[ মাঝে মাঝেই কিছু গল্প উপন্যাস পড়ে আমার খুব ইচ্ছে করে এর পরে কি হল কিংবা এই একই ঘটনা যদি অন্য কারো মুখ থেকে আসত তাহলে কি হত। যেমন পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসে কুবের আর কপিলা কোথায় গেল কিংবা সাতকাহনে দীপাবলি কি একাই কাটিয়ে দিল বাকি জীবন। আমার সাথে যদি লেখকদের চেনা জানা থাকত তাহলে আমি খুব অনুরোধ করতাম তাদের এই থিম নিয়ে লেখার জন্য।
বিস্তারিত»ছাড়া গরু অথবা বউ দূরে থাকার অসুবিধাসমূহ
ভালোই চলতেছিল সময়। প্রেম করি,খাই-দাই, ঘুমাই। কিন্তু বাধ সাধলো বাপ মা, তাদের এক কথা বিয়ে করা লাগবে। তাদের যতোই বুঝাই, আরো দুই বছর যাক, তা না তারা বলে তোর ছোট ভাইয়ের আগে তোর বিয়ে করাই লাগবে। কি আর করা, একদিন রাজী হয়ে গেলাম। বিয়ের আগে বেশ কিছু ঝামেলা বাধলো,ফলাফল আগে প্ল্যান ছিল আমি কানাডায় যাবো একবারে নতুন করে আমাদের সংসার শুরু করব, কিন্তু এখন অবস্থার ফেরে ঠিক হলো সে তিন সপ্তাহের জন্য ইংল্যান্ড আসবে হানিমুন করতে তারপর ফেরত চলে যাবে।
বিস্তারিত»আচার ০০৮ : পরবাসীর রোজনামচা
কিংকু মেইল দিয়েছিল কয়েকদিন আগে একটা। তার পরিচিত এক ইন্ডিয়ান মুসলিম ইঞ্জিনিয়ার আছেন যিনি কিনা আমার ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স করছেন। তার পরিচিত কেউ সেইন্ট জন’স – এ নাই, তাই আমি যেন তার সাথে দেখা করে এখানকার কমিউনিটির লোকজনের সাথে আলাপ করিয়ে দেই। একজনের উপকারে আসা যাবে ভেবে আমিই তাকে ইমেইল দিলাম। ব্যস্ততার মাঝে সময় বের করে দেখা করলাম। ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাফেতে বসে কফির চুমুকে চুমুকে অনেক কথা হলো।
বিস্তারিত»খাদ্য, ক্ষুধা এবং তৃপ্তি বিষয়ক গল্প-১
মাদুরের উপর আড়াআড়ি করে পলিথিন বিছানো। তার উপরে শাদা শাদা ভাত। ধোয়া উঠছে। বড় হাড়িতে ভাত হবার পর বাঁশের জালিতে ফেলে পানি দিয়ে ধুয়ে এই পলিথিনে রাখা হয়। মাড় গালার ঝামেলা থাকে না তখন। গরম ভাত পানির সাথে মিশে আরো পরিচ্ছন্ন হয়। ব্যস্ত হাতে এই মুহূর্তে সেই পরিচ্ছন্ন ভাত তুলে তুলে ক্যারিয়ার বন্দি করছে মজুর মা।
তার সহযোগী আলতা। গত বছর থেকে সে কাজে লেগেছে।
বিস্তারিত»মুক্তিযুদ্ধ আমার অজ্ঞানতা
অনেকদিন ধরে লেখা পরেই যাচ্ছি, কিছু লেখা আর হচ্ছেনা । আলসেমি কাজের চাপ বলতে গেলে কেন যেন হয়ে উঠছিলনা । আজকে মাস্ফুর পোস্টটা পরে কিছু লিখতে ইচ্ছ করছে । মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধ , বংগবন্ধু , জিয়া ,আওয়ামী লীগ, বি এন পি, রাজাকার, এরশাদ সবকিছু নিয়ে কম বানিজ্য হ্য়নি । মুক্তিযুদ্ধের অনেক পরের প্রজন্ম হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমার এবং আরো অনেকেরই সম্যক ধারনা নেই ।
বিস্তারিত»ফটো ব্লগ : মনরোভিয়ার পথে
১. এক জুনিয়র কলিগকে ‘এটা পারমানবিক বোমা বিস্ফোরণের মেঘের ছবি’ বললে সরল মনে বিশ্বাস করেছিল। যখন বললাম ছবিটা আমার তোলা তখন আর বিশ্বাস করে না। শেষমেষ স্বীকার করতেই হলো এটা মেঘ।
বিস্তারিত»বাচ্চালোক তালিয়া মার
[ আমার আগের ফালতু পোষ্টটায় সবাই এমন ভাবে কমেন্ট করেছে যে খুব তাড়াতাড়ি একটা পোষ্ট দেওয়া ফরজ হয়ে গেছিল। বহুদিন ধরে একটা কাঁটা বিঁধে আছে সেটা নিয়েই লেখলাম। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাকে মিস করার জন্য (যারা করেনাই তারা এই ধন্যবাদ পাবে না ) ]
এখানকার সব বাচ্চালোক একসাথে তালিয়া মার। চাইলে বুড়ারাও মারতে পারেন। আমাদের তো সামনে সুখের দিন আসতেছে। ২৯ তারিখ নির্বাচন হবে তারপর ফিরে আসবে আমাদের ঘোড়ার ডিম বহু আরাধ্য গণতন্ত্র।
বিস্তারিত»সাবাশ বাঙালী
খেরোখাতা- হুররে হুররে ইটস আ হলি হলিডে
ব্যাপারটা একদম ঠিক করছিনা। এখন একটা গল্প দেয়া উচিত সিসিবিতে। তা না, আমি লিখছি খেরোখাতা। গল্পের একটা প্লট আছে, একটু বিশ্বাসযোগ্যতা আনার জন্য বাংলাদেশের মানচিত্র কিনতে পাঠিয়েছি অর্জুনকে দিয়ে, সাতক্ষীরা আর সুন্দরবনের এক নাপিতের খ্যাপ মারার গল্প। গল্পের নামটা “খ্যাপ” রাখব ঠিক করেছি। পুরা দুনিয়া এখন খ্যাপের উপর চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, একটু ভাল নামওয়ালা ডাক্তার, উকিল, ব্যবসায়ী, মৌসুমি রাজনীতিবিদ, সবখানে খ্যাপের জয়জয়কার। কেউ যদি দু’পয়সা রোজগারের জন্য খুন করাকে খ্যাপ হিসাবে নেয় তবে এ আর এমন কি?
বিস্তারিত»বিচ্ছেদের পরে…
আমি বোধহয় দিনে দিনে দারুন অভিনেতা হয়ে যাচ্ছি!
কী অদ্ভুত নিয়মে বুঝে গেলে শেষমেষ তুমি,
শব্দের মোড়কে জড়াতে হলোনা বিচ্ছেদের
গতানুগতিক অভিনয়। কষ্টের অভিনয় করা
মুলতই কষ্টকর, বিশেষত যখন মুখোশ খুলে
বসি আমরা মুখোমুখি, তাবৎ কপটতা ঝরে যায়
আমাদের, ঠিক একদম দুদিন-পুরোনো পাঁপড়ির মতো।
রূপবিলাস
১.
বিকেলের সময়টায় কোন কাজ থাকে না সৌরভের। প্রায়ই হাঁটতে হাঁটতে ধানমন্ডি লেকে চলে যায়। তারপর একটা জুতসই জায়গা দেখে বসে পড়ে। আমোদপ্রবণ মানুষগুলোর ছুটে চলা দেখে , আর দেখে প্রেমিক যুগলের খিলখিল শব্দে লুটোপুটি খাওয়া। বিচিত্র মানুষের সমাগম ঘটে, কেউ আসে মজা করতে কেউ আসে লুটতে। সৌরভ আসে মানুষ দেখতে। এক একটা মানুষের মুখ দেখে গল্প খুঁজে বেড়ায় সে, জীবনের গল্প। মানুষকে বিভিন্ন শ্রেনীতে ফেলে,
টুশকি ১৬
আলতু ফালতু
আগেই বলি এই লেখা পুরাই ফালতু পোষ্ট কেউ পড়ার রিস্ক নিলে আমি দায়ী থাকবনা।
বহু বহু দিন সিসিবিতে আসিনা। সময় হিসাব করলে বলা যায় প্রায় দেড় মাস সিসিবির সাথে যোগাযোগ নেই। ব্যস্ততার কারণে আসতে পারিনা বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবনা। কেন যেন কিছুই ভাল লাগত না। নেটে এসে মাঝে মাঝে বসে থাকতাম ঠিকই কিন্তু কোথাও যাওয়া হত না। ব্রাউজারের www লিখে বসে থাকতাম কোথায় যাওয়া যায় এই ভাবনায়।
বাগানবিলাস
*বনি তখন জুনিয়র প্রিফেক্ট। ওর পার্টনার হসপিটালে এডমিট, বেচারাকে একাই সব দিক সামলাইতে হচ্ছিল। সামনে গার্ডেনিং কম্পিটিশন। দুপুর বেলা ঘুম বাদ দিয়ে খাঁ খাঁ রোদের মধ্যে কাজ করার জন্য জুনিয়রদের সাথে বেচারাকে একাই নামতে হত। ডেকে গলা ফাটায় ফেললেও অন্য কোন ক্লাসমেট নামে না, ঘুমের নামে মটকা মেরে পরে থাকে।
এর মধ্যে একদিন এক বেডে গ্ল্যাডিওলাসের চারা লাগানোর কথা, কিন্তু চারা থেকে ফুল হতে হতে তো গার্ডেনিং কম্পিটিশনই শেষ হয়ে যাবে।
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই-১
শালার চেহারা ছবি এতই আনইম্প্রেসিভ যে অপরিচিত লোকজন তো বটেই, আমার খুব কাছের বন্ধু-বান্ধবরাও মাঝে মাঝে সন্দেহ করে আমি মনে হয় কোন গ্যারেজে অথবা মেশিন ফ্যাক্টরিতে অপারেটর হিসেবে পার্ট টাইম জব করি! 🙁 ড্রেস-আপ গেট-আপের জন্য জীবনে কম ধরা খাইনি। টিউশনির ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে বাসায় বাবা, এক সময়ের পার্বতী, ইউনিভার্সিটির শিক্ষক এমনকি আমার কাছের বন্ধুরা, সবার একই অভিযোগ আমার টার্ন-আউট ঠিক নেই। ঠিক যে নেই সেটা আমিও টের পাই।
বিস্তারিত»