মাঝে মাঝে লেখার ইচ্ছা জাগে কিন্ত কি লিখব তা ভেবে পাই না। তাছাড়া ব্লগে এ লেখার মত নিজেকে এত বড় লেখক ও মনে হয় না । কলেজে পড়ার সময় মাঝে মাঝে মনে হত দেখি লিখতে পারি কিনা কিন্ত পরে লেখা আর হত না, একটা ভয় কাজ করত ,মনে হত আমার লেখা পড়ে আবার না সবার মাঝে হাসাহাসির রোল পড়ে যায় । তবে এখন নিজেকে অনেক ফ্রি মনে হয় আর তাছাড়া লেখার কাজ়ে কলমের ব্যবহার না থাকায় মনে হয় কলম টা ধরে আসছে না ।
বিস্তারিত»ইচ্ছেমত উড়াব আমার ইচ্ছেঘুড়ি…!!!
(তাইফুর ভাই যথার্থই বলেছেন, “এই ব্লগের একটা লেখা নতুন আরো কয়েকটা লেখার উপজীব্য বলেই বোধহয় ব্লগটি মন্ত্রমূগ্ধতায় পুর্ণ।” ফয়েজ ভাইএর ‘ঘাই’ গল্পটা পড়ার পর এই পোস্টটা লিখতে গিয়ে বারবার আমারও তাই মনে হচ্ছিল…ফয়েজ ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!)
এক।
পুরনো বইয়ের দোকানে ঢুঁ মারা আমার বহুদিনের অভ্যাস। এটা অনেকটা গুপ্তধন খোঁজার নেশার মতন…হাবিজাবি নানান বই ঘাটাঘাটি করে মাঝে মাঝে দেশি বা বিদেশী দুর্লভ বই পেলে যে আনন্দ হয় তার সাথে বুঝি একমাত্র গুপ্তধন পাবার আনন্দের তুলনাই চলে…তাছাড়া পুরনো বইয়ের একটা অন্যরকম গন্ধ আছে…পাতা উল্টাবার সময় গন্ধটা যখন নাকে বাড়ি দেয়…কেমন জানি একটা অনুভুতি হয়…!!!
বিস্তারিত»সিয়াটলের শীত – ৩
গত সপ্তাহে সিসিবিতে ঢোকার সুযোগ হয়েছে খুব কমই। নানা ব্যাস্ততার মাঝেও চোখ বোলানোর চেষ্টা করেছি কি কি হচ্ছে সিসিবিতে। একটা জিনিস মানতেই হবে, সিসিবিতে প্রানচাঞ্চল্য আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। বেড়েছে নতুন সদস্যের সংখা (সংখ্যা বানানটা ভুলে গেছি। কোনটা ঠিক বুঝতে পারছি না। মাফ চাই, বাংলা চর্চার অভাবের ফল। একই সাথে ধন্যবাদ সিসিবিকে, চর্চার সুযোগটা করে দেবার জন্য)। আমি যখন সদস্য হই তখন খুব সম্ভবত আড়াইশর মত সদস্য ছিল,
বিস্তারিত»মাসল টি ব্রেক
স্কুল কলেজে টিফিন টাইম বলে দশটা থেকে এগারোটার দিকে যেই সময়টা পাওয়া যায় ক্যাডেট কলেজে তার নাম “মিল্ক ব্রেক”। এসময় দুধসহ সামান্য নাস্তা পরিবেশন করা হয়। আর বিকেলের নাস্তা পানীয়ের নাম “টি ব্রেক”। নামেই এর পরিচয় – বিকেলে দুধের পরিবর্তে চা পরিবেশিত হয়।
সন্ধ্যার আগে টি ব্রেকের এই সময়টা খুব সংকীর্ণ। গেমস, গেমসের পর দ্রুত গোসল এবং মাগরীবের নামাজে হাজিরা দেবার ফাঁকে সময়টা যেন হুশ করে উড়ে যায়।
বিস্তারিত»ঘাই
শেখেরটেক হাট থেকে আকাবাকা হয়ে পুব দিকে যে রাস্তাটা চলে গ্যাছে, পদ্দাপদ্দি নদীর ধার ঘেষে, ওটা ধরে মাইল চারেক সামনে গেলে যে গ্রামটা চোখে পড়ে তার নাম তালুকদার বাড়ি। গ্রামটা চিনা খুব সহজ, কারন ইংরেজ আমলে শাহ তালুকদার জমিদার ছিলেন, সেই আমলের বিরাট আলিশান প্রাসাদের মত বাড়ি অত্র এলাকা তো বটেই, জেলাতে আছে কিনা এই নিয়ে দারুন সন্দিহান এলাকার মানুষ। আর একটা সহজ চিনার উপায় আছে তালুকদার বাড়ি।
বিস্তারিত»খেরোখাতা-ব্যক্তিগত জিরো আওয়ার
(ভাই এইগুলা ধুন ফুন লেখা, যিনি পড়ার নিজ গরজে পড়বেন, লেখা পড়ে মেজাজ খারাপ হলে লেখক দায়ী থাকবে না।)
ঈদানিং আমার কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে। কোন কিছুরই সুরটা ঠিক মত লাগছে না।
একটা গল্পের প্লট ঘাই মারছে মনের ভিতর, একটু পর পর, কিন্তু ধরা পরছে না। ব্যাটা ফাজিল কোথাকার।
মন ভালো না থাকলে যা হয়, সব কিছু তিতা তিতা লাগে।
বিস্তারিত»আমার বন্ধু ভাগ্য
এই ব্লগের একটা লেখা নতুন আরো কয়েকটা লেখার উপজীব্য বলেই বোধহয় ব্লগটি মন্ত্রমূগ্ধতায় পুর্ণ। একেকটা লেখা পড়ি আর নিজের অজস্র স্মৃতির মধ্যে ডুবে যাই। অমোঘ এক চক্রে ঘুরপাক খাই, লেখা পড়লেই লিখতে ইচ্ছে হয়। রেডবুকের ‘কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটি’ নীতি আর মাথায়ই থাকে না।
যারা অসাধারণ বন্ধু ভাগ্য নিয়ে পৃথিবীতে আসে, তারাই ক্যাডেট কলেজে উত্তীর্ণ হয় বলে আমার ধারণা। নইলে কি আর সিনিয়র, জুনিয়র,
বিস্তারিত»এই লেখাটা তোর জন্যে
আমরা দু’জনে বসেছিলাম। রাত অনেক, প্রায় এগারটা বাজে। একটু দুরে স্ট্রীটল্যাম্পেরা ছাড়া আর কেউ নাই। আমরা দুজন বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে বসেছিলাম। চারপাশে বেশ দমকা বাতাস আজকে। আমি আর তুই কংক্রিটের মাঠে পা ছড়িয়ে বসছিলাম চুপচাপ। আমাদের মাঝে খালি অনিশ্চিত নীরবতা।
তোর সাথে আমার বিরাট ঝগড়া চলতেছে। আমি অনেক নাড়া খেয়েছি ভিতরে ভিতরে। তুই আমার সাথে এরকম করতে পারলি?
ঝামেলাটা কী নিয়ে লেগেছিলো ভুলে গেছি।
বিস্তারিত»তোমাকে ভালবাসি বাবা
আমি সারাজীবন নিজের মতো চলতে চেয়েছিলাম। নিজের যা পড়তে ভালো লাগে, যা করতে চাই, যা হতে চেয়েছিলাম- সবই একে একে অর্জন করে চলেছি।
শুরুতে বাবা চেয়েছিলেন সেনা কর্মকর্তা হই, পরে চেয়েছিলেন অর্থনীতি পড়ি, অবশেষে সরকারি কর্মকর্তা হই। বাবার চাওয়া এসবের কোনোটাই আমি পুরণ করিনি।
এককালে রাজনীতি করেছি। সাংস্কৃতিক আন্দোলন করেছি। প্রিন্ট মিডিয়ায় দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেছি। এখনও মিডিয়ায় আছি।
সহজ ভাষায় ইংরেজী- পর্ব তিন (ক্রিকেট পর্ব)!!!
টুয়েন্টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ চলছে। আজকের খেলা ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে, দি ফাইনাল…। ইরফান আর আমি আমাদের বাসায় বসে খেলা দেখছি। প্রথমে ব্যাট করে ভারত ভাল একটা স্কোর করে ফেলল। পাকিস্তান ব্যাটিং করতে নেমে দ্রুত কয়েকটা উইকেট পড়ে যাবার পর আমি ওকে বললাম, ‘তুই দেখতে থাক, আমি একটু নেট-এ বসি…’ ইরফান আবার পাকিস্তানের অন্ধ ভক্ত। বলল, ‘আচ্ছা যা, আমি দেখতে থাকি…’
আমি মেইলটা চেক করে,
বিস্তারিত»অখ্যাতের আত্মকথন
আমি সেই সব মানুষের দলভুক্ত নই যাদের আত্মকথন লোকে সময় নিয়ে পড়ে। তবুও এই অখ্যাতের আত্মকথনের দুঃসাহস পেলাম এই ভেবে যে আমাদের ক্যাডেটদের প্রত্যেকেরই কোন না কোন ঘটনা, কারো না কারো সাথে মিলে যায়ই।
সুসন্তান জন্মদানের গর্বে গর্বিত হবার আনন্দটা উপভোগ করার জন্য আমার বাবাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেকগুলি বছর। তিন মেয়ের পর সর্বকনিষ্ঠ একমাত্র ছেলের প্রতি তার প্রত্যাশা দিগন্ত ছুয়ে যেত। তিনি শুধু গর্বিত হতে চেয়েছিলেন,
বিস্তারিত»বারি কোথায়?
আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে হেডিং দেখেই আপনারা মনে করবেন, ছেলেটা একদম ট্রাস। সামান্য বাড়ি লিখতেও বাড়াবাড়ি রকম বানান ভুল করে।কিন্তু বিশ্বাস করুন হে প্রিয় ব্লগারগণ- আমি বানান বিশারদ নই, তবু আজও বাড়িকে বাড়ি বলে চিনতে পারি। এই বারি সেই বাড়ি নয়। এ এক অন্য বারি, যার অনেক গল্প বলার আছে।
বারি আমার বন্ধুর নাম। ভাল নাম মোহাম্মদ আব্দুল বারি। আমার কলেজ জীবনের প্রথম রুমমেট।
বিস্তারিত»অণুগল্পঃ বনসাঁই
থোকা থোকা আগুন ভর্তি গাছটার নিচে মুখ অন্ধকার করে দাঁড়িয়ে আছে সজীব। ছটফটে একটা ভঙ্গি ওর সারা দেহে, ঘড়ি দেখছে বারবার। শিলা আজ খুব বেশি দেরি করে ফেলছে- টিউশানীতে ঠিক সময়ে পৌঁছতে হলে সজীবের এক্ষুনি উচিৎ বাস ধরতে ছোটা। কিন্তু সে উপায় নেই। ক্লাস শেষ হবার পরে এইটুকুই যা সময়, এখন চলে গেলে আজ আর দেখা হবে না।
শুরুতে অবশ্য এত ঝামেলা পোহাতে হতো না।
বিস্তারিত»দ্বিতীয় জন্ম
[এই লেখাটি লিখেছিলাম ৪ঠা জুন। ১৯৯৬-এ যারা ক্যাডেটে ঢুকেছে তাদের ইনটেক-বার্থডে। তবে অনুভূতি মনে হয় সবার ক্ষেত্রেই সমান। সেখানে সবাই সমানভাবে তাড়িত হয় ইনটেক-বার্থডে নিয়ে। এখনও যে শহরে থাকি, সেখানে এই দিনে আমরা চেষ্টা করি একত্রিত হবার। দেখা করে একটু স্মৃতিচারণ, একটু নস্টালজিক হওয়া।….. এই বছর আমি সেটা করতে পারি নাই। ইচ্ছা থাকা সত্বেও জীবন আর বাস্তবতা আমাদের অনেককিছুই করতে দেয় না। সেসময় নিজের কথাগুলো ব্লগোস্ফিয়ারে লিখে রেখেছিলাম।
বিস্তারিত»শিরোনামের ফুটনোট
খেয়াল করলাম গত অগাস্টে এখানে রেজিস্ট্রেশন করেছি। কিন্তু লেখা হয়নি একটুও। সেটা বেশ অবাক করা কারণ এ কয়মাসে আমার জীবনে একটা উজ্জ্বল অংশ এই লেখালেখি করাটাই। এই সময়ে অনেকটা সিরিয়াস হয়ে গেছি নিজের লেখা নিয়ে, চিন্তা নিয়ে, ভাবনা নিয়ে। সেগুলো এখানে কেন শেয়ার করিনি জানি না। অনেক সময় নজরের আড়ালে থাকলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিশই খুঁজে পাওয়া যায় না। এখন হঠাৎ করেই মনে হলো ক্যাডেট কলেজ ব্লগেও লেখাগুলো ধীরে ধীরে দিবো।
বিস্তারিত»