি আর নেই? কদিন আগে সাইফের পোস্টে ওর অসুস্থতার খবর পড়েছিলাম। আজ (২৯ নভেম্বর, ২০০৮) ইত্তেফাকের ৪-এর পাতায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার জানানো শোক শ্রদ্ধার সংবাদ পড়ে আর সিসিবিতে এ সম্পর্কে কোনো তথ্য না পেয়ে রীতিমতো বিভ্রান্ত। কামনা করি মশিউর ভালো থাকুক। কিন্তু প্রকৃত তথ্যটা কিভাবে জানা যাবে?
বিস্তারিত»শোক সংবাদ
অনেকেই হয়তো জানেন না।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল দুপুরে। ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেটের সপ্তম শ্রেণীর ক্যাডেট তাসনুবা আত্মহত্যা করেছে।
গার্লস ক্যাডেটের শিক্ষিকা দেলোয়ারা ম্যাডামের কাছে ফোন করে জানা গিয়েছে, বার্ষিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হবার কারনে মেয়েটি এই পথ বেছে নেয়। বাসা থেকে তার উপর ভালো ফলাফলের চাপ ছিল- সেই চাপ সইতে না পেরে সে আজীবনের জন্য চাপমুক্ত হবার পথ বেছে নিয়েছে।
একজন চিকির আত্মকাহিনী
(লেখকের বক্তব্যঃ আগেই বলে রাখি, আমি কোনো চিকি না। :shy: আমার ক্যাডেটজীবনে ‘দেখা’ এবং ‘শোনা’ চিকিদের ভালমন্দ ব্যাপারগুলোই এখানে প্রকাশের প্রয়াস পেয়েছি। ক্যাডেট কলেজে একজন চিকির অভিজ্ঞতা কেমন হতে পারে, তা ফুটিয়ে তোলাই এই লেখার উদ্দেশ্য।)
আমি একজন চিকি। ক্যাডেটদের নিজস্ব সংজ্ঞায় আমি ‘চিকি’। ক্যাডেটদের বিচিত্র চিন্তাধারায় আমি চিকি। তাদের দৃষ্টিতে আমি অন্য সবার থেকে একটু আলাদা, একটু স্পেশাল, একটু স্থূল। আমার নাম শুনতেই কান খাড়া হয়ে
উঠে সবার,
বন্ধুত্বের ৩৪ বছর : জীবনের তিন চতুর্থাংশ
ফৌজদারহাটের ২১তম ব্যাচটা একটা জিনিষ! কলেজে যেমন ছিল তেমনি বাইরে এখনো সবগুলো দারুণ প্রাণবন্ত। সুযোগ পেলেই আড্ডাবাজি, খাওয়া-দাওয়া, বেড়ানো আর ছেলেমানুষি কান্ডকারখানায় প্রায় পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই এই বালকগুলোর জুড়ি মেলা কঠিন। বন্ধুদের মধ্যে সম্পর্কটা যেমন দূর্দান্ত, তেমনি সম্পর্ক তাদের স্ত্রীদের মধ্যেও। রবীন ও রায়হানের প্রদর্শিত ব্লগীয় ধারা বজায় রেখে ২১তম ব্যাচের একটি ফটোফিচার।
বিস্তারিত»শ্লেটমুখী ও অন্যান্য
-
শ্লেটমুখী
অরীয় বেণিদ্বয়ের শামুক-দোলন, সরে
এপাশে ওপাশে প্রতিসম বিস্তার, ভেঙে
বেণিদ্বয় দুলে ওঠে, উঠতেই থাকে,
ঘনোপর্দায় ছায়াগুলো শরীর ঢাকছে, তাই
বেণিদ্বয় সচকিতে
শ্লেটে লেখা এলোমেলো আঁকিবুকি মুছে দেয়।
-
ঋতুযাপন
টুশকি ১৫
দ্য মুখ অফ আলটিমেট “ক” ভাই…
নামকরণ রহস্যঃ
এককালে টাংগাঈলের বেবীস্ট্যান্ড নামক জায়গাটি ভাইয়ের পদচারণায় মুখর থাকতো। সেই পল্লীর ললনাদের কাছে ভাই এতটাই বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিলেন যে তিনি পল্লীতে পা দেওয়া মাত্রই রব উঠতো, ভাই আসছে… ভাই আসছে। সেই থেকে তিনি ভাই। জুনিয়র, সিনিয়র সবার কাছে…
ক্লাস সেভেনে মান-যাচাই পরীক্ষার ফলাফলের পর আমাদের ফলিন করা হয়েছে হাউস অফিসে। টাল বাবা মুস্তাফিজুর রহমান আমদের উপর ঝাল মেটাচ্ছেন পরীক্ষায় ফেল করার জন্য।
বিস্তারিত»ভগি জগি পোষ্ট …
১। কত জায়গায় কত আড্ডা দিলাম, কিন্তু একাডেমিক ব্লকের টয়লেটের আড্ডার স্বাদ আর পেলাম কই। টয়লেটের ভেতরের লাইট বন্ধ করে দিয়ে সুইচ গুলির ‘জয়স্টিক’ ভেঙ্গে এমন করে রাখতাম যে শক্ত, সূক্ষ্য কিছু দিয়ে অনেকক্ষণ খোঁচাখুঁচি না করে লাইট জ্বালানো ছিল অসম্ভব। সেকেন্ড প্রেপ চলছে, আমরা ছয় জন টয়লেটে আড্ডাচ্ছি, হঠাৎ ভিপি জি,সি, বড়ুয়া’র আগমন। উনি উনার স্থূল আঙ্গুলের সাহায্যে লাইট জ্বালাবার অনেক চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়ে হুঙ্কার দিলেন,
বিস্তারিত»টুশকি ১৪
লুলা কাহিনী
আমাদের ব্যাচটা এমনিতেই অদ্ভূত। আর কিছু ব্যাপার এমনই অদ্ভূত যার কোনো ব্যাখ্যা নাই। একজনের জ্বর হলো তো টানা বিশ ত্রিশজনের একসাথে জ্বর, হসপিটালে জায়গা নাই, শেষ পর্যন্ত বিশেষ ব্যাবস্থায় রুমে রাখতে হল। হাম, লুলা, এপেন্ডিসাইটিস সব ক্ষেত্রেই তাই।
লুলা কাহিনীর স্টার্টিং আমাদের বিখ্যাত সামিয়া বিবির, আমাদের তখন ওয়াল ম্যাগাজিনের কাজ চলতেসিল। শীতকালে প্রায় সারারাত জেগে কাজ করসি। যতটুকু সম্ভব বেশি ঘুমানো যায় সেজন্য সে নাইটির উপর কার্ডিগ্যান,
বিস্তারিত»ঝালমুড়ি
ব্লগ লিখতে খুব আলসেমি লাগছে। কিন্তু কিছুদিন পরপর সিসিবিতে কিছু না দিলে এখন কিরম কিরম জানি লাগে। তাই ফাঁকিবাজি ।
নিতান্তই টাইম পাস করার জন্যে কিছু জোকস। বেশির ভাগই আহসান হাবীবের ‘জোকস সমগ্র’ থেকে নেয়া। কিছু অন্তর্জাল থেকে কপি-পেস্ট করা।
কিছু একেবারে সাদামাটা। কিছু আবার হালকা সেইরকম।
সামরিক কল্প-কাহিনী!!!
[কলেজে আমাদের দুইটা গ্রুপ ছিল- এক পার্টি ইন্টারের পর ফৌজিতে যাইব আর এক পার্টি যাইব না…আমি ছিলাম দ্বিতীয় দলে…তো আমরা বিজ্ঞ প্রতিপক্ষকে পঁচানোর জন্য বিভিন্ন কিছু করতাম…এর মধ্যে একটি ছিল গল্প বানানো…আজকের এই গল্পটি মূলটি হতে একটু আলাদা হলেও থিম এক…সময় বিবর্তনে ও কাহিনীর প্রয়োজনে হালকা রঙের প্রলেপ টানা হয়েছে মাত্র…তবে একটা কথা, খোদার কসম, কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে গল্পটি লেখা হয় নি…]
রাত দশটা আট।
বিস্তারিত»